লালমনিরহাটের পাটগ্রামে এক আওয়ামী লীগ নেতার দেড় শতাধিক গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে দুই বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। রোববার (০৯ ফেব্রয়ারি) সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে শ্রীরামপুর ইউনিয়নের (সাবেক) আউলিয়ারহাট বাজার এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতা কমিজ উদ্দিন মেম্বারের পুকুরের পাশের সড়কের গাছগুলো কাটা হয়।
ওই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহসভাপতি নুরুজ্জামান ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক ইনু বেশকিছু লোক নিয়ে এই গাছ কাটেন বলে অভিযোগ। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে গ্রামবাসীই গাছগুলো কেটেছে বলে দাবি করেন নুরুজ্জামান।
সরেজমিন দেখা গেছে, পুকুরের পাশের সড়কটিতে ১২০টি সুপারিগাছ, ৩০টি আমগাছ ও ১৫টি পেয়ারাগাছসহ অন্যান্য গাছ কেটে ফেলে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে সুপারিগাছে সুপারি ধরেছিল।
এলাকাবাসী জানান, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে আওয়ামী লীগ নেতা কমিজ উদ্দিনকে গাছগুলো কেটে ফেলতে নানাভাবে চাপ দিয়ে আসছিলেন বিএনপির নেতা নুরুজ্জামান ও ইনু। রোববার সকালে বহিরাগতদের নিয়ে এসে গাছগুলো কেটে ফেলে রেখে যান তারা।
গাছ কাটার অভিযোগ হাস্যকর বলে দাবি করে অভিযুক্ত নুরুজ্জামান বলেন, ‘আমি কেন এ কাজ করতে যাব? গাছগুলো সব এলাকাবাসী কেটেছে, এলাকাবাসীর যাতায়াতের সমস্যা হয় এজন্য। আমি শুধু গেছিলাম দেখতে। আমি কখনোই তার গাছে হাত দিইনি বা কাটিনি। আমার ওপর মিথ্যা দোষারোপ চাপানোর চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না, উনি (কমিজ উদ্দিন) দীর্ঘদিন থেকে আমাদের লাঞ্ছিত করে আসছেন, তারপরও আমরা কিছুই বলিনি। বর্তমানে যে অভিযোগ, সেটা আসলেই ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা।’
শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবেদর রহমান বলেন, গাছ সব এলাকাবাসী কেটেছে। এলাকাবাসীর যাতায়াতের সমস্যা হয়। এজন্য তারা সবাই মিলে গাছগুলো কেটে ফেলে। আর আওয়ামী লীগ পতনের পর বিভিন্ন সময় আমাদের নামে মিথ্যা অপবাদ ছড়ানোর চেষ্টা করছে তারা। এটা আসলে ভিত্তিহীন বানোয়াট এবং মিথ্যা। আমাদের লোকজন সেরকম কাজ করেনি। তারা আমাদের ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।
এ বিষয়ে পাটগ্রাম থানার ওসি আশরাফুজ্জামান সরকার বলেন, পুকুরের পাশে যে গাছগুলো লাগানো রয়েছে, মূলত সেটি সরকারি জমি। পুলিশ সেখানে তদন্ত করে এসেছে এবং তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারে, এলাকাবাসী এক হয়ে গাছগুলো কেটেছে। তারপরও তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিল্লুর রহমান বলেন, বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন