লিবিয়ার অন্যতম শহর দেরনায় ভয়াবহ বন্যায় হাজার হাজার মানুষ মারা গেছে। এ ঘটনায় সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) শহরটিতে বিক্ষোভ করেছেন শত শত মানুষ। এ সময় তারা কর্তৃপক্ষকে দায়ী এবং তাদের জবাবদিহির দাবি জানিয়েছেন। দেশটিতে গত সপ্তাহে ভয়াবহ বন্যা হয়েছিল।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, বিক্ষোভের সময় সোমবার সন্ধ্যায় দেরনার মেয়র আব্দুলমেনাম আল-গাইথির বাসভবনে আগুন দিয়েছেন বিক্ষুব্ধরা। মেয়রের অফিস ম্যানেজারের বরাতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলের সরকারের মন্ত্রী হিকেম আবু চাকিওয়াত বলেন, দেরনা শহরের মেয়র আব্দুলমেনাম আল-গাইথিকে তার পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মেয়রের মন্তব্য জানতে চেষ্টা করেছে রয়টার্স। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তা সম্ভব হয়নি।
দেশটিতে গত সপ্তাহে বন্যায় দুটি বাঁধ ধসে যায়। এতে শহরজুড়ে ভয়াবহ বিপর্যয় দেখা দেয়। এ ঘটনায় সোমবার শহরে বিশাল বিক্ষোভ করেন নগরবাসী। এ সময় তারা শহরের বিখ্যাত সাহাবা মসজিদের সামনে অবস্থান নেন। বিক্ষোভে তারা পূর্ব লিবিয়ার স্বঘোষিত সরকারের সংসদের প্রধান আগুইলা সালেহর বিরুদ্ধেও স্লোগান দেন। বিক্ষোভকারীদের দাবি, বাঁধ দুটি সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণ করা হলে এত মানুষের মৃত্যু হতো না।
লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলীয় সরকার জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী উসামা হামাদ দেরনা মিনিউসিপাল কাউন্সিলের সকল সদস্যকে বরখাস্ত করেছেন। তিনি তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে ভারি বৃষ্টিপাতে বাঁধ ভেঙে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যায় মৃতের সংখ্যা ১১ হাজার ছাড়িয়েছে। এ সংখ্যা বেড়ে ২০ হাজারে পৌঁছাতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন শহরের মেয়র।
এর আগে গত সপ্তাহে গ্রিসে তাণ্ডব চালিয়ে ঝড় ড্যানিয়েল রোববার ভূমধ্যসাগর অঞ্চলে আঘাত হানে। এ ঝড়ের প্রভাবে ভারি বৃষ্টিপাতে দেরনা শহরের দুটি বাঁধ ভেঙে সব রাস্তাঘাট তলিয়ে যায়। এ সময় শহরের বিভিন্ন বহুতল ভবন ঘুমন্ত বাসিন্দাদের ওপরই ধসে পড়ে। এমনকি বন্যার পানিতে অনেক মানুষের মরদেহ শতাধিক কিলোমিটার দূরে ভেসে গেছে।
মন্তব্য করুন