

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের তত্ত্বাবধানে ৯টি পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮০ শিক্ষার্থী ও শিল্পীদের অংশগ্রহণে আজ শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী ‘আর্ট ফর ইক্যুয়ালিটি’ শিল্প কর্মশালা। নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের অর্থায়নে প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ও জাগো ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের যৌথ বাস্তবায়নে ৪ বছর মেয়াদী সমতায় তারুণ্য-ইয়ুথ ফর ইক্যুয়ালিটি প্রকল্পের আওতায় কর্মশালাটির আয়োজন করা হয়। কর্মশালাটি শেষ হবে আগামীকাল শনিবার সন্ধ্যায়।
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে চারুকলা প্রাঙ্গনে কর্মশালার উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়েমা হক বিদিশা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চারুকলা অনুষদের ওরিয়েন্টাল আর্ট বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ দেবাশীষ পাল, ওরিয়েন্টাল আর্ট বিভাগের অনারারি অধ্যাপক ড. মো. আবদুস সাত্তার, চারুকলা অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন ও ভাষ্কর্য বিভাগের অধ্যাপক এ এ এম কাওসার হাসান এবং প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের ইনফ্লুন্সিং, ক্যাম্পেইন ও কমিউনিকেশনস ডিরেক্টর নিশাত সুলতানা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের সম্মানিত চেয়ারম্যান ও কর্মশালার কিউরেটর ড. শেখ মনির উদ্দিন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে কর্মশালার উদ্দেশ্য, কার্যক্রম উপস্থাপন করেন বিভাগের সহকারি অধ্যাপক ও কর্মশালার কো-কিউরেটর সঞ্জয় কুমার দে।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অফ ক্রিয়েটিভ টেকনোলজি, ঢাকা আর্ট কলেজ, নারায়নগঞ্জ ফাইন আর্ট ইনস্টিটিউট ও যশোর এস এম সুলতান আর্ট কলেজকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন।
চারুকলায় জয়নুল গ্যালারিতে নভেম্বরের ২৫-২৬ তারিখে এই কর্মশালার চিত্রকর্মগুলোর একটি প্রদর্শনী উদ্বোধন করা হবে এবং চিত্রগুলোর বিষয় ও শিল্পীদের বিবরণীসহ একটি ডিজিটাল ক্যাটালগ প্রকাশনা অনুষ্ঠান হবে।
প্রদর্শনীর শুরুতে সেরা দশজন শিল্পীকে সম্মানিত করা হবে এবং অংশগ্রহণকারীদের সনদ প্রদান করা হবে। তাছাড়া বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে দিনব্যাপী বিষয়ভিত্তিক ৩টি আলাদা সেমিনার আয়োজন করা হবে ২৬ নভেম্বর।
শিল্প কর্মশালা আয়োজনের উদ্দেশ্য পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, যুব শিল্পী ও প্রখ্যাত চিত্রশিল্পীরা যেন তাদের চিত্রশিল্পে সমাজে বিদ্যমান নেতিবাচক জেন্ডার বিষয়ক ধারণা তুলে ধরেন এবং সমাজে ইতিবাচক ধারনা সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখেন। তাছাড়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে উচ্চশিক্ষা পর্যায়ের শিক্ষাক্রমে জেন্ডার সমতা বিষয় অন্তর্ভুক্ত করতে উদ্বুদ্ধ করা।
প্রধান অতিথি ঢাবির প্রোভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়েমা হক বিদিশা বলেন, আজকের এই উদ্যোগটি সলের মাঝে বিশেষ উদ্যোগ তৈরি করেছে। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতা প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে শিল্পলার ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সঞ্জয় কুমার দে অনুষ্ঠানের তাৎপর্য তুলে ধরে আয়োজনে সংশ্লিষ্ট সকলকে বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
মন্তব্য করুন