সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নির্মাণাধীন ভবনের এক শ্রমিককে চুরির অপবাদে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজনের বিরুদ্ধে। গতকাল ঘটনার পর জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। সিলেট কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ আলী মাহমুদ এ খবর নিশ্চিত করেছেন। এ সময় আরও এক শ্রমিককে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত নয়নের বাড়ি সিলেটের বিশ্বনাথে। আটকরা হলেন দিনাজপুরের রুবেল, বগুড়ার আব্দুর রাজ্জাক এবং কুড়িগ্রামের আমিনুল ইসলাম, আয়নাল ও সাবান আলী। তারা নির্মাণাধীন ভবনের দায়িত্বে থাকা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জামাল অ্যান্ড কোং-এ কর্মরত এবং মালিকপক্ষের আত্মীয় বলে জানা গেছে। সেখানে কর্মরত শ্রমিকরা জানান, সকাল সাড়ে ৬টার দিকে শ্রমিক নয়ন ও আইয়ুব আলীকে ১ লাখ ৩৭ হাজার টাকা ও চারটি মোবাইল চুরির অভিযোগে একটি কক্ষে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তাদের হাত-পা বেঁধে লাঠি ও রড দিয়ে পেটানো হয়। চিৎকার করে পানি খেতে চাইলেও দেওয়া হয়নি। প্রায় ২ ঘণ্টা নির্যাতনের পর গুরুতর আহত নয়নকে ফেলে রেখে নির্যাতনকারীরা চলে যায়। পরে সকাল সোয়া ৯টার দিকে নয়নকে অন্য শ্রমিকরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সিলেট মহানগর পুলিশের উপকমিশনার আজবাহার আলী শেখ বলেন, এখন পর্যন্ত চুরির কোনো নিদর্শন পাওয়া যায়নি। ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওসি মোহাম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, এ হত্যাকাণ্ডের অন্য কোনো কারণ আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন