টেস্টের পর টি-টোয়েন্টিতেও হোয়াইটওয়াশ শান্তরা
হায়দরাবাদে অনুষ্ঠিত তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে ভারতের বিপক্ষে ১৩৩ রানে বিশাল ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। ২৯৭ রানের বিশাল লক্ষ্যে খেলতে নেমে কিছুটা আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করলেও শেষ পর্যন্ত ১৬৪ রানে থেমে যায় টাইগারদের ইনিংস। এদিন, টি-টোয়েন্টির মেজাজে ব্যাটিং করেও ফলাফল বাংলাদেশের জন্য আরও একবার ‘লজ্জা’ শব্দটির সঙ্গে পরিচিতি বাড়াল।
প্রথম ১০ ওভারেই বাংলাদেশ তুলেছিল ৯৪ রান, তবে দ্রুত উইকেট হারানো এবং ভারতের শক্তিশালী বোলিং আক্রমণের কারণে সেই ভালো শুরু ধরে রাখতে পারেনি দলটি। ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন প্রথম বলেই ফিরে যান মায়াঙ্ক যাদবের বলে। তবে লিটন দাস ও তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাটিংয়ে কিছুটা আশা দেখা গেলেও ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি। লিটন দাস ২৫ বলে ৪২ রান করেন, যেখানে ছিল ৮টি চার। তবে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের শুরু হলেও লম্বা ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হন তিনি।
তাওহীদ হৃদয় ৫০ রানের ইনিংস খেলে দলের স্কোর বাড়ানোর চেষ্টা করলেও বাকিরা তাকে খুব একটা সঙ্গ দিতে পারেনি। বিশেষ করে মাহমুদউল্লাহ, যিনি নিজের শেষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৯ বল খেলে মাত্র ৮ রান করে আউট হন। ম্যাচটিতে রানের বিবেচনায় এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় হারগুলোর একটি হয়ে রইল।
ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং তাণ্ডবে বাংলাদেশি বোলারদের জন্য দিনটি ছিল ভুলে যাওয়ার মতো। সঞ্জু স্যামসন মাত্র ৪০ বলে সেঞ্চুরি করে ভারতের হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন। সূর্যকুমার যাদব ৩৫ বলে ৭৫ রান করেন এবং হার্দিক পান্ডিয়া মাত্র ১৮ বলে ৪৭ রান করেন। তাসকিন আহমেদ, তানজিম সাকিব এবং মুস্তাফিজুর রহমান—তিনজনই ৫০ এর বেশি রান দেন। তানজিম সাকিব তার ৪ ওভারে ৬৬ রান খরচ করেন, যা বাংলাদেশের কোনো বোলারের সবচেয়ে বেশি রান দেওয়ার রেকর্ড।
এই হারটি বাংলাদেশ ক্রিকেটে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আরও একটি হতাশাজনক অধ্যায় হিসেবে লেখা হয়ে রইল।