ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) ও সাপ্তাহিক ছুটির কারণে টানা তিন দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকায় কাঁচামরিচের দামে প্রভাব পড়েছে। এ সময় কেজিতে প্রায় ১৫০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে পণ্যটির। ব্যবসায়ীরা বলছেন, মোকাম থেকে সরবরাহ কম থাকায় খুচরা বাজারে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ ২৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। তবে গতকাল রোববার আমদানি কার্যক্রম শুরু হওয়ায় ভারতের কাঁচামরিচ এসেছে। এতে দেশের বাজারে দামও কমতে শুরু করেছে।
গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর কাঁচাবাজারে প্রতি কেজি আমদানি করা কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ২০০ টাকা দরে, যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছিল ১৬০ টাকায়। এর আগে গত কোরবানির ঈদের ছুটি ও বৃষ্টির অজুহাতে কাঁচামরিচের কেজি হাজার টাকা ছাড়িয়ে যায়। পরে আমদানি শুরু
হলে দ্রুত সময়ের মধ্যে দাম কমতে থাকে।
বাজার বিশ্লেষকরা মনে করেন, নিত্যপণ্যের ব্যবসায়ীরা সুযোগের অপেক্ষায় থাকেন। যে কোনো ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে পণ্যের দাম বৃদ্ধি করেন। এতে ভোক্তার অতিরিক্ত টাকা খরচ হচ্ছে। যার প্রভাবে সার্বিক মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। বাজার তদারকিতে সরকারের কঠোর ব্যবস্থা না থাকায় ব্যবসায়ীরা নিয়মিতভাবে পণ্যের দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের পকেট থেকে টাকা লুট করছে।
ভোক্তারা জানান, দুদিন আগে যে কাঁচামরিচের কেজি ছিল ১৩০ থেকে ১৬০ টাকা, এখন কিনতে হচ্ছে ২৮০ টাকায়। একইভাবে আলু, পেঁয়াজ ও ডিমের দাম বেশি। সরকার দাম নির্ধারণ করে দিলেও কার্যকরে ব্যর্থ হচ্ছে।
দেশের বিভিন্ন পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন, মরিচগাছের গোড়ায় বৃষ্টির পানি জমে ক্ষতি হয়েছে। এতে স্থানীয় কাঁচামরিচের সরবরাহ কমেছে। নিউমার্কেটের বনলতা কাঁচাবাজারের এক সবজি ব্যবসায়ী বলেন, বর্ষা মৌসুমে স্থানীয় কাঁচামরিচের সরবরাহ কম থাকে। এ সময় আমদানি মরিচেই দোকান চালাতে হয়। গত তিন দিন বন্ধ থাকায় ভারত থেকে মরিচ আসতে পারেনি। এতে আড়ত মালিকরা মরিচের দাম বৃদ্ধি করেছেন। তিনি জানান, আমদানি শুরু হওয়ায় এখন আবার দাম কমতে শুরু করেছে।