কালবেলা ডেস্ক
প্রকাশ : ০৩ মার্চ ২০২৪, ০৫:১৬ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

যুদ্ধবিরতি নিয়ে যে বার্তা দিলেন ফিলিস্তিনি নেতা

ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত বসতি। ছবি : সংগৃহীত
ইসরায়েলি হামলায় বিধ্বস্ত বসতি। ছবি : সংগৃহীত

বেশ কয়েকদিন ধরে আলোচনায় রয়েছে রমজানে গাজায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা। এবার এ নিয়ে সুসংবাদ দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামীদের সংগঠন হামাস। রোববার (০৩ মার্চ) দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

হামাসের এক সিনিয়র নেতা এএফপিকে জানান, ইসরায়েল তাদের দাবি মেনে নিলে ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে গাজায় যুদ্ধবিরতি হতে পারে।

রোববার ফিলিস্তিন-ইসরায়েল ও যুদ্ধবিরতির মধ্যস্থতাকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র-কাতার আলোচনায় বসতে মিসরের রাজধানী কায়রোতে পৌঁছেছে। সব পক্ষই রমজানের আগে যুদ্ধবিরতির জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। আগামী ১০ অথবা ১১ মার্চ থেকে রমজান শুরু হবে। তার আগে এ আলোচনায় বসেছে সব পক্ষ।

যুদ্ধবিরতিতে বেশ কয়কটি শর্তারোপ করেছে হামাস। এগুলো হলো গাজা উপত্যাকা থেকে ইসরায়েলের সেনা প্রত্যাহার, ত্রাণ সহায়তা বৃদ্ধি এবং বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের গাজার উত্তরাঞ্চলে নিজেদের ঘর-বাড়িতে ফিরতে দেওয়া। এসব শর্ত মেনে নিলে আগামী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যুদ্ধবিরতির পথ প্রশস্ত হতে পারে।

আলজাজিরা আরবি বিভাগের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুপক্ষের মধ্যে ছয় সপ্তাহ পর্যন্ত যুদ্ধবিরতি হতে পারে। এ সময় হামাসের হাতে বন্দি ৪০ ইসরায়েলির মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে আটক ৪০০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হবে।

এ ছাড়া যুদ্ধবিরতির সময়ে গাজায় ত্রাণবাহী ট্রাকের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ানো হবে। সূত্রের বরাতে রয়টার্স জানিয়েছে, গাজার হাসপাতাল ও বেকারি মেরামত করা হবে। প্রতিদিন ৫০০টির মতো ট্রাক ত্রাণসহায়তা নিয়ে গাজায় প্রবেশের অনুমতি পাবে।

গত ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে প্রবেশ করে নজিরবিহীন হামলা চালিয়ে ১ হাজার ২০০ ইসরায়েলিকে হত্যার পাশাপাশি প্রায় ২৫০ ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় বন্দি করে নিয়ে আসে হামাস। একই দিন হামাসকে নির্মূল এবং বন্দিদের মুক্তি নিশ্চিত করতে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী এই সংগঠনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে ইসরায়েল। গত নভেম্বরে সাত দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিনিময়ে ১১০ ইসরায়েলি বন্দিকে হামাস মুক্তি দিলেও এখনো তাদের হাতে ১৩০ জনের মতো বন্দি আছেন।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

মৃত্যুর অপেক্ষায় দিন গুনছেন যুবরাজের বাবা!

রাজধানীতে ককটেল বিস্ফোরণ

থানায় ককটেল নিক্ষেপ, ৩ পুলিশ আহত

বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের আগে মধ্যরাতে হামজার পোস্ট

‘আই ডোন্ট কেয়ার’ লেখা ফটোকার্ড পোস্ট, ঢাবির ডেপুটি রেজিস্ট্রারকে থানায় সোপর্দ

ইতালিতে শীতকালীন পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় ভুক্তভোগীদের জন্য ‘গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত’: জাতিসংঘ

২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত যে ৩২ দলের

‘হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় যেদিন কার্যকর হবে, সেদিন আমি আনন্দিত হবো’

সাবেক এমপি হারুনের বক্তব্যের প্রতিবাদ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের

১০

সড়ক অবরোধের অভিযোগে দুই ছাত্রলীগ নেতা আটক

১১

দণ্ডিতদের বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সির

১২

আফগানিস্তানকে বড় ব্যবধানে হারাল বাংলাদেশ

১৩

রায়ে ‘ন্যায় বিচার’ প্রতিষ্ঠা পেয়েছে : বিএনপি

১৪

বর্ষসেরা ফুটবলারের সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রকাশ, আছেন যারা

১৫

শেখ হাসিনার মামলার পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ কী

১৬

গাজীপুর জেলা কারাগারে হাজতির মৃত্যু

১৭

ঘুষের টাকা ফেরত চাওয়ায় মা-ছেলেকে পেটাল গ্রাম পুলিশ

১৮

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা মতিউর রহমান মারা গেছেন

১৯

নির্বাচিত সরকার না আসা পর্যন্ত সংকট দূর হবে না : কফিল উদ্দিন

২০
X