ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া
প্রকাশ : ২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ০৬:২৯ পিএম
আপডেট : ২৯ জানুয়ারি ২০২৪, ০৬:৩৪ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

‘লক্ষ্য এখন উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ’

‘লক্ষ্য এখন উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ’

মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ধারক-বাহক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিগত ১৫ বছরের শাসনামলে ডিজিটাল বাংলাদেশের একনিষ্ঠ নির্মাতা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা দুর্বার গতিতে বাংলাদেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে লক্ষ্য এখন ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উচ্চ মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট ‘সোনার বাংলা’ প্রতিষ্ঠিত করা।

ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট সিটিজেন সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যেই গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশের গণতন্ত্রমনা জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোটযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিকভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পুনরায় নির্বাচিত করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উন্নত সমৃদ্ধ এবং অসাম্প্রদায়িক স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তোলার লক্ষ্যেই নির্বাচনে জনগণ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে রায় দিয়েছে।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিগত ১৫ বছরের শাসনামলে দলটি বাংলাদেশকে একটি দুর্বল অর্থনৈতিক দেশ থেকে সব শর্ত পূরণ করে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে পদার্পণ করিয়েছে। আর তা করতে গিয়ে মানুষের জীবনমানকে উন্নত করতে হয়েছে, আর্থিক সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হয়েছে।

বিশেষ করে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। সাবমেরিন ক্যাবল (যা শেষ হবে ২০২৪) থেকে শুরু করে ফ্লাইওভার, মেট্রোরেল, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট স্থাপন, বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে শুরু করে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী টানেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রমাণ করে বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের শাসনামলে উন্নয়নের চিত্র কতটা অর্থপূর্ণ।

২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ যখন দেশের শাসনভার গ্রহণ করে তখন দেশে কতটা না দুরবস্থায় ছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বের ফলে বাংলাদেশ একটি অপার সম্ভাবনার দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

তিনি বাংলাদেশকে ১৫ বছরের শাসনামলের মধ্যে বিশ্বের বুকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন। এ সময়ে বাংলাদেশের অনেক উন্নয়নই হয়েছে। তবে যেসব উন্নয়ন দেশকে বদলে দিয়েছে বা দিচ্ছে সেই মেগা প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়নে আওয়ামী লীগের সফলতার স্বাক্ষর বহন করছে যা বিশ্বের বুকে বাংলাদেশকে সম্মানের জায়গায় নিয়ে গেছে।

১৯৭১ সালে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে বিশ্বের ৩৭তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ যা ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বের ২৯তম এবং ২০৫০ সাল নাগাদ ২৩তম অর্থনীতিতে উন্নত দেশে পরিণত হবে। আর ২০২৬ সালেই বাংলাদেশ ‘মধ্যম আয়ের দেশ’ এবং ২০৪১ সালেই ‘উন্নত দেশ’ হিসেবে বিশ্বে আত্মপ্রকাশ করবে।

বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে তার বড় প্রমাণ হলো গত কয়েক বছর ধরে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। বর্তমান মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৭৬৫ মার্কিন ডলার। অর্থনৈতিক অগ্রগতির সূচকে বিশ্বের শীর্ষ কয়েকটি দেশের একটি আজ আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ। মেট্রোরেল ও পদ্মা সেতু উদ্বোধন দুটিই উন্নয়নের মাইলফলক।

সফলভাবে কারোনা মহামারি মোকাবিলা, শিক্ষা, যোগাযোগ অবকাঠামো, গ্যাস, বিদ্যুৎ, নারীশিক্ষা, চাকরিজীবীদের বেতন-ভাতা শতভাগ বৃদ্ধি, স্বাস্থ্যসেবা, বিনামূল্যে বই বিতরণ, খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, সামাজিক কর্মসূচির আওতায় পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠী, অসহায়, বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, তালাকপ্রাপ্ত নারীদের সহায়তা, অটিজম, অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তা প্রদান, আশ্রয়ণ প্রকল্প, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প, নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন সেক্টরের সামগ্রিক উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার।

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বৈরশাসনের অবসান, গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, বাঙালির ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বাংলার দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে। খাদ্যে স্বয়ংস্পূর্ণতা অর্জন করেছে বাংলাদেশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর খুনি ও একাত্তরের নরঘাতক মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকার্য সম্পন্ন এবং রায় কার্যকর করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্ব, যোগ্যতা, নিষ্ঠা, মেধা-মনন, দক্ষতা, সৃজনশীলতা, উদার গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি ও দূরদর্শী নেতৃত্বে এক সময় দারিদ্র্য-দুর্ভিক্ষে জর্জরিত যে বাংলাদেশ অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার সংগ্রাম করত সেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বজয়ের নবতর অভিযাত্রায় এগিয়ে চলছে। বিশ্বসভায় আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি এবং গণতন্ত্রের বিকাশে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার অবদান অপরিসীম ও অতুলনীয়। তার দূরদৃষ্টি, বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবং জনকল্যাণমুখী কার্যক্রমে দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। ক্রমাগত প্রবৃদ্ধি অর্জনসহ মাথাপিছু আয় বাড়ছে, কমেছে দারিদ্র্যের হার। তার সাহসিকতার ফলে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে।

বাংলাদেশকে একটি সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত করতে ‘ভিশন ২০২১’ ও ‘ভিশন-২০৪১’ কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন এবং সে অনুযায়ী বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়নে অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছেন। গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও জনগণের কল্যাণে শেখ হাসিনার এসব যুগান্তকারী কর্মসূচি বাংলার ইতিহাস হয়ে থাকবে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের এমন কোনো দিক নেই যেখানে বাংলাদেশের পদচারণা হয়নি।

বিশ্বের বুকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিত আজকের এই বাংলাদেশ বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শাসনামলে বাংলাদেশের উন্নয়নের চেহারা ছিল বর্তমান সময়ের উন্নয়ন অবস্থার সম্পূর্ণ বিপরীত। বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল অনেক কম, বেকারত্বের হার ছিল অনেক বেশি, লুটপাট, রাহাজানি, মারামারি, সন্ত্রাসী, দুর্নীতি, ধর্ষণ, জঙ্গিবাদ ইত্যাদি ছিল নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়। জনজীবনে কোনো ধরনের নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তা ছিল না। বাংলাদেশের রিজার্ভ ছিল অনেক কম, বিদ্যুৎ সংকট, গ্যাস সংকট এসব ছিল প্রতিদিনের সমস্যা।

বিএনপি-জামায়াত জোট শাসনামলে দুর্নীতিতে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তরের পথটা কিন্তু এতটা সহজ ছিল না। অনেক কাঠকয়লা পোড়াতে হয়েছে। মাঝে-মধ্যে মনুষ্য-সৃষ্ট, প্রাকৃতিক এবং বৈশ্বিক বাধাবিপত্তি আমাদের চলার গতিপথকে মন্থর করেছে। ২০১৩-১৬ সময়ে বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদ বিস্তারের চেষ্টা মোকাবিলা করে আওয়ামী লীগকে এগিয়ে যেতে হয়েছে।

২০০৯ সালের পর থেকে বেশ কয়েকটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হয়েছে। সবচেয়ে বড় আঘাত এসেছে ২০২০ সালে যখন বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস মহামারি ছড়িয়ে পড়ে। এই মহামারি গোটা বিশ্বের অর্থনীতি এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে তছনছ করে দিয়েছিল। অথচ আওয়ামী লীগ সরকার একবিংশ শতাব্দীর এ ভয়াবহ মহামারি সফলভাবে মোকাবিলা করার পাশাপাশি অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে সক্ষম হয়েছে।

করোনাভাইরাস মহামারির ধকল কাটতে না কাটতেই প্রথমে শুরু হয় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং এ বছর ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ। যে কোনো যুদ্ধ শুধু দুই দেশের সমরাস্ত্র ব্যবহারের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। সেক্ষেত্রে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধও শুধু রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেনি বরং তা ভয়াবহ বৈশ্বিক অর্থনৈতিক যুদ্ধে রূপান্তরিত হয়েছে।

অবরোধ-পাল্টা অবরোধের ফলে গোটা বিশ্বের অর্থনীতির টালমাটাল অবস্থা হয়েছে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশও অর্থনৈতিক বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার শিকার হয়েছে। কিন্তু কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতাই অদম্য বাংলাদেশের উন্নয়নের পথচলাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি। বঙ্গবন্ধুকন্যার সুযোগ্য নেতৃত্বে সব ধরনের প্রতিবন্ধকতাকে এড়িয়ে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশের পথচলার ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে।

গত এক দশকে আর্থ-সামাজিক খাতে ও নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে। শিশুমৃত্যু হার প্রতি হাজারে ২৩ দশমিক ৬৭-এ কমে এসেছে। প্রতি লাখে মাতৃমৃত্যুর হার ১৭৩-এ হ্রাস পেয়েছে। মানুষের গড় আয়ু বেড়ে হয়েছে ৭৩ বছর। নারীর রাজনৈতিক ও সামাজিক ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ ব্যাপক অগ্রগতি সাধন করছে। এ ক্ষেত্রে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম।

গত ৫ জুলাই, ২০২৩-এ জাতিসংঘ বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থার (আঙ্কটাড) ‘ওয়ার্ল্ড ইনভেস্টমেন্ট রিপোর্ট ২০২৩’-এর বিশ্বব্যাপী প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে বাংলাদেশে বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগের (এফডিআই) পরিমাণ বেড়েছে ২০ ভাগ। এক বছরের ব্যবধানে এফডিআই’র এ পরিবর্তন।

গত বছর বিনিয়োগের পরিমাণ তিন বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। ২০২২ সালে এফডিআইয়ের পরিমাণ ছিল ৩৪৮ কোটি ডলার। এর আগের বছর যা ছিল ২৮৯ কোটি ৬০ লাখ ডলার। ২০২০ সালে যার পরিমাণ ছিল ২৫৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার।

প্রবাসী আয়ের পর পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ ইতিবাচকভাবে বছর শেষ করেছে। সদ্য বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছে ৫ হাজার ৫৫৬ কোটি ডলারের পণ্য। এ রপ্তানির পরিমান তার আগের অর্থবছরের তুলনায় ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেশি। গত ২০২১-২২ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ৩৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ। এক অর্থবছরে ৫ হাজার ৫৫৬ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) রপ্তানি আয়ের এ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, শুধু গত জুনে ৫০৩ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। গত বছরের তুলনায় রপ্তানি ২ দশমিক ৫১ শতাংশ বেশি।

জনগণের কল্যাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন এবং তার সুযোগ্য ও দূরদর্শী নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি উন্নত ও স্মার্ট দেশ হবে। এ দেশের সাধারণ মানুষের শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি আস্থা আছে। কারণ তিনি দেশের মানুষকে যে প্রতিশ্রুতি দেন তা তিনি রক্ষা করেন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।

বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর থেকে অল্প সময়ের মধ্যে আওয়ামী লীগের তথা শেখ হাসিনার দক্ষ নেতৃত্বে পৃথিবীর উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রার যে উদাহরণ সৃষ্টি করেছে তা নিঃসন্দেহে অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের জন্য অনুকরণীয়। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় নির্বাচিত হয়ে আজকের উন্নয়নশীল বাংলাদেশ প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত হয়ে বিশ্ব মানচিত্রে অন্যান্য দেশের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্তের সৃষ্টি করবে। সেই লক্ষ্যেই পথ চলছে বাংলাদেশ এবং কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।

লেখক : উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব), বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ও সাবেক চেয়ারম্যান, ট্যুরিজম অ্যান্ড হস্পিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

[ নিবন্ধ, সাক্ষাৎকার, প্রতিক্রিয়া প্রভৃতিতে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। দৈনিক কালবেলার সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে নিবন্ধ ও সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত মত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্ত, রাজনৈতিক, আইনগতসহ যাবতীয় বিষয়ের দায়ভার লেখকের, দৈনিক কালবেলা কর্তৃপক্ষের নয়। ]
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

শিক্ষক দম্পতিকে বেধরক মেরে টাকা-গয়না লুটে নিল ডাকাতদল

একনেকে সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকার ১০ প্রকল্প অনুমোদন

গজারিয়া গণহত্যা / এক মুক্তিযোদ্ধার প্রতিশোধের গল্প

কক্সবাজারে কৃষককে ডেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা

কেইনে ডুবল বায়ার্নের শিরোপা ভাগ্য!

ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে যুবকের মৃত্যুদণ্ড

১৩৯ উপজেলায় কত শতাংশ ভোট পড়েছে, জানাল ইসি

বগুড়ায় স্বামী-স্ত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু

লুট তখন, এখন ও আগামীকাল!

ঢাবি উপাচার্যের সঙ্গে কোইকা কান্ট্রি ডিরেক্টরের সাক্ষাৎ

১০

অ্যাকাউন্টস ম্যানেজার নেবে রংধনু গ্রুপ, বয়স ৫০ হলেও আবেদন

১১

ইসরায়েলকে পুতিনের কঠোর হুঁশিয়ারি

১২

সন্ধ্যা নদীতে বিলীন হচ্ছে বাজার, ফেরিঘাট

১৩

কুড়িগ্রামের তিনটি উপজেলায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন যারা

১৪

ঢাবিতে অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা বিষয়ক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

১৫

আকর্ষণীয় বেতনে ইবনে সিনায় চাকরি, বয়স ২৫ হলেই আবেদন

১৬

তিস্তা প্রকল্পে অর্থায়ন করতে চায় ভারত : পররাষ্ট্রমন্ত্রী

১৭

আদালতে মিল্টন সমাদ্দার, কারাগারে আটক রাখার আবেদন

১৮

পুলিশের দ্বারস্থ হলেন চিত্রনায়িকা বুবলী (ভিডিও)

১৯

সোহেল চৌধুরী হত্যা / রায়ের পর্যবেক্ষণে যা বললেন বিচারক

২০
X