বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত বলেছেন, ২০২১ সালে দুর্গোৎসবে হামলার পর ২০২২ সালে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ায় এমন ঘটনা ঘটেনি। এতে প্রমাণিত হয়, সরকার চাইলে দুর্গাপূজায় হামলা হবে, না চাইলে হামলা হবে না; এটাই বাস্তবতা। তাই গণতন্ত্রের স্বার্থে সব রাজনৈতিক দলকে এক হয়ে সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। গতকাল রোববার জাতীয় প্রেস ক্লাবে সরকারি দলের সংখ্যালঘুবান্ধব নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিগুলো বাস্তবায়নের দাবিতে চলমান আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণার লক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আসন্ন দুর্গোৎসবে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে প্রতিরোধে সবার ঐক্যবদ্ধ ভূমিকা দেখতে চাই। দুই বছর আগে দুর্গাপূজার সময় কুমিল্লায় সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের মূলহোতা ইকবালকে পাগল বানানো হয়। এ ঘটনার পেছনের চক্রান্তকারীদের গ্রেপ্তার ও শাস্তি নিশ্চিত করা গেলে পর্যায়ক্রমে সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটত না এবং পূজারিদের মধ্যেও আতঙ্ক কাজ করত না। জেলা প্রশাসকদের কারণে অর্পিত সম্পত্তি ভুক্তভোগীরা ফেরত পাচ্ছেন না। অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন এভাবে চললে আগামী ৫০ বছরেও মানুষ সুফল পাবে না। সংবাদ সম্মেলনে ঐক্য পরিষদের আহ্বানে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজার সময়, ২০ থেকে ২৪ অক্টোবর কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মসূচি প্রদান থেকে বিরত থাকায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে সংখ্যালঘুদের জন্য আওয়ামী লীগের দেওয়া সাত দফা প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ডাকা মহাসমাবেশ ৬ অক্টোবরের পরিবর্তে অনুষ্ঠিত হবে ৪ নভেম্বর। তবে ৬ অক্টোবর বিকেল ৪টায় সারা দেশের মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সরকারি দলের প্রতিশ্রুতি অনতিবিলম্বে বাস্তবায়নের দাবিতে সমাবেশ ও মিছিল হবে। রাজধানী ঢাকায় তা হবে জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্বরে।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ঐক্য পরিষদের অন্যতম সভাপতি অধ্যাপক ড. নিমচন্দ্র ভৌমিক। উপস্থিত ছিলেন মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি মনীন্দ্র কুমার নাথ, জগন্নাথ হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহসভাপতি মিলন কান্তি দত্ত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রঞ্জন কর্মকার, বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী মহাসচিব পলাশ কান্তি দে, বরুণ চন্দ্র সরকার, রতন চন্দ্র পাল, স্বপ্না বিশ্বাস, অপূর্ব ভট্টাচার্য্য, সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য্য, সুবীর দত্ত, বাপ্পাদিত্য বসু, মঞ্জু রানী প্রামাণিক প্রমুখ।