ড. ইউনূস পদত্যাগ করলে বিকল্প খুঁজে নেবে জাতি : সালাহউদ্দিন আহমেদ

ড. ইউনূস পদত্যাগ করলে বিকল্প খুঁজে নেবে জাতি : সালাহউদ্দিন আহমেদ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগ চায় না বিএনপি, তবে করলে বিকল্প বেছে নেবে জাতি। শুক্রবার (২৩ মে) একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া এক
জটিলতা সৃষ্টি করে মান-অভিমান, এটা গ্রহণযোগ্য কাজ না : আনু মুহাম্মদ
জটিলতা সৃষ্টি করে মান-অভিমান, এটা গ্রহণযোগ্য কাজ না : আনু মুহাম্মদ
বিএনপি ক্ষমতায় এলে জুলাই শহীদ-আহতদের দায়িত্ব রাষ্ট্র নেবে : রিজভী
বিএনপি ক্ষমতায় এলে জুলাই শহীদ-আহতদের দায়িত্ব রাষ্ট্র নেবে : রিজভী
হিন্দু যুগলের বিয়ের অনুষ্ঠানে পাশে দাঁড়াল মুসলিম পরিবার
হিন্দু যুগলের বিয়ের অনুষ্ঠানে পাশে দাঁড়াল মুসলিম পরিবার
বিএনপির প্রতি সারজিসের আহ্বান
বিএনপির প্রতি সারজিসের আহ্বান
‘জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যেই হবে’
‘জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যেই হবে’
‘আপনি ব্যক্তি ইউনূস নন, বাংলাদেশের ১৮ কোটির ড. ইউনূস’
‘আপনি ব্যক্তি ইউনূস নন, বাংলাদেশের ১৮ কোটির ড. ইউনূস’
  • পুরাতাত্ত্বিক সংগ্রহশালা

    জাদুঘর সমাজের দর্পণ। জাদুঘর জাতির শিকড় সন্ধান করে। পৃথিবীর শুরু থেকে আজ পর্যন্ত যত ঐতিহাসিক নিদর্শন জমা হচ্ছে, তারই প্রতিচ্ছবি হলো জাদুঘর। জাদুঘর মানেই হারিয়ে যাওয়া ব্যতিক্রমী অদ্ভুত জিনিসের সংগ্রহশালা। জাদুঘর জাতির হাজার বছরের ইতিহাস, ঐতিহ্যের বিশাল সংগ্রহভান্ডার। এ সমৃদ্ধ সংগ্রহের মাধ্যমে জাদুঘর জনগণের সঙ্গে সেতুবন্ধ তৈরি করে। জাদুঘর বলতে বোঝায় এমন একটি ভবন বা প্রতিষ্ঠান যেখানে পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শনসমূহের সংগ্রহ সংরক্ষিত থাকে। জাদুঘরে বৈজ্ঞানিক, শৈল্পিক ও ঐতিহাসিক গুরুত্বসম্পন্ন বস্তুসমূহ সংগ্রহ করে সংরক্ষিত করা হয় এবং সেগুলো আঁধারের মধ্যে রেখে স্থায়ী অথবা অস্থায়ীভাবে জনসাধারণের সমক্ষে প্রদর্শন করা হয়। ইতিহাস-ঐতিহ্য, প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন ও গুরুত্বপূর্ণ স্মৃতি বহন করে জাদুঘর। এখানে অদ্ভুত ও উদ্ভট সবকিছুর

    হ-য-ব-র-ল সমাজব্যবস্থার দিন শেষ

    সুমিষ্ট সুগন্ধ আর রঙের আভিজাত্যে অনন্য বিচিত্রা ফুলের ইংরেজি নাম টুডে-ইয়াসটারডে-টুমোরো। প্রকৃতির নির্দিষ্ট সময়ে রং পরিবর্তন করে, বিচিত্র ফুল বিচিত্রা। অন্যদিকে প্রকৃতির অংশ বিচিত্র মানুষ, বিচিত্র তার চিন্তাভাবনা। যেমন—বাংলাদেশে মানুষের বিচিত্র চিন্তাভাবনায় এখন হ-য-ব-র-ল বর্তমান সমাজব্যবস্থা, যা নিয়ে বুধসমাজে, ব্যক্তিগত মতাদর্শ দ্বারা কমবেশি নিয়ন্ত্রিত, জ্ঞানী-গুণীদের বিভিন্ন মিডিয়ায় চলছে আলোচনা। পাশাপাশি বিশ্বের ‘অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক মঞ্চে’, সিস্টেম চিন্তাবিদদের বিতর্ক চলছে বাংলাদেশের দুরারোগ্য দুর্নীতি নিয়ে। বর্তমান সমাজব্যবস্থা নিয়ে জনগণের জ্ঞানীয় তথ্য ও আবেগের কেন্দ্রবিন্দুতে অনেক প্রশ্ন। যেমন, বর্তমান সমাজব্যবস্থা কী? কোন তন্ত্রবাদীর দর্শনে চলছে বর্তমান সমাজব্যবস্থা? কেন দ্রুত ওঠানামা করছে সমাজব্যবস্থা পরিবর্তনের ব্যারোমিটার? এই প্রশ্নগুলো সামনে রেখে আজকের নিবন্ধ। স্থানীয়, আঞ্চলিক, জাতীয় এবং

    নেতানিয়াহুর নেতৃত্বের সমাপ্তির সূচনা

    একটা সময় ছিল যখন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু প্রায় এককভাবেই ইসরায়েল-ফিলিস্তিন দ্বন্দ্বের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করছিলেন। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ছিল তখন প্রায় নিষ্ক্রিয়। গাজার মতো পশ্চিম তীরে যুদ্ধাবস্থা না থাকলেও সেখানে ইসরায়েল সরকারের রাজনৈতিক নিয়ন্ত্রণ ও কূটনৈতিক প্রভাব ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছিল। আর আন্তর্জাতিক আইনকে অবজ্ঞা করে ফিলিস্তিনের পূর্ণ ভূখণ্ডের ওপর তেল আবিবের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষাকে বাস্তবায়নে সমর্থন দিতে প্রস্তুত ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। নেতানিয়াহু মনে করছিলেন, তার গাজাকে সম্পূর্ণভাবে দখল করার ইচ্ছা পূরণ হতে যাচ্ছে। যেই ভূমি বহু বছর ধরে ইসরায়েলের দমনমূলক অবরোধ প্রতিহত করে আসছে, সেই ভূমি যেন তার অস্তিত্বের শেষ অধ্যায়ে এসে পৌঁছেছে। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনগুলো দেখে মনে হচ্ছে
  • শুধু জ্বালানি নয়, প্রযুক্তিও এখন ক্ষমতার মানদণ্ড

    রিয়াদ-দোহা-আবুধাবি—মাত্র ছয় দিনের এ সফরেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একাধিক বৈশ্বিক বার্তা ছুড়ে দিয়েছেন। ২০২৫ সালের মে মাসে দ্বিতীয় দায়িত্বকাল শুরু করার পর এ সফরকে বিশ্লেষকরা দেখছেন ‘নতুন বিশ্ব বিন্যাসের সূচক’ হিসেবে। সফরটি ছিল শুধু আনুষ্ঠানিকতার বাইরেও অনেক কিছু—এটি ছিল শক্তি, প্রযুক্তি ও কৌশলের এক কৌতূহলোদ্দীপক সংমিশ্রণ, যা মধ্যপ্রাচ্যকে কেন্দ্র করে বিশ্বশক্তির ভারসাম্য পুনর্গঠনের লক্ষ্যে নেওয়া এক দূরদর্শী পদক্ষেপ। যুক্তরাষ্ট্রের কৌশল: শুধু মিত্রতা নয়, প্রযুক্তিনির্ভর আধিপত্য প্রতিষ্ঠা। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এই সফরের মাধ্যমে চারটি মূল উদ্দেশ্য নিয়ে অগ্রসর হয়েছেন—মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন প্রভাব পুনরুদ্ধার, ইরান-চীন জোটের প্রতিপক্ষ হিসেবে প্রযুক্তিকেন্দ্রিক জোট গঠন, মার্কিন প্রতিরক্ষা ও বেসামরিক শিল্পের বাজার সম্প্রসারণ, উপসাগরীয় দেশগুলোর ‘ভিশন ২০৩০’ বাস্তবায়নে আমেরিকান

    শহীদ জিয়ার আদর্শ ও গণঅভ্যুত্থানের পুনর্জাগরণ

    বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে কিছু ব্যক্তিত্ব সময়ের সীমানা অতিক্রম করে চিরভাস্বর হয়ে উঠেছেন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান তেমনই একজন নেতা, যিনি কেবল একটি রাজনৈতিক দলের প্রতিষ্ঠাতা নন, বরং একটি আদর্শিক আন্দোলনের পথিকৃৎ—যার নাম বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ। এ জাতীয়তাবাদ এমন এক চেতনার প্রতীক, যা আমাদের রাষ্ট্রীয় স্বাতন্ত্র্য, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও সার্বভৌমত্বকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করেছে। মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী বাংলাদেশের অস্থির রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে, যখন জাতি বিভ্রান্তি ও দিকহীনতার মধ্য দিয়ে পথ খুঁজছিল, ঠিক তখনই জিয়াউর রহমানের জাতীয়তাবাদী দর্শন একটি শক্তিশালী দিকনির্দেশনা দেয়। এটি একদিকে যেমন বাঙালি জাতির আত্মপরিচয়কে পরিপূর্ণতা দেয়, অন্যদিকে তেমনি বৈশ্বিক রাজনীতিতে বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও স্বমর্যাদাসম্পন্ন রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে। বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের মূল
    ড. মইনুল ইসলাম
    ড. মইনুল ইসলামঅর্থনীতিবিদ; অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

    বাজেটে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যে বরাদ্দ কি বাড়বে

    আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপনের অব্যবহিত পূর্বে আমার কলামে প্রশ্ন রাখতে চাই: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে সংগঠিত ছাত্রছাত্রীদের গণঅভ্যুত্থানের ফসল হিসেবে গঠিত বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রস্তাবিত আগামী বাজেটে শিক্ষা খাত ও স্বাস্থ্য খাতের বরাদ্দ কি তাৎপর্যপূর্ণভাবে বাড়ানো হবে; নাকি গতানুগতিক ধারা অব্যাহত রাখা হবে? বৈষম্য নিরসনের নামে যে সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তাদের কথা ও কাজে আদতেই চরম বৈষম্যমূলক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতের গ্রহণযোগ্য সংস্কার শুরু হবে কি না সেটার প্রথম ‘অ্যাসিড টেস্ট’ হতে চলেছে আগামী বাজেটে শিক্ষা খাতের বরাদ্দকে কমপক্ষে জিডিপির ৩ শতাংশে উন্নীত করা এবং স্বাস্থ্য খাতের বরাদ্দকে কমপক্ষে ২ শতাংশে উন্নীত করা হচ্ছে কি না, সে প্রশ্নটি। ইউনেস্কোর
  • যে দক্ষতাগুলো ব্যাংকারকে এগিয়ে রাখতে পারে!

    বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় ব্যাংকিং খাত একটি অপরিহার্য স্তম্ভ হিসেবে বিবেচিত। আধুনিক অর্থনীতির গতিশীলতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার পাশাপাশি জনগণের সঞ্চয় সংরক্ষণ, বিনিয়োগের পরিসর সম্প্রসারণ এবং আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে এগিয়ে নেওয়ার পেছনে ব্যাংকিং ব্যবস্থার সামগ্রিক অবদান অনস্বীকার্য। এত বিস্তৃত ও সংবেদনশীল একটি খাতকে কার্যকরভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গৃহীত হয়েছে বহু বিধিবিধান ও নীতিমালা। ফলে, ব্যাংকিং খাতকে একটি অভিন্ন ও সুসংহত নীতিগত কাঠামোর অধীনে পরিচালিত অন্যতম পরিপূর্ণ খাত হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিশ্বব্যাপী বাণিজ্যিক ব্যাংকের সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার ১৫৩টি। অস্ট্রেলিয়াভিত্তিক খ্যাতনামা মার্কেট রিসার্চ প্রতিষ্ঠান IBISWorld এর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী ২০২৪ সাল নাগাদ বিশ্বের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে কর্মরত জনবলের সংখ্যা প্রায় ৭২ লক্ষ ৭০
    মুসাহিদ উদ্দিন আহমদ
    মুসাহিদ উদ্দিন আহমদঅবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও প্রকৌশলী

    বজ্রাঘাতে মৃত্যু রোধে করণীয়

    বজ্রপাতে জীবনঝুঁকি দিন দিন বেড়েই চলেছে। প্রাকৃতিক কারণেই বজ্রমেঘের সৃষ্টি এবং বজ্রমেঘ থেকেই হয় বজ্রপাত। ‘কিউমুলোনিম্বাস’ মেঘ থেকে সাধারণত বজ্রপাতের সৃষ্টি। বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্য ও তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে বজ্রমেঘের পরিমাণও বেড়েছে কয়েক বছর ধরে। শীতের পর দক্ষিণের বঙ্গোপসাগর ও ভারত মহাসাগর থেকে শুকনো গরম বাতাস আসতে শুরু করে। অন্যদিকে হিমালয় থেকে আসে ঠান্ডা বাতাস। এ দুই ধরনের বাতাসের সংমিশ্রণে একরকম অস্থিতিশীল বায়ুপ্রবাহের সৃষ্টি তৈরি। মেঘ চলাচলের সময় বাতাস এক মেঘের সঙ্গে অন্য মেঘের ঘর্ষণের সৃষ্টি করে, যার ফলে বজ্রের সৃষ্টি হয়। বজ্র যখন মাটি অবধি চলে আসে তখনই তাকে বজ্রপাত বলে অভিহিত করা হয়। বাংলাদেশে বজ্রমেঘ বৃদ্ধির সময়টা এপ্রিল
    মহিউদ্দিন খান মোহন
    মহিউদ্দিন খান মোহনসাংবাদিক ও রাজনীতি বিশ্লেষক

    ইতিহাস বিকৃতি রুখবে তরুণরা

    প্রতিটি জাতিরই একটি জাতীয় সংগীত থাকে। আমাদেরও আছে। আমাদের জাতীয় সংগীত কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’ গানের প্রথম দুটি স্তবক। একাত্তরে যখন আমরা মুক্তিযুদ্ধরত, তখন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে গানটি অধিবেশনের শুরুতে বাজানো হতো। আর সমাপনী সংগীত ছিল গাজী মাজহারুল আনোয়ারের লেখা ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’ গানটি। ৯ মাস এভাবেই চলেছে। আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি গানটি শুনে অনেকেই আবেগাপ্লুত হতেন। কারও কারও চোখের কোণে চিকচিক করে উঠত অশ্রুবিন্দু। মায়ের মতো দেশকে ভালোবাসার আবেগই মানুষকে আপ্লুত করত। স্বাধীনতার পর কেউ কেউ জয় বাংলা বাংলার জয়কে জাতীয় সংগীত করার প্রস্তাব দিলেও শেষ পর্যন্ত আমার
  • ১১ মে ২০২৫, ০৪:৪৫ পিএম
    আ.লীগের নিবন্ধন দ্রুত বাতিল করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আপনি কি এই বক্তব্য সমর্থন করেন?

    আ.লীগের নিবন্ধন দ্রুত বাতিল করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। আপনি কি এই বক্তব্য সমর্থন করেন?

    • হ্যাঁ
    • না
    • মন্তব্য নেই
    +
    =
    সাবমিট
    মোট ভোটদাতাঃ ২১,৪৯৬ জন
    মোট ভোটারঃ ২১,৪৯৬
    ভোট দিন
    Link Copied
অনলাইন জরিপ
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

ড. ইউনূস পদত্যাগ করলে বিকল্প খুঁজে নেবে জাতি : সালাহউদ্দিন আহমেদ

ছিনতাইয়ের শিকার আন্তর্জাতিক ওয়াইল্ডলাইফ ফটোগ্রাফার হৃদয়

বৃষ্টির সময় টিনের ঘর বিদ্যুতায়িত হয়ে ২ জনের মৃত্যু

হিন্দু যুগলের বিয়ের অনুষ্ঠানে পাশে দাঁড়াল মুসলিম পরিবার

জটিলতা সৃষ্টি করে মান-অভিমান, এটা গ্রহণযোগ্য কাজ না : আনু মুহাম্মদ

এক মাস ধরে নিখোঁজ ৭০ বছরের বৃদ্ধা, দুশ্চিন্তায় পরিবার

আমুর খালাতো ভাই রাহাত কারাগারে  

কবে ঈদুল আজহার চাঁদ দেখা যাবে জানাল আমিরাত

বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ধাক্কা, নিহত ২

বাংলাদেশের অর্থনীতি বড় ধাক্কার মুখোমুখি : জাতিসংঘ

১০

জুমার নামাজের সময় গৃহবধূকে বেঁধে স্বর্ণালংকার লুট, নারীসহ আটক ২ 

১১

বিজাতীয় সংস্কৃতিকে ছুড়ে ফেলে সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চা করতে হবে : কাদের গনি চৌধুরী

১২

ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের উৎসাহ দিলেন জুবাইদা রহমান

১৩

ডিজে বাজিয়ে, গাড়ি-বাইক নিয়ে ‘গণধর্ষকদের’ শোভাযাত্রা

১৪

ভৈরবে প্রস্তুত ৪০ হাজার কোরবানির পশু

১৫

হেফাজত নেতা মাওলানা ওমর ফারুক মারা গেছেন

১৬

পরকীয়া প্রেমিককে কুপিয়ে হত্যা করল স্বামী

১৭

ক্যারিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ বাঁকে হামজা

১৮

বিএনপির প্রতি সারজিসের আহ্বান

১৯

সংসদ নির্বাচন বিলম্বই দেশে অস্থিরতার কারণ : জয়নুল আবদিন ফারুক

২০
কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে আটকে হাজারো শ্রমিক
বৈধভাবে যাওয়ার সুযোগ না পেয়ে প্রতিনিয়ত অবৈধভাবে মালয়েশিয়া যাচ্ছেন হাজার হাজার শ্রমিক। দালাল চক্রের প্রলোভনে পড়ে তারা মালয়েশিয়া গিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। কুয়ালালামপুর থেকে সোমবার ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিএস ৩১৬
ক্ষুধা ও মৃত্যুর নগরী গাজা
ভূমধ্যসাগর তীরবর্তী ছোট গাজা শহরে ক্ষুধা ও মৃত্যু ছাড়া আর কিছু নেই। সকাল থেকে সন্ধ্যা এবং সন্ধ্যা থেকে ভোর পর্যন্ত গাজা শহরের মানুষ দেখে শুধু ক্ষুধা ও মৃত্যু। দেখে বোমার
মাতৃত্বের মর্যাদা ও পুরস্কার
ইসলামে মায়ের প্রতি ঘোষণা করা হয়েছে বিশেষ মর্যাদা ও পুরস্কার। মাসের পর মাস সন্তান বহন, ধৈর্য, সন্তান প্রসব, স্তন্যদানসহ অসহনীয় কিছু কষ্ট বহন করতে হয় নারীদের। পৃথিবীর সৃষ্টিলগ্ন থেকে যুগে
হাজিদের তালবিয়ায় মুখরিত মক্কা
পবিত্র হজে লাখো হাজির কণ্ঠে মুখরিত ধ্বনি ‘তালবিয়া’ নামে পরিচিত। তালবিয়া হচ্ছে—‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান নিয়মাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাকা’, অর্থ:
বিজাতীয় সংস্কৃতিকে ছুড়ে ফেলে সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চা করতে হবে : কাদের গনি চৌধুরী
বিজাতীয় সংস্কৃতিকে ছুড়ে ফেলে সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চা করতে হবে : কাদের গনি চৌধুরী
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন, সংস্কৃতি একটি জাতির পরিচিতির মৌলিক উপাদান। এর মাধ্যমে কোনো জাতির জাতিসত্তা আলাদারূপে পরিস্ফুটিত হয়। তাই সংস্কৃতিকে বলা হয়, একটি সমাজের আয়না। কিন্তু সেই আয়নায় যদি সমাজের চিত্র না ফুটে, সমাজের বিপরীত কিছু ফুটে ওঠে, তবে সমাজে অসংগতি দেখা দেবে। শুক্রবার (২৩ মে) বিকেলে শিল্পকলা একাডেমিতে জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে জাতীয় শিশু-কিশোর সংগঠন ‘আমরা কুঁড়ি’র ৩৪ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি এসব বলেন। তিনি বলেন, অপসংস্কৃতি মানুষকে কলুষিত করে এবং জীবনের সৌন্দর্যের বিকাশকে স্তব্ধ করে দিয়ে শ্রীহীনতার দিকে ঠেলে দেয়। কোনো জাতির স্বকীয়তা, জাতীয়তা, সামাজিক এবং ধর্মীয় মূল্যবোধ তার সংস্কৃতির ওপর নির্ভর করে। তেমনি সংস্কৃতিতে বিজাতীয় আগ্রাসন একটি জাতিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দেয়। তিনি বলেন, জাতির উন্নয়নে শিক্ষা আমদানি করা যায় বটে, কিন্তু সংস্কৃতি আমদানি করলে জাতিসত্তা হারিয়ে যায়।  এএসএম কামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস সালাম, সৈয়দ আলমগীর, আইয়ুব ভূঁইয়া, নুরুল আজম পবন, এরফানুল হক নাহিদ, মাসুদুল হক, রাশেদা ওয়াহিদ মুক্তা, আমরা কুড়ির চেয়ারম্যান মুশতাক আহমদ ও মহাসচিব ফেরদৌস আরা বন্যা। কাদের গনি চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ এমন একটি দেশ; যাদের সংস্কৃতির আছে এক গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস। যুগে যুগে এই দেশের সংস্কৃতি হয়েছে সমৃদ্ধ। অথচ কয়েক বছর ধরে এই দেশের সংস্কৃতিতে বিদেশি সংস্কৃতির আগ্রাসন চোখে পড়ার মতো। এই আগ্রাসন এতটাই ভয়াবহ হয়ে উঠছে যে, দেশীয় সংস্কৃতিকে ভুলে যাচ্ছে অনেকে। অনেকে বাংলা চলচ্চিত্রের অভিনেতাদের না জানলেও ভারতীয় অভিনেতা ও চলচ্চিত্রের নাম-পরিচয় মুখস্থ। যেসব ছেলে রিয়াদ, মান্না, শাকিবদের নাম জানে না, তারা অনায়াসেই বলতে পারবে সালমান, শাহরুখ, আমির খানদের ইতিহাস। যেখানে দেশীয় চলচ্চিত্র নির্মাতারা লোকসান দিয়ে চলচ্চিত্র থেকে দূরে সরে যেতে চাইছে, সেখানে বিদেশিরা এই দেশের হলগুলোতে তাদের চলচ্চিত্র নিয়ে ব্যবসা করতে চাইছে। কারণ, তারা জানে এই দেশের হলগুলোতে দেশীয় চলচ্চিত্রের দর্শক না থাকলেও, বিদেশি চলচ্চিত্রের দর্শকের অভাব হবে না।  তিনি বলেন, এ দেশের ছেলেরা বাংলা গান না শুনলেও, হিন্দি কিংবা ইংরেজি গায়কদের ইতিহাসও জানে। তবে বিদেশি সংস্কৃতির আগ্রাসনটা সবচাইতে ভয়াবহ হচ্ছে নারীদের ক্ষেত্রে। এদের উপর সবচাইতে বেশি আগ্রাসন চালাচ্ছে ভারতীয় টিভি চ্যানেল স্টার জলসা, স্টার গোল্ড, স্টার প্লাস, জি বাংলা, সনি আর্ট ইত্যাদি। এই চ্যানেলগুলোর সিরিয়ালের প্রতি এরা এতটাই আকৃষ্ট যে, এসব নারীদের সন্তান, স্বামী কিংবা অন্য যে কোনো আপনজনরা অসুস্থ হয়ে কাতরায়, তবু এরা স্টার জলসা, জি বাংলা সিরিয়াল ছেড়ে উঠে আসতে চায় না। আরেকটা বিষয়ে না বললেই নয়, সংগীতের বিশ্বায়নের নামে বাংলাদেশের অনেক মিডিয়ায় বিদেশি গানগুলো প্রচার করছে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশীয় শিল্পীদের বাদ দিয়ে বিদেশি শিল্পীদের দেশে এনে অনুষ্ঠান করার সংস্কৃতি চালু হয়েছে। কাদের গনি চৌধুরী বলেন, আমার বলতে দ্বিধা নেই যে, সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের প্রভাবে দেশীয় সংস্কৃতিতে আজ মহাবিপর্যয় নেমে এসেছে। আমাদের ঐতিহ্যবাহী সুরসম্ভার হারিয়ে গেছে ইংরেজি আর হিন্দি সংগীতের প্রভাবে। আজ বাংলাদেশের কোথাও বাংলা সংগীত শোনা যায় না সবখানে হিন্দি আর ইংরেজি দখল করে নিয়েছে। বিয়ে, উৎসব, পিকনিক থেকে শুরু করে যে কোনো আচার-অনুষ্ঠানে আজ শুধু হিন্দি সংগীতই শোনা যায়। এখানে বাংলা যেন নিষিদ্ধ। এখন আর আব্দুল আলীম, আব্বাস উদ্দিন কণ্ঠের সেই পল্লী জীবনের যে হৃদয়গ্রাহী চিত্র ফুটে উঠত তা  শোনা যায় না। ব্যান্ড সংগীতের নামে আমাদের নতুন প্রজন্মের শিল্পীরা যে চেঁচামেচির মহড়া দেয় তা মানুষের হৃদয়কে স্পর্শ করে না মোটেও। এরপরও একদল উঠতি যুবকের অবচেতন মনের দুর্বলতাকে পুঁজি করে এসবের বাজার দিন দিন সরগরম হচ্ছে।  তিনি বলেন, আগে যে একতারা, দোতরা, সারিন্দা, তবলা, ঢোল এবং বাঁশির সুরে বাঙালির হৃদয় আকুল হতো এখন গিটার আর কী বোর্ডের কর্কশ সুরের মাঝে তা খুঁজে পাওয়া যায় না। আগেকার দিনে বেহুলা-লক্ষীন্দর, কমলা বনবাস কিংবা আলোমতি প্রেমকুমারের যে যাত্রাগান, পালাগান হতো এবং গ্রাম বাংলার মানুষ রাতভর প্রাণভরে উপভোগ করত, তাও এখন আর দেখা যায় না। এখন যুবক-যুবতীদের প্রেম কাহিনি ছাড়া গান রচনা চিন্তাও করা যায় না। গানের ভাষাও কর্কশ, উচ্চ শব্দের কারণে বুঝাও যায় না গায়ক কি গায়। সাংবাদিকদের এ নেতা বলেন, এক সময় পোশাক-পরিচ্ছদে আমাদের নিজস্ব ঐতিহ্য ছিল। কিন্তু সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের কারণে তা আজ হারিয়ে গেছে। বিদেশি সাংস্কৃতির ব্যাপক প্রসার ও চর্চা আমাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক-পরিচ্ছদে ব্যাপক পরিবর্তন এনেছে। আমাদের তরুণ সমাজ আজ অপসংস্কৃতির স্রোতে গা ভাসিয়ে দিয়ে জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে পড়ছে। পশ্চিমা বিশ্বের জীবনাচরণকে মডেল বা আদর্শ হিসেবে গ্রহণ করছে। ছেঁড়া প্যান্ট, চুলের অদ্ভুত কাটিং, অস্বাভাবিক অঙ্গভঙ্গিকে তথাকথিত আধুনিক হিসেবে জাহির করছে। আমাদের মেয়েদের অনেকেই স্বল্পবসনকে আধুনিক জীবনের নমুনা বলে মনে করে এর প্রতি চরম আকৃষ্ট হয়ে পড়েছে। এটাও সত্য যে, প্রযুক্তির এই অবাধ তথ্যপ্রবাহের যুগে কোনো কিছুই বন্ধ করে রাখা সম্ভব নয়। তাই বলে ঘরে হাত গুটিয়ে বসে থাকাটাও সমীচীন হবে না। তাই আমাদের বিজাতীয় সংস্কৃতিকে ছুড়ে ফেলে সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চা করতে হবে। এক্ষেত্রে বিষয়টি আমরা গ্রহণ করব। তবে সবার আগে নিজেদের সাংস্কৃতিক ভিত মজবুত ও উন্নত করতে হবে। কাদের গনি চৌধুরী বলেন, শিক্ষার একটা সংস্কৃতি আছে। শিক্ষার সংস্কৃতির নিহিত চাহিদা হলো মুক্ত পরিবেশ, অংশগ্রহণের অবাধ সুযোগ, প্রকাশের স্বাধীনতা। শিশুদের মেধা ও মননের বিকাশে সংস্কৃতি চর্চার বিকল্প নেই। শিশুদের শুধু পাঠ্য বইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখবেন না। তাদের জন্য অবশ্যই খেলাধুলা, বিনোদন এবং সংস্কৃতি চর্চার ব্যবস্থা রাখতে হবে। এতে শিশু সামাজিক হবে এবং সহনশীল হতে শিখবে। দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারণা দিতে হবে ছোটবেলা থেকেই, না হয় বড় হয়ে নিজেদেরই সন্তানদের জন্য বিপাকে পড়তে হবে। আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, শিশুরাই জাতির ভবিষ্যৎ কর্ণধার। তারাই আগামী দিনে সমাজ ও রাষ্ট্র পরিচালনায় নেতৃত্ব দেবে। জ্ঞানচর্চা ও প্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ হয়ে গড়ে তুলবে সবার জন্য কল্যাণকর নতুন বিশ্ব। তাই শিশুদের প্রতি আমাদের বিশেষভাবে যত্ন নেওয়া উচিত। তারা যেন সৃজনশীল, মননশীল ও মুক্তমনের মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠে, তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব বিশ্বের প্রতিটি মানুষের। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে শিশু সুরক্ষার জন্য কার কী দায়িত্ব, তা নির্ধারণ করে দিয়ে এই দায়িত্বশীল প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বয় ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা হয়। এই প্রক্রিয়ায় পরিবার, স্কুল, মিডিয়া এবং সামাজিক সংগঠনগুলো শিশু সুরক্ষার জন্য প্রতিরোধমূলক কর্মকাণ্ড ও ইতিবাচক চর্চাগুলো নিশ্চিত করে।  তিনি বলেন, একদিকে আমাদের সন্তানরা আছে দুধে-ভাতে। ভালো কাপড় পরিধান করছে, ভালো খাচ্ছে, ভালো স্কুলে যাচ্ছে। অন্যদিকে অসংখ্য বাংলা মায়ের সন্তানকে দেখি পথশিশু বা টোকাই নামে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতে। আমার সন্তান থাকবে দুধে-ভাতে আর অন্যের সন্তান থাকবে ফুটপাতে- এটা বন্ধ করতে হবে। এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমাদের জেগে উঠতে হবে।
১ ঘণ্টা আগে

বর্তমান সরকারের আশপাশে কুচক্রী কারা, জানালেন জুলকারনাইন

৪ ঘণ্টা আগে

যে ২৪ রাজনীতিবিদ সেনানিবাসে আশ্রয় নিয়েছিলেন 

৪ ঘণ্টা আগে

‘জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যেই হবে’

৬ ঘণ্টা আগে

টানা পাঁচ দিন বজ্রবৃষ্টির পূর্বাভাস

৬ ঘণ্টা আগে

‘ড. ইউনূস পদত্যাগ করবেন না’

৭ ঘণ্টা আগে
ড. ইউনূস পদত্যাগ করলে বিকল্প খুঁজে নেবে জাতি : সালাহউদ্দিন আহমেদ
ড. ইউনূস পদত্যাগ করলে বিকল্প খুঁজে নেবে জাতি : সালাহউদ্দিন আহমেদ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগ চায় না বিএনপি, তবে করলে বিকল্প বেছে নেবে জাতি। শুক্রবার (২৩ মে) একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, বিএনপি ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগ চায় না, বিএনপি চায় নির্বাচনী রোডম্যাপ। কিন্তু সেদিকে না গিয়ে সংস্কারের কথা বলে সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে। তবুও তিনি কোনো কারণে আবেগের বশবর্তী হয়ে পদত্যাগ করলে জাতি নতুন বিকল্প বেছে নেবে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ড. ইউনূসের পদত্যাগে কোনো শূন্যতা তৈরি হবে না। তবে বিএনপি চায় সম্মানের সঙ্গে ড. ইউনূস থাকুন এবং নির্বাচনী রোডম্যাপ দিয়ে জাতিকে সংকট থেকে মুক্ত করুন। নির্বাচনী রোডম্যাপই বর্তমান সংকটের একমাত্র পথ।  সংস্কার দেড় দুই মাসের মধ্যে করা সম্ভব উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন আহমেদ তিনি বলেন, সংস্কার, বিচার এবং নির্বাচন একসঙ্গে চলতে পারে। নির্বাচন আয়োজনে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি। বরং উনারা দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা করছেন। সালাহউদ্দিন আহমেদ জানান, বিএনপি সোমবার (১৯ মে) থেকে প্রধান উপদেষ্টার সাক্ষাতের চেষ্টা করেও পায়নি। সরকারের ভেতরের আওয়ামী দোসর এবং উচ্চাভিলাষী কেউ কেউ বিএনপিকে প্রতিপক্ষ ভাবে।
৯ মিনিট আগে
জটিলতা সৃষ্টি করে মান-অভিমান, এটা গ্রহণযোগ্য কাজ না : আনু মুহাম্মদ
জটিলতা সৃষ্টি করে মান-অভিমান, এটা গ্রহণযোগ্য কাজ না : আনু মুহাম্মদ
ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের উৎসাহ দিলেন জুবাইদা রহমান
ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের উৎসাহ দিলেন জুবাইদা রহমান
হেফাজত নেতা মাওলানা ওমর ফারুক মারা গেছেন
হেফাজত নেতা মাওলানা ওমর ফারুক মারা গেছেন
বিএনপির প্রতি সারজিসের আহ্বান
বিএনপির প্রতি সারজিসের আহ্বান
সংসদ নির্বাচন বিলম্বই দেশে অস্থিরতার কারণ : জয়নুল আবদিন ফারুক
সংসদ নির্বাচন বিলম্বই দেশে অস্থিরতার কারণ : জয়নুল আবদিন ফারুক
পদত্যাগ নয়, সমঝোতামূলক সমাধানে আসুন : মঞ্জু
পদত্যাগ নয়, সমঝোতামূলক সমাধানে আসুন : মঞ্জু

বাংলাদেশের অর্থনীতি বড় ধাক্কার মুখোমুখি : জাতিসংঘ

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন আমদানি শুল্ক ঘোষণার ফলে বিশ্বের অনেক উন্নয়নশীল দেশের বাণিজ্য খরচ অনেকটা বাড়বে। এ কারণে বৈশ্বিক বাণিজ্যে বৈষম্যের ঝুঁকিতে পড়বে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলো। এ সময় উন্নয়নশীল দেশের রপ্তানি সম্ভাবনা কমবে পোশাক ও কৃষি খাতে। জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। প্রায় এক শতাব্দী ধরে অপরিবর্তিত বৈশ্বিক বাণিজ্য ব্যবস্থায় বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান অর্থনীতি ট্রাম্পের শুল্ক আরোপে বড় ধাক্কার মুখোমুখি পড়ছে। তবে শুল্ক বাস্তবায়নে ৯০ দিনের স্থগিতাদেশ অর্থনীতির পালে কিছুটা হাওয়া দিলেও দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতির সম্ভাবনা থেকেই যায়। বৃহস্পতিবার (২৩ মে) জাতিসংঘ বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থা আংকটাড প্রকাশিত ‘স্প্যারিং দ্য ভালনারেবল : দ্য কস্ট অব নিউ ট্যারিফ বার্ডেনস’ প্রতিবেদন এমনটি ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতির মাত্র শূন্য দশমিক ৩ শতাংশের জন্য দায়ী হলেও, রপ্তানি ব্যয় বাড়িয়ে দিচ্ছে এসব দেশের নতুন শুল্কনীতি। ফলে মার্কিন বাজারে প্রবেশ কঠিন হয়ে পড়বে। বিশেষ করে পোশাক ও কৃষিপণ্যের মতো খাতগুলোতে রপ্তানি সম্ভাবনা কমবে। যুক্তরাষ্ট্রের আমদানির ওপর ১০ শতাংশ হারে সর্বজনীন শুল্ক আরোপ করলেও জুলাইয়ে দেশভিত্তিক অতিরিক্ত শুল্ক কার্যকর হবে। এতে বাংলাদেশের মতো দেশগুলোর আমদানি শুল্ক বেড়ে ৪৪ শতাংশ হতে পার, যা দেশগুলোর অর্থনীতিকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে বলেও প্রতিবেদনে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, ট্যারিফ রিলিফ নীতিমালা ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য বাজারে প্রবেশে সহজ শর্ত নিশ্চিত করা জরুরি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। তা না হলে নতুন ধরনের বৈষম্য তৈরি হতে পারে বিশ্ব বাণিজ্যে, যা দীর্ঘমেয়াদে বৈশ্বিক উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য জোরদার এবং দেশটির বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের ওপর উচ্চ শুল্ক কমাতে আসন্ন বাজেটে ১০০টি মার্কিন পণ্যে শুল্ক ছাড় দেওয়ার প্রস্তাব করতে যাচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।

ব্যাংকে ব্যাংকে পুলিশ পাঠিয়ে ডলার বাজার নিয়ন্ত্রণ আর নয় : গভর্নর

বাংলাদেশ ব্যাংক সকাল বিকাল প্রতিটা ব্যাংক থেকে ডলারের দামের আপডেট এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। এখন আর ব্যাংকে ব্যাংকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তা বা পুলিশ পাঠিয়ে এ দাম নিয়ন্ত্রণ করব না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।  বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যায় রাজধানীর দ্য ওয়েস্টিন হোটেলে ‘বাজারভিত্তিক বিনিময় হারের প্রয়োগ ও প্রভাব’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। গভর্নর আরও বলেন, ডলারের দাম এখন থেকে বাংলাদেশে নির্ধারিত হবে। দুবাই বা পৃথিবীর অন্যকোনো দেশে নয়। আমরা বলব আপনারা অস্থির হবেন না। বাজার অস্থিতিশীলতার দিকে কান দেবেন না। চাহিদা ও সরবরাহের ভিত্তিতে বাজারে ডলারের দাম নির্ধারণ হবে।  তিনি বলেন, অনেক দিন ধরেই আলোচানা হচ্ছে আইএমএফসহ নানা আন্তর্জাতিক সংস্থা বলছিল আমাদের বিনিময় হার বাজার ভিত্তিক করার জন্য। কিন্তু কখন এটা করব? এটা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত আলোচনা হচ্ছিল। অনেকেই বলেছেন আইএমএফ-এর প্রোগ্রামগুলো আমরা মিট করতে পারব না। আগের সরকার একটাও মিট করতে পারেনি, এটা সত্য। কিন্তু আমরা সবগুলো মিট করেছি। সেপ্টেম্বর জানুয়ারি এবং মার্চ প্রান্তিকে সব জায়গাতে আমরা সফল হয়েছি। এইচ মনসুর বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে কমোডিটির দাম কম থাকায় আমাদের অনেক সুবিধা হচ্ছে। লাক্সারি পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে রেস্ট্রিকশন দেওয়ার পক্ষে আমি না। আমি ট্যাক্স বাড়িয়ে দেব। যার সামর্থ্য আছে সে কিনবে। যার নাই সে কিনবে না। যার সামর্থ্য আছে তাকে রেস্ট্রিকশন দিলে সে বিদেশে গিয়ে ওই পণ্য কিনবে। তখন আমাদের লাভ নাই। আমাদের এখানে ফরোয়ার্ড মার্কেট ডেভেলপ করেনি। এটা করলে ভালো হতো। আমরা এখন বাংলাদেশের মার্কেটে ডলার আনলে সেটার দাম পড়ে যাবে না। বিনিয়োগ করলে বিনিময় হারের কারণে ক্ষতির মুখে পড়তে হবে না। এটা নিশ্চিত করতে পারলে এখানে আর বাজার নিয়ে ঝুঁকি থাকবে না। তিনি আরও বলেন, আমাদের এখন গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মূল্যস্ফীতি ৩-৪ শতাংশে নিয়ে আসা। আমার যেটা মনে হচ্ছে আগস্টের মধ্যে আমাদের মূল্যস্ফীতি ৭ এর মধ্যে চলে আসবে। বছর শেষে এটা ৫ শতাংশের মধ্যে চলে আসবে বলে আমি মনে করি।  গভর্নর বলেন, বাংলাদেশের মানুষের শত শত কোটি ডলার বিদেশে আছে। কেন সম্পদ তারা বাংলাদেশের রাখে না? কারণ তারা ভাবে বাংলাদেশে তাদের সম্পদ নিরাপদ নয়। বিদেশে তাদের সম্পদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকতে হয় না। এজন্য দেশের বিনিয়োগ বাড়াতে হলে এবং পাচার বন্ধ করতে হলে অবশ্যই সম্পদের নিরাপত্তা দিতে হবে। সম্পদের নিরাপত্তা না দিয়ে পাচার ঠেকানো সম্ভব নয়। এজন্য আমাদের আমাদের অর্থনীতিকে ঠিক করতে হলে রাজনীতিকে ঠিক করতে হবে।  গভর্নর আরও বলেন, আমরা আমাদের বিনিময় হার আরও লিবারেলাইজ করব। যার যত পাওনা আছে সেগুলা পরিশোধ করা হয়েছে। বিদেশিরা বিনিয়োগ করে তাদের প্রফিট যখন ইচ্ছে নিয়ে যেতে পারবে। আমরা আটকাব না। এজন্য তাকে বাংলাদেশ ব্যাংকেও আসতে হবে না। আমরা শুধু কর নীতি নিয়ে কথা বলব। এর বাইরে না। মাস্টার কার্ডের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল বলেন, প্রবাসী ভাইবোনদের একটু জানানো দরকার যে ডলারের দাম বেড়ে যাবে না। এটা স্থির থাকবে। কারণ অনেকেই ভাবছেন ডলারের দাম বাজারের উপর ছেড়ে দেওয়ায় দাম হয়তো বাড়বে। আসলে সেটি হবে না। কারণ বর্তমানে সময়টা খুব ভালো অর্থনীতির জন্য। প্রবাসীরা সামনে ঈদ উপলক্ষে টাকা পাঠানো শুরু করবেন। তখন অর্থনীতি আরো সুবিধাজনক স্থানে চলে আসবে।  জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আর্থিকখাতে বড় একটা সংস্কার প্রয়োজন ছিল। যেটা বিনিময় হার বাজারের উপর ছেড়ে দেওয়ার মাধ্যমে হয়েছে। আমরা যে বিগত সময়ে হাজার হাজার কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়েছি, সেটা বিনিময় হার ফিক্সড থাকার কারণে হয়েছে। বর্তমান সময়টা এই কাজের জন্য ঠিক আছে। প্রতিটা জিনিস আমরা যদি আজকে খেয়াল করি জ্বালানি তেল থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিটা আইটেমের দাম কম। এর মাঝে আইএমএফ, এডিবি, ওয়াল্ড ব্যাংক ফান্ড দিচ্ছে। ফলে আমি মনে করি আগামী কয়েকদিন বিনিময় হার নিয়ে কোন সমস্যা হবে না। তিনি বলেন, আশঙ্কার কথা হচ্ছে, ২০২০-২১ সালেও যখন ৪৭ বিনিয়ন ডলার রিজার্ভ ছিল। কিন্তু সেটা হঠাৎ করেই ২২ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসলো। কারণ জ্বালানি এবং কমোডিটির দাম ডাবল বা তারও বেশি হয়ে গিয়েছিল। তখন আমাদের রিজার্ভের উপর প্রভাব পড়েছিল। এখন যদি আগামী দিনে যদি কোন বড় দুর্যোগ আসে, তাহলে আমাদের ৫০০ মিলিয়ন ডলার দিয়ে আমরা উতরাতে পারব না। এটা খুবই ছোট অংক। এটাকে ৫-৬ বিলিয়নে নিয়ে যেতে হবে। বাজারের উপর দর ছাড়ার পর সঠিক সময়ে যেন দাম পরিবর্তন করা হয়। না হলে নেতিবাচক প্রভাব দেখা দেবে। জাহাঙ্গীর আলম বলেন, যুক্তরাষ্ট্র রেমিট্যান্সএর উপর ৫ শতাংশ কর বসিয়েছে। এটা হুন্ডি বাড়িয়ে দেবে। যেটা আমাদের জন্য বিপদ ডেকে আনবে। ফলে এখানে কাজ করতে হবে, যেন ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা আসে। পলেসি এক্সচেঞ্জ বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ড. এম মাসরুর রিয়াজ বলেন, আমাদের বিনিময় হারকে ২০১৮-১৯ সাল থেকে চেপে ধরা হয়েছিল। সেখান থেকে একটা ফিক্সড জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়। এভাবে বিনিময় হারকে চাপিয়ে রাখা যায় না। এটা বেশি দিন রাখার কারণে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এভাবে বেশি দিন চলা যায় না। বর্তমানে বাজারের উপর ছেড়ে দেওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। বড় পরিবর্তনের কোনো সময় নেই। যত দ্রুত এ ধরণের সংস্কার করা যায় ততই ভালো। তিনি বলেন, এটার কারণে আইএমএফের চাপ দূর হয়েছে। ওয়াল্ড ব্যাংকসহ আন্তর্জাতিক যেসব চাপ বা আপত্তির জায়গা ছিল সেগুলাও দূর হয়ে গেছে। এই সংস্কারের সময়টা খুবই ভালো হয়েছে। কারণ সামনে কোরবানি। এই সময়ে রেমিট্যান্স আসবে অনেক বেশি। যেটা রিজার্ভ বাড়াবে। অন্যদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে কমোডিটির দাম কমেছে। ফলে আমদানি বাবদ ডলার খরচ বেশি হবে না আগের তুলনায়। আভ্যন্তরীণ বাজারেও এখন চাহদা কম। তবে, জ্বালানির জন্য বড় একটা অংকের ডলার খরচ হয়। তবে, কাতারে বড় একটি গ্যাস ফিল্ড আবিষ্কার হয়েছে। তারা বাজারে সাপ্লাই বাড়ালে গ্যাসের দাম কমবে বলে আশা করা যায়। ফলে জ্বালানি আমদানির জন্য ডলারের চাহিদাও কমবে।

ঈদের আগেই বাজারে মিলবে যেসব নতুন নোট

ঈদুল ফিতরের আগে টাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকায় বাজারে নতুন নোট ছাড়েনি কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এবার আসন্ন ঈদুল আজহা সামনে রেখে ২০, ৫০ ও ১০০০ টাকার নতুন নকশার নোট বাজারে ছাড়ার প্রস্তুতি নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। গাজীপুরের দ্য সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশন (টাঁকশাল) এরই মধ্যে এসব নোট ছাপার কাজ শুরু করেছে।  জানা গেছে, নতুন নোটে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি থাকছে না। তার পরিবর্তে জুলাই অভ্যুত্থানের গ্রাফিতি ও আগের নকশা ফিরে আসছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ঈদের আগেই নতুন নকশার নোট বাজারে আসবে। এ নিয়ে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হচ্ছে। নোট ছাপানোর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। তবে ঠিক কোন নোট কবে আসবে, সে বিষয়ে তিনি মন্তব্য করেননি। বাংলাদেশ ব্যাংকের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, টাঁকশালে ২০ টাকার নোটের ছাপানোর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। আগামী সপ্তাহে এ নোটটি বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে হস্তান্তর করা হবে। পরের সপ্তাহে হস্তান্তর করা হবে ৫০ ও ১০০০ টাকার নোট। এসব নোট কবে বাজারে ছাড়া হবে তা বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারণ করবে। তিনি জানান, প্রথমে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতিঝিল অফিস ও অন্য শাখাগুলো এবং পরে ব্যাংকগুলোকে এই নতুন নোট দেওয়া হবে। ঈদের ছুটি শুরুর আগে সীমিত সংখ্যক নোট ছাড়ার পরিকল্পনা রয়েছে। নতুন টাকার যে চাহিদা, তার তুলনায় ছাপা কম হচ্ছে। এর আগে শেখ মুজিবুর রহমানের ছবিসহ নোট নিয়ে বিতর্ক ওঠায় গত ১০ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের চিঠি দিয়ে নতুন নোট বিনিময় কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ব্যাংকের শাখায় যেসব নতুন নোট গচ্ছিত আছে, তা বিনিময় না করে সংশ্লিষ্ট শাখায় সংরক্ষণের কথা বলা হয়।  এরপর থেকে নতুন নোটের বিনিময় পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বাজারে ছেঁড়া-ফাটা নোট বাড়তে থাকে।
২২ মে, ২০২৫
ঈদের আগেই বাজারে মিলবে যেসব নতুন নোট

আবারও বেড়েছে সোনার দাম, ২২ ক্যারেটের ভরি কত

আবারও বেড়েছে সোনার দাম। এবার ভরিতে ২ হাজার ৮২৩ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯২১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২২ মে) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে। বুধবার (২১ মে) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) দাম বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম পড়বে ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯২১ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬২ হাজার ২০০ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৯ হাজার ২৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১৪ হাজার ৯৪৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজুস আরও জানায়, সোনার বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে। সবশেষ গত ১৭ মে দেশের বাজারে সোনার দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে ১ হাজার ৩৬৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৬৭ হাজার ৯৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৫৯ হাজার ৫০৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৬ হাজার ৭১৪ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১২ হাজার ৯৭৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছিল গত ১৮ মে থেকে। এ নিয়ে চলতি বছর ৩৬ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হলো সোনার দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ২৪ বার, আর কমেছে মাত্র ১২ বার। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার সোনার দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার। সোনার দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৮১১ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৬৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ২৯৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৭২৬ টাকায়।
২১ মে, ২০২৫
আবারও বেড়েছে সোনার দাম, ২২ ক্যারেটের ভরি কত

দুটি শ্রেষ্ঠ পুরস্কার পেলো কাজী অ্যান্ড কাজী টি 

ক্ষুদ্রায়তন চা চাষ, উৎপাদন, বিপণনকে উৎসাহিত করতে পঞ্চম ‘জাতীয় চা পুরস্কার ২০২৫’ প্রদান করেছে সরকার। আটটি ক্যাটাগরিতে এ পুরস্কার দেওয়া হয়। এ বছর ‘বৈচিত্র্যময় চা’ বাজারজাত এবং ‘দৃষ্টিনন্দন ও মানসম্পন্ন চা’ মোড়ক ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠ হিসেবে দুটি পুরস্কার পেয়েছে কাজী অ্যান্ড কাজী টি এস্টেট লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে পুরস্কার দুটি গ্রহণ করেন কাজী অ্যান্ড কাজী টি এস্টেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ইনাম আহমেদ। বুধবার (২১ মে) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের হাত থেকে পুরস্কার দুটি গ্রহণ করেন কাজী ইনাম আহমেদ। এ সময় বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান এবং বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন। অন্য ছয়টি ক্যাটাগরি ছাড়াও দুটি বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। একর প্রতি সর্বোচ্চ উৎপাদনকারী চা বাগান ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছে ডিনস্টন চা বাগান। সর্বোচ্চ গুণগত চা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুরস্কার পেয়েছে মধুপুর চা বাগান। শ্রেষ্ঠ চা রফতানিকারক হয়েছে দি কনসোলিডেটেড টি অ্যান্ড ল্যান্ডস কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেড ফিনলে। শ্রেষ্ঠ ক্ষুদ্রায়তন চা উৎপাদনকারী হয়েছেন পঞ্চগড়ের এবিএম আখতারুজ্জামান। শ্রমিক কল্যাণের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা বাগান নির্বাচিত হয়েছে মির্জাপুর চা বাগান। শ্রেষ্ঠ চা-পাতা চয়নকারী (শ্রমিক সম্পর্কিত পুরস্কার) পেয়েছেন নেপচুন চা বাগানের শ্রমিক জেসমিন আক্তার। এছাড়া এ বছর সর্বোচ্চ চা উৎপাদনকারী বটলিফ চা কারখানা ক্যাটাগরি এবং সর্বোচ্চ গুণগত মানসম্পন্ন চা উৎপাদনকারী বটলিফ চা কারখানা ক্যাটাগরিতে দুটি বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে দেশের চা শিল্পে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ আট ক্যাটাগরিতে জাতীয় চা পুরস্কার ২০২৫ প্রদান করা হয়। এছাড়াও জাতীয় চা দিবস উপলক্ষে এ বছর সর্বোচ্চ চা উৎপাদনকারী কারখানা ক্যাটাগরিতে দুটি বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়। বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির হাতে সনদ ও ক্রেস্ট তুলে দেন। এর আগে বেলুন উড়িয়ে পঞ্চম জাতীয় চা দিবসের কর্মসূচি উদ্বোধন করেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। পরে তিনি চা মেলায় বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন। বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ চা বোর্ডের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন টি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি শাহ মইনুদ্দিন হাসান, বাংলাদেশীয় চা সংসদের সভাপতি কামরান টি রহমান, জাতীয় চা পুরস্কার ২০২৪ বিজয়ী চা শ্রমিক জেসমিন আক্তার এবং চা শ্রমিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নৃপেন পাল।
২১ মে, ২০২৫
দুটি শ্রেষ্ঠ পুরস্কার পেলো কাজী অ্যান্ড কাজী টি 
বৃষ্টির সময় টিনের ঘর বিদ্যুতায়িত হয়ে ২ জনের মৃত্যু
বৃষ্টির সময় টিনের ঘর বিদ্যুতায়িত হয়ে ২ জনের মৃত্যু
বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ধাক্কা, নিহত ২
বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ধাক্কা, নিহত ২
জুমার নামাজের সময় গৃহবধূকে বেঁধে স্বর্ণালংকার লুট, নারীসহ আটক ২ 
জুমার নামাজের সময় গৃহবধূকে বেঁধে স্বর্ণালংকার লুট, নারীসহ আটক ২ 
ভৈরবে প্রস্তুত ৪০ হাজার কোরবানির পশু
ভৈরবে প্রস্তুত ৪০ হাজার কোরবানির পশু
পরকীয়া প্রেমিককে কুপিয়ে হত্যা করল স্বামী
পরকীয়া প্রেমিককে কুপিয়ে হত্যা করল স্বামী
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ সাকিবের কবর জিয়ারতে শিল্প উপদেষ্টা
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ সাকিবের কবর জিয়ারতে শিল্প উপদেষ্টা
বিএনপি ক্ষমতায় এলে জুলাই শহীদ-আহতদের দায়িত্ব রাষ্ট্র নেবে : রিজভী
বিএনপি ক্ষমতায় এলে জুলাই শহীদ-আহতদের দায়িত্ব রাষ্ট্র নেবে : রিজভী
সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত, ৫০ বছর ধরে পাশাপাশি মসজিদ-শ্মশান
সম্প্রীতির অনন্য দৃষ্টান্ত, ৫০ বছর ধরে পাশাপাশি মসজিদ-শ্মশান
আমার এলাকার সংবাদ
অনুসন্ধান
.

হিন্দু যুগলের বিয়ের অনুষ্ঠানে পাশে দাঁড়াল মুসলিম পরিবার

ধর্মীয় বিভাজনের সময়ে ভারতে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে এক হৃদয়স্পর্শী ঘটনার ছবি ও ভিডিও। এতে সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল নিদর্শন খুঁজে পেয়েছেন বহু মানুষ।  মহারাষ্ট্রের পুণেতে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া এ ঘটনা নেটিজেনদের অনেককেই আশার আলো দেখিয়েছে। অনেকে বলছেন, ‘এটাই নতুন ভারতের মুখ’- যেখানে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সহানুভূতি ও মানবিকতার জয়গান হয়। ঘটনাটি ঘটে পুণে শহরের ওয়ানাওয়াড়ি এলাকায়, স্টেট রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স (এসআরপিএফ) মাঠসংলগ্ন অলংকরণ লনে। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা ৫৬ মিনিটে সংস্ক্রুতি কাওয়াড়ে ও নরেন্দ্র গালান্ডে নামে এক হিন্দু যুগলের বিবাহ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।  মঞ্চ তৈরি, পুরোহিত উপস্থিত, অতিথিরা ভিড় জমাচ্ছেন- সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। কিন্তু হঠাৎ শুরু হয় অঝোর ধারায় বৃষ্টি। খোলা লনের মাটি জলমগ্ন হয়ে পড়ে। অতিথিরা ছুটোছুটি শুরু করেন আশ্রয়ের জন্য। বৃষ্টিতে ভেসে যেতে বসে দুই মাসের পরিকল্পনার বহু প্রতীক্ষিত সেই বিয়ে। ঘটনাটি যখন একেবারে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে, তখন সংস্ক্রুতি কাওয়াড়ের পরিবারের চোখ পড়ে পাশের একটি ব্যাংকোয়েট হলের দিকে। সেখানে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা ফারুক কাজীর ছেলে মহসিন ও পাত্রী মাহিনের ওয়ালিমা (মুসলিম বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান) চলছিল। হিন্দু পরিবারের প্রবীণ সদস্যরা ফারুক কাজীর কাছে গিয়ে আশ্রয় প্রার্থনা করেন। অবাক করে দিয়ে এক মুহূর্তও দেরি করেননি কাজী সাহেব। নিজের অনুষ্ঠান চালিয়ে যাওয়ার মাঝেই ব্যাংকোয়েট হলের একটি অংশ হিন্দু পরিবারের জন্য ছেড়ে দেন। শুধু তাই নয়, তার পরিবার ও অতিথিরাও হিন্দু বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সুন্দরভাবে সম্পন্ন করতে সক্রিয়ভাবে সহায়তা করেন। এরপর ঘটে এক অনন্য ঘটনা- একই মঞ্চে প্রথম হিন্দু বিবাহ, এরপর মুসলিম ওয়ালিমা সম্পন্ন হয়। অতিথিরা উভয় পক্ষের অনুষ্ঠানে অংশ নেন, একসঙ্গে নৈশভোজ করেন। দুই সংস্কৃতির মানুষদের এই মিলনমেলায় যেন নতুন এক ভারতকে খুঁজে পান অনেকে। পেশায় আইনজীবী, কাওয়াড়ে পরিবারের বন্ধু অ্যাডভোকেট নীলেশ শিন্ডে বলেন, প্রথমে ভেবেছিলাম বৃষ্টি হয়তো ১৫ মিনিটের মধ্যে থেমে যাবে, কিন্তু তা না হয়ে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়। তখন পাশের হলের মুসলিম পরিবারের কাছে গিয়ে সাহায্য চাই। তারা নিজের পরিবারের বিয়ের আয়োজন ভুলে গিয়ে আমাদের পাশে দাঁড়ান। সংস্ক্রুতির ঠাকুরদাদা সান্তারাম কাওয়াড়ে বলেন, আমরা দুই মাস ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। যখন মনে হলো অনুষ্ঠানটি আর হবে না, তখন মনটা ভেঙে গিয়েছিল। কিন্তু কাজী পরিবার আমাদের প্রতি যে সহানুভূতি দেখিয়েছে, তা চিরকাল মনে রাখব। সংস্ক্রুতির বাবা চেতন কাওয়াড়ে বলেন, আমাদের মেয়ের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিনে এক মুসলিম পরিবার যেভাবে পাশে দাঁড়িয়েছে, তা শুধু উদারতা নয়, এটা মানবতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত। অন্যদিকে, ফারুক কাজী বলেন, আমি যখন দেখলাম তাদের অনুষ্ঠান ভেস্তে যাচ্ছে, তখন মনে হলো ওরাও তো আমার মেয়ের মতোই। এক বাবার দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই সাহায্য করেছি। ভাগ্যবান মনে করছি নিজেকে, এমন একটি মুহূর্তে পাশে থাকতে পেরে। শেষ পর্যন্ত দুই নবদম্পতি এবং দুই পরিবার রাতভর আনন্দে মেতে ওঠেন। একসঙ্গে তোলা গ্রুপ ছবি, হাসিমুখে খাবার খাওয়ার দৃশ্য- সবই এখন ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। পুণের এই একটি রাতের ঘটনা হয়ে উঠেছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক স্থায়ী প্রতীক। সূত্র : ফ্রি প্রেস জার্নাল
কবে ঈদুল আজহার চাঁদ দেখা যাবে জানাল আমিরাত
কবে ঈদুল আজহার চাঁদ দেখা যাবে জানাল আমিরাত
ডিজে বাজিয়ে, গাড়ি-বাইক নিয়ে ‘গণধর্ষকদের’ শোভাযাত্রা
ডিজে বাজিয়ে, গাড়ি-বাইক নিয়ে ‘গণধর্ষকদের’ শোভাযাত্রা
অবশেষে গাজায় প্রবেশ করছে ত্রাণবাহী ট্রাক
অবশেষে গাজায় প্রবেশ করছে ত্রাণবাহী ট্রাক
ঘুম থেকে উঠেই বাসার সামনে দেখল বড় কার্গো জাহাজ
ঘুম থেকে উঠেই বাসার সামনে দেখল বড় কার্গো জাহাজ
ভারতীয় কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি বাতিল বাংলাদেশের
ভারতীয় কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি বাতিল বাংলাদেশের
জুতায় বিয়ার ঢেলে পান করে রাজনীতিকে বিদায় এমপির
জুতায় বিয়ার ঢেলে পান করে রাজনীতিকে বিদায় এমপির
সুচিত্রা সেন আওয়ামী লীগ করেছেন বলে খবর পাইনি : প্রিন্স মাহমুদ
সুচিত্রা সেন আওয়ামী লীগ করেছেন বলে খবর পাইনি : প্রিন্স মাহমুদ
ফাঁস হচ্ছে একের পর এক ব্যক্তিগত ভিডিও
ফাঁস হচ্ছে একের পর এক ব্যক্তিগত ভিডিও
আমি গুরুতর অসুস্থতায় ভুগছি: নুসরাত ফারিয়া
আমি গুরুতর অসুস্থতায় ভুগছি: নুসরাত ফারিয়া
বালিতে বনি-কৌশানীর একান্ত যাপন
বালিতে বনি-কৌশানীর একান্ত যাপন
জহ্নবী কাপুরের প্রশংসায় পরিচালক
জহ্নবী কাপুরের প্রশংসায় পরিচালক
রবি-আরতির বিচ্ছেদে বিপাকে কেনিশা
রবি-আরতির বিচ্ছেদে বিপাকে কেনিশা
আলিয়ার কানে আত্মপ্রকাশ, এয়ারপোর্টেই বাজিমাত
আলিয়ার কানে আত্মপ্রকাশ, এয়ারপোর্টেই বাজিমাত
শনি
রোব
সোম
মঙ্গল
বুধ
বৃহ
শুক্র
আনচেলত্তির ‘চিরন্তন প্রেম’ শেষের পথে, ব্রাজিলে নতুন অধ্যায় শুরু সোমবার
আনচেলত্তির ‘চিরন্তন প্রেম’ শেষের পথে, ব্রাজিলে নতুন অধ্যায় শুরু সোমবার
বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই টেস্টকে বিদায় বলবেন ম্যাথুস
বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়েই টেস্টকে বিদায় বলবেন ম্যাথুস
ক্যারিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ বাঁকে হামজা
ক্যারিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ বাঁকে হামজা
ওয়েম্বলিতে খেলা ম্যাচগুলোর দিকে দৃষ্টি দিলে কাল কিন্তু হামজা চৌধুরীর শেফিল্ড ইউনাইটেডের আশাবাদী হওয়ার কোনো কারণ নেই। লন্ডনের এ ভেন্যুতে খেলা সাত ম্যাচে কোনো জয় নেই—এক ড্র, বাকি ছয় ম্যাচে হার। সান্ডারল্যান্ডের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নশিপ প্লে-অফ জিততে না পারলে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় টায়ারেই থাকতে হবে শেফিল্ড ইউনাইটেডকে। ওয়েম্বলি বন্ধত্ব ঘুচিয়ে জিতলে মিলবে প্রিমিয়ার লিগের টিকিট। অথচ মৌসুমজুড়ে সরাসরি উত্তরণের অনত্যম দাবিদার ছিল ক্লাবটি। ব্লেডরা ১৪৩ দিন চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে শীর্ষ দুইয়ের মধ্যে ছিল। ক্লাবটি শীর্ষ ছয়ে ছিল ২৩৩ দিন। একমাত্র লিডস ইউনাইটেড ছিল শেফিল্ডের চেয়ে ভালো অবস্থানে। সেই লিডসের সঙ্গে মৌসুমজুড়ে পিছিয়ে থাকা বার্নলে সরাসরি প্রিমিয়ার লিগে উঠে গেছে। আগামীকাল সান্ডারলেন্ডের বিপক্ষে প্লে-অফ ফাইনাল জিতলে টিকিট পাবে হামজা চৌধুরীর ক্লাব শেফিল্ড ইউনাইটেড। হারলে খেলতে হবে চ্যাম্পিয়নশিপ লিগই। আজ বাংলাদেশ সময় রাত ৮টা ১ মিনিটে শুরু হবে এ ম্যাচ। সান্ডারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ খেলার পরই জাতীয় দলে মনোযোগ দেবেন হামজা চৌধুরী। সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের হোম ম্যাচ খেলবেন ২৭ বছর বয়সী এ মিডফিল্ডার। এর আগে ভুটানের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচেও খেলার কথা ২৫ মার্চ বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হওয়া হামজা চৌধুরীর। বাংলাদেশের ম্যাচ শেষে ক্যারিয়ারের গুরুত্বপূর্ণ এক সিদ্ধান্ত নিতে হবে হামজা চৌধুরীকে। কারণ এ ফুটবলার চুক্তিবদ্ধ লেস্টার সিটির সঙ্গে। শেফিল্ড ইউনাইটেডে খেলছেন লোনে। সান্ডারল্যান্ড ম্যাচের পরই লোনের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। শেফিল্ড ইউনাইটেড হামজা চৌধুরীর সার্ভিসে দারুণ খুশি। ‘ব্লেড’ ডাক নামের ক্লাবটি এ ফুটবলারকে স্থায়ীভাবে রাখতেও চায়; কিন্তু লেস্টার সিটির সঙ্গে করা লোন চুক্তিতে স্থায়ী দলবদলের কোনো ধারা নেই। সান্ডারল্যান্ডের বিপক্ষে প্লে-অফ ফাইনাল জিতলে হামজার পরিস্থিতি একরকম হবে, হারলে হবে অন্যরকম। গেল শীতকালীন দলবদলে বেশ ব্যস্ত ছিল শেফিল্ড ইউনাইটেড। প্লে-অফ জিতে প্রিমিয়ারে ফিরলে শুরুর প্রহর গুনতে থাকা গ্রীষ্মকালীন দলবদলেও ব্যস্ত সময় কাটাতে হবে ব্লেডদের। সে ক্ষেত্রে হয়তো হামজা চৌধুরীকে লেস্টার থেকে স্থায়ী চুক্তিতে কিনে নেওয়ার পথটা চওড়া হবে। হামজা চৌধুরীর বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে দলবদল বিশেষজ্ঞ এবং সাংবাদিক গ্রায়েম বেইলি বলছিলেন, ‘হামজা চৌধুরী আসার পর থেকে শেফিল্ড ইউনাইটেড ম্যানেজমেন্ট এ ফুটবলারকে নিয়ে খুব খুশি। তারা হামজার একাধিক পজিশনে খেলার দক্ষতাকে পছন্দ করে। ক্লাবটির হাতে অবশ্য একটি বিকল্প আছে। কিন্তু শেফিল্ড এখনো এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়নি।’ ২৫ বছরের বেশি সময় ধরে সাংবাদিকতায় যুক্ত বেইলি আরও বলেন, ‘হামজাকে স্থায়ীভাবে রেখে দেওয়ার ভালো সম্ভাবনা আছে, কিন্তু শেফিল্ড ইউনাইটেড মৌসুমের ফলের জন্য অপেক্ষা করবে।’ হামজা চৌধুরীর ক্লাব লেস্টার সিটি প্রিমিয়ার লিগ থেকে অবনমিত হয়ে চ্যাম্পিয়নশিপ লিগে ফিরে গেছে।  প্লে-অফ ফাইনাল হারলে শেফিল্ডও থাকবে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় সারির লিগে। সে ক্ষেত্রে হামজা চৌধুরীকে হয়তো চ্যাম্পিয়নশিপ লিগেই দেখা যাবে।
টেস্ট ইতিহাসে জো রুটের নতুন মাইলফলক
টেস্ট ইতিহাসে জো রুটের নতুন মাইলফলক
যে পাঁচ কারণে আরব আমিরাতের কাছে হেরেছে বাংলাদেশ
যে পাঁচ কারণে আরব আমিরাতের কাছে হেরেছে বাংলাদেশ
ইভেন্ট
লা লিগা
লা লিগা
ইপিএল
ইপিএল
ফ্রেঞ্চ লিগ
ফ্রেঞ্চ লিগ
ফ্রেঞ্চ ওপেন
ফ্রেঞ্চ ওপেন
উইম্বলডন
উইম্বলডন
লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ
লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ
ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ
ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ
বুন্দেসলিগা
বুন্দেসলিগা
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ
ইউরোপা লিগ
ইউরোপা লিগ
ইউএস ওপেন
ইউএস ওপেন
X