

ঝিনাইদহ-০৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে অপহরণের পর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত ১০ আসামির ব্যাংক হিসাবের তথ্য অনুসন্ধান করবে ডিবি পুলিশ।
সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন। সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল এ তথ্য জানিয়েছেন।
আসামিরা হলেন- শিমুল ভুঁইয়া ওরফে শিহাব ওরফে ফজল মোহাম্মদ ভুঁইয়া ওরফে আমানুল্যা সাইদ, তানভীর ভূঁইয়া, শিলাস্তি রহমান, আক্তারুজ্জামান শাহীন, মো. সিয়াম হোসেন, ফয়সাল আলী, মোস্তাফিজুর রহমান, চেলসি চেরী ওরফে আরিয়া, তাজ মোহাম্মদ খান হাজি এবং মো. জামাল হোসেন।
এদিন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও ডিবি পুলিশের সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান ১০ আসামির ব্যাংক হিসাবের তথ্যের জন্য বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বরাবর আদেশ চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে মামলার ভিকটিম ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে অপহরণ করে ভারতের কলকাতা নিয়ে যায়।
প্রাথমিক তদন্তে ও গ্রেপ্তার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, আসামিরা ভিকটিমকে কলকাতার নিউটাউন এলাকার ভাড়া করা বাসায় নিয়ে নৃশংসভাবে হত্যা করে এবং প্রমাণ নষ্ট করার উদ্দেশ্যে ভিকটিমের মৃতদেহের হাড় ও মাংস আলাদা করে মাংসপিন্ড টয়লেটের কমোডে ফেলে দেয় এবং হাড়গুলো গারবেজ-পলিতে ভরে ট্রলি ব্যাগে করে আশে পাশের বর্জ্যখালে ফেলে দেয়।
আসামিরা দীর্ঘদিন যাবত ভিকটিমকে হত্যার পরিকল্পনা করে আসছিল। আসামিরা পরিকল্পনা করে যে, অত্র মামলার ভিকটিমকে কিভাবে অপহরণ করবে ও টাকা পয়সা আদায় করবে এবং টাকা-পয়সা নেওয়ার পর কিভাবে হত্যা তথা লাশ গুম করবে তার লোমহর্ষক বর্ণনা গ্রেপ্তার আসামিদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে এসেছে। অত্র মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত অন্যান্য পলাতক আসামীদের নাম- ঠিকানা সংগ্রহ তথা মামলাটি সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে বর্তমানে পুলিশ রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলমান আছে।
আবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, মামলার মূল রহস্য উৎঘাটন ও মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে ১০ আসামির এনআইডি ও পাসপোর্ট নাম্বারের বিপরীতে কোন ব্যাংকে কয়টা একাউন্ট আছে তার তথ্য সরবরাহ করার জন্য বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বরাবর আদেশ প্রদান করা একান্ত প্রয়োজন।
মন্তব্য করুন