চীন স্বাধীন হওয়ার ৭৪ বছর পরও নিজ দেশে পরাধীন জীবন যাপন করছে উইঘুর মুসলমানরা। তাদের ওপর হত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতনের মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে। উইঘুর মুসলমানদের ওপর নির্যাতন বন্ধের দাবিতে করা মানববন্ধনে এসব অভিযোগ করেন বক্তারা।
জেলার সচেতন নাগরিক সমাজের উদ্যোগে গতকাল রোববার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়কের পাগলা বাজার ওয়ালটন প্লাজার সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল কর্মসূচি পালন করা হয়।
নুর মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম রাহাতের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য দেন জাগ্রত মুসলিম জনতা নারায়ণগঞ্জ জেলার পক্ষে মো. জাহাঙ্গীর আলম, পিয়াস আহমেদ সোহেল, গোলাম কিবরিয়া সাত্তার, অহিদুর রহমান, নজরুল ইসলাম, শাহাদাৎ হোসেন সেন্টু, কবির হোসেন রাজু, আজিজুল হাওলাদার, নুর মোহাম্মদ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, স্বাধীনতার ৭৪ বছরেও উইঘুর মুসলিমরা পায়নি তাদের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা। ১৯৪৯ সালের এই দিনে চীন স্বাধীন হলেও নিজ দেশে উইঘুর মুসলমানরা এখনো পরাধীন জাতির মতো জীবন যাপন করছে। তাদের ওপর হত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতনের মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলেছে। চীন সরকারের আগ্রাসনের মাত্রা দেশের বাইরেও ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্বের অনেক দেশই চায়নিজ আগ্রাসনে হুমকির সম্মুখীন। তাই এখানে সমবেত হয়েছি উইঘুর মুসলমানদের ওপর সব ধরনের হত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে। বিশ্ব মানবাধিকারকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতাকে খর্ব করা হচ্ছে। সারা জাহানের মুসলমান ভাইদের কাছে অনুরোধ ও আহ্বান জানাই, যাতে চীন এ নির্যাতন বন্ধ করে।
মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, জিনজিয়াং প্রদেশে বসবাসরত উইঘুরদের ওপর চীন সরকারের বর্বরতা সীমা ছাড়িয়ে গেছে। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন মনে করে, উইঘুরদের ওপর চীনের অব্যাহত নির্যাতন ও নিপীড়নের ঘটনা গুরুতর অপরাধ এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন। নির্যাতনের দায়ে চীনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। বক্তারা সেজন্য জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনকে ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি তাদের ওপর জুলুম ও নির্যাতন বন্ধ করে শান্তিপূর্ণভাবে জীবন যাপন করার পরিবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। যদি সে পরিবেশ তৈরি করা না হয়, তাহলে জুলুমবাজ চীন সরকারের বিরুদ্ধে কঠিন আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। মিছিলে জাগ্রত মুসলিম জনতা নারায়ণগঞ্জ জেলার পাশাপাশি বিভিন্ন মসজিদ, মাদ্রাসা ও তৌহিদি জনতা অংশগ্রহণ করেন।