মির্জা ফখরুলকে ফোন করে আলোচনার আহ্বান জামায়াতে ইসলামীর

মির্জা ফখরুলকে ফোন করে আলোচনার আহ্বান জামায়াতে ইসলামীর

জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের জানিয়েছেন, তিনি জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে ফোন করে আনুষ্ঠানিক আলোচনার আহ্বান জানিয়েছেন। একইদিনে জামায়াতে ইসলামীর সাথে আলোচনায় বসতে সময় চেয়েছে এনসিপি, এবি পার্টিসহ ৯ দল। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) রাতে এ তথ্য জানান তিনি। সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের
ঐকমত্য কমিশনের ব্যয় সংক্রান্ত প্রতিবেদনের প্রতিবাদ
ঐকমত্য কমিশনের ব্যয় সংক্রান্ত প্রতিবেদনের প্রতিবাদ
মশার ওষুধ প্রয়োগ তদারকিতে নামছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি
মশার ওষুধ প্রয়োগ তদারকিতে নামছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি
জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোট করতে হবে : জামায়াত আমির
জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোট করতে হবে : জামায়াত আমির
১৯৩ নন-ক্যাডারকে সহকারী সমাজসেবা পদে নিয়োগের নির্দেশ
১৯৩ নন-ক্যাডারকে সহকারী সমাজসেবা পদে নিয়োগের নির্দেশ
কুয়াশা ও তাপমাত্রা নিয়ে আবহাওয়া অফিসের নতুন বার্তা
কুয়াশা ও তাপমাত্রা নিয়ে আবহাওয়া অফিসের নতুন বার্তা
যেসব সাংবাদিক মবের ভয়ে আছেন, তারা ফ্যাসিবাদের দোসর : প্রেস সচিব
যেসব সাংবাদিক মবের ভয়ে আছেন, তারা ফ্যাসিবাদের দোসর : প্রেস সচিব
  • বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইন ও ভূ-রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থান : ২০২৫-এর বিশ্লেষণ

    বর্তমান বিশ্ব এক জটিল, দ্রুত পরিবর্তনশীল এবং মেরুকৃত ভূ-রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কাঠামোর মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ২০২৫ সালের এই সন্ধিক্ষণে, বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইন বা সরবরাহ শৃঙ্খল এখন কেবল দক্ষতার বিষয় নয়; এটি জাতীয় নিরাপত্তা, কৌশলগত নিয়ন্ত্রণ এবং অর্থনৈতিক স্থিতিস্থাপকতার স্তম্ভ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্রমবর্ধমান বাণিজ্য, প্রযুক্তিগত এবং সামরিক প্রতিযোগিতা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রবাহকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করছে। এই বিশাল ক্যানভাসে, এশিয়ার উদীয়মান অর্থনৈতিক বিস্ময় হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান এখন এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং বহু-মাত্রিক বিশ্লেষণের দাবি রাখে। আমাদের ভৌগোলিক সুবিধা, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গতি এবং বিচক্ষণ কূটনৈতিক পদক্ষেপ এই নতুন বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে আমাদের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে। ২০২৫ সালের বৈশ্বিক সরবরাহ শৃঙ্খল আর শুধু ‘চায়না-প্লাস-ওয়ান’-এ সীমাবদ্ধ নয়;

    সহিষ্ণুতার সংকটে তরুণ সমাজ : মানবিক বাংলাদেশ গঠনের চ্যালেঞ্জ

    কিছুদিন আগে খবরের শিরোনামে এসেছিল—ফেসবুকে একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে দুই তরুণের মধ্যে শুরু হয় তর্কাতর্কি, পরে তা রূপ নেয় মারামারিতে, আর শেষ পর্যন্ত প্রাণ হারান একজন। এমন ঘটনা এখন প্রায় নিয়মিত। কোনো রাজনৈতিক পোস্টে মতের অমিল, কোনো ধর্মীয় বিষয়ে বিতর্ক, কিংবা কেবল ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি—এ সামান্য বিষয়গুলোই আজ সমাজে ঘৃণা, হিংসা ও হত্যার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, যা হওয়ার কথা ছিল মতপ্রকাশের মুক্ত প্ল্যাটফর্ম, তা আজ অনেক সময় পরিণত হচ্ছে ঘৃণার কারখানায়। অসহিষ্ণু বিশ্বের প্রতিচ্ছবি বিশ্বজুড়ে আজ এক ধরনের অদৃশ্য বিভাজন বেড়ে উঠছে। রাজনীতি, ধর্ম, সংস্কৃতি কিংবা মতাদর্শ—সবখানেই দেখা যাচ্ছে ভিন্নমতের প্রতি অনীহা ও অসহিষ্ণুতা। ডিজিটাল যুগে তথ্যের প্রাচুর্য থাকলেও মানুষ ক্রমে একপাক্ষিক

    চাকরি বদলের আগে যে কয়েকটি বিষয় ভাবা উচিত

    জীবনের প্রতিটি পেশাগত সিদ্ধান্তই ভবিষ্যতের পথে একটি নতুন অধ্যায় খুলে দেয়। বিশেষ করে চাকরি বদল করার সিদ্ধান্ত— এখানে আবেগ নয়, যুক্তিই হওয়া উচিত মূল পথনির্দেশক। একটি প্রতিষ্ঠিত পদ ছেড়ে অন্য কোথাও যোগ দেওয়াটা শুধুই পদোন্নতি নয়; এটা নতুন সাংগঠনিক সংস্কৃতি, ভিন্ন নেতৃত্ব ও নতুন ঝুঁকির সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর ব্যাপারও বটে। সেই কারণে পেশাগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অন্তত ছয়টি বিষয় গভীরভাবে বিবেচনা করা জরুরি। প্রথমত, পদ ও দায়িত্বের পরিধি : শুধু নতুন পদবির নাম বড় হওয়া মানেই উন্নতি নয়। দেখুন— নতুন পদে আপনার দায়িত্ব কতটা বেড়েছে? আপনি কৌশলগত সিদ্ধান্ত প্রক্রিয়ার অংশ হবেন, নাকি কেবল পদের শিরোনাম বদলেই সীমাবদ্ধ? বাস্তব নেতৃত্ব, সিদ্ধান্তগ্রহণে অংশগ্রহণ এবং
  • ফেব্রুয়ারির ভবিষ্যৎ কী

    আসছে ফেব্রুয়ারি কি কুয়াশাচ্ছন্ন থাকবে? রাজনীতির আবহাওয়া কী পূর্বাভাস দিচ্ছে? বিরাজমান মেঘ কেটে গিয়ে ফেব্রুয়ারির প্রথম ভাগে কি নতুন সূর্যের দেখা পাওয়া যাবে? জাতীয় নির্বাচন নিয়ে জনমনে এখনো শঙ্কা, নির্বাচন কি ভণ্ডুল হয়ে যাবে? দেশ কি মহাসংকটের দিকে ধাবিত হবে? কিছুদিন ধরে এমন অসংখ্য প্রশ্ন বেশ জোরেশোরে বিভিন্ন মহলে উচ্চারিত হচ্ছে। গণভোট ও জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে জটিলতা তৈরি হওয়ায় এসব প্রশ্ন সামনে চলে আসে। গণভোটের সময় নিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের বিপরীতমুখী অবস্থান নির্বাচন নিয়ে এক ধরনের অনিশ্চয়তা তৈরি করে। বিএনপির দাবি, নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে হবে। আর এ মাসেই গণভোট চাচ্ছে জামায়াতে ইসলামী। এতে করে রাজনীতির হাওয়া

    শিক্ষককে কেন বারবার রাস্তায় নামতে হয়

    মাধ্যমিকের বেসরকারি শিক্ষকরা টানা দশ দিনের আন্দোলন শেষে মূল বেতনে ১৫ শতাংশ বাড়ি ভাড়া আদায় করে নিজ নিজ এলাকায় ফিরে গেলেন। এ আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের যে ক্ষতি হয়েছে, তা পোষানোর জন্য বার্ষিক পরীক্ষা পর্যন্ত শনিবার ক্লাস নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। এটি ভালো উদ্যোগ! কিন্তু শিক্ষার্থীদের আসলে যে ক্ষতি হয়েছে, তা কি পোষানো সম্ভব? শিক্ষকদের অবস্থা নিয়ে যাদের সঠিক চিন্তা করার কথা ছিল, তারা কখনোই তা করেননি। দেশের শিক্ষার বিশাল অংশই চলে বেসরকারি পর্যায়ে। অথচ সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে বৈষম চরমে। কোনো সরকারই তেমন কোনো পদক্ষেপ কখনো নিতে চায়নি, যখন শিক্ষকরা সবকিছু বন্ধ করে দিয়ে, ঢাকায় এসে বলপ্রয়োগ করেন, তখনই সবাই একটু নড়েচড়ে

    সড়কে নিরাপত্তা কোথায়

    দেশের সড়কে প্রতিদিন ঝরে যাচ্ছে অনেক মূল্যবান প্রাণ। আহত হয়ে চিরদিনের জন্য পঙ্গু হওয়ার সংখ্যাও কম নয়। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, সড়ক দুর্ঘটনা এবং এতে হতাহতের ঘটনা আমাদের নিত্যকার জীবনে এতই নিয়মিত হয়ে গেছে, যেন জীবনের অনিবার্য কিছু অনুষঙ্গের একটি! বিষয়টি অত্যন্ত হতাশার। সড়কে জীবনের নিরাপত্তার বিষয়টি কি অধরাই রয়ে যাবে? বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, মঙ্গলবার এক দিনেই পাঁচ জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটেছে ১৫ জনের। এসব ঘটনায় আহত হয়েছে কমপক্ষে ২০ জন। এর মধ্যে নোয়াখালীর কবিরহাটে ট্রাকচাপায় সিএনজির ছয় আরোহী, বাগেরহাটের রামপালে ট্রাকচাপায় বিএনপির তিন কর্মী, হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে দুই বাসের সংঘর্ষে তিনজন মারা গেছেন। এ ছাড়া টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বাসচাপায়
  • জলবায়ু সংকটে বাংলাদেশের প্রস্তুতি : নীতিমালা, অর্থায়ন ও বাস্তবায়ন

    ২০২৩ সালের মে মাসে যখন ঘূর্ণিঝড় মোখা বঙ্গোপসাগরে শক্তি সঞ্চয় করছিল, তখন বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের উপকূলীয় মানুষজনের ঘনিয়ে আসা দুর্যোগের দিকে ছিল সতর্ক দৃষ্টি। যখন এই ঘূর্ণিঝড় কক্সবাজারের এক অঞ্চলের কাছে আঘাত হানে, যেখানে প্রায় দশ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাস করছিল। গভীর রাতে, স্থানীয় মানুষজন সাক্ষী হয় এক ভয়াবহ অভিজ্ঞতার। স্থানীয় এক বাসিন্দা শাহিন আলম বর্ণনা করেন, কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কীভাবে হঠাৎ করে সমুদ্র উত্তাল হয়ে উঠল, আকাশ অন্ধকার হয়ে গেল, বাতাসের তীব্র বেগ কয়েক মিনিটের মধ্যে তাদের টিনের ছাদ উড়ে গেল। পরিবারসহ আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে উঠল মানুষ; কিন্তু পুরো গ্রাম ছিন্নভিন্ন হয়ে পড়ল। বাস্তুচ্যুত হলো ৬০ হাজার মানুষ; ৩০

    কেমন প্রার্থী তালিকা হলো বিএনপির

    বিএনপি অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের নির্বাচনী যাত্রা শুরু করেছে। আন্দোলন, গ্রেপ্তার ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তায় দীর্ঘ এক অচলাবস্থার পর দলের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ দেশের রাজনীতিতে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে। দীর্ঘদিন পর নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দলটিকে রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে ফিরিয়ে এনেছে। তবে এ ঘোষণার ভেতরেই লুকিয়ে আছে নানা কৌশল, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনার ইঙ্গিত। ঘোষিত ২৩৭ আসনের তালিকায় অভিজ্ঞ নেতৃত্বের পাশাপাশি বেশ কিছু নতুন মুখের উপস্থিতি লক্ষণীয়। এর মধ্য দিয়ে বিএনপি চেষ্টা করেছে একটি ভারসাম্য রক্ষা করতে—একদিকে অভিজ্ঞ ও পরিচিত নেতাদের ধরে রাখা; অন্যদিকে তরুণ ও উদ্যমী কর্মীদের সামনে নিয়ে আসা। এ ভারসাম্য রক্ষার প্রচেষ্টা দলের ভেতর ‘পুনর্গঠনের রাজনীতি’র ইঙ্গিত দেয়, যা বিএনপির ভবিষ্যৎ টিকে

    ফোঁস করতে দোষ নেই

    জাতীয় ঐকমত্য কমিশন জুলাই সনদ বাস্তবায়নের যে সুপারিশমালা অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান ড. ইউনূস বরাবর পেশ করেছে, তা নিয়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে এখন ঝোড়ো হাওয়া বইছে। সর্বসম্মতভাবে গৃহীত ও স্বাক্ষরিত জুলাই সনদ বাস্তবায়নের নিমিত্তে গণভোট আদেশের সুপারিশমালায় বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নোট অব ডিসেন্ট, মানে দ্বিমতগুলো বাদ দেওয়া হয়েছে। বোঝা যায়, এ ব্যাপারে সরকার বা ঐকমত্য কমিশন বিএনপির মতামতকে ধর্তব্যের মধ্যে নেয়নি। অথচ চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে ড. ইউনূসের সরকারকে দ্ব্যর্থহীন সমর্থন দিয়েছিল বিএনপি। এই দলটির এক সময়ের সক্রিয় কর্মী হওয়া সত্ত্বেও তাদের অনেক ভুলত্রুটির প্রকাশ্য সমালোচনা করেছি। কিন্তু ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে দেশের বৃহৎ এ রাজনৈতিক দলটি যে অত্যন্ত দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন
  • ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ১১:২৮ এএম
    পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন কোচ সালাউদ্দিন। তার এই সিদ্ধান্ত সমর্থন করেন কি?

    পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন কোচ সালাউদ্দিন। তার এই সিদ্ধান্ত সমর্থন করেন কি?

    • হ্যাঁ
    • না
    • মন্তব্য নেই
    +
    =
    সাবমিট
    মোট ভোটদাতাঃ ১,০৩২ জন
    মোট ভোটারঃ ১,০৩২
    ভোট দিন
    Link Copied
অনলাইন জরিপ
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জুমার নামাজের পর হবে মারামারি, মাইকিং করলেন বড় ভাই

শিক্ষকের গায়ে আগুন ধরিয়ে টাকা ছিনতাই

ভারতের দুই সাবেক তারকা ক্রিকেটারের সম্পত্তি জব্দ

শান্তি আলোচনার মধ্যেই আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তে সংঘর্ষ

জাহানারার অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিসিবির তদন্ত কমিটি গঠন

ডি ককের সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রোটিয়াদের দাপুটে জয়

এবার ঢাকার হয়ে বিপিএল মাতাবেন তাসকিন

নোট অব ডিসেন্টসহ ঐকমত্য হওয়া জুলাই সনদের আইনানুগ বাস্তবায়ন চায় বিএনপি

জাহানারার বিস্ফোরক অভিযোগে তদন্তে নামছে বিসিবি

ঐকমত্য কমিশনের ব্যয় সংক্রান্ত প্রতিবেদনের প্রতিবাদ

১০

মির্জা ফখরুলকে ফোন করে আলোচনার আহ্বান জামায়াতে ইসলামীর

১১

আইডিইবির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও গণপ্রকৌশল দিবসের সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা

১২

মারা গেছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী

১৩

চার দশক পর মার্কিন কংগ্রেস থেকে অবসর নিলেন ন্যান্সি পেলোসি

১৪

মাদক ও চাঁদাবাজমুক্ত ঢাকা-১১ গড়ার অঙ্গীকার ড. কাইয়ুমের

১৫

গাজায় আরও ফিলিস্তিনি নিহত, লেবাননেও ইসরায়েলি হামলা

১৬

ক্রান্তিকালীন একমাত্র বিএনপিই দেশের হাল ধরেছে : মোস্তফা জামান

১৭

জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোট করতে হবে : জামায়াত আমির

১৮

একই বিদ্যালের ৮ শিক্ষার্থীর হঠাৎ শ্বাসকষ্ট, হাসপাতালে ভর্তি

১৯

ঢাকা-১২ আসনে আনোয়ারুজ্জামানকে ধানের শীষে মনোনীত করতে মিছিল

২০
তপশিলের আগে আবারও হতে পারে আরপিও সংশোধন
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এরই মধ্যে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধন করে গেজেট জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি), যা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। সংশোধিত অধ্যাদেশে
৩০০ আসনে প্রার্থী দিয়েও অন্যদের সঙ্গে দরকষাকষি চালিয়ে যাবে এনসিপি
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দেশের রাজনীতিতে বইছে নির্বাচনী হাওয়া। একের পর এক দল ঘোষণা করছে তাদের প্রার্থীদের নাম। এরই মধ্যে বিএনপি ২৩৭ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। তার আগে
জোটের জট খোলার চ্যালেঞ্জে বিএনপি
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে এরই মধ্যে ২৩৭ আসনে দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিএনপি। ফাঁকা রাখা হয়েছে ৬৩টি আসন। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এর মধ্যে বিএনপির প্রার্থীদের জন্যও
টেলিগ্রামে ১০৮ পর্নোগ্রাফি চ্যানেল শনাক্ত, বন্ধে চিঠি
মেসেজিং অ্যাপ টেলিগ্রামে বিভিন্ন নামে চ্যানেল খুলে নগ্ন এবং অশ্লীল ছবি ও ভিডিও প্রচার করা হচ্ছে। বাংলাদেশে টেলিগ্রাম প্ল্যাটফর্মে সক্রিয় এমন ১০৮টি পর্নোগ্রাফি চ্যানেল শনাক্ত করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন
ঐকমত্য কমিশনের ব্যয় সংক্রান্ত প্রতিবেদনের প্রতিবাদ
ঐকমত্য কমিশনের ব্যয় সংক্রান্ত প্রতিবেদনের প্রতিবাদ
সম্প্রতি প্রকাশিত ঐকমত্য কমিশনের ব্যয় সংক্রান্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রতিবাদে বলা হয়েছে, কমিশনের মোট ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৭১ লাখ, আপ্যায়ন বাবদ ব্যয় হয়েছে ৪৫ লাখ টাকা। অতিসম্প্রতি মহল বিশেষের পক্ষ থেকে সংঘবদ্ধ অপপ্রচারে বলা হচ্ছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আপ্যায়ন বাবদ ৮৩ (তিরাশি) কোটি টাকা ব্যয় করেছে। এটি সবৈর্ব মিথ্যাচার। স্পষ্টতই যেহেতু এটি একটি পরিকল্পিত প্রপাগান্ডা স্বাভাবিকভাবেই অপপ্রচারকারীরা এই বিষয়ে কমিশনের কোনো ভাষ্য সংগ্রহ করেনি এবং সংশ্লিষ্ট তথ্যের যথার্থতা যাচাইয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও যোগাযোগ করেনি। অপপ্রচারকারীদের মিথ্যাচারের ফলে জনমনে যাতে কোনো ধরনের বিভ্রান্তি সৃষ্টি না হয় সেই লক্ষ্যে পরিষ্কারভাবে জানানো যাচ্ছে যে, গত ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে কার্যক্রম শুরু করার পর ২০২৪-২৫ এবং ২০২৫-২৬ অর্থবছরে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সর্বমোট বাজেট ছিল ৭ কোটি ২৩ লাখ ৩১ হাজার ২৬ টাকা। এর বিপরীতে গত ৩১ অক্টোবর ২০২৫ তারিখ পর্যন্ত কমিশনের ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৭১ লাখ ৩১ হাজার ১ হাজার ১২৬ টাকা, যা বরাদ্দের ২৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ। কমিশনের মোট বরাদ্দের মধ্যে আপ্যায়ন খাতে বরাদ্দ ছিল ৬৩ লাখ টাকা, যার মধ্যে ব্যয় হয়েছে ৪৫ লাখ ৭৭ হাজার ৬৮৫ টাকা। কমিশনের এই আপ্যায়ন ব্যয়ের সিংহভাগ হয়েছে রাজনৈতিক দলসমূহের সঙ্গে আলোচনার সময় এবং কমিশনের অন্যান্য বৈঠকের সময়। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তিন ধাপের আলোচনাকালে প্রতিদিন কমিশনের উদ্যোগে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি, তাদের সহযোগীগণ, সাংবাদিক তথা গণমাধ্যমকর্মী, কমিশনের কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং নিরাপত্তা কর্মীদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়। প্রথম পর্যায়ে গত ২০ মার্চ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের ৪৪টি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সময়ে এই খাতে মোট ব্যয় হয় ৪ লাখ ৯১ হাজার টাকা। দ্বিতীয় পর্যায়ে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ২৩টি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এই সময় ব্যয় হয় ২৮ লাখ ৮৩ হাজার ১০০ টাকা। এই পর্বের বৈঠকগুলোতে রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিগণ ছাড়াও কশিনের কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ, সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মী, নিরাপত্তা কর্মী, ফরেন সার্ভিস একাডেমীর সাপোর্ট স্টাফদের আপ্যায়ন বাবদ গড়ে প্রতিদিনের ব্যয় ১ লাখ ২০ হাজার টাকার কম ছিল এবং এই সময় একাধিক দিনের বৈঠকগুলো সকাল থেকে রাত অবধি চলেছে এবং সে কারণে সকলের জন্য নাশতার পাশাপাশি দুপুরে এবং রাতে খাবারের আয়োজন করতে হয়েছিল। তৃতীয় পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে সাতটি, এতে ৩০টি দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন এবং এই পর্বের মোট ব্যয় ছিল ৭ লাখ ৮ হাজার ৬০০ টাকা। এর বাইরে কমিশনের সভা হয়েছে ৫০টি, যার অনেকগুলো ছিল সাপ্তাহিক ছুটির দিনে এবং দিনব্যাপী। এই বাবদ মোট ব্যয় হয়েছে ১ লাখ ৫ হাজার ৫২০ টাকা। রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনানুষ্ঠানিক বৈঠক, নাগরিক সমাজ ও পেশাজীবীদের সঙ্গে বৈঠক, তিনটি সাংবাদিক সম্মেলন সবগুলো মিলে তেরোটি বৈঠকে ব্যয় হয়েছে ২ লাখ ৩৪০ টাকা। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে ১৩টি, তাতে আপ্যায়ন বাবদ ব্যয় হয়েছে ৩০ হাজার ৯৬০ টাকা। উল্লেখ্য যে, বিশেষজ্ঞরা কোনো রকম ভাতা বা সম্মানী গ্রহণ করেন নাই। এর বাইরে নয় মাসে অতিথি আপ্যায়নের জন্যে ব্যয় হয়েছে ২ লাখ টাকা। এসব অতিথিদের মধ্যে ছিলেন বিদেশি কূটনীতিবিদ, দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি, রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সম্পাদক, সাংবাদিক এবং অন্যান্যরা। বর্ণিত বিস্তারিত হিসাব থেকে এটি স্পষ্ট যে, ৮৩ কোটি টাকা ব্যয়ের এই দাবি কেবল মিথ্যাচারই নয়, ঐকমত্য কমিশন এবং তার কাজকে হেয় করার লক্ষ্যে একটি সংঘবদ্ধ ও পরিকল্পিত অপচেষ্টা মাত্র। কমিশনের মেয়াদকালে কমিশন অত্যন্ত স্বচ্ছতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছে যার প্রমাণ হচ্ছে প্রতিদিন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর। সাংবাদিকরা সহজেই কমিশন কার্যালয়ে উপস্থিত হতে পেরেছেন, কমিশনের সহসভাপতি এবং সদস্যরা সবসময়ই গণমাধ্যমে তথ্য প্রদানে অকুণ্ঠিত থেকেছেন, নিয়মিতভাবে প্রেস ব্রিফিং করেছেন। তদুপরি বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা সরাসরি টেলিভিশনে দিনব্যাপী প্রচারিত হয়েছে। কমিশন আশা করে, যে অসাধু মহল অসৎ উদ্দেশ্যে এই প্রপাগান্ডা পরিচালনা করছেন তারা অবিলম্বে ভুল স্বীকার এবং ক্ষমা প্রার্থনা করবেন। কমিশন তার মেয়াদকালে দায়িত্বশীল গণমাধ্যমের সহযোগিতা পেয়ে এসেছে এবং আশা করে সেই ধারা অব্যাহত রেখে গণমাধ্যমগুলো এই বিষয়ে সঠিক তথ্য প্রচারের মাধ্যমে জনগণকে বিভ্রান্তির হাত থেকে রক্ষা করবে।
৪ ঘণ্টা আগে

অনুমোদন ছাড়াই স্কুলের সভাপতি : উপসচিব মামুন মিয়াকে তিরস্কার

৮ ঘণ্টা আগে

সতর্কবার্তা দিয়ে পুলিশের বিজ্ঞপ্তি

৯ ঘণ্টা আগে

যেসব সাংবাদিক মবের ভয়ে আছেন, তারা ফ্যাসিবাদের দোসর : প্রেস সচিব

৯ ঘণ্টা আগে

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত অবস্থার তথ্য চেয়েছে ইসি

১০ ঘণ্টা আগে

শুক্রবার ২২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়

১২ ঘণ্টা আগে
নোট অব ডিসেন্টসহ ঐকমত্য হওয়া জুলাই সনদের আইনানুগ বাস্তবায়ন চায় বিএনপি
নোট অব ডিসেন্টসহ ঐকমত্য হওয়া জুলাই সনদের আইনানুগ বাস্তবায়ন চায় বিএনপি
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে দীর্ঘ আলোচনায় 'নোট অব ডিসেন্ট'সহ ঐকমত্য হওয়া সংস্কার প্রস্তাবগুলোর ভিত্তিতে স্বাক্ষরিত জুলাই জাতীয় সনদের আইনানুগ বাস্তবায়ন এবং যথাসময়ে আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান চায় বিএনপি। এ লক্ষ্যে আন্তরিক ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দলটি।  বৃহস্পতিবার (০৬ নভেম্বর) রাতে  রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। পরে রাতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।  বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ হলো- জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে দীর্ঘ ও বিস্তারিত আলোচনা শেষে কতিপয় বিষয়ে নোট অব ডিসেন্টসহ যে সকল বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং গত ১৭ অক্টোবর জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় ঐতিহাসিক আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে স্বাক্ষরিত হয়েছে, আমরা তার অংশীদার হিসেবে সনদে বর্ণিত সকল বিষয়কে ধারণ করি এবং দেশের সংবিধান ও প্রচলিত আইন অনুযায়ী তা বাস্তবায়নে অঙ্গীকারাবদ্ধ। সর্বসম্মতভাবে গৃহীত জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে নতুন প্রশ্ন কিংবা সংকট সৃষ্টির সকল অপপ্রয়াসের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী জনগণের শক্তিকে ধারণ করে বিএনপি গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় দীর্ঘ ১৬ বছরের অবিরাম লড়াই এবং ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের সীমাহীন ত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে। বিএনপি দৃঢ়ভাবে মনে করে যে, দীর্ঘ আলোচনায় উপনীত ঐকমত্যকে বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সকল রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ থাকবে এবং কোনোমতেই নিত্য- নতুন প্রশ্ন উত্থাপন কিংবা সংকট সৃষ্ট করে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আয়োজিতব্য নির্বচন অনুষ্ঠানে বাধা সৃষ্টি করবে না। বিএনপি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি জুলাই জাতীয় সনদের যে সকল বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে তার আইনানুগ বাস্তবায়নের জন্য এবং যথাসময়ে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের আন্তরিক ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছে।  
৪ ঘণ্টা আগে
মির্জা ফখরুলকে ফোন করে আলোচনার আহ্বান জামায়াতে ইসলামীর
মির্জা ফখরুলকে ফোন করে আলোচনার আহ্বান জামায়াতে ইসলামীর
মারা গেছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী
মারা গেছেন সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী
মাদক ও চাঁদাবাজমুক্ত ঢাকা-১১ গড়ার অঙ্গীকার ড. কাইয়ুমের
মাদক ও চাঁদাবাজমুক্ত ঢাকা-১১ গড়ার অঙ্গীকার ড. কাইয়ুমের
ক্রান্তিকালীন একমাত্র বিএনপিই দেশের হাল ধরেছে : মোস্তফা জামান
ক্রান্তিকালীন একমাত্র বিএনপিই দেশের হাল ধরেছে : মোস্তফা জামান
জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোট করতে হবে : জামায়াত আমির
জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোট করতে হবে : জামায়াত আমির
ঢাকা-১২ আসনে আনোয়ারুজ্জামানকে ধানের শীষে মনোনীত করতে মিছিল
ঢাকা-১২ আসনে আনোয়ারুজ্জামানকে ধানের শীষে মনোনীত করতে মিছিল

৫ ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন স্থগিত

একীভূতের প্রক্রিয়ায় থাকা পাঁচ ইসলামী ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন স্থগিত করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) এক নোটিশের মাধ্যমে ডিএসই ব্যাংকগুলোর শেয়ার লেনদেন স্থগিত করে। লেনদেন স্থগিতকৃত ব্যাংকগুলো হলো,  ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক (এসআইবিএল), এক্সিম ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক এবং ইউনিয়ন ব্যাংকে। নোটিশে বলা হয়েছে, পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত ব্যাংকগুলোর শেয়ার লেনদেন স্থগিত থাকবে। লেনদেন স্থগিত করার কারণ হিসেবে ডিএসই থেকে জানানো হয়েছে, ব্যাংক রেজোলিউশন অধ্যাদেশ, ২০২৫ এর ধারা ১৫ অনুসারে ৫ নভেম্বর থেকে ব্যাংকগুলোকে অ-কার্যকর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।  ডিএসই আরও জানিয়েছে, কোম্পানিগুলো জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক ৫ নভেম্বর চিঠির মাধ্যমে নির্দেশ দিয়েছে, ব্যাংকগুলো এখন থেকে ব্যাংক রেজোলিউশন অধ্যাদেশ, ২০২৫ অনুসারে পরিচালিত হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক আরেকটি চিঠির মাধ্যমে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদও ভেঙে দিয়েছে। এদিকে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, পাঁচ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের ইকুইটির মূল্য এখন শূন্যের নিচে। ফলে শেয়ারগুলোর ভ্যালু জিরো হিসেবে বিবেচিত হবে। কাউকে কোনো ধরনের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না।

স্বর্ণ ও রুপার আজকের বাজারদর

দেশের বাজারে প্রায়ই স্বর্ণের বাজার ওঠানামা করে। সর্বশেষ ঘোষণায় স্বর্ণের দাম বাড়ানো হয়েছে হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সবশেষ সমন্বয়কৃত দামেই দেশের বাজারে মূল্যবান এই ধাতু বিক্রি হচ্ছে। সবশেষ গত ১ নভেম্বর রাতে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে স্বর্ণের দাম বাড়িয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ওই দিন ভরিতে ১ হাজার ৬৮০ টাকা বাড়িয়েছে সংগঠনটি। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে ২ লাখ ১ হাজার ৭৭৬ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯২ হাজার ৫৯৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬৫ হাজার ৮১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ১৮০ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে। এদিকে বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে। চলতি বছর মোট ৭৩ বার দেশের বাজারে সমন্বয় করা হয়েছে স্বর্ণের দাম। যেখানে দাম বাড়ানো হয়েছে ৫০ বার, আর কমেছে মাত্র ২৩ বার। আর ২০২৪ সালে দেশের বাজারে মোট ৬২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছিল। যেখানে ৩৫ বার দাম বাড়ানো হয়েছিল, আর কমানো হয়েছিল ২৭ বার। স্বর্ণের দাম বাড়ানো হলেও সবশেষ সমন্বয়ে দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে পূর্বনির্ধারিত দাম ৪ হাজার ২৪৬ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৪ হাজার ৪৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৩ হাজার ৪৭৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬০১ টাকায়। চলতি বছর এখন পর্যন্ত ৯ বার সমন্বয় করা হয়েছে রুপার দাম। এর মধ্যে বেড়েছে ৬ বার, আর কমেছে মাত্র ৩ বার। আর গত বছর সমন্বয় করা হয়েছিল ৩ বার।

অক্টোবর / রেমিট্যান্স পাঠানোতে শীর্ষে যেসব দেশের প্রবাসীরা

গত অক্টোবর মাসে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে থাকা বাংলাদেশি প্রবাসীরা ২৫৬ কোটি ৩৫ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন সৌদি আরবের প্রবাসীরা। এ ছাড়া শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় আরও রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ কয়েকটি দেশ। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। এতে বলা হয়, গত অক্টোবর মাসে সৌদি প্রবাসীরা দেশে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। দেশটি থেকে রেমিট্যান্স এসেছে ৩৮ কোটি ৫৯ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। এ ছাড়া শীর্ষ ১০ দেশের তালিকায় রয়েছে- যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মালয়েশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ইতালি, ওমান, কুয়েত, কাতার ও সিঙ্গাপুর। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৬ কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে যুক্তরাজ্য থেকে। আর সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে ২৯ কোটি ৭৭ লাখ ২০ হাজার, মালয়েশিয়া থেকে ২৭ কোটি ৯৯ লাখ ৯০ হাজার, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৯ কোটি ২৩ লাখ ২০ হাজার, ওমান থেকে ১৬ কোটি ২০ লাখ ৬০ হাজার, ইতালি থেকে ১৬ কোটি ১৭ লাখ ৫০ হাজার, কাতার থেকে ১২ কোটি ৬৮ লাখ ২০ হাজার, কুয়েত থেকে ১২ কোটি ৫৯ লাখ ৮০ হাজার ও সিঙ্গাপুর থেকে ১০ কোটি ৪৬ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। অক্টোবর মাসে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৪৭ কোটি ৭৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার। এছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে ২৪ কোটি ২ লাখ ৫০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৮৩ কোটি ৮৬ লাখ ৯০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৬৬ লাখ ৭০ হাজার ডলার। এর আগে, গত সেপ্টেম্বর মাসে প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন ২৬৮ কোটি ৫৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার। আগস্টে দেশে এসেছে ২৪২ কোটি ১৮ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর গত জুলাইয়ে দেশে এসেছিল ২৪৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত দেশে এসেছে ১ হাজার ১৪ কোটি ৮৮ লাখ ডলার বা ১০.১৪ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স। বছর ব্যবধানে যা বেড়েছে ১২১ কোটি ১৭ লাখ ডলার বা ১৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ। গত অর্থবছরের একই সময়ে দেশে এসেছিল ৮৯৩ কোটি ৭১ লাখ ডলার। এদিকে, গত ২০২৪-২৫ অর্থবছর জুড়ে দেশে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ৩০ দশমিক ৩২ বিলিয়ন বা ৩ হাজার ৩২ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স, যা দেশের ইতিহাসে কোনো নির্দিষ্ট অর্থবছরে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়ের রেকর্ড।
২১ ঘণ্টা আগে
অক্টোবরে রেমিট্যান্স পাঠানোতে শীর্ষে যেসব দেশের প্রবাসীরা

লাফিয়ে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম, ৭ দিনে দ্বিগুণ

দেশের বাজারে আবারও অস্থিরতা তৈরি করেছে পেঁয়াজের দাম। কয়েক দিনের ব্যবধানে এই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গেছে। হঠাৎ এই ঊর্ধ্বগতিতে বিভ্রান্ত ও ক্ষুব্ধ সাধারণ ক্রেতারা নানা প্রশ্ন তুলছেন। বুধবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০ থেকে ১২০ টাকায়। পাইকারি বাজারে যার দাম ৯৫ থেকে ১০৫ টাকার মধ্যে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, মৌসুম শেষে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ কমে গেছে। এর সঙ্গে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ থাকায় বাজারে চাপ বেড়েছে। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহীর বাজারে খুচরা বিক্রেতারা জানিয়েছেন, গত সপ্তাহজুড়ে প্রায় প্রতিদিনই পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা করে বেড়েছে। রাজধানীর গুদারাঘাট কাঁচাবাজারের বিক্রেতা রিপন মিয়া বলেন, ‘গতকাল ১০০ টাকায় বিক্রি করেছি, আজ মানভেদে ১১৫ থেকে ১২০ টাকায় দিতে হচ্ছে। পাইকারি বাজারেই তো প্রতিদিন দাম বাড়ছে।’ চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ ও রাজশাহীর পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি (আইপি) বন্ধ থাকায় দেশি পেঁয়াজের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়েছে। তারা আশঙ্কা করছেন, দ্রুত জোগান না বাড়লে দাম আরও বাড়তে পারে। তবে বাংলাদেশ কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন (ক্যাব) বলছে, পেঁয়াজের দাম বাড়ার পেছনে বাস্তব কোনো কারণ নেই। তাদের দাবি, কৃত্রিম সংকট তৈরি করে কিছু ব্যবসায়ী আমদানির অনুমতি আদায়ের চেষ্টা করছে। অন্যদিকে, ক্রেতারা বলছেন, এই হঠাৎ দাম বৃদ্ধি তাদের দৈনন্দিন জীবনে চাপ বাড়িয়েছে। উত্তর বাড্ডার বাসিন্দা রুবেল হোসেন বলেন, ‘গত সপ্তাহে ৬০ টাকায় পেঁয়াজ কিনেছি, আজ ১২০ টাকা। এক সপ্তাহে এমন দাম কীভাবে দ্বিগুণ হয়?’ বাংলাদেশে খাদ্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা নতুন কিছু নয়। বিশেষ করে আমদানিনির্ভর পণ্যগুলোতে বছরের কোনো না কোনো সময় এমন অস্থিরতা দেখা দেয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম দ্বিগুণ হয়ে গেছে। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন ক্ষমতা বিবেচনায় বর্তমান দামের এই ঊর্ধ্বগতি অস্বাভাবিক। সরকারি হিসেবে দেশে বছরে ২৫ থেকে ২৭ লাখ টন পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে, যেখানে উৎপাদন প্রায় ২১ লাখ টন— অর্থাৎ ঘাটতি পূরণে প্রতি বছর ছয় লাখ টন আমদানি করতে হয়। তবে ক্যাবের সহসভাপতি এসএম নাজের হোসেন এ তথ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘দেশে যে পরিমাণ পেঁয়াজ উৎপাদন হয়, তাতে আমদানির প্রয়োজন নেই। বাজার তদারকির দুর্বলতাই এখন মূল সমস্যা।’ তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান মজুতে নতুন পেঁয়াজ না আসা পর্যন্ত চাহিদা মেটানোর মতো সরবরাহ রয়েছে। কিন্তু নজরদারি না থাকায় কৃত্রিম সংকট তৈরি হচ্ছে।’ বাজার বিশ্লেষকদের মতে, নতুন মৌসুমের পেঁয়াজ বাজারে না আসা পর্যন্ত কিছুটা বাড়তি দামের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে। রাজবাড়ীর কৃষক ছোরাপ আলী বলেন, ‘অন্য বছর অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়েই নতুন পেঁয়াজ ঘরে তুলতে পারতাম, এবার দেরিতে লাগানোয় সময় লাগছে।’ আমদানিকারক আহসান উল্লাহ জাহেদী বলেন, ‘সরকার যদি এখনই আমদানির অনুমতি দেয়, তাহলে একদিনের মধ্যেই এর প্রভাব বাজারে পড়বে।’ ক্যাবের সহসভাপতি নাজের হোসেনের মতে, সরকারের উচিত আমদানি নীতি নমনীয় রাখা— স্থানীয় পণ্য থাকলে আমদানি নিরুৎসাহিত করা, আর সংকটকালীন সময়ে দ্রুত অনুমতি দেওয়া। বর্তমানে বাজার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষকরা বলছেন, কার্যকর তদারকি ও সময়োচিত সিদ্ধান্ত না নিলে পেঁয়াজের দাম আরও বাড়তে পারে— আর সেই চাপ সরাসরি পড়বে সাধারণ ভোক্তার ঘাড়ে।
০৫ নভেম্বর, ২০২৫
লাফিয়ে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম, ১০ দিনে দ্বিগুণ

অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি কমে ৮.১৭ শতাংশ 

চলতি (২০২৫-২৬) অর্থবছরের সেপ্টেম্বর মাসে বাড়লেও অক্টোবরে এসে আবারও কমেছে দেশের মূল্যস্ফীতি। সরকারি হিসেবে সদ্য শেষ হওয়া অক্টোবর মাসে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে হয়েছে ৮ দশমিক ১৭ শতাংশ। সেপ্টেম্বরে যা ছিল ৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ। তবে বেড়েছে খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি। মূলত খাদ্য পণ্যের দাম কমায় অক্টোবরে গড় মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। গ্রামাঞ্চলের তুলনায় শহরের মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় এখন বেশি। বুধবার (০৫ নভেম্বর) মাসিক ভোক্তা মূল্যসূচকে (সিপিআই) মূল্যস্ফীতির এসব তথ্য তুলে ধরেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। সিপিআইয়ের তথ্যে দেখা যায়, গত বছরের অক্টোবর মাসে গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে দেশের গড় মূল্যস্ফীতি কমেছে দুই দশমিক ৭ শতাংশ।  মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ১৭ শতাংশের অর্থ হলো ২০২৪ সালের অক্টোবরে যে পণ্য ১০০ টাকায় কিনতে হয়েছিল, একই পণ্য গত অক্টোবরে কিনতে হয়েছে ১০৮ টাকা ১৭ পয়সায়। বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরে গড় মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের বেশি ছিল। চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ৬ দশমিক ৫ শতাংশের মধ্যে রাখার কথা বলা হয়েছে। সে লক্ষ্যে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতিও দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের ঘোষিত মুদ্রানীতি অনুযায়ী, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথমার্ধের (জুলাই-ডিসেম্বর) জন্য লক্ষ্যমাত্রা ছিল গড় মূল্যস্ফীতিকে ৬.৫০ শতাংশে নামিয়ে আনা। তবে, মূল্যস্ফীতি এখনো লক্ষ্যমাত্রার ওপরে থাকায় এই অর্থবছরের জন্য এ লক্ষ্য পূরণ করা কঠিন বলে মনে করা হচ্ছে। সিপিআই তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, অক্টোবর মাসে দেশের খাদ্য মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমে ৭ দশমিক ০৮ শতাংশ হয়েছে। যা সেপ্টেম্বরে ছিল ৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ। যদিও এক বছরে আগে একই সময়ে দেশের খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ। অর্থাৎ বছরের ব্যবধানে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমেছে প্রায় সাড়ে ৫ শতাংশ। খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমলেও এ সময় দেশের খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। বিবিএসের তথ্য অনুযায়ি, অক্টোবর মাসে দেশের খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ১৩ শতাংশ। যা সেপ্টেম্বরে কমে হয়ে ছিল ৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ। সর্বশেষ এ মাসে গ্রামাঞ্চলের তুলনায় শহরের মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেশি হয়েছে। অক্টোবর মাসে শহরে বেশি দামে পণ্য কিনতে হয়েছে। এ সময় গ্রাম এলাকায় গড় মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ, কিন্তু একই সময়ে শহরে গড় মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ। যা আগের মাস সেপ্টেম্বরে ছিল উল্টো। ওই মাসে শহরের তুলনায় গ্রামে মুল্যস্ফীতির চাপ বেশি ছিল। অক্টোবরে গ্রাম এলাকায় খাদ্য পণ্যের মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ, খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ। একই সময়ে শহরের নাগরিকদের খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ এবং খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে ৮ দশমিক ৫১ শতাংশ।
০৫ নভেম্বর, ২০২৫
অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি কমে ৮.১৭ শতাংশ 
জুমার নামাজের পর হবে মারামারি, মাইকিং করলেন বড় ভাই
জুমার নামাজের পর হবে মারামারি, মাইকিং করলেন বড় ভাই
শিক্ষকের গায়ে আগুন ধরিয়ে টাকা ছিনতাই
শিক্ষকের গায়ে আগুন ধরিয়ে টাকা ছিনতাই
জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোট করতে হবে : জামায়াত আমির
জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোট করতে হবে : জামায়াত আমির
একই বিদ্যালের ৮ শিক্ষার্থীর হঠাৎ শ্বাসকষ্ট, হাসপাতালে ভর্তি
একই বিদ্যালের ৮ শিক্ষার্থীর হঠাৎ শ্বাসকষ্ট, হাসপাতালে ভর্তি
স্থগিত হওয়া পদ ফিরে পেলেন বিএনপি নেতা কচি
স্থগিত হওয়া পদ ফিরে পেলেন বিএনপি নেতা কচি
সনাতন ধর্মাবলম্বী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর পাঁচ শতাধিক পরিবারের বিএনপিতে যোগ
সনাতন ধর্মাবলম্বী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর পাঁচ শতাধিক পরিবারের বিএনপিতে যোগ
রংপুরের দুই কোটি মানুষ তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন আন্দোলনে যুক্ত : দুলু
রংপুরের দুই কোটি মানুষ তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন আন্দোলনে যুক্ত : দুলু
এক দিনের ব্যবধানে চট্টগ্রাম নগরীতে আবারও গুলি, আহত রিকশাচালক
এক দিনের ব্যবধানে চট্টগ্রাম নগরীতে আবারও গুলি, আহত রিকশাচালক
আমার এলাকার সংবাদ
অনুসন্ধান
.

শান্তি আলোচনার মধ্যেই আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তে সংঘর্ষ

শান্তি আলোচনা শুরু হওয়ার দিনেই সীমান্তে গুলিবিনিময়ে জড়াল আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের সেনারা। বৃহস্পতিবার উভয় দেশই জানিয়েছে, সীমান্তের দক্ষিণাঞ্চলীয় আফগান শহর স্পিন বোলদাক এলাকায় এ সংঘর্ষ ঘটে। খবর রয়টার্সের তবে কোনো পক্ষই হতাহতের খবর নিশ্চিত করেনি। দুই দেশই বলেছে, তারা যুদ্ধবিরতি বজায় রাখতে এবং ইস্তানবুলে চলমান শান্তি আলোচনায় অটল আছে। গত মাসেও দুই দেশের মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়েছিল, যাতে ডজনখানেক মানুষ নিহত হয়। ২০২১ সালে তালেবান কাবুলের ক্ষমতায় ফেরার পর এটাই ছিল সবচেয়ে বড় সহিংসতা। উভয় দেশ ১৯ অক্টোবর দোহায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি সই করেছিল। তবে ইস্তানবুলে দ্বিতীয় দফার আলোচনায় তারা একমত হতে পারেনি—কারণ পাকিস্তানের অভিযোগ, তালেবান প্রশাসন পাকিস্তানি তালেবান (টিটিপি) জঙ্গিদের আশ্রয় দিচ্ছে। কাবুল তা অস্বীকার করে বলেছে, ওই গোষ্ঠীর ওপর তাদের নিয়ন্ত্রণ নেই। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেন, আমরা চাই, বুদ্ধিমত্তা কাজ করুক এবং অঞ্চলে শান্তি ফিরুক। তিনি জানান, ইসলামাবাদের একমাত্র লক্ষ্য, আফগানিস্তান যেন সীমান্তের ওপার থেকে পাকিস্তানে হামলা চালানো জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণে আনে। পাকিস্তান পক্ষের আলোচনায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান আসিম মালিক। অন্যদিকে আফগান প্রতিনিধিদলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দেশটির গোয়েন্দা প্রধান আবদুল হক ওয়াসিক। গত অক্টোবরের সংঘর্ষ শুরু হয়েছিল পাকিস্তানের বিমান হামলার পর, যেখানে ইসলামাবাদ টিটিপি নেতাদের টার্গেট করেছিল। জবাবে আফগান তালেবান সীমান্তজুড়ে পাকিস্তানি সেনা পোস্টে হামলা চালায়। যদিও দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে যুদ্ধবিরতি এখনও কার্যকর। তবুও পাকিস্তানি সেনা ও টিটিপি জঙ্গিদের মধ্যে সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। এতে দুই পক্ষেই বহু হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।  
চার দশক পর মার্কিন কংগ্রেস থেকে অবসর নিলেন ন্যান্সি পেলোসি
চার দশক পর মার্কিন কংগ্রেস থেকে অবসর নিলেন ন্যান্সি পেলোসি
গাজায় আরও ফিলিস্তিনি নিহত, লেবাননেও ইসরায়েলি হামলা
গাজায় আরও ফিলিস্তিনি নিহত, লেবাননেও ইসরায়েলি হামলা
মধ্যপ্রাচ্যের এক দেশে সিরিজ হামলা ইসরায়েলের
মধ্যপ্রাচ্যের এক দেশে সিরিজ হামলা ইসরায়েলের
ভারতে ভোট দিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান মডেল, বিস্ফোরক তথ্য রাহুলের
ভারতে ভোট দিয়েছেন ব্রাজিলিয়ান মডেল, বিস্ফোরক তথ্য রাহুলের
কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে সাংবাদিককে জনপ্রিয় অভিনেত্রীর লিগ্যাল নোটিশ
কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে সাংবাদিককে জনপ্রিয় অভিনেত্রীর লিগ্যাল নোটিশ
পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধে বিমান বিধ্বস্ত নিয়ে নতুন তথ্য দিলেন ট্রাম্প
পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধে বিমান বিধ্বস্ত নিয়ে নতুন তথ্য দিলেন ট্রাম্প
ইউক্রেন সফরে গিয়ে বিপাকে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি
ইউক্রেন সফরে গিয়ে বিপাকে অ্যাঞ্জেলিনা জোলি
রহস্যময় রূপে দুলকার সালমান
রহস্যময় রূপে দুলকার সালমান
কন্যা সন্তানের বাবা হলেন সাগর দেওয়ান
কন্যা সন্তানের বাবা হলেন সাগর দেওয়ান
ফ্যামিলি ফিউডের অনুষ্ঠানে তাহসানের অনুরোধ
ফ্যামিলি ফিউডের অনুষ্ঠানে তাহসানের অনুরোধ
মঞ্চে দেরি করে আসায়, বিতর্কে মাধুরী
মঞ্চে দেরি করে আসায়, বিতর্কে মাধুরী
আমার পঞ্চাশ বছর বয়সী লুকটা দেখার অপেক্ষায় আছি: পরী মণি
আমার পঞ্চাশ বছর বয়সী লুকটা দেখার অপেক্ষায় আছি: পরী মণি
শাহরুখপুত্রের প্রেমিকা লারিসার বিরুদ্ধে ভোট কারচুপির অভিযোগ 
শাহরুখপুত্রের প্রেমিকা লারিসার বিরুদ্ধে ভোট কারচুপির অভিযোগ 
শনি
রোব
সোম
মঙ্গল
বুধ
বৃহ
শুক্র
জাহানারার অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিসিবির তদন্ত কমিটি গঠন
জাহানারার অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিসিবির তদন্ত কমিটি গঠন
ডি ককের সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রোটিয়াদের দাপুটে জয়
ডি ককের সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রোটিয়াদের দাপুটে জয়
ভারতের দুই সাবেক তারকা ক্রিকেটারের সম্পত্তি জব্দ
ভারতের দুই সাবেক তারকা ক্রিকেটারের সম্পত্তি জব্দ
ভারতের ক্রিকেটে ফের বড় ঝড়—টিম ইন্ডিয়ার সাবেক দুই তারকা ক্রিকেটার শিখর ধাওয়ান ও সুরেশ রায়নার সম্পত্তি জব্দ করেছে ভারতের প্রভাবশালী আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। অনলাইন বেটিং প্ল্যাটফর্ম 1xBet-এর সঙ্গে অর্থপাচারের অভিযোগে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ইডির প্রাথমিক প্রতিবেদনে জানা গেছে, দু’জনের মোট ১১.১৪ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৩ কোটি ৬০ লাখ টাকা) সমমূল্যের সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে শিখর ধাওয়ানের একটি স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে, যার মূল্য ধরা হয়েছে প্রায় ৪.৫ কোটি রুপি (৫.৫ কোটি টাকা)। অন্যদিকে, সুরেশ রায়নার ৬.৬৪ কোটি রুপি (৮ কোটি টাকার বেশি) মূল্যের মিউচুয়াল ফান্ড বিনিয়োগ জব্দ করেছে সংস্থাটি। ইডির অভিযোগ, ধাওয়ান ও রায়না দুজনেই 1xBet এবং তার সহযোগী বিদেশি ব্র্যান্ডগুলোর সঙ্গে প্রচারচুক্তিতে “জেনেশুনেই” যুক্ত হয়েছিলেন। এসব চুক্তি মূলত ভারতের মধ্যে অবৈধ অনলাইন বেটিং পরিষেবার প্রচার এবং গ্রাহক আকর্ষণের অংশ ছিল। প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে, 1xBet মূলত কুরাসাও-ভিত্তিক এক বেটিং পোর্টাল, যা নিজেদের ‘আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত বুকমেকার’ হিসেবে উপস্থাপন করে। তবে ভারতের আইনে এ ধরনের অনলাইন বেটিং কার্যক্রম সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এই মামলায় ধাওয়ান ও রায়নার পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক ক্রিকেটার যুবরাজ সিং ও রবিন উথাপ্পা, অভিনেতা সোনু সুদ ও উর্বশী রাউতেলা, তৃণমূলের সাবেক সংসদ সদস্য মিমি চক্রবর্তী এবং বাংলা সিনেমার তারকা অঙ্কুশ হাজরা। ইডি জানায়, তারা বিভিন্ন প্রচারচুক্তি, আর্থিক লেনদেন ও অফশোর কোম্পানির মাধ্যমে ভারতে অর্থ প্রবাহের ধারা খতিয়ে দেখছে। মূল উদ্দেশ্য—এই বেটিং চক্রের আর্থিক জাল সম্পূর্ণ উন্মোচন করা। ভারতের ক্রিকেটজগতে একসময় যারা ছিলেন গর্বের প্রতীক, তাদের নাম এখন আলোচনায় এসেছে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে।
এবার ঢাকার হয়ে বিপিএল মাতাবেন তাসকিন
এবার ঢাকার হয়ে বিপিএল মাতাবেন তাসকিন
জাহানারার বিস্ফোরক অভিযোগে তদন্তে নামছে বিসিবি
জাহানারার বিস্ফোরক অভিযোগে তদন্তে নামছে বিসিবি
ইভেন্ট
লা লিগা
লা লিগা
ইপিএল
ইপিএল
ফ্রেঞ্চ লিগ
ফ্রেঞ্চ লিগ
ফ্রেঞ্চ ওপেন
ফ্রেঞ্চ ওপেন
উইম্বলডন
উইম্বলডন
লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ
লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ
ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ
ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ
বুন্দেসলিগা
বুন্দেসলিগা
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ
ইউরোপা লিগ
ইউরোপা লিগ
ইউএস ওপেন
ইউএস ওপেন
X