রপ্তানিমুখী শিল্পের প্রযুক্তিগত উন্নয়নে ২০২১ সালে ১ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল গঠন করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। সেই তহবিল হতে পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা আরও বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গত বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে আগের জারি করা সার্কুলারের কিছুটা সংশোধন করা হয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, সরকার কর্তৃক রপ্তানি নীতি ২০১৮-২১-এর পরিবর্তে রপ্তানি নীতি ২০২১-২৪ জারি হওয়ায় নতুন নীতিকেই বিবেচনা করা হবে। এর পাশাপাশি আগের সার্কুলার অনুযায়ী, রপ্তানি নীতির আওতায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাওয়া ও বিশেষ উন্নয়নমূলক খাতের পাশাপাশি আরও ১১টি কার্যক্রমের আওতায় রপ্তানি নীতি ২০২১-২৪-এ উল্লেখিত সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার খাত ও বিশেষ উন্নয়নমূলক খাত এবং সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত সেবা খাতের আওতায় ৩৫টি খাতের শিল্প অন্তর্ভুক্ত করা হবে, যা আগে ছিল ৩২টি খাত।
১১টি কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে—সংশ্লিষ্ট শিল্পের মুখ্য উৎপাদন, জ্বালানি দক্ষ বা নবায়নযোগ্য জ্বালানি; বিজনেস প্রসেসিং রি-ইঞ্জিনিয়ারিং/বিজনেস প্রসেস অটো-সংক্রান্ত; অপারেশন ম্যানেজমেন্ট; বর্জ্য ব্যবস্থাপনা; বায়ু ব্যবস্থাপনা; তাপ ব্যবস্থাপনা; কর্মপরিবেশ (অগ্নিব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্যসেবা) ব্যবস্থাপনা; পানি ব্যবহার ব্যবস্থাপনা; মানবসম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনাসংক্রান্ত আধুনিক প্রযুক্তি; হিসাবায়ন ও ইনভেনটরি ব্যবস্থাপনা; বিপণন, বিক্রয় ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়ার অটোমেশন।
এ ছাড়া, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ১ শতাংশ সুদে ঋণ নিতে পারবে, যা আগে ছিল ব্যাংক হারের চেয়ে ১ শতাংশ কম। আর গ্রাহক পর্যায়ে সুদ/মুনাফার হার হবে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ, যা আগে ছিল সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ। নীতিমালা অনুযায়ী, ৫ থেকে ৮ বছর মেয়াদি ঋণে সুদের ব্যবধান হবে সর্বোচ্চ আড়াই শতাংশ এবং ৮ থেকে ১০ বছর মেয়াদি ঋণে এ হার হতে পারবে সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ। ফলে গ্রাহক পর্যায়ে ঋণের সুদহার ৭-৮ শতাংশের মধ্যেই থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাসটেইনেবল ফাইন্যান্স বিভাগের আগের নীতিমালা অনুযায়ী, এই তহবিলের ঋণ নিতে প্রথমে আগ্রহী ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করতে হবে।
মন্তব্য করুন