কালবেলা প্রতিবেদক
০২ অক্টোবর ২০২৩, ০২:৪৪ এএম
প্রিন্ট সংস্করণ

মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিন

ভারতীয় রাজনীতিবিদ, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্রগামী ব্যক্তি মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী বা মহাত্মা গান্ধী। তিনি ১৮৬৯ সালের ২ অক্টোবর ভারতের পোরবন্দরের হিন্দু মোধ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। গান্ধী ভারতে এবং বিশ্বজুড়ে মহাত্মা (মহান আত্মা) এবং বাপু (বাবা) নামে পরিচিত।

শিক্ষিত ব্রিটিশ আইনজীবী হিসেবে গান্ধী প্রথম তার অহিংস শান্তিপূর্ণ নাগরিক আন্দোলনের মতাদর্শ প্রয়োগ করেন দক্ষিণ আফ্রিকায় নিপীড়িত ভারতীয় সম্প্রদায়ের নাগরিকদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে। ভারতে ফিরে আসার পর কয়েকজন দুস্থ কৃষক এবং দিনমজুরকে সঙ্গে নিয়ে বৈষম্যমূলক কর আদায় ব্যবস্থা এবং বহুবিস্তৃত বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলেন। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতৃত্বে আসার পর গান্ধী সমগ্র ভারতব্যাপী দারিদ্র্য দূরীকরণ, নারী স্বাধীনতা, বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা, বর্ণবৈষম্য দূরীকরণ, জাতির অর্থনৈতিক সচ্ছলতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রচার শুরু করেন। কিন্তু এর সবই ছিল স্বরাজ অর্থাৎ ভারতকে বিদেশি শাসন থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে। ১৯৩০ সালে গান্ধী ভারতীয়দের লবণ করের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ৪০০ কিলোমিটার (২৪৮ মাইল) দীর্ঘ ডান্ডি লবণ কুচকাওয়াজে নেতৃত্ব দেন, যা ১৯৪২ সালে ইংরেজ শাসকদের প্রতি সরাসরি ‘ভারত ছাড়’ আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটায়। তিনি বিভিন্ন সময় নানা কারণে বেশ কয়েকবার দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ভারতে কারাবরণ করেন। মহাত্মা গান্ধী সব পরিস্থিতিতেই অহিংস মতবাদ এবং সত্যের ব্যাপারে অটল থেকেছেন। তিনি সাধারণ জীবনযাপন করতেন এবং একটি আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যেটি ছিল স্বয়ংসম্পূর্ণ। তার নিজের পরিধেয় কাপড় ছিল ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় ধুতি এবং শাল, যা তিনি নিজেই চরকায় বুনতেন। তিনি সাধারণ নিরামিষ খাবার খেতেন। শেষ জীবনে ফলমূলই বেশি খেতেন। আত্মশুদ্ধি এবং প্রতিবাদের কারণে দীর্ঘ সময়ের জন্য উপবাস থাকতেন। ১৯৪৮ সালের ৩০ জানুয়ারি গান্ধীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। সে সময় তিনি নতুন দিল্লির বিরলা ভবন (বিরলা হাউস) মাঝে রাত্রিকালীন পথসভা করছিলেন।

ভারত সরকারিভাবে তার সম্মানার্থে তাকে ভারতের জাতির পিতা হিসেবে ঘোষণা করে। ২ অক্টোবর তার জন্মদিন ভারতে গান্ধী জয়ন্তী হিসেবে যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় ছুটির দিন হিসেবে পালিত হয়। ২০০৭ সালের ১৫ জুন জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ২ অক্টোবরকে আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। জাতিসংঘের সব সদস্য দেশ এ দিবস পালনে সম্মতি জ্ঞাপন করে। গান্ধী ছিলেন সত্যাগ্রহ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা। এর মাধ্যমে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে জনসাধারণের অবাধ্যতা ঘোষিত হয়েছিল। এ আন্দোলন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল অহিংস মতবাদ বা দর্শনের ওপর এবং এটি ছিল ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম চালিকাশক্তি, সারা বিশ্বে মানুষের স্বাধীনতা এবং অধিকার পাওয়ার আন্দোলনের অন্যতম অনুপ্রেরণা।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ধামরাইয়ে প্রার্থীদের আচরণবিধি ভাঙার হিড়িক

আগামীতে যেমন হতে পারে বিএনপির কর্মসূচি

গরুর সাদা চর্বিতে রং মিশিয়ে মাংস হিসেবে বিক্রি

নির্বাচন থেকে সরে গেলেন প্রতিমন্ত্রী জাকির ও তার ছেলে

বাংলাদেশের লিড ৩০০ ছাড়াল

বলিউডের সাবেক অভিনেত্রীর মুখে পাকিস্তানি আলেমের প্রশংসা

আবারও ব্যর্থ সোহান

ইউক্রেনে মাইন বিস্ফোরণে রুশ জেনারেল নিহত

সুপারস্টার তকমা নিতে চান না রণবীর

গাজায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ, লড়াই শুরু

১০

ছুটির দিনে বায়ুদূষণে ঢাকার অবস্থান কত?

১১

মুশফিককে হারিয়ে চাপে বাংলাদেশ

১২

কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামির মৃত্যু

১৩

যৌন নিপীড়নে সহায়তার অভিযোগে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশি দম্পতি গ্রেপ্তার

১৪

সাগরে নিম্নচাপ, সমুদ্রবন্দরে সতর্কসংকেত

১৫

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা তেঁতুলিয়ায়

১৬

‘যা পামু তাই বেশি, পরে তো সব হারামু’

১৭

ব্রিটিশ আমলে নির্মিত মাধনগর রেলওয়ে স্টেশনে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি

১৮

উ. কোরিয়াকে আবারও যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

১৯

ভুলেও খালি পেটে যেসব খাবার খাবেন না

২০
X