বিরোধের মীমাংসা না হওয়ায় পাল্টাপাল্টি কমিটি ঘোষণা করেছে ছাত্র ইউনিয়নের দুপক্ষ। দফায় দফায় সংঘর্ষের পর সম্মেলনের প্রায় তিন মাসের মাথায় এ কমিটি ঘোষণা করা হলো। গতকাল শনিবার উভয় পক্ষই কমিটি ঘোষণা করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। ফয়েজ-দীপকপন্থিরা দীপক শীলকে সভাপতি ও তাসবিবুল গনিকে সাধারণ সম্পাদক করে ৪১ সদস্যের কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করে। অন্যদিকে রাগীব নাঈমকে সভাপতি ও রাকিবুল রনিকে সাধারণ সম্পাদক করে ৪১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করে নজির-রাগীবপন্থিরা।
গত ১৬ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) দুপক্ষ এক হয়ে ঐক্যবদ্ধ সম্মেলনের আয়োজন করে। জাতীয় ওই সম্মেলনের উদ্বোধন হলেও সে সময় কাউন্সিল অধিবেশন হয়নি। ওই সময় হলরুম না পাওয়ায় কাউন্সিল অধিবেশন স্থগিতের কথা বলা হলেও মূলত নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি গঠন নিয়ে দুপক্ষ ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি। পরে গত শুক্রবার ফের কাউন্সিল অধিবেশন বসলেও পদ ভাগাভাগি নিয়ে বিবাদ মারামারি পর্যন্ত গড়ায়। পণ্ড হয় ঐক্যের সম্মেলন।
নেতাকর্মীরা জানান, নতুন পূর্ণাঙ্গ কমিটির ৪১টি পদের মধ্যে ২১টি একাংশের বিদায়ী সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ ও সাধারণ সম্পাদক দীপক শীলপন্থিদের দিয়ে বাকি ২০টি পদ আরেক অংশের সভাপতি নজির আমিন চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক রাগীব নাঈমপন্থিরা নিতে চেয়েছিলেন। তবে ফয়েজ-দীপকপন্থিরা আরও বেশি পদ দাবি করলে দুপক্ষের মধ্যে কয়েক দফায় মারামারি হয়। পরে নজির-রাগীবপন্থিরা কাউন্সিল করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদে চলে যান। অন্য অংশ টিএসসিতে থেকে যায়।
পদের ভাগাভাগি নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বিবাদ হয় উল্লেখ করে সংগঠনটির একাংশের নতুন সহসভাপতি শিমুল কম্ভুকার কালবেলাকে বলেন, ফয়েজ ও দীপক ভাইদের ২১টি পদ দিতে চাইলেও তারা নিতে চাননি। তারা অন্তত ৩০টি পদ চেয়েছেন। এ কারণেই সমস্যা। তবে তা অস্বীকার করে আরেক অংশের নতুন সভাপতি দীপক শীল বলেন, তারা একটি ক্ষুদ্র অংশ। তারপরও আমরা তাদের সর্বোচ্চ সম্মান দিয়ে সংগঠনের গঠনতন্ত্র মেনে কাউন্সিল পরিচালনা করেছি। তাতেই তারা বাধা দেয়। সংকট মূলত এখানেই।
মন্তব্য করুন