জঙ্গলে গাছের সঙ্গে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে এক নারীকে। কেবল তাই নয়, সেখানে তাকে দেওয়া হয়নি কোনো খাবারও। ফলে ক্ষুধা, তৃষ্ণা আর ভয়ে দুর্বল হয়ে পড়েন তিনি। তবে তার বাঁচার আকুতি শুনতে পান এক রাখাল। এরপর তিনি পুলিশে খবর দিলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
শনিবার (০৩ আগস্ট) বিবিসির এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানানো হয়েছে। জঙ্গল থেকে উদ্ধার করা ওই নারীকে নিয়ে ক্রমেই রহস্য বাড়ছে।
জানা গেছে, ভারতের মহারাষ্ট্রের সিন্ধুদুর্গ জেলার জঙ্গলে ওই নারীকে শিকলে বাঁধা অবস্থায় পাওয়া গেছে। ললিতা কায়ি নামের ওই নারী মার্কিন নাগরিক।
সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দিন সাতেক আগে ওই নারীকে জঙ্গল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তিনি কীভাবে ভারতীয় জঙ্গলে এসে আটকা পড়লেন বা কারা তাকে আটকে রেখে তা নিয়ে রহস্য দেখা দিয়েছে।
উদ্ধার করার সময়ে ওই নারী ভীষণ দুর্বল ছিলেন। ফলে তাকে তখন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তার অবস্থা কিছুটা উন্নতি হয়েছে। শুক্রবার তাকে হাসপাতাল থেকে মানসিক চিকিৎসাকেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়েছে।
পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্বামীর সঙ্গে ওই নারী জঙ্গলে গিয়েছিলেন। এরপর তার স্বামী তাকে শিকলে আটকে রেখে পালিয়ে যান। ওই নারীর অভিযোগ, তার স্বামীর উদ্দেশ্য ছিল ক্ষুধা-তৃষ্ণায় যাতে তার মৃত্যু হয়। পুলিশের কাছে তিনি এমন অভিযোগ করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ললিতা নামের ওই মার্কিন নারীর স্বামীকে খোঁজ করা হচ্ছে। প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে তামিলনাড়ুতে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। তবে এখনো তার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। এমনকি ললিতার শিকলবন্দি হওয়ার কারণও জানা যায়নি।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, ওই নারীর কাছে তার মার্কিন পাসপোর্ট এবং একটি ভারতীয় আধার কার্ড পাওয়া গেছে। এতে তামিলনাড়ুর এক নৃত্যশিল্পী ও যোগব্যায়াম অনুশীলনকারীর ঠিকানা পাওয়া গেছে। তবে রহস্যের কোনো কূল-কিনারা করতে পারেনি তারা।