জাতীয় নির্বাচন ঘিরে সরকার ও বিরোধী দলের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে সাধারণ ব্যবসায়ীদের মধ্যে চাপা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। এর প্রভাবে গতকাল রাজধানীতে জনসাধারণ ও যানবাহনের চলাচল সীমিত ছিল। প্রভাব পড়ছে নিত্যপণ্যের বাজারেও। দোকানপাট খুললেও বেকার সময় কাটাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। দোকানিরা জানিয়েছেন, গণ্ডগোলের আশঙ্কায় ক্রেতারা মালপত্র কম কিনছেন। তবে বাজারে সবজির দাম কমলেও মাছ-মাংসের দাম যথারীতি বেশিই। কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আগের তুলনায় ক্রেতাসমাগম কম।
সবজির বাজারে দেখা গেছে, প্রতি কেজি আলু ৫ টাকা কমে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি পেঁয়াজের কেজি ৭০ এবং আমদানি পেঁয়াজ ৫০ টাকা কেজি দরে অপরিবর্তিত রয়েছে। টমেটো কেজিতে ৮০ টাকা কমে ২০০ থেকে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া মুলা, ঝিঙা, সাদা বেগুন, কাঁকরোলের কেজি ৬০ টাকা। ব্যাপক আলোচিত কাঁচামরিচের কেজি এখনো ২০০ থেকে ২২০ টাকা। গাজর ১৬০ থেকে ১৭০, করলা ৪০ টাকা কমে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৫০ টাকার পেঁপের কেজি ৩০, লম্বা ও গোল বা তাল বেগুন ৭০ থেকে ৮০, শসা ৬০ থেকে ৭০ টাকা। ঢ্যাঁড়শ ও পটোলের কেজি ৫০, বরবটি ও কচুরমুখী ৮০ টাকা। প্রতি পিস লাউয়ের দাম ৫০ থেকে ৬০, লতির কেজি ৬০ থেকে ৭০, আকারভেদে প্রতি পিস কচু ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শাকের মধ্যে প্রায় সব ধরনের আঁটি ১০ থেকে ১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আকারভেদে লাউ, পুঁইশাকের আঁটি ৩০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চাষের রুই-কাতলা আকারভেদে প্রতি কেজি ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা। মৃগেল ৩৪০ থেকে ৩৮০ টাকা। আকারভেদে চিংড়ি ৭৫০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা। তেলাপিয়া ২২০ থেকে ২৬০ টাকা। পাঙাশ ২০০ থেকে ২৪০ টাকা। চাষের নলা মাছ ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যদিকে ইলিশ মৌসুম শুরু হলেও বাজারে সরবরাহ কম। ফলে দাম বেশি হওয়ায় অনেকে ইলিশ কিনতে সাহস পাচ্ছেন না।
বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম গত সপ্তাহের তুলনায় ১০ টাকা বেড়ে ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে গরু ও খাসির মাংসের দাম এখনো সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০ থেকে ৭৮০ এবং খাসি ১ হাজার ১০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সাধারণ ব্যবসায়ীদের আতঙ্কের বিষয়ে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন কালবেলাকে বলেন, এটি নির্বাচনী বছর। রাজনৈতিক কর্মসূচি থাকা স্বাভাবিক; কিন্তু এর মধ্যেও আমাদের দোকানপাট খুলতে হবে, ব্যবসা করতে হবে। প্রধান দুই দলের প্রতি অনুরোধ থাকবে, তারা যাতে নিয়মতান্ত্রিকভাবে কর্মসূচি পালন করে। জনগণ যাদের পছন্দ করবেন, তারা নেতৃত্ব দেবেন। আমরা ব্যবসায়ীরা চাই, সবসময় ব্যবসায়িক পরিবেশ বজায় থাকুক।
মন্তব্য করুন