জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। ওয়ার্ল্ড ভিশনসহ সব গ্রহণযোগ্য ও ভালো এনজিও’র কাজ সরকার সব সময় উৎসাহ প্রদান করে। কেননা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া আমাদের সকলেরই দায়িত্ব।
তিনি বলেন, শহর এলাকার পিছিয়ে পড়া ও অবহেলিত শিশুরা আমাদেরই সন্তান। এই শিশুদের মধ্যেই লুকিয়ে আছে ভবিষ্যৎ যোগ্য নেতৃত্ব। সর্বোচ্চ পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি হিসেবে এ বিষয়টি লক্ষ্য করা অবশ্যই আমাদের দায়িত্ব। কারণ কোনো শিশুই স্মার্ট বাংলাদেশের সুফলের বাইরে থাকবে না।
গতকাল সোমবার সকালে জাতীয় সংসদ সংলগ্ন পার্লামেন্ট মেম্বার্স ক্লাব সভা কক্ষে আরবার প্রোগাম ওয়াল্ড ভিশন বাংলাদেশ-এর আয়োজনে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন শামসুল হক টুকু।
অনুষ্ঠানে এমপি আরমা দত্ত বলেন, কিশোর-কিশোরীর বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে ডেপুটি স্পিকারের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করেছি। ককাস গ্রুপ একটি ইতিবাচক প্ল্যাটফর্ম। এই ইস্যুগুলোকে সরকারের নীতিমালায় উপস্থাপন করতে হবে। আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে যাচ্ছি, এই শিশুদেরও আমরা স্মার্ট বাংলাদেশের অংশ করতে ককাস গ্রুপের মাধ্যমে উদ্যোগ নিব।
আলোচনা শেষে সভায় সংসদীয় ককাস কমিটি গঠন করা হয়। সংসদীয় আরবান ককাস কমিটি তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করবে। ওয়ার্ল্ড ভিশন এবং অন্যান্য সংগঠন এ ধরনের ভালো কাজে সবসময় সহযোগিতা করবেন বলে আশ্বাস দেন বক্তারা। সংসদ সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রানা মোহাম্মদ সোহেল, সিমিন হোসেন রিমি, জুয়েল আরেং, শবনম জাহান শীলা, শিরীন আহমেদ, শামসুন নাহার, রুবিনা আক্তার মিরা, আদিবা আনজুম মিতা, হাবিবা রহমান খান, বাসন্তী চাকমা প্রমুখ।
ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ-এর ডিরেক্টর অপারেশনস্ সাগর মারান্ডী বলেন, বাংলাদেশের সব শিশুর অধিকার নিশ্চিতকরণে সংসদ সদস্যদের এ উদ্যোগ অবশ্যই সফল হবে। সরকার এ কাজে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশকে সহযোগী হিসেবে ডাকলে সবসময় ওয়ার্ল্ড ভিশন পাশে থাকবে।
অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন এমপি রানা মোহাম্মদ সোহেল এবং ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের উপপরিচালক মঞ্জু মারিয়া পালমা।
মন্তব্য করুন