এক দশকেরও বেশি সময় পর পুলিশ কনস্টেবল বাদল মিয়া হত্যা মামলায় পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহসিন ইফতেখার এ রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া লাশ গুমের দায়ে তাদের আরও সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও পাঁচ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন রিপন নাথ ঘোষ, বিশ্বজিৎ চন্দ্র দাস, ইব্রাহিম খলিল ওরফে কসাই খলিল, রতন চন্দ্র দাস ও হুমায়ন কবীর। এদিন বিশ্বজিৎ, ইব্রাহিম ও রতনকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে আবার তাদের কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। অন্য দুই আসামি পলাতক। তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
২০১৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মতিঝিলের টিঅ্যান্ডটি কলোনি থেকে অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের পকেটে পাওয়া পরিচয়পত্র থেকে জানা যায়, তিনি পুলিশ কনস্টেবল। এ ঘটনায় মতিঝিল থানার উপপরিদর্শক আব্দুল লতিফ মামলা করেন। ২০১৫ সালের এপ্রিলে পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক জিয়াউল আলম। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মাহবুবুর রহমান কালবেলাকে বলেন, মামলায় আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা দেওয়া হয়েছে। ভুক্তভোগীর পরিবার ন্যায়বিচার পেয়েছে।
মন্তব্য করুন