সেপ্টেম্বরের পর অক্টোবরেও নতুন ঋণের ক্ষেত্রে সিক্স মান্থস মুভিং এভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল বা স্মার্ট সুদহার করিডোর সামান্য বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি মাসের জন্য স্মার্ট সুদহার নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ দশমিক ২০ শতাংশ, যা সেপ্টেম্বরে ছিল ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ। জুন, জুলাই ও আগস্টে এ হার ছিল ৭ দশমিক ১০ শতাংশ। সদ্য শেষ হওয়া সেপ্টেম্বরের ‘স্মার্ট’ রেট গতকাল রোববার ব্যাংকগুলোকে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে অক্টোবরে ব্যাংক ঋণের সর্বোচ্চ হার হবে ৭ দশমিক ২০ শতাংশ। অর্থাৎ, অক্টোবরে নেওয়া ঋণের বিপরীতে ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ১০ দশমিক ২০ শতাংশ সুদ নিতে পারবে।
আইএমএফের পরামর্শে ঋণের সর্বোচ্চ সুদহার ৯ শতাংশ থেকে সরে গত জুলাই থেকে স্মার্ট রেট চালু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ পদ্ধতি চালুর বিষয়টি চলতি বছরের জুলাই-ডিসেম্বরের মুদ্রানীতিতে জানানো হয়েছিল।
নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি মাসের প্রথম কার্যদিবসে আগের মাসের জন্য প্রযোজ্য স্মার্ট রেট ঘোষণা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই নিয়ম অনুযায়ী, গতকাল অক্টোবরের স্মার্ট রেট ঘোষণা করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলার অনুযায়ী, স্মার্ট রেটের সঙ্গে সর্বোচ্চ ৩ শতাংশ হারে মার্জিন বা সুদ যোগ করে ঋণ দিতে পারবে ব্যাংক। অন্যদিকে, ৫ শতাংশ হারে মার্জিন যোগ করতে পারবে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই)। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে জুলাই থেকে স্মার্ট পদ্ধতি চালু করা হয়। সুদহার বাড়িয়ে অনেক দেশই মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশের অর্থনীতিবিদরাও তা অনুসরণের পরামর্শ দিয়েছিলেন। সেই অনুযায়ী বাংলাদেশেও সুদহার বাড়ানো হচ্ছে। আমানতে সুদহার বাড়লে মূল্যস্ফীতি মোকাবিলা কিছুটা সহজ হবে বলে আশা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকও।
নীতিমালা অনুযায়ী, কৃষি ও পল্লী ঋণের সুদহার সাধারণ ঋণের চেয়ে ১ শতাংশ কম হবে। সেক্ষেত্রে স্মাট রেটের সঙ্গে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ মার্জিন যোগ হবে। এতে এ খাতের ঋণ সুদহার আগামী ছয় মাসের জন্য হবে ৯ দশমিক ২০ শতাংশ। অবশ্য কুটির, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (সিএমএসএমই) খাত ও ভোক্তা ঋণের আওতায় ব্যক্তিগত ঋণ ও গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে ব্যাংক আরও ১ শতাংশ সুপারভিশন চার্জ যোগ করতে পারবে। তবে তা বছরে একবারের বেশি হবে না।