নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে দুলাল চন্দ্র দাস নামের এক মাছ ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। হত্যার পর দুর্বৃত্তরা তার লাশ চেয়ারে বসিয়ে রেখে যায়। সেখান থেকে গতকাল শনিবার সকালে পুলিশ দুলালের মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য একজনকে আটক করা হয়েছে।
নিহত দুলাল উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের টঙ্গীরপাড়া গ্রামের হরলাল চন্দ্র দাসের ছেলে।
নিহত ব্যবসায়ীর ভাই প্রাণ চন্দ্র দাস বলেন, আমাদের পূর্বপুরুষ থেকে প্রায় সবারই মাছের ব্যবসা। সে সুবাদে মাছ চাষ ও ব্যবসা করেই জীবিকা নির্বাহ করতেন দুলাল। বাড়ির পাশে মাছের কয়েকটি প্রজেক্ট রয়েছে। গত দুই বছর প্রতি রাতে জেগে তিনি এগুলো পাহারা দিতেন। শুক্রবার রাতের খাবার খেয়ে মাছ পাহারা দিতে
পুকুর পাড়ে গিয়ে একটি চেয়ার নিয়ে বসেন তিনি। শনিবার সেখানেই কে বা কারা তাকে গলা কেটে হত্যা করেছে। ভোর ৪টার দিকে পুকুর পাড়ে চেয়ারে বসা অবস্থায় তার রক্তাক্ত মরদেহ দেখে চিৎকার করতে থাকেন চাচাতো ভাই রতন চন্দ্র দাস।
প্রাণ চন্দ্র দাসের দাবি, দুলালের প্রকাশ্য কোনো শত্রু ছিল না। কিন্তু কে বা কারা কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তা কেউ বুঝতে পারছে না। এমন হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার চান তারা।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের নোয়াখালী জেলার সাধারণ সম্পাদক ও হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য অ্যাডভোকেট পাপ্পু সাহা বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ ঘটনায় আমি বাকরুদ্ধ। নিহতের পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে। আমরা এর সঠিক তদন্তসাপেক্ষে সুষ্ঠু বিচার চাই।
বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি কালবেলাকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। কেন বা কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জড়িত সন্দেহে একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন