নড়াইলের লোহাগড়ায় বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর লোগো লাগানো টি-শার্ট পরাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ তিনজন আহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহতদের হাসপাতালে নেওয়ার সময় একটি অ্যাম্বুলেন্স ভাঙচুর করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মণ্ডলভাগ বাজারে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন উপজেলার শালনগর গ্রামের আলী হাসানের স্ত্রী রোজিনা বেগম, বিল্লাল শেখের ছেলে আরাফাত শেখ ও মৃত সামাদ খানের ছেলে নাহিদ খান।
লোহাগড়া থানার ওসি কাঞ্চন কুমার রায় কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সংঘর্ষের ঘটনা জানতে পেরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের ধরতে এলাকায় পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।
স্থানীয়রা জানান, সোমবার (৮ এপ্রিল) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সংবলিত একটি টি-শার্ট পরেন স্থানীয় এক কিশোর। এতে বিএনপি কর্মী আকিজের ছেলে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কটূক্তি করে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইউপি চেয়ারম্যান মো. লাবু মিয়া দুপক্ষকে ডেকে সালিশ করলে একই ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান তসরুল খান সমর্থিত নেতাকর্মীরা বিরোধিতা করেন।
এ ঘটনার পর তসরুল খানের সমর্থক সৌদি প্রবাসী নাহিদ খানকে মণ্ডলভাগ বাজারে একা পেয়ে হামলা চালিয়ে আহত করে চেয়ারম্যান লাবু খানের সমর্থকরা। তসরুল খান হামলার খবর শুনে পাল্টা হামলা চালান। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। আহত নাহিদ খান বলেন, চেয়ারম্যান নৌকা প্রতীকের হলেও তিনি বিএনপি কর্মীদের প্রশ্রয় দেন। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে যারা কটূক্তি করেছে শুধু ধমকের মাধ্যমে বিচার করে দিয়েছেন তিনি। আহত নারী রোজিনা খানম বলেন, আমি বাজারে ওষুধ কিনতে গিয়েছিলাম। মারামারির ঘটনা চলছিল দেখে তাড়াহুড়া করে বাড়ি ফিরতে গেলে কে বা কারা ধারাল অস্ত্র দিয়ে আমার মাথায় কোপ দেন। কোপ দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মাটিতে পড়ে যাই। অ্যাম্বুলেন্সচালক পিকুল মোল্যা বলেন, শালনগর থেকে ফোন আসে মারামারিতে আহত রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হবে। আমি আহত নাহিদকে নিয়ে হাসপাতালে যাওয়ার সময় চেয়ারম্যান লাবু মিয়ার ছেলের নেতৃত্বে লোকজন পথ আটকে দেয়। তারা ইটপাটকেল মেরে আমার অ্যাম্বুলেন্সের সামনের গ্লাস ভেঙে দেয়। অ্যাম্বুলেন্স পুড়িয়ে দেওয়ারও চেষ্টাও করে।
শালনগর ইউপি চেয়ারম্যান মো. লাবু মিয়া এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, একটি দ্বন্দ্বের সালিশ করে উভয়পক্ষকে শান্ত থাকতে বলি। কিন্তু নাহিদ ও শিমুল বিচার নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন। পরে দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
মন্তব্য করুন