

হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত সর্বোত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে বাড়ছে শীতের তীব্রতা। জেলার তেঁতুলিয়ায় ক্রমেই নামছে তাপমাত্রার পারদ। হিমালয় থেকে বয়ে আসা হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশায় ঢেকে গেছে চারদিক। বইছে হিমেল হাওয়া, মাঠ-েঘাটে পড়ছে শিশিরের ছোঁয়া। ফলে শীতের আগমন আগেই টের পাচ্ছেন সেখানকার মানুষ।
বুধবার (১২ নভেম্বর) সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) একই স্থানে তাপমাত্রা ছিল ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ৯৯ শতাংশ। ফলে সকাল থেকে ঘন কুয়াশায় ঢেকে যায় চারপাশ। মাঠ-ঘাট, গ্রামীণ জনপদ থেকে শুরু করে শহরের রাস্তাঘাটও কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়ে যায়। এতে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে হয়।
এদিকে তাপমাত্রা কমায় ব্যস্ততা বেড়েছে লেপ-তোশকের দোকানে। পাশাপাশি বিভিন্ন গরম কাপড়ের দোকানেও বিক্রি বেড়েছে। শীতের পিঠাপুলি তৈরির ধুম পড়েছে। সড়কের পাশের দোকানগুলোতে ভিড় করে মানুষ পিঠার স্বাদ উপভাগ করছেন।
রবিউল নামের এক মোটরসাইকেল চালক বলেন, সকালে একটি কাজে বের হয়েছি, কিন্তু প্রচণ্ড শীতে হাত অবশ হয়ে যাচ্ছে। কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালালেও সামনের রাস্তা দেখা যায় না।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এক দিনের ব্যবধানে ১ দশমিক ৭ ডিগ্রি কমেছে। এর আগে মঙ্গলবার সকাল ৯টায় ১৪ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হযেছিল।
তিনি আরও বলেন, কয়েকদিন থেকে তাপমাত্রা ক্রমশই কমেছে। তবে নভেম্বরের মাস শেষে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
মন্তব্য করুন