পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর পাল্টে গেছে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের পর্যটন। আগে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের মূল গন্তব্য ছিল কক্সবাজার, বান্দরবান ও সিলেট। দেশের অন্যতম পর্যটন স্পট সুন্দরবন, কুয়াকাটা, রূপবতী চর, কুকরি-মুকরি, নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি হরিণঘাটা-লালদিয়ায় পর্যটক আসার ক্ষেত্রে মূল বাধা ছিল পদ্মা নদী ও এর ‘হিংস্রতা’। যাতায়াতের দুর্ভোগের কারণে অনেক পর্যটক ভোলার চর কুকরি-মুকরি, বরগুনার হরিণঘাটা-লালদিয়া সুন্দরবন-কুয়াকাটামুখী হতেন না। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর এই দুর্ভোগ শেষ হয়েছে। এখন এই রুটে অত্যাধুনিক ও বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন নতুন যানবাহন চালু হয়েছে। ফলে সুন্দরবন, কুয়াকাটা, পায়রা বন্দর, মোংলা বন্দরে জমজমাট পর্যটন স্পট গড়ে উঠবে। পাশাপাশি বরিশাল, পটুয়াখালী, খুলনা, বরগুনা, পটুয়াখালীসহ দক্ষিণাঞ্চল ঘিরে গড়ে উঠবে বিশাল পর্যটন নগরী।
ট্যুর অপারেটরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (টোয়াব) সভাপতি শিবলুল আজম কোরেশি বলেন, পদ্মা সেতু কেন্দ্র করে এরই মধ্যে বাগেরহাটকেন্দ্রিক ছোট ছোট অসংখ্য পর্যটন স্পট তৈরি হয়েছে। নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক লীলাভূমির নাম হরিণঘাটা-লালদিয়া।
পর্যটকরা বলছেন, এখানে সুন্দরবনের আমেজ ও সমুদ্রপাড়ের প্রাকৃতিক দৃশ্য সবাইকে মুগ্ধ করছে। সমুদ্রের বিশালতায় পর্যটকরা পাচ্ছেন অন্যরকম অনুভূতি। ঠিক তেমনটি রয়েছে নানা অভিযোগ। অনুন্নত রাস্তাঘাট দিয়ে অনেকটাই কষ্ট করে আসতে হয় পর্যটকদের। কোনো প্রশাসনিক নিরাপত্তা পাননি বলে জানান তারা। নেই বিদ্যুতের ব্যবস্থাও। হরিণঘাটা থেকে লালদিয়া পর্যন্ত যাওয়ার হাঁটা সেতুটি হয়নি এখনো সম্পূর্ণ। যে কারণে পর্যটকদের ঝুঁকি নিয়ে যেতে হচ্ছে মাছ শিকারের ছোট ছোট নৌকায়। দ্রুত লালদিয়া সেতুটি করার দাবি পর্যটকদের।