জাতীয় নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, ততই উত্তাপ বাড়ছে রাজনীতিতে। মাঠ দখলে রাখতে মরিয়া প্রধান দুই রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। এরই ধারাবাহিকতায় আজ শুক্রবার বড় কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তারা। সমাবেশ করতে ঢাকা মহানগর পুলিশের অনুমতি ও স্থান নিয়ে গত দুদিন নাটকীয়তায় দুদলই পিছিয়ে দেয় পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি। আজ ২৩ শর্তে পূর্বঘোষিত পছন্দের স্থানেই সমাবেশের অনুমতি মিলেছে। নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় সমাবেশ করবে বিএনপি। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের দক্ষিণ ফটকে শান্তি সমাবেশ করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। আর এসব সমাবেশ কেন্দ্র করে দুদলই নিয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। সমাবেশে সাংগঠনিক শক্তি প্রদর্শন করতে কয়েক লাখ লোকের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে প্রস্তুত দল দুটি। জানা গেছে, আজকের শান্তি সমাবেশকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে অন্তত কয়েক লাখ লোকের সমাগম করবে আওয়ামী লীগের তিন সহযোগী সংগঠন যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ। তাদের যৌথ আয়োজনেই অনুষ্ঠিত হবে এই সমাবেশ। এতে আওয়ামী লীগের অন্যান্য সহযোগী সংগঠন এবং ঢাকার আশপাশের জনপ্রতিনিধিরাও অংশ নেবেন। এর মাধ্যমে রাজধানীতে নিজেদের শক্ত অবস্থান বজায় রাখতে মরিয়া আওয়ামী লীগ। একই সঙ্গে রাজধানীর প্রবেশপথ ও শহরজুড়ে সতর্ক পাহারায় থাকবেন দলটির নেতাকর্মীরা, যাতে বিএনপির নেতাকর্মীরা সমাবেশের নামে কোনো বিশৃঙ্খলা করতে না পারেন।
এই সমাবেশে নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলাগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আয়োজক তিন সংগঠনের পক্ষ থেকে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও ময়মনসিংহের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। যুবলীগ সমাবেশে তিন লাখ নেতাকর্মীর উপস্থিতি নিশ্চিতের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। অন্যদিকে ছাত্রলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ কয়েক লাখ নেতাকর্মীর সমাগম ঘটানোর উদ্যোগ নিয়েছে।
যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল কালবেলাকে বলেন, আমরা মাঠে থাকছি বিএনপির সন্ত্রাস-নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে। কয়েক লাখ নেতাকর্মী এতে অংশ নেবেন। সারা দেশের নেতাকর্মীরা যোগ দেবেন। তরুণ সমাজের ঢল নামবে।
এই যুব নেতার সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এ কে এম আফজালুর রহমান বাবু কালবেলাকে বলেন, এই শান্তি সমাবেশকে জনসমুদ্রে পরিণত করা হবে।
জানা গেছে, সমাবেশটি দুই পর্বে পরিচালনা করা হবে। সকাল ১১টা থেকেই নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে জড়ো হবেন। দুপুর ১টায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমাবেশ শুরু হবে। সেখানে দেশাত্মবোধক গান ও কবিতা আবৃত্তি হবে। তারপর বিকেল ৩টায় আলোচনা সভা শুরু হবে।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল-আলম হানিফ কালবেলাকে বলেন, আমাদের নেতাকর্মীরা সতর্ক অবস্থায় থাকবে। যদি কেউ বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করে তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
সমাবেশ উপলক্ষে গতকাল বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ। এতে জানানো হয়, তারা বিএনপিকে অনুসরণ করে কর্মসূচি পালন করছেন না। বিএনপির সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সমাবেশ করছে। যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নিখিল বলেন, ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মী ছাড়াও দেশের তরুণ-যুবসমাজ দলে দলে শান্তি সমাবেশে উপস্থিত হয়ে সমর্থন জানাবে। দেশের মানুষের কল্যাণে প্রয়োজনে আত্মাহুতি দেব, তবুও আমরা তাদের হাতে দেশ তুলে দেব না।
বিএনপি-জামায়াত সমাবেশের নামে সারা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে দাবি করে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেজবাউল হোসেন বলেন, বিএনপিকে বলব, আপনারাও শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করুন। না হলে রাজপথে আপনাদের দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে। ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, দেশের মানুষের রায় না পেয়ে যারা বাইরের সাহায্য নিয়ে রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলা করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করতে চাই।
এদিকে সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ একদফা দাবিতে দুপুর ২টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করবে বিএনপি। মহাসমাবেশে বিপুল জনসমাগম ঘটাতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। রাজনীতির মাঠ ধরে রাখতে ও সাংগঠনিক শক্তির জানান দিতে সমাবেশে বড় জমায়েতই দলটির লক্ষ্য। এর মধ্য দিয়ে সরকারের ওপর চাপ বাড়াতে চায় তারা। অন্যদিকে বড় জমায়েত করে আন্তর্জাতিক মহলকেও দলটি দেখাতে চায় যে, জনগণ আর এ সরকারকে চায় না। তারা বিএনপির সঙ্গেই আছে। আর মহাসমাবেশ নিয়ে সরকার যদি বাড়াবাড়ি করে, সেটিও আন্তর্জাতিক মহলকে দেখানো যাবে।
বিএনপি ও শরিকরা জানিয়েছে, কয়েক লাখ মানুষের উপস্থিতিতে এই মহাসমাবেশ থেকে নতুন কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হতে পারে। তাই সমাবেশে সর্বোচ্চ লোকসমাগম নিশ্চিতের উদ্যোগ নিয়েছে বিএনপি। এর অংশ হিসেবে দলটির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে সারা দেশে সব পর্যায়ের কমিটির সদস্যদের মহাসমাবেশে উপস্থিত থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়। একই সঙ্গে ঢাকায় টানা বেশ কিছুদিন অবস্থান করতে হবে—এমন নির্দেশনাও দেওয়া হয় নেতাদের। এ ছাড়া বিএনপির হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে দেশবাসীকে মহাসমাবেশে উপস্থিত হয়ে সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা জানানোর আহ্বান জানানো হয়। কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী, ঢাকায় বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী চলে এসেছেন। অতীতের অভিজ্ঞতায় এক্ষেত্রে দলটি কৌশলের আশ্রয় নেয়। এর অংশ হিসেবে ঢাকায় তারুণ্যের সমাবেশে আসা নেতাকর্মীদের বেশিরভাগই থেকে যান। আর শেষ সময়ে গ্রেপ্তার কিংবা কোনো রকম বাধা এড়াতে অবশিষ্ট নেতাকর্মীরা দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগেভাগেই রাজধানীতে পৌঁছান। বেশিরভাগ নেতাকর্মী আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবদের বাড়িতে রয়েছেন। অনেকে আবার হোটেলেও রয়েছেন।
গতকাল দুপুরে নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, যত বাধা দেবেন, যত গ্রেপ্তার করবেন, তত নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হবে। তারা আরও বেশি দলে দলে সমাবেশ সাফল্যমণ্ডিত করার চেষ্টা করবেন। মহাসমাবেশ শান্তিপূর্ণ হবে জানিয়ে তিনি বলেন, সবাই এখানে যোগদান করবেন স্বতঃস্ফূর্তভাবে। আমাদের জাতীয় নেতৃবৃন্দের বক্তব্য শুনবেন এবং বক্তব্য শুনে আবার ফিরে যাবেন নিজ নিজ এলাকায়।
কী কর্মসূচি আসতে পারে: ঢাকায় মহাসমাবেশ থেকে টানা কর্মসূচিতে যাওয়ার চিন্তা রয়েছে বিএনপিসহ শরিক দলগুলোর। একদফা দাবিতে আগামী রোববার থেকে রাজপথে টানা কর্মসূচি শুরু হতে পারে। এই কর্মসূচির মধ্যে থাকতে পারে সমাবেশ, অবস্থান, বিক্ষোভ ও ঘেরাও। আগস্টের ১০ তারিখ পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলতে পারে। এর আগে শরিকরা সরকারকে আলটিমেটাম দেওয়ার ব্যাপারে বিএনপিকে পরামর্শ দিয়েছিল। কিন্তু গত দুদিনের যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি তাতে মহাসমাবেশ থেকে দাবি মানতে সরকারকে আলটিমেটাম নাও দেওয়া হতে পারে।
আরও জানা গেছে, ১৫ আগস্টের জাতীয় শোক দিবসের কারণে একদফার কর্মসূচি সাময়িক স্থগিত রাখবে বিএনপি ও যুগপতের শরিকরা। এই সময়ের মধ্যেও ক্ষমতাসীনরা সাড়া না দিলে পরে ২০ আগস্ট থেকে ফের লাগাতার কর্মসূচিতে যাবে বিএনপি, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত যা অব্যাহত থাকবে। এই সময়ে ঢাকায় ঘেরাওয়ের সঙ্গে টানা অবস্থানের কর্মসূচি দিয়ে আন্দোলনকে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য নিয়ে যেতে চায় দলটি। তবে আহূত মহাসমাবেশে বাধা কিংবা সমাবেশ ভন্ডুল করে দিলে কর্মসূচির ধরনে পরিবর্তন আসতে পারে। সেক্ষেত্রে রাজধানীর একাধিক জায়গায় নেতাকর্মীরা জমায়েত হয়ে সমাবেশ করতে পারেন অথবা টানা অবস্থানের কর্মসূচিও আসতে পারে। অর্থাৎ মহাসমাবেশ নিয়ে সরকারের আচরণের ওপর দলটির কর্মসূচির ধরন নির্ভর করবে।
জানতে চাইলে গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, সমাবেশ থেকে আমরা সর্বাত্মক আন্দোলনের ঘোষণা দেব। রোববার থেকে জনগণ এবং বিরোধী দল টানা রাজপথে থাকবে। আন্দোলনের বিভিন্ন ফর্ম, যেমন সমাবেশ, অবস্থান, বিক্ষোভ, ঘেরাও—এ ধরনের কর্মসূচি পর্যায়ক্রমে আসতে পারে। পুরো প্রোগ্রাম হবে শান্তিপূর্ণ। ক্ষমতাসীনরা গায়ে পড়ে সহিংসতা সৃষ্টির চেষ্টা করলেও আমরা শেষ পর্যন্ত প্রোগ্রাম শান্তিপূর্ণ রাখার চেষ্টা করব।
শরিকদের কার কোথায় সমাবেশ : যুগপৎ আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় বিএনপির শরিক দল ও জোটগুলোও এদিন ঢাকায় পৃথক প্ল্যাটফর্ম থেকে সমাবেশ করবে। গণতন্ত্র মঞ্চ বিকেল ৩টায় মৎস্য ভবনের সামনে, ১২ দলীয় জোট বিকেল ৩টায় বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্কির সামনে, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট সকাল ১১টায় পুরানা পল্টনের আলরাজি কমপ্লেক্সের সামনে, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে, এলডিপি বিকেল ৩টায় পূর্ব পান্থপথের দলীয় কার্যালয়ের সামনে, গণফোরাম (মন্টু) ও বিপিপি যৌথভাবে বিকেল ৩টায় আরামবাগে গণফোরাম চত্বরে, গণঅধিকার পরিষদ (রেজা কিবরিয়া) বিকেল ৪টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে, নুরুল হক নুরের নেতৃত্বাধীন গণঅধিকার বিকেল সাড়ে ৩টায় পুরানা পল্টনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে, এনডিএম বিকেল ৩টায় মালিবাগ মোড়ে হোসাফ টাওয়ারের সামনে, এনডিপি দুপুর ২টায় বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্কি সংলগ্ন মোড়ে, লেবার পার্টি বিকেল সাড়ে ৩টায় বিজয়নগর পানির ট্যাঙ্কির সামনে, সমমনা পেশাজীবী গণতান্ত্রিক জোট সকাল ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এবং বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ বিকেল ৪টায় শাহবাগ মোড়ে সমাবেশ করবে।
২৩ শর্তে সমাবেশের অনুমতি : সমাবেশের স্থান নির্ধারণ নিয়ে দল দুটির দুদিনব্যাপী নাটকীয়তা শেষে আওয়ামী লীগ ও বিএনপিকে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ ফটকে এবং নয়াপল্টনে সমাবেশ করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
অনুমতির ক্ষেত্রে দুদলকে অভিন্ন শর্ত দেওয়া হয়েছে। শর্তগুলোর মধ্য রয়েছে, নিজস্ব ব্যবস্থায় নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক, উন্নত রেজ্যুলেশনযুক্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন, সমাবেশে আগতদের হ্যান্ড মেটাল ডিটেক্টরের, আজান, নামাজ ও অন্যান্য ধর্মীয় সংবেদনশীল সময় শব্দযন্ত্র ব্যবহার না করা, ধর্মীয় অনুভূতির ওপর আঘাত আসতে পারে এমন কোনো বিষয়ে ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শন বা প্রচার না করা, নির্ধারিত সময়ের মধ্য সমাবেশ সম্পন্ন করা, মূল সড়কে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করা, আইনশৃঙ্খলা পরিপন্থি ও জননিরাপত্তা বিঘ্নিত না করা, রাষ্ট্রবিরোধী কোনো কার্যকলাপ ও বক্তব্য প্রদান না করা ও উসকানিমূলক কোনো বক্তব্য প্রদান বা প্রচারপত্র বিলি না করা ইত্যাদি।
গতকাল বিকেলে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বিএনপি ও আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের পছন্দ অনুযায়ী জায়গায় সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এই সমাবেশ করতে দলগুলোকে ২৩টি শর্ত মেনে চলতে হবে। নির্ধারিত স্থানে তাদের কর্মসূচি সম্পন্ন করতে হবে।
মন্তব্য করুন