গভীর সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে সংশোধিত উৎপাদন বণ্টন চুক্তি (পিএসসি) অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিকবিষয়ক সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। এ তথ্য জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মাহবুব খান। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে এক সভা শেষে তিনি ওই তথ্য জানান। তবে বিস্তারিত কিছু বলেননি।
এদিকে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সাংবাদিকদের বলেন, পিএসসি সংশোধিত হওয়ার কারণে কোম্পানিগুলোর কাছে আরও আকর্ষণীয় হয়েছে। এখন এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কমিটি করব। কবে নাগাদ আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সাগরের মাল্টিক্লায়েন সার্ভের প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
পেট্রোবাংলার সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা জানান, সংশোধিত পিএসসিতে গ্যাসের দাম নির্ধারণ করা হয়নি। বরং অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দামের ১০ শতাংশ ধরা হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দামে হ্রাস-বৃদ্ধির আনুপাতিক হারের সঙ্গে গ্যাসের দাম বাড়বে-কমবে। উদাহরণ হিসেবে, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম একশ মার্কিন ডলার হলে গভীর সমুদ্রের গ্যাসের দাম হবে ১০ ডলার।
এ ছাড়া সংশোধিত পিএসসিতে কন্ট্রাক্টর হিসেবে আসা বহুজাতিক কোম্পানি ও পেট্রোবাংলার মধ্যকার মুনাফা ভাগাভাগিতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগে বিনিয়োগ ও পরিচালন খরচ তুলে নেওয়ার পর মুনাফা ভাগাভাগি করা হতো। এতে গ্যাস উৎপাদনের ওপর ভিত্তি করে ৫৫ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত মুনাফা পেত পেট্রোবাংলা। এবার সংশোধন করে গ্যাসক্ষেত্র থেকে আয় করা মোট রাজস্বের ওপর ভাগাভাগি করা হয়েছে। এতে রাজস্বের ৩৫ থেকে ৬৫ শতাংশ পর্যন্ত ভাগ পাবে পেট্রোবাংলা। শুরুতে ঠিকাদার কোম্পানির বিনিয়োগের খরচ তোলার সময় পেট্রোবাংলার আয়ের ভাগ কম থাকবে। ধীরে ধীরে খরচ কমলে তাদের আয় বাড়বে।
২০০৯ সালে ভারত আর ২০১২ সালে মিয়ানমারের সঙ্গে সীমানা নির্ধারণের পর গভীর সমুদ্রে এখনো খনিজ অনুসন্ধান শুরু করা যায়নি।
মন্তব্য করুন