

হিমালয়-কাঞ্চনজঙ্ঘা পর্বতের কাছাকাছি অবস্থিত হওয়ায় পঞ্চগড়ে উত্তর হিমালয় থেকে বয়ে আসা ঠান্ডা বাতাসে শীত অব্যাহত রয়েছে। একদিনে ব্যবধানে এ জেলায় তাপমাত্রা কমেছে ১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এতে শীতের তীব্রতায় জনজীবনে স্থবিরতা নেমে এসেছে।
শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন ১০.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা চলতি শীত মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
এর আগে, এদিন সকাল ৬টায় ১১ দশমিক ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয় হয়েছে। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৪ শতাংশ ছিল।
সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, পঞ্চগড়ের আশপাশের জেলায় কয়েকদিন থেকে হিমালয়ের হিমেল বাতাসে ঠান্ডা অব্যাহত রয়েছে। তীব্র ঠান্ডার কারণে গ্রাম-গঞ্জের মানুষ শীতের গরম কাপড় গায়ে জড়াচ্ছেন। প্রায় ঘরে ঘরে লেপ-কাঁথা বের করা হয়েছে। তবে গত কয়েকদিন থেকেই শীতের তীব্রতা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন নিম্ন আয়ের মানুষজন। এ ছাড়া দিনের বেলা রোদের দেখা মিললেও কমেনি শীতের তীব্রতা।
জানা গেছে, এলাকায় শীতের তীব্রতা বেড়ে গেলেও এখনও সরকারিভাবে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।
এদিকে শীতের তীব্রতা বাড়ায় হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে প্রতিদিন শীতজনিত রোগীর ভিড় বাড়ছে। হাসপাতালে প্রতিদিন রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। এদের বেশির ভাগই শিশু ও বৃদ্ধ। যারা বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তারাই কেবল হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন।
এ বিষয়ে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলাটি হিমালয়ের কাছাকাছি হওয়ায় উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল থেকে বয়ে আসা হিমেল হাওয়ার কারণে বেশ কনকনে ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। শনিবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সামনের দিকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
মন্তব্য করুন