ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া
প্রকাশ : ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০৩:২৩ পিএম
অনলাইন সংস্করণ
ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়ার নিবন্ধ

বাংলাদেশ যেন আর রাজাকারদের আস্তানা না হয়

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া। ছবি : সৌজন্য
অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া। ছবি : সৌজন্য

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার একান্ত প্রচেষ্টায় বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি ব্যাপক সামাজিক ও রাজনেতিক উন্নয়নসাধন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যোগ্যতা, দূরদর্শিতা আর সঠিক নেতৃত্বগুণের জন্য তিনি আজ বিশ্বব্যাপী সমাদৃত একজন রাজনীতিবিদ। দেশ পরিচালনায় তিনি সাহস ও কর্মদক্ষতায় অনন্য। তার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ থেকে সন্ত্রাস, রাজাকার এবং জঙ্গিবাদ নির্মূলের মাধ্যমে তিনি বর্তমানে বিশ্ব শান্তির দূত ও মানবপ্রেমী হিসেবে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও প্রশংসা কুড়িয়েছেন। বাংলাদেশে রাজাকারদের মদদে গড়ে ওঠা জঙ্গিবাদ দমনে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট সব ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তারই গৃহীত কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ বিশ্ব মানচিত্রে রাজাকার তথা জঙ্গিমুক্ত একটি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। কেউ যেন বাংলাদেশকে আবার স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকারদের দেশে পরিণত করতে ও দেশকে পেছনের দিকে ঠেলে দিতে না পারে সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সকলের প্রতি বিশেষ করে প্রবাসী বাংলাদেশিদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। রাজাকার এবং জঙ্গিমুক্ত সোনার বাংলা পুনরায় যেন রাজাকারদের আস্তানা হয়ে না যায়, সে ব্যাপারে আমাদের সকলকে সচেতন থাকতে হবে।

মুক্তিযুদ্ধের দীর্ঘ ৯ মাস রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনীর সদস্যরা পাকিস্তানিদের দ্বারা সংঘটিত হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ প্রভৃতি নানা অপকর্মে সহযোগিতা প্রদান করেন। এ ছাড়া রাজাকাররা নিজেরাও হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগ এর মতো সহিংস কর্মকাণ্ড সরাসরি পরিচালনা করেছিল। তাদের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন আমাদের অসংখ্য বাঙালি মুক্তিযোদ্ধা এবং সম্ভ্রম হারিয়েছিল অসংখ্য মা-বোন। পাকিস্তানের দোসর রাজাকাররা চেয়েছিলেন পৃথিবীর ইতিহাস থেকে বাংলাদেশকে মুছে দিয়ে পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে। সেই লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের দীর্ঘ নয় মাসে অপকর্মের এমন কোনো দিক নেই যা রাজাকারদের মাধ্যমে সংঘটিত হয়নি। রাজাকারদের সেই বিভীষিকাময় কর্মকাণ্ড মানবতা এবং মানবাধিকার হয়েছিল ভূলুণ্ঠিত। অবশেষে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠায় রাজাকারদের সব ধরনের অপপ্রচেষ্টাকে উপেক্ষা করে সাহসী বাঙালি মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসী ভূমিকায় মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের বিজয় নিশ্চিত হলেও এখনো রাজাকারদের অস্তিত্ব বাংলাদেশ থেকে পুরোপুরি মুছে যায়নি।

স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় থেকে বিভিন্ন সময়ে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর দোসর রাজাকারদের সংগঠন বিএপি-জামায়াত জঙ্গিবাদ, মানুষ হত্যা, নাশকতা, দুর্নীতি, লুটতরাজ, ধর্মকে পুঁজি করে রাজনীতি এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ষড়যন্ত্র করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিশৃঙ্খলা ও অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা করে আসছে। সত্যিকার অর্থে এদের ধর্মের প্রতি তেমন কোনো আনুগত্য নেই। তারা ধর্মকে ব্যবহার করে অসাম্প্রদায়িক সোনার বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতাকে উসকে দিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত থাকে সবসময়ই। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি রাজাকারদের সংগঠন বিএনপি-জামায়াতের নিকট পছন্দের নয়। শান্তিশৃঙ্খলা তারা কখনোই চায়নি তাই উসকানি দিয়ে বিভিন্ন সময়ে কুমিল্লা, নোয়াখালী, রংপুরে বিভিন্ন ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে। বিএনপি বিভিন্ন সময় ভারতবিরোধী কথা বলে, হিন্দুদের ভোটকেন্দ্রে যেতে দিতে চায় না বা বাধা দেয়, তারা বাংলাদেশের মানুষের শান্তি বিনষ্ট করতে সবসময়ই অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতাকে উসকে দেওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলাপূর্ণ পরিস্থিতিতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির প্রচেষ্টা অতীতের মতো এখনো চালিয়ে যাচ্ছে।

রাজাকারদের সংগঠন বিএনপির সন্ত্রাস এবং জঙ্গিবাদের মতো অপরাজনীতির ভয়াবহ ইতিহাস জানতে আমাদেরকে একটু পেছনে ফিরে যেতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের শুরু থেকে সন্ত্রাসী সংগঠন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বঙ্গবন্ধুবিরোধী ষড়যন্ত্রে সক্রিয় হয়ে ওঠে এদেশের পাকিস্তানি এজেন্টরা। দুঃখজনক হলেও সত্য, বঙ্গবন্ধু হত্যার অন্যতম প্রধান কুশীলব ছিলেন বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। জিয়া ও তার পরিবার বঙ্গবন্ধু হত্যার সবচেয়ে বড় সুবিধাভোগী এবং সেই সুবিধাভোগীদের সৃষ্ট উপজাত হচ্ছে আজকের জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্ট কর্তৃক প্রকাশিত বিভিন্ন দলিলে উঠে এসেছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারকে হত্যায় জিয়াউর রহমান ও খন্দকার মোশতাকের দীর্ঘ নীলনকশার সব তথ্য। সন্ত্রাসী জিয়াউর রহমান নিজের সুবিধার স্বার্থে বঙ্গবন্ধুকে হত্যায় মদদ দিয়েছিল এবং স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তির সহায়তায় বিএনপি নামের সংগঠনটি গড়ে তুলেছিল। মুক্তিযুদ্ধের রাজাকারদের নিয়ে খুনি জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া সন্ত্রাসী সংগঠন বিএনপি তাদের অতীতে করা দুর্নীতি, লুটপাট, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ইত্যাদি কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনসাধারণের জীবনকে বিষিয়ে তুলেছিলেন। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে রাজাকারদের সংগঠন বিএনপি-জামায়াত কখনো বিশ্বাসী ছিল না। বরং বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে বিশ্বাসী স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের যে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে তাতে বাধা সৃষ্টি করার লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার চালিয়ে এসেছে তারা।

গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং বাংলাদেশের উন্নয়নে বিশ্বাসী আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে উন্নয়নের এমন কোনো দিক নেই যেখানে বাংলাদেশের সফল পদচারণা হয়নি। অথচ রাজাকারদের সংগঠন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শাসনামলে বাংলাদেশের উন্নয়নের চেহারা ছিল বর্তমান সময়ের উন্নয়ন অবস্থার সম্পূর্ণ বিপরীত। বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ছিল অনেক কম, বেকারত্বের হার ছিল অনেক বেশি, ছিনতাই, লুটপাট, রাহাজানি, মারামারি, সন্ত্রাসী, দুর্নীতি, ধর্ষণ, জঙ্গিবাদ ইত্যাদি ছিল নিত্যনৈমেত্তিক বিষয়। জনজীবনে কোনো ধরনের নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তা ছিল না। বাংলাদেশের রিজার্ভ ছিল অনেক কম, বিদ্যুৎ সংকট, গ্যাস সংকট এসব ছিল প্রতিদিনের সমস্যা।

বিএনপি-জামায়াত জোট শাসনামলের বাংলাদেশের দুরবস্থাই প্রমাণ করে যে বিএনপি-জামায়াত দেশ এবং দেশের মানুষের উন্নয়নের পরিবর্তে দেশের ক্ষতিই বেশি করেছে। তাদের সময়ে বাংলাদেশের সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক কোনো স্থিতিশীলতা ছিল না। এমনকি এখনো আন্দোলনের নামে জ্বালাও-পোড়াও করে দেশের স্থিতিশীল অবস্থাকে নষ্ট অস্থিতিশীলতা তৈরি করে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় আসতে সব ধরনের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। বিএনপি-জোট সরকারের আমলে দুর্নীতিতে ৫ বারের চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ এখন শেখ হাসিনা সরকারের নেতৃত্বে সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক দিক দিয়ে স্থিতিশীল রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি লাভ করেছে। দারিদ্র্য ও ভঙ্গুর অর্থনীতির কারণে স্বাধীনতার পর বৈশ্বিক আলোচনায় ছিল বাংলাদেশ। আর স্বাধীনতার ৫০ বছরে অভূতপূর্ব উন্নয়ন ও ভূরাজনীতি দেশটিকে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনোযোগের কেন্দ্রে নিয়ে এসেছে। বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ তাদের ‘উন্নয়ন পোস্টার চাইল্ড’ হিসেবে বাংলাদেশকে তুলে ধরেছিল। পশ্চিমা বিশ্বের তথাকথিত ‘বাস্কেট কেস’ তত্ত্ব উড়িয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার জাদুকরী নেতৃত্বে দেশটি এখন উন্নয়নের রোল মডেল।

স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি বিএনপি-জামায়াতের কুশাসনে সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত বাংলাদেশ আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দক্ষ সাংগঠনিক নেতৃত্বের মাধ্যমে পৃথিবীর বুকে আত্মমর্যাদার সঙ্গে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের শেষ বছর ২০০৬ সালের বাংলাদেশ এবং গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে পরিচালিত বাংলাদেশ সম্পূর্ণ আলাদা। ২০০৬ সালের বাংলাদেশের উন্নয়নচিত্রের সঙ্গে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তুলনামূলক বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে ৫ থেকে ৪০ গুণ এগিয়েছে আমাদের বাংলাদেশ। দুই শাসনামলের অর্থনীতি, মানুষের জীবনমান উন্নয়ন, বিদ্যুৎ, শিক্ষা, কৃষি, যোগাযোগ অবকাঠামো, ডিজিটাল সেক্টরে উন্নয়ন চিত্র এসব কিছুতে হয়েছে অভাবনীয় পরিবর্তন।

অর্থনীতির বিভিন্ন অর্জনের তথ্য বিশ্লেষণ করলে দেখা যাচ্ছে যে, ২০০৬ সালে দেশে প্রবৃদ্ধি ছিল ৫.৪০ শতাংশ কিন্তু ২০২৩ সালে করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে সাময়িক বাধাগ্রস্ত হওয়া সত্ত্বেও বেড়ে ২০২৩ সালে প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশ এবং পরের বছর সেটা বেড়ে ৭ শতাংশে পৌঁছাবে। ২০০৬ সালে মাথাপিছু আয় (নমিনাল) যেখানে ছিল ৫৪৩ মার্কিন ডলার, বিগত সময়ে ৫ গুণ বেড়ে ২০২৩ সালে মাথাপিছু আয় হয়েছে ২৭৯৩ মার্কিন ডলার এবং মাথাপিছু আয় (পিপিপি) ২০০৬ সালে ছিল ১৭২৪ এবং তা বিগত সময়ে তা ৫ গুণ বেড়ে ২০২৩ সালে ৮৭৭৯ মার্কিন ডলার হয়েছে। ২০০৬ সালে মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ শতাংশ। ২০২১ সালে তা ছিল মাত্র ৫.৫ শতাংশ। বর্তমানে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দাবস্থা বিরাজ করায় তার বিরূপ প্রভাবে বাংলাদেশের মুদ্রাস্ফীতি একটু বেশি মনে হলেও তা বিএনপির শাসনামলের চেয়েও কম এবং আইএমএফ এর গবেষণা বলছে তা এই বছরের শেষ দিকে ৭ শতাংশে নেমে আসবে। ২০০৬ সালে বাজেটের ছিল মাত্র ৬১ হাজার কোটি টাকা।

আর তা ১২ গুণ বেড়ে ২০২৩ সালে বাজেটের আকার হয়েছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। ২০০৬ সালে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল মাত্র ০ দশমিক ৭৪৪ বিলিয়ন ডলার (১ বিলিয়ন ডলারের নিচে) বর্তমানে ৩৩ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৩ সালে হয়েছে ৩০ দশমিক ৮৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। রপ্তানি আয় ছিল ২০০৬ সালে মাত্র ১০.০৫ বিলিয়ন ডলার যা ৫ গুণ বেড়ে ২০২৩-এ হয়েছে ৫২ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০০৬ সালে রেমিট্যান্স ছিল মাত্র ৪.৮ বিলিয়ন ডলার আর ২০২৩-এ ৬ গুণ বেড়ে গিয়ে তা ২৪.০৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে। ২০০৬ সালে আমদানি ব্যয় যেখানে মাত্র ১৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার ছিল সেখানে ২০২৩ সালে আমদানি বাড়ায় আমদানি ব্যয় ৮২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে। এ ছাড়া ২০০৬ সালে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ ছিল ২ হাজার ৫০৫ কোটি টাকা। ৫০ গুণ বেড়ে ২০২৩ সালে এ খাতের বরাদ্দ বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ২৬ হাজার ২৭২ কোটি টাকা। প্রস্তাবিত এই বরাদ্দ মোট বাজেটের ১৬ দশমিক ৫৮ শতাংশ এবং মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) ২ দশমিক ৫২ শতাংশ।

সুতরাং, আওয়ামী লীগ সরকার মানেই দুর্নীতি, সন্ত্রাস এবং রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি। রাজাকারদের মদদে গড়ে ওঠা জঙ্গিবাদ দমন করে বাঙালি জনজীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মাধ্যমে তাদের ভাগ্যের পরিবর্তন। সুদীর্ঘ ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে রাজাকার এবং জঙ্গিবাদমুক্ত বাংলাদেশে পুনরায় কোনো রাজাকারের ঠাঁই হতে পারে না। রাজাকাররা যেন বাংলাদেশে পুনরায় আস্তানা গেড়ে এ দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে ব্যাহত করতে না পারে, সে ব্যাপারে আমাদের সবাইকে সবসময় সতর্ক থাকতে হবে। আমাদের অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে যে বঙ্গবন্ধুর আত্মত্যাগ এবং শহীদের বুকের তাজা রক্তে কেনা বাংলাদেশ যেন আর কখনো স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকারদের আস্তানায় পরিণত না হয়। এমতাবস্থায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা, উন্নয়ন এবং অগ্রগতিতে অবিশ্বাসী রাজাকারদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিবাদী আন্দোলন গড়ে তোলার মাধ্যমে এদেরকে সমূলে উৎখাত করে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে আমাদের সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া: উপাচার্য, (রুটিন দায়িত্ব) বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ও সাবেক চেয়ারম্যান, ট্যুরিজম অ্যান্ড হস্পিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

[ নিবন্ধ, সাক্ষাৎকার, প্রতিক্রিয়া প্রভৃতিতে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। দৈনিক কালবেলার সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে নিবন্ধ ও সাক্ষাৎকারে প্রকাশিত মত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। প্রকাশিত লেখাটির ব্যাখ্যা বা বিশ্লেষণ, তথ্য-উপাত্ত, রাজনৈতিক, আইনগতসহ যাবতীয় বিষয়ের দায়ভার লেখকের, দৈনিক কালবেলা কর্তৃপক্ষের নয়। ]
কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জমি নিয়ে দ্বন্দ্বে চাচার হাতে ভাতিজি খুন

পশুর হাটে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ

অর্থনীতিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এনে দাঁড় করিয়েছে সরকার : মান্না

অমরত্ব পেল লেভারকুসেন

শেখ হাসিনাই বাংলাদেশের জন্য অপরিহার্য : পরশ

ইউরোপে ভয়ংকর মিশনে নেমেছে ন্যাটো-সিআইএ

‘চেয়ারে বসলেই ৫০ কোটি টাকা’

রাজশাহীতে পুলিশ-বিএনপি ধ্বস্তাধ্বস্তি

মাছের সঙ্গে এ কেমন শত্রুতা!

যে বার্তা দিলেন জামায়াতের সেক্রেটারি  

১০

নাফনদী থেকে দুই বাংলাদেশি যুবককে অপহরণ করেছে আরসা

১১

বিদ্যুৎস্পর্শে পল্লীবিদ্যুৎ শ্রমিকের মৃত্যু

১২

কালবেলায় সংবাদ প্রকাশ / বেশি দামে মসলা বিক্রির সত্যতা পেলেন ম্যাজিস্ট্রেট

১৩

জান্তার হেলিকপ্টার ভূপাতিতের দাবি মিয়ানমারের বিদ্রোহীদের

১৪

বাজারে যাওয়ার পথে সাপের কামড়ে বৃদ্ধের মৃত্যু

১৫

আন্দোলন নিয়ে নতুন বার্তা কর্নেল অলির

১৬

‘নো হেলমেট, নো ফুয়েল’ বাস্তবায়নে মাঠে ফেনী পুলিশ

১৭

পরিবেশ রক্ষায় জবি শিক্ষার্থীর একক পদযাত্রা

১৮

জীবন দিয়ে দেশবিরোধী অপশক্তিকে মোকাবিলা করব : নাছিম 

১৯

মহানন্দা নদীতে ডুবে দুজনের মৃত্যু

২০
X