আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে দেশে ধাপে ধাপে জ্বালানি তেলের দাম কমাচ্ছে সরকার। এরই মধ্যে দুই দফা তেলের দাম কমানো হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে পরিবহন ভাড়া কমানোর দাবি ওঠে সব পক্ষ থেকেই। এমন বাস্তবতায় কিলোমিটারপ্রতি বাস ভাড়া ৩ পয়সা কমিয়েছে সরকার। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়। আজ মঙ্গলবার থেকে তা কার্যকর হবে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার রুটে চলাচলকারী বাস ও মিনিবাসের ক্ষেত্রে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ৩১ আগস্ট ২০২২ জারি করা প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত যাত্রীপ্রতি কিলোমিটারে সর্বোচ্চ ভাড়া ২ টাকা ১৫ পয়সার জায়গায় ২ টাকা ১২ পয়সা নির্ধারণ করা হলো। ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে চলাচলকারী বাসের ক্ষেত্রে ২ টাকা ৪২ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে চলাচলকারী মিনিবাস এবং ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষের (ডিটিসিএ) আওতাধীন জেলা (নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, নরসিংদী, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ ও ঢাকা জেলা) অভ্যন্তরে চলাচলকারী বাস ও মিনিবাস উভয় ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটারে ভাড়া ২ টাকা ৩৫ পয়সা থেকে কমিয়ে ২ টাকা ৩২ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে ঢাকা-চট্টগ্রাম নগরীতে বাস ও মিনিবাসের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ভাড়া ১০ ও ৮ টাকা বহাল থাকবে। প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য বিআরটিএ অনুমোদিত আসন সংখ্যা কমিয়ে বাস বা মিনিবাসের আসন সংখ্যা পুনর্বিন্যাস করা হলে অনুচ্ছেদ-ক অনুযায়ী নির্ধারিত ভাড়া আনুপাতিকভাবে পুনর্নির্ধারণ করতে হবে। সে ক্ষেত্রে রুট পারমিট অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)/যাত্রী ও পণ্য পরিবহন কমিটি থেকে আনুপাতিকহারে ভাড়ার হার অনুমোদন করাতে হবে। গ্যাসচালিত বাস ও মিনিবাসের ক্ষেত্রে এ ভাড়া প্রযোজ্য হবে না। সেইসঙ্গে ডিজেলচালিত বাস ও মিনিবাসের ভাড়া নির্ধারণ সংক্রান্ত আগে জারি করা সব প্রজ্ঞাপন বা আদেশ রহিত করা হয়েছে। নতুন ভাড়ার হার প্রতিটি বাস ও মিনিবাসের দৃশ্যমান স্থানে আবশ্যিকভাবে টানিয়ে রাখতে হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। এর আগে সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কার্যালয়ে বাস ভাড়া নির্ধারণী কমিটি বৈঠক করে কিলোমিটার প্রতি ৩ পয়সা ভাড়া কমানোর সুপারিশ করে। পরে এ প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয় বলে জানান বিআরটিএর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার। এদিকে, প্রতি কিলোমিটারে মাত্র ৩ পয়সা বাস ভাড়া কমিয়ে সরকার দেশের যাত্রীসাধারণের সঙ্গে তামাশা করছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ অভিযোগ করা হয়। তারা বলেছে, দফায় দফায় জ্বালানি তেলের মূল্য কমানোর হিস্যা অনুযায়ী বাস ভাড়া কমানো হয়নি। সংগঠনটি বলছে, আসন্ন ঈদযাত্রায় দেশের বিভিন্ন রুটে যাতায়াতকারী অধিকাংশ বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য শুরু হয়েছে। এমন সময়ে দুই দফা জ্বালানি তেলের দাম কমানো পর সরকার এখন বাসের ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে মাত্র ৩ পয়সা কমানোর ঘোষণা দিয়েছে, যা কোনোভাবেই কার্যকর যোগ্য নয়। এর আগে সরকার ২০১১ সালে বাস ভাড়া ২ পয়সা কমিয়েছিল। এর সুফল যাত্রী সাধারণ পায়নি। এরপর ২০১৬ সালে জ্বালানি তেলের মূল্য কমানোর কারণে বাস ভাড়া ৩ পয়সা কমানোর সুফল থেকেও দেশের যাত্রীসাধারণ বঞ্চিত হয়েছে। ঠিক একই পন্থায় বাস মালিকদের বিশেষ সুবিধা দিতে এবারও বাস ভাড়া কমানোর সুফল মিলবে না। জ্বালানি তেলের মূল্য কমানোর সুফল শুধু বাস ও অন্যান্য পরিবহনের মালিকরা ভোগ করলেও দেশের জনগণ বঞ্চিত হবে। বিবৃতিতে অনতিবিলম্বে উল্লেখযোগ্য হারে জ্বালানি তেলের দাম কমিয়ে দেশের সাধারণ নাগরিকদের সামর্থ্য বিবেচনায় গণপরিবহন ভাড়া উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনার দাবি জানায় সংগঠনটি।

আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে দেশে ধাপে ধাপে জ্বালানি তেলের দাম কমাচ্ছে সরকার। ইতোমধ্যে দুই দফা তেলের দাম কমানো হয়েছে। এ প্রেক্ষিতে পরিবহন ভাড়া কমানোর দাবি উঠেছে সব পক্ষ থেকেই।  এমন বাস্তবতায় জ্বালানি তেলের দাম ২ টাকা ২৫ পয়সা কমিয়ে কিলোমিটার প্রতি বাস ভাড়া ৩ পয়সা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) থেকে নতুন এই বাসভাড়া কার্যকর হবে।  রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে গতকাল সন্ধ্যায় উপসচিব মো. মনিরুল আলম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, আন্তঃজেলা ও দূরপাল্লার রুটে চলাচলকারী বাস ও মিনিবাসের ক্ষেত্রে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের ৩১ আগস্ট ২০২২ তারিখে জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে উল্লিখিত যাত্রীপ্রতি কিলোমিটারে সর্বোচ্চ ভাড়া দুই টাকা ১৫ পয়সার স্থলে ২.১২ পয়সা নির্ধারণ করা হলো।   ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে চলা বাসের ক্ষেত্রে ২.৪৫ পয়সার স্থলে দুই টাকা ৪২ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে চলাচলকারী মিনিবাস এবং ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) এর আওতায়ধীন জেলা (নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ, নরসিংদী, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ ও ঢাকা জেলা) অভ্যন্তরে চলাচলকারী বাস ও মিনিবাস উভয় ক্ষেত্রে প্রতি কিলোমিটার ভাড়া ২.৩৫ টাকার স্থলে ২.৩২ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে ঢাকা-চট্টগ্রাম নগরীতে বাস ও মিনিবাসের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন ভাড়া ১০ ও আট টাকা বহাল থাকবে।  প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, আরামদায়ক ভ্রমণের জন্য বিআরটিএ কর্তৃক অনুমোদিত আসন সংখ্যা কমিয়ে বাস/মিনিবাসের আসন সংখ্যা পুনর্বিন্যাস করা হলে অনুচ্ছেদ-ক অনুযায়ী নির্ধারিত ভাড়া আনুপাতিকভাবে পুনঃনির্ধারণ করতে হবে। সেক্ষেত্রে রুট পারমিট অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)/যাত্রী ও পণ্য পরিবহন কমিটি হতে আনুপাতিকহারে ভাড়ার হার অনুমোদন করাতে হবে।  গ্যাস চালিত বাস ও মিনিবাসের ক্ষেত্রে এ ভাড়া প্রযোজ্য হবে না। সেই সঙ্গে ডিজেল চালিত বাস ও মিনিবাসের ভাড়া নির্ধারণসংক্রান্ত আগে জারিকৃত সব প্রজ্ঞাপন/ আদেশ রহিত করা হয়েছে।  প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, নতুন ভাড়ার হার প্রতিটি বাস ও মিনিবাসের দৃশ্যমান স্থানে আবশ্যিকভাবে টাঙিয়ে রাখতে হবে।  এর আগে সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কার্যালয়ে বাস ভাড়া নির্ধারণী কমিটি বৈঠক করে কিলোমিটার প্রতি ৩ পয়সা ভাড়া কমানোর সুপারিশ করে। সঙ্গে সঙ্গে ভাড়া কমানোর এ প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে। বিআরটিএর চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ মজুমদার কালবেলাকে বলেন, ‘ভাড়া কমানোর সুপারিশ আমরা এরই মধ্যে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি।  এদিকে ঈদযাত্রায় দেশের বিভিন্ন রুটে বাসে যখন অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য চলছে, এমন সময়ে দফায় দফায় জ্বালানি তেলের মূল্য কমানোর হিস্যা অনুযায়ী বাস ভাড়া কমানোর পরিবর্তে প্রতি কিলোমিটারে মাত্র ৩ পয়সা বাসের ভাড়া কমিয়ে সরকার দেশের যাত্রীসাধারণের সঙ্গে তামাশা করছে বলে অভিযোগ করেছেন যাত্রী অধিকার রক্ষায় সোচ্চার সংগঠন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।  গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বার্তায় দেশের যাত্রী অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিয়োজিত সংগঠন বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে এই অভিযোগ করা হয়।  এতে বলা হয়, আসন্ন ঈদযাত্রায় দেশের বিভিন্ন রুটে যাতায়াতকারী অধিকাংশ বাসে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্য শুরু হয়েছে। এমন সময়ে ২ দফা জ্বালানি তেলের দাম কমানো পর সরকার আজ বাসের ভাড়া প্রতি কিলোমিটারে মাত্র ৩ পয়সা কমানো ঘোষণা দিয়েছে। যা কোনোভাবেই কার্যকর যোগ্য নয়।  ইতোপূর্বে সরকার ২০১১ সালে বাসের ভাড়া ২ পয়সা কমিয়েছিল। এর সুফল যাত্রী সাধারণ পায়নি। এরপর ২০১৬ সালে জ্বালানি তেলে মূল্য কমানোর কারণে বাসের ভাড়া ৩ পয়সা কমানোর সুফল থেকেও দেশের যাত্রীসাধারণ বঞ্চিত হয়েছে। ঠিক একই পন্থায় বাস মালিকদের বিশেষ সুবিধা দিতে এবারো বাস ভাড়া ৩ পয়সা কমানোর সুফল কোনো পরিবহনে মিলবে না। এতে জ্বালানি তেলের মূল্য কমানোর সুফল কেবলমাত্র বাস ও অন্যান্য পরিবহনের মালিকরা ভোগ করলেও দেশের জনগণ বঞ্চিত হবে। বিবৃতিতে অনতিবিলম্বে উল্লেখযোগ্য হারে জ্বালানি তেলের দাম কমিয়ে দেশের সাধারণ নাগরিকদের সামর্থ্য বিবেচনায় গণপরিবহন ভাড়া উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে আনার দাবি জানান সংগঠনটি।