কালবেলা প্রতিবেদক
০২ অক্টোবর ২০২৩, ০২:৪৫ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

প্রত্যাশিত মাত্রায় কার্যকর ছিল না একাদশ সংসদ - টিআইবি

চলতি একাদশ জাতীয় সংসদ আইন প্রণয়ন, জনগণের প্রতিনিধিত্ব ও সরকারের জবাবদিহি নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে প্রত্যাশিত পর্যায়ে কার্যকর ছিল না বলে দাবি করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটির মতে, সরকারি দলের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা ও কার্যকর বিরোধী দলের অভাবেই মূলত সংসদ প্রত্যাশিত মাত্রায় ভূমিকা রাখতে পারেনি।

গতকাল রোববার রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবির কার্যালয়ে ‘পার্লামেন্ট ওয়াচ’ শীর্ষক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান এসব কথা বলেন। টিআইবির গবেষক রাবেয়া আক্তার ও মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান সাখিদার প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন।

টিআইবির ওই গবেষণা প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি একাদশ জাতীয় সংসদের প্রথম থেকে ২২তম অধিবেশনে কোরাম সংকটে ৫৪ ঘণ্টা ৩৮ মিনিট সময় ব্যয় হয়েছে, যার প্রাক্কলিত অর্থমূল্য ৮৯ কোটি ২৮ লাখ টাকা। রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা প্রায় ২০ শতাংশ সময় ব্যয় করেছেন প্রধানমন্ত্রী ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রশংসায়।

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা সংসদের কার্যকর ভূমিকার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধক। সংসদে বিরোধী দল পরিচয়ধারী যে দলটি এখন আছে, তারা আগের তুলনায় কিছুটা সক্রিয় ভূমিকা পালনের চেষ্টা করেছে; কিন্তু তারা সার্বিকভাবে আত্মপরিচয়ের সংকটে ছিল। ফলে বিরোধী দলের প্রত্যাশিত ভূমিকা দেখা যায়নি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অধিবেশন শুরুর তুলনায় বিরতি পরবর্তী সময়ে কোরাম সংকট বেশি দেখা গেছে। কোরাম সংকটের কারণে ৮৪ শতাংশ কার্যদিবসে অধিবেশন দেরিতে শুরু হয়েছে। আর বিরতির পর অধিবেশন শুরু হতে শতভাগ কার্যদিবসেই দেরি হয়েছে।

কোরাম সংকটে নষ্ট হওয়া সময়ে মিনিটপ্রতি ব্যয় প্রায় ২ লাখ ৭২ হাজার ৩৬৪ টাকা উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিদিন গড়ে কোরাম সংকট ছিল ১৮ মিনিট। অবশ্য অষ্টম, নবম ও দশম জাতীয় সংসদের তুলনায় চলতি সংসদে এই কোরাম সংকট কমেছে। দশম সংসদে গড়ে ২৮ মিনিট কোরাম সংকট ছিল। নবম সংসদে যা ছিল গড়ে ৩২ মিনিট।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জনপ্রতিনিধিত্ব ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠা কার্যক্রমে ব্যয় হয়েছে প্রায় ২৭ শতাংশ সময়। রাষ্ট্রপতির ভাষণ ও এর ওপর আলোচনায় ব্যয় হয়েছে প্রায় ২৬ শতাংশ সময়। এ আলোচনায় সরকারি দলের এমপিরা প্রায় ১৯ দশমিক ৪ শতাংশ সময় ব্যয় করেছেন সরকারের অর্জন নিয়ে কথা বলে। আর ১৮ শতাংশ ব্যয় করেছেন অন্য দলের সমালোচনায়। সরকারি দলের সংসদ সদস্যরা অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে কথা বলেছেন শূন্য দশমিক ৪ শতাংশ সময়। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, প্রতি মাসে অন্তত একটি বৈঠক করার কথা থাকলেও সংসদীয় কমিটিগুলোর কোনোটিই এ নিয়ম মানেনি।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

আ.লীগ প্রার্থী রাজী মোহাম্মদ ফখরুলকে শোকজ

পঞ্চগড়ে বাকপ্রতিবন্ধীর জমি দখলের অভিযোগ

ভাগ-বাটোয়ারার নির্বাচন করতে দিবে না জনগণ : রিজভী

দক্ষিণ আফ্রিকায় অর্থ পাচারে ৫ বাংলাদেশির নাম

স্বামীর খোঁজে বাংলাদেশে ভারতীয় তরুণী

নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন : শামীম ওসমানকে শোকজ

ইসির সিদ্ধান্তে আওয়ামী লীগের আস্থা আছে : ওবায়দুল কাদের

ফার্মগেটে জোড়া ককটেল বিস্ফোরণ

মায়ের হত্যার বিচার করতে, বিপাশা হতে চায় পুলিশ

বিশিষ্টজনদের মতামত / গণতন্ত্র রক্ষায় নির্বাচনের বিকল্প নেই

১০

ভার্চুয়াল বৈঠক / ইইউকে নির্বাচন বয়কটের কারণ জানাল বিএনপি 

১১

ফ্রান্সকে হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানি

১২

যে কারণে যুদ্ধবিরতির আলোচনা শেষ করে দিল ইসরায়েল

১৩

‘নতুন শিক্ষাক্রম প্রণয়নের নামে প্রজন্ম ধ্বংসের নীলনকশা করেছে সরকার’

১৪

ভূমিকম্প আতঙ্কে দোতলা থেকে লাফ দিয়ে দুই শিক্ষার্থী আহত

১৫

জলবায়ু অভিঘাত মোকাবিলায় সর্বজনীন আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থার আহ্বান তথ্যমন্ত্রীর

১৬

ইউএনওর বিরুদ্ধে তথ্য ফাঁসের অভিযোগ স্বতন্ত্র প্রার্থীর 

১৭

যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করল ইরাক

১৮

অলিম্পিকে ৪ ডিসিপ্লিনে আবেদন করবে বাংলাদেশ

১৯

সমমনা জোট থেকে মাইনরিটি জনতা পার্টিকে বহিষ্কার

২০
X