কুমিল্লার দেবিদ্বারের আলোচিত মেহেদী হাসান শান্ত হত্যা মামলার ৫ নম্বর সাক্ষী আজমল ফুয়াদ সাজিব (২৫) নিজেই শান্তকে হত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
পিবিআইয়ের তদন্তে বেরিয়ে আসে মামলার সাক্ষী সাজিব নিজেই শান্তর তলপেটে ছুড়ি দেয়ে আঘাত করে তাকে খুন করেন।
পিবিআই সূত্র জানায়, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেবিদ্বারে নুরপুরে গত বছরের ঈদুল আজহার আগের দিন আসামি সাজিব ও আল আমিনের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। তাদের হট্টগোল শুনে সেখানে আরও উৎসুক জনতার ভিড় হয়। একপর্যায়ে অভিযুক্ত সাজিব তার পকেটে থাকা ছুরি (সুইস গিয়ার) দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাত করতে থাকে। এতে আল-আমিনসহ চারজন গুরুতর আহত হয়। এ সময় শান্ত সাজিদকে থামাতে পেছন থেকে আঁকড়ে ধরলে সাজিদ শান্তর তলপেটে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। এতে সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন শান্ত। পরে সাজিদ মোটরসাইকেলে পালিয়ে গেলে শান্তকে স্থানীয়রা দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শান্তকে মৃত ঘোষণা করে।
ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুমিল্লা ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পরিদর্শক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম জানান, আলোচিত হত্যাকাণ্ডটি নিয়ে পিবিআইয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অনুসন্ধানের মাধ্যমে প্রতিটি আলামত ও সাক্ষীর কথা বিশ্লেষণ করে মূল হত্যাকারীর পরিচয় বের করেন। এ মামলার চারজন সাক্ষী আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক বক্তব্যের মাধ্যমে সাজিব কর্তৃক শান্তকে হত্যার বিষয়টি অধিকতর পরিষ্কার হয়ে ওঠে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের নুরপুরে গত ৯ জুলাই আমেরিকা প্রবাসী সাজিবের ছুরির আঘাতে শান্ত নিহত হয়। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয় আরও চারজন। নিহত মেহেদী হাসান শান্ত ফতেহাবাদ ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের সরকার বাড়ির জাকির হোসেনের ছেলে। অভিযুক্ত সাজিব যুক্তরাষ্ট্রে পলাতক রয়েছেন।
মন্তব্য করুন