দেশের ৭ ব্যাংকের কাছে বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের ১৭ কোটি ৭৭ লাখ ডলার বকেয়া রয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। দ্রুত বকেয়া পরিশোধ করে দিতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। যদিও বিমান সংস্থাগুলোর আন্তর্জাতিক সংগঠন দি ইন্টারন্যাশনাল এয়ার ট্রান্সপোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের (আইএটিএ) হিসাবে এই অর্থের পরিমাণ আরও বেশি।
গতকাল মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক আবুল বশর সাংবাদিকদের বলেন, সংবাদপত্রের খবরে যে পাওনার কথা বলা হয়েছে, ব্যাংকগুলোর হিসাবে তা এর চেয়ে কম হবে। গত জানুয়ারি থেকে আজ মঙ্গলবার পর্যন্ত এয়ারলাইন্সগুলোর ৪০ কোটি ২১ লাখ ডলার পরিশোধ করা হয়েছে। আর সাতটি ব্যাংকের কাছে এয়ারলাইন্সগুলোর ১৭ কোটি ৭৭ লাখ ডলার বকেয়া রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে দ্রুত অর্থ পরিশোধ করে দিতে।
গত ৪ জুন এক বিবৃতিতে বিভিন্ন দেশে এয়ারলাইন্সগুলোর আটকে পড়া
তহবিলের খতিয়ান দেয় আইএটিএ। তাতে বলা হয়, আটকে পড়া তহবিলের ৬৮ শতাংশই পাঁচটি দেশের। এর মধ্যে শীর্ষে থাকা নাইজেরিয়ার কাছে আটকে আছে ৮১ কোটি ২২ লাখ ডলার, দ্বিতীয় স্থানে থাকা বাংলাদেশের কাছে আটকে আছে ২১ কোটি ৪১ লাখ ডলার। এর পর রয়েছে আলজেরিয়া (১৯ কোটি ৬৩ লাখ ডলার), পাকিস্তান (১৮ কোটি ৮২ লাখ ডলার) এবং লেবানন (১৪ কোটি ১২ লাখ ডলার)। পাওনা পরিশোধ না করলে এয়ারলাইন্সগুলোর সেবা অব্যাহত রাখা কষ্টকর হয়ে দাঁড়াবে বলেও উল্লেখ করে আইএটিএ।
এই বিবৃতির প্রেক্ষাপটে গতকাল সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেখানে ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র আবুল বশর বলেন, আইএটিএ যে তথ্য দিয়েছে, আর বাংলাদেশ ব্যাংক খোঁজ নিয়ে যে তথ্য জানতে পেরেছে, তাতে অসামঞ্জস্য রয়েছে। হয়তো এমনও দেখা যেতে পারে, এয়ারলাইন্সগুলো এখনো অর্থ দাবির বিপরীতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেয়নি। এজন্য হয়তো আইএটিএ ও ব্যাংকের তথ্যের মধ্যে একটু ফারাক রয়েছে।
যে সাত ব্যাংককে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, বৈদেশিক মুদ্রার সংকটের মধ্যেও সেগুলোর ডলার পরিশোধের সক্ষমতা রয়েছে বলে জানান তিনি। তবে ব্যাংকগুলোর নাম প্রকাশ করেননি তিনি। আবুল বশর বলেন, যেহেতু এটি বাংলাদেশের মর্যাদার সঙ্গে সম্পৃক্ত, আমরা বলেছি খুব দ্রুত তাদের অর্থ ছেড়ে দিতে।
মন্তব্য করুন