ভাইভার প্রথম পাঁচ মিনিটেই মোটামুটি পরিষ্কার হয়ে যায় চাকরিটা পাচ্ছেন কি পাচ্ছেন না। সময় যত গড়াতে থাকে ততই বাড়তে থাকে প্রার্থীর আত্মবিশ্বাস। তবে এর মধ্যে তিনটি বিষয়ে থাকা চাই সতর্ক। বিষয়গুলো মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে যে কোনো সময়।
অনলাইনেও কেতাদুরস্ত
আজকাল অনেক ভাইভা অনলাইনেই হয়। আর এ ক্ষেত্রে প্রচলিত এক রেওয়াজ হয়ে গেছে পোশাকে নজর না দেওয়া। বিশেষ করে কেউ কেউ আবার শুধু ওপরেই ফিটফাট থাকেন। নজর দেন না নিচের অংশে। আর নিয়োগকর্তারাও বুঝতে চান, আপনি চাকরি পাওয়ার
ক্ষেত্রে কতটা আন্তরিক এবং আপনার মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক নিয়মনীতি মানার সম্ভাব্যতা কতটুকু। তাই হয়তো পোশাক দেখার ছলে তারা আপনাকে বলতে পারেন, ক্যামেরার একটু পেছনে গিয়ে দাঁড়িয়ে একটা প্রেজেন্টেশন দিন। তখন যদি কোটের নিচে পাজামা পরে থাকেন, তাতেই আপনি ধরাশায়ী। সুতরাং অনলাইনে বসলেও মনে করুন সরাসরিই সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন। আবার এ সময় ল্যাপটপ বা ফোনে যেন মেসেঞ্জারে রিংটোন বেজে না ওঠে, এজন্য যাবতীয় অ্যাকাউন্ট থেকে লগআউট করে নিতে ভুলবেন না।
হোমওয়ার্ক
যে প্রতিষ্ঠানে চাকরিটা চাচ্ছেন তাদের নিয়ে বাড়ির কাজ সেরে নিন কয়েক দিন আগে থেকেই। প্রতিষ্ঠানের সাম্প্রতিক কোনো সাফল্য, প্রকল্প ইত্যাদি সম্পর্কে জেনে নিন। আপনাকে এ নিয়ে সরাসরি কোনো প্রশ্ন করা না হলেও অন্য উত্তরের সঙ্গে প্রসঙ্গ টেনে জুড়ে দিন তথ্যগুলো। যে কোনো নিয়োগকর্তা এতে অভিভূত হবেই। প্রতিষ্ঠানের নতুন কোনো ইভেন্ট থাকলে এক ফাঁকে আলাপের ঢঙে বলতে পারেন সে কথাও।
বেতনটাকে টেনে আনবেন না
আপনার উদ্দেশ্যটা আয় করা হলেও ভাইভাতে নিজে থেকে বেতনের প্রসঙ্গ টেনে আনবেন না। নিয়োগকর্তাই এ নিয়ে বলবেন। তবে দ্বিধা থাকলে আগেই অনলাইনে বা পরোক্ষ কোনো সূত্রে বেতন সম্পর্কে ধারণা নিয়ে যাবেন। অনেক সময় একাধিক ভাইভাও হয়। সে ক্ষেত্রে আবার নিয়োগকর্তাও কৌশলে জানতে চাইতে পারেন, ‘এত এত কথা হলো, আপনি দেখছি এখনো বেতন সম্পর্কে জানতে চাইলেন না। এ বাবদ কি আগ্রহ নেই?’ উত্তরে যা বলতে পারেন—‘আমি আসলে চাকরিটার ব্যাপারে দারুণ আশাবাদী। আর আমার ধারণা বেতনটা আমার আর্থিক চাহিদারও দেখভাল করবে। সুতরাং আপনি কি আমাকে বেতনের পরিসর সম্পর্কে ধারণা দিতে পারবেন? (I am really excited about this job. I do need to know how this job would impact my financial well-being. Can you give me an idea of what the salary range for this role is?)
মন্তব্য করুন