

শীত মানেই গরম গরম দুধে ভেজানো কাঠবাদাম বা আখরোট খাওয়ার সময়। অনেকেই এই দুই শুকনো ফল উপভোগ করেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো, এই দুয়ের মধ্যে কোনটি শরীরের জন্য বেশি উপকারী? আসলে উভয়ই পুষ্টিগুণে ভরপুর, তবে উপকারিতা ও কার্যকারিতা কিছুটা আলাদা। চলুন জেনে নেওয়া যাক, শীতের দিনে কোন ড্রাই ফ্রুটসের উপর বেশি ভরসা রাখা উচিত।
মস্তিষ্ক ও হৃদয়ের বন্ধু আখরোট
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আখরোটে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায় এবং স্মৃতিশক্তি তীক্ষ্ণ রাখে। এটি ‘ব্রেন ফুড’ হিসেবে পরিচিত। আখরোটে থাকা ফ্যাট মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ উন্নত করে, হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এবং রক্তে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে। নিয়মিত আখরোট খেলে ঘুম ভালো হয়, মানসিক চাপ কমে এবং এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কোষের ক্ষতি রোধ করে, ত্বককে রাখে তরতাজা।
শক্তি, হাড় ও ত্বকের বন্ধু কাঠবাদাম
পুষ্টিবিদরা বলেন, কাঠবাদাম শরীরকে দ্রুত এনার্জি দেয় এবং দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখে। এতে থাকা ভিটামিন-ই ত্বককে উজ্জ্বল ও মসৃণ রাখে, শুষ্কতা দূর করে। কাঠবাদামে প্রচুর ক্যালসিয়াম রয়েছে, যা হাড় ও দাঁত মজবুত রাখে। এটি হার্টের জন্যও উপকারী, কারণ এতে ভালো ফ্যাট (HDL) আছে। কাঠবাদাম রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে, তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্যও উপকারী।
শীতে কোনটি বেছে নেবেন?
ভারতীয় পুষ্টিবিদদের দাবি, ঠান্ডায় রোগ প্রতিরোধ ও মস্তিষ্কের যত্ন নিতে চাইলে আখরোট খাওয়া উচিত। আর ত্বক, হাড় ও এনার্জির জন্য কাঠবাদাম ভালো। সবচেয়ে ভালো হয়, যদি দুটোই সীমিত পরিমাণে দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় রাখা হয়। উদাহরণস্বরূপ সকালে ৩-৪টি কাঠবাদাম ও রাতে ২টি আখরোট যথেষ্ট।
সংক্ষেপে, শীতের দিনে আখরোট ও কাঠবাদাম দুটোই স্বাস্থ্যবান ও পুষ্টিকর। একটির সঙ্গে অন্যটিকে অন্তর্ভুক্ত করলে শরীর পাবে ভেতর থেকে উষ্ণতা, শক্তি এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা।
সূত্র : টিভি নাইন বাংলা
মন্তব্য করুন