হবিগঞ্জের বাহুবলে জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুপক্ষের সংঘর্ষে যুবলীগ নেতাসহ দুজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ২০ জন। গুরুতর আহতদের মধ্যে ১০ জনকে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষে বেশ কয়েকটি বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগও করা হয়।
নিহতরা হলেন উপজেলার কামারগাঁও গ্রামের চেরাগ আলীর ছেলে ইউসুফ মিয়া ও একই গ্রামের হাসান আলীর ছেলে উস্তার মিয়া। নিহত ইউসুফ মিয়া স্থানীয় যুবলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন।
স্থানীয়রা জানান, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের চেরাগ আলী ফিলিং স্টেশনের পাশে ২০ শতক জায়গা নিয়ে মিরপুর ইউনিয়নের কামারগাঁও গ্রামের মকসুদ মিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের ইউসুফ মিয়ার বিরোধ চলে আসছিল।
বিরোধ মীমাংসা করতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ গণ্যমান্যরা একাধিকবার সালিশ বৈঠক করলেও কোনো সুরাহা হয়নি। বিষয়টি মামলা মোকদ্দমা পর্যন্তও গড়ায়। এতে তাদের মধ্যে বিরোধ আরও বাড়তে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার রাত ১০টার দিকে দুপক্ষের লোকজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে ২০ জন আহত হন। গুরুতর আহত অবস্থায় ১০ জনকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক যুবলীগ নেতা ইউসুফ ও উস্তার মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন। মারা যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে সাতটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করা হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শামীম জানান, চেয়ারম্যান হিসেবে একাধিকবার সালিশ বৈঠক করেও সুরাহা করতে পারিনি। একপর্যায়ে তাদের বিরোধ চরম আকার ধারণ করে। এ কারণেই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।
বাহুবল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মশিউর রহমান জানান, পুলিশ রাতেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অভিযান শুরু করেছে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে।