যমুনা নদী ছোট করার প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের অসদাচরণের অভিযোগে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণে করা রিট খারিজ করেছেন হাইকোর্ট। গতকাল সোমবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মোহাম্মদ মাহবুব উল ইসলামের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তাকে সহায়তা করেন আইনজীবী রিপন বাড়ৈ ও সময় মণ্ডল। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট অরবিন্দ কুমার রায়।
শুনানিতে মনজিল মোরসেদ বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫, তপাদার সংরক্ষণ আইন ২০০০ এবং পানি আইন ২০১৩-এর বিধান অনুযায়ী যমুনা নদী ছোট করার সুযোগ নেই। সরকারের পক্ষেও নির্দেশনা রয়েছে, কোনো প্রচেষ্টা কার্যকরী করার ক্ষেত্রে জলাশয় ভরাট করা যাবে না।
অ্যাডভোকেট অরবিন্দ কুমার রায় বলেন, সরকার যমুনা নদী ছোট করার প্রচেষ্টা গ্রহণ করেনি, করবেও না। যে প্রকল্পের কথা বলা হচ্ছে সেটি এখনো চূড়ান্তভাবে পাস হয়নি।
উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আবেদন খারিজ করেছেন। গত ১২ মার্চ কালবেলায় ‘যমুনা নদী ছোট করার চিন্তা’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যমুনা নদী প্রতিবছর বড় হচ্ছে। বর্ষার সময় নদীটি ১৫ থেকে ২০ কিলোমিটার হয়ে যায়। তাই এটির প্রশস্ততা সাড়ে ৬ কিলোমিটার সংকুচিত করা হবে। এমন আইডিয়া খোদ পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের কর্তাদের। এজন্য তারা ১১শ কোটি টাকার প্রকল্পও প্রণয়ন করেছেন। এ ঘটনায় হাইকোর্টে রিট করে মানবাধিকার সংগঠন এইচআরপিবি।
মন্তব্য করুন