ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করতে এসে মারধরের শিকার হন এক ব্যক্তি। এরপর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের করা মামলায় সেই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে শিশুটিকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। গতকাল বুধবার রাজধানীর মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ঘটেছে এমন ঘটনা।
গতকাল সকালে ডেঙ্গু আক্রান্ত শিশুকে ভর্তি করানো নিয়ে শিশুর বাবা ও চিকিৎসকের মধ্যে বাগবিতণ্ডার ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে শিশুর বাবাকে মারধর করে আটক রাখা হয়। পরে স্থানীয় মুগদা থানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের করা মামলায় শিশুর বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলা ও গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুগদা থানার ওসি মো. আব্দুল মজিদ।
হাসপাতালের একটি সূত্র জানিয়েছে, শিশুটিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়ার পর সিট ফাঁকা নেই জানিয়ে তাকে ভর্তি করা যাবে না বলে জানান কর্তব্যরতরা। তখন শিশুটির বাবা জরুরি ভিত্তিতে একজন চিকিৎসককে দেখানোর অনুরোধ করেন। তখন জানানো হয়, কর্তব্যরত চিকিৎসক বিশ্রামে রয়েছেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসাকর্মীদের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয় শিশুটির বাবা। এ সময় চিকিৎসাকর্মীরা সবাই মিলে তাকে মারধর করেন এবং আটক করে রাখেন। পরে পুলিশ এসে ওই ব্যক্তিকে থানায় নিয়ে যায়। বুধবার সন্ধ্যায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দায়ের করা মামলায় ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
এ ঘটনা সম্পর্কে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. নিয়াতুজ্জামান কালবেলাকে বলেন, আমাদের হাসপাতালে ভর্তি বন্ধ নেই। বুধবারও ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছে। তবে আমাদের এখানে তো শয্যা ফাঁকা নেই। একটু কষ্ট করে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। এই কষ্ট জেনে যারা ভর্তি হতে চায়, তারা অবশ্যই ভর্তি হতে পারবে। শিশু ভর্তি করাতে এসে মারধরের শিকার ও তার বাবাকে গ্রেপ্তারের বিষয় জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
মুগদা থানার ওসি মো. আব্দুল মজিদ বলেন,ডেঙ্গু আক্রান্ত এক কন্যাশিশুকে ভর্তি নিয়ে হাসপাতালে লোকজনের সঙ্গে ওই শিশুর বাবার হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থানায় একটি মামলা করেছে। সেই মামলায় শিশুর বাবাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির বলেন, ঘটনাটি আমাদের কানে এসেছে। বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত জানতে একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেছি। শিশুটিকে মুগদা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। যতটুকু জেনেছি, সে ভালো রয়েছে।
মন্তব্য করুন