রিসেট বাটন প্রসঙ্গে বক্তব্য স্পষ্ট করল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

রিসেট বাটন প্রসঙ্গে বক্তব্য স্পষ্ট করল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের রিসেট বাটন নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। এবার এ বিষয়ে বক্তব্য স্পষ্ট করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে
পিরোজপুরে প্রাইভেটকার খালে পড়ে শিশুসহ নিহত ৮
পিরোজপুরে প্রাইভেটকার খালে পড়ে শিশুসহ নিহত ৮
আ.লীগ সরকারের রাজনৈতিক ‘হাতিয়ার’ ছিল উচ্চ আদালত
আ.লীগ সরকারের রাজনৈতিক ‘হাতিয়ার’ ছিল উচ্চ আদালত
রতন টাটার মৃত্যুতে কে কী বললেন?
রতন টাটার মৃত্যুতে কে কী বললেন?
উপকূলে আছড়ে পড়েছে হারিকেন মিল্টন, ভয়াবহ বিপর্যয়
উপকূলে আছড়ে পড়েছে হারিকেন মিল্টন, ভয়াবহ বিপর্যয়
আরজি করে কতটা চাপে মমতা
আরজি করে কতটা চাপে মমতা
দিনে চাঁদার বিপক্ষে মাইকিং, রাতে নিজেই চাঁদাবাজ
দিনে চাঁদার বিপক্ষে মাইকিং, রাতে নিজেই চাঁদাবাজ
  • মো. বশিরুল ইসলাম
    মো. বশিরুল ইসলামকৃষিবিদ, উপপরিচালক, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়

    ইলিশ নিয়ে ভাবনা

    চাষের মাছ যেমন রুই, কাতল পোনা কেনা থেকে শুরু করে রক্ষণাবেক্ষণ, খাবার, যাবতীয় খরচাদির পর অবস্থাভেদে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০-৪০০ টাকা। অথচ ইলিশ মাছ! যা কি না শুধু জেলেদের ধরা থেকে শুরু করে ভোক্তা পর্যন্ত পৌঁছানোর বাইরে কোনো খরচ নেই, সেই মাছের দাম প্রতি কেজি ১৫০০-১৮০০ টাকা; ভাবা যায়! ইলিশের দাম নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি ভাইরাল সংবাদ। ভাইরাল আর একটা সংবাদ, ইলিশ ঘাস খায় না, খড় খায় না, খৈল-ভুসি বা ফিডও খায় না, ইলিশের জন্য চিকিৎসা খরচও নেই, ইলিশ পালতে দিনমজুরও রাখা লাগে না, তারপর দাম এত বেশি কেন? দামের ঊর্ধ্বগতি আর ইলিশ নিয়ে মাতামাতি দুটোই এখন তুমুল আলোচনায়।

    দুর্গাপূজা যুগে যুগে

    রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর দেবী দুর্গাকে আনন্দময়ী বলে অভিহিত করেছেন। কারণ আনন্দের মাঝেই আসে জীবনের পরিপূর্ণতা। অসুর বিনাশিনীরূপে দশভূজা দেবী দুর্গার আগমন ঘটে প্রতি বছর, প্রতি শরতে। দুর্গাপূজা হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। পণ্ডিত অমূল্যচরণ বিদ্যাভূষণ তার ‘দেবী দুর্গা’ প্রবন্ধে বলেছেন, প্রাচীনকালে ঋষিরা ধ্যানের সময় আগুন না জ্বালিয়ে সেখানে ‘দক্ষকন্যা’ বা কুণ্ডের ওপর গীতবর্ণের মূর্তি স্থাপন করতেন। মূর্তিটি ছিল অগ্নির প্রতীক এবং তার নামকরণ করা হয়েছিল ‘হব্যবাহনী’। এই মূর্তিই পরে পরিণত হলো দুর্গায়। ‘কুণ্ডের দশদিক দুর্গার দশহাত’ এবং বৈদিক যুগের শেষ দিকে দেখা যায় ‘দক্ষকন্যা’ ক্রমশ: উমাতে পরিণত হলেন। রমাপ্রসাদ চন্দ্র তার এক নিবন্ধে বলেন, দুর্গাপূজার যত প্রাচীন উৎসবই খুঁজি না কেন,

    গার্মেন্টস শিল্পে খুলছে সম্ভাবনার দ্বার

    হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অর্থনীতিবিদ জেফ্রি ডি স্যাশ, যিনি বর্তমানে কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্টের পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন, একবার বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন ২০০৩ সালে। তার বিখ্যাত একটি গ্রন্থের (দি এন্ড অব পোভার্টি) সূচনায় বাংলাদেশ নিয়ে এ সফরের কিছু স্মৃতিকথা প্রায় পাঁচ পৃষ্ঠার একটি নিবন্ধে তুলে ধরেছেন (বাংলাদেশ: অন দ্য লেডার অব ডেভেলপমেন্ট)। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত এবং গার্মেন্টসকর্মীদের নিয়ে সেখানে বলেছিলেন আশাজাগানিয়া কিছু কথা যার চৌম্বক অংশ এরকম— “কোনো এক ভোরবেলায় আমি ঢাকা শহরের এক অসাধারণ দৃশ্য দেখার জন্য হাজির হলাম: হাজার হাজার মানুষ সারিবদ্ধভাবে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত এবং দরিদ্রতম এলাকা থেকে ঢাকার কর্মক্ষেত্রে যাচ্ছিল। আরও কাছে গিয়ে আমি লক্ষ
  • দুগ্গা এলো

    শিব উবাচ দেবিত্বং ভক্তসুলভে সর্বকার্যবিধায়িনী। কলৌ হি কার্যসিদ্ধ্যর্থমুপায়ং ব্রুহি যত্নতঃ।। শিব বললেন—হে দেবী! তুমি ভক্তের কাছে সহজলভ্য এবং সমস্ত কর্মের বিধানকারিণী। কলিযুগে কামনাপূরণের যদি কোনো উপায় থাকে তবে তোমার বাণীদ্বারা সম্যকভাবে তা বলো। দেবী বললেন, রে দেব! আমার ওপরে আপনার অসীম স্নেহ। কলিযুগে সর্বকামনা সিদ্ধির যে সাধন তা আমি বলছি, শুনুন। তার নাম হলো ‘অম্বাস্তুতি’। দুর্গাসপ্তশ্লোকী স্তোত্রে নিবেদন করা হয়েছে, ‘হে মা দুর্গা! আপনি স্মরণ মাত্রই সব প্রাণীর ভয় হরণ করে নেন এবং পরম কল্যাণময়ী বুদ্ধি প্রদান করেন। দুঃখ, দারিদ্র্য ও ভয়হারিণী দেবী! আপনি ছাড়া দ্বিতীয়া কে আছেন যার চত্ত সকলের উপকার করার জন্য সততই দয়ার্দ্র। নারায়ণী আপনি সকল প্রকার মুঙ্গল প্রদানকারিণী, মঙ্গল্ময়ী, কল্যাণদায়িণী

    কন্যারূপে দেবী দুর্গা

    বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার ‘সোনারতরী’ কাব্যের ‘বৈষ্ণব কবিতা’ শীর্ষক কবিতায় বলেছেন, দেবতারে যাহা দিতে পারি, দিই তাই প্রিয়জনেÑ প্রিয়জনে যাহা দিতে পাই তাই দিই দেবতারে; আর পাব কোথা। দেবতারে প্রিয় করি, প্রিয়েরে দেবতা। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ওই বক্তব্য বাঙালি চরিত্রের একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্যের প্রতি আলোকপাত করেছে। বাঙালি দেবতাকে প্রিয় করে তোলে, যেমন দেবী দুর্গা যেন নিজের কন্যা। আবার প্রিয়কে দেবতা করে তোলা; যেমন, শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংস দেবতুল্য। দেবী দুর্গা শক্তির দেবী। মহিষাসুর ও তার সাঙ্গোপাঙ্গসহ অসুররূপী অন্যায়কে তিনি দমন ও বধ করেছেন। দেবী অম্বিকারূপে তিনি বধ করেছেন অত্যাচারী শাসক শুম্ভ ও নিশুম্ভকে। প্রকাশ করেছেন দৈবশক্তি। দুষ্টের দমনের জন্যই তার আবির্ভাব। আবার তিনি যেন মাতা-পিতার কাছে আদরের কন্যা। দুর্গার অনেক

    চেতনবিনাশী চেতনার কথা

    গত বছর ডিসেম্বর মাসে একদিন আমার ভাতিজি তাসনিম সুলতানা আভা ফোন করে জিজ্ঞেস করল, আমি ওদের স্কুলে যেতে পারব কি না। ও ধানমন্ডির একটি সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী। জিজ্ঞেস করলাম, কেন? ও জানাল, শিক্ষিকা বলেছেন, ওদের অভিভাবকদের মধ্যে যদি কেউ মুক্তিযোদ্ধা থাকেন বা মুক্তিযুদ্ধ দেখেছেন এমন কেউ থাকেন তাহলে তাকে নিয়ে যেতে। তার মুখ থেকে শিক্ষার্থীরা মুক্তিযুদ্ধে ইতিহাস শুনবে। আভা আমার কথা বলায় শিক্ষিকা নিয়ে যেতে বলেছেন। স্কুলের শিক্ষিকার ফোনকল পেয়ে নির্দিষ্ট দিনে যাওয়ার পর আমাকে ব্রিফিং করা হলো, শিক্ষার্থীরা মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রশ্ন করবে আর আমি আমার স্বচক্ষে দেখা অভিজ্ঞতা থেকে জবাব দেব। যথারীতি অনুষ্ঠান শুরু হলো। কিন্তু দেখলাম, শিক্ষার্থীরা
  • পুলিশে ঊর্ধ্বতনদের প্রতি অধস্তনদের আস্থাহীনতা দূর হয়েছে

    ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে গা ঢাকা দেন ১৫ বছর ধরে সরকার ও প্রশাসনে হাসিনার দুঃশাসনের সহযাত্রী হিসেবে নিযুক্ত কর্মকর্তারাও। তাদের মধ্যে ছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তৎকালীন কমিশনার মো. হাবিবুর রহমানও। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর প্রবল জনরোষের মুখে রাজধানীসহ সারা দেশে পুলিশের কাঠামো রীতিমতো ভেঙে পড়ে। এমন এক দুঃসময়ে গত ৭ আগস্ট ডিএমপির ৩৭তম কমিশনার হিসেবে নিয়োগ পান বিসিএস ১৭ ব্যাচের কর্মকর্তা মো. মাইনুল হাসান এনডিসি। এর পর থেকে পুলিশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং বৃহৎ এই ইউনিটে শৃঙ্খলা ফেরানোর লক্ষ্যে বিচক্ষণতার সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছেন তিনি। দায়িত্ব

    মাত্র ১৭০০ মানুষ সৎ হলে গোটা দেশ বদলে যাবে

    বাংলাদেশের সরকারি চাকরি করে বিপ্লবের সুযোগ আছে কী? বিসিএস ক্যাডার হয়ে সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধানকে নিয়ে সমালোচনার সুযোগ আছে কী? রাজনৈতিক বিষয়ে এভাবে কথা বলা কিংবা ছাত্র আন্দোলনের আইকন আবু সাঈদকে এভাবে সন্ত্রাসী বলার সুযোগ আছে কী? না থাকলে সরকার ব্যবস্থা নিতেই পারে। মনে করে দেখুন, অতীতে আপনারা এর চেয়ে তুচ্ছ কারণে অনেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছেন। এমনকি বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নকে গবেষণায় ‘লুটেরা মডেল’ বলায় শাস্তির মুখে পড়েছিলেন কয়েকজন কর্মকর্তা। এমন অসংখ্য উদাহরণ আছে। আপনাদের পথেই এ সরকার হেঁটেছে।  এখন যেটা হতে পারে ভবিষ্যতে ২০ বছর পরেও কোনো দিন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে তাকে রাতারাতি পদোন্নতি দিয়ে সচিব বানিয়ে দিলেও অবাক হওয়ার কিছু
    ইলিয়াস হোসেন
    ইলিয়াস হোসেনযুগ্ম সম্পাদক, দৈনিক কালবেলা

    কিন্তু যদি তবে সুতরাং

    গাল্পিক কেবলই বলেছেন, এক ভদ্রলোক দুই বিয়ে করেছেন। অমনি শ্রোতা প্রতিক্রিয়া দিলেন, শুনতে হবে না। কোনো ভদ্রলোক দুই বিয়ে করেন না। অতএব, চরিত্রের নৈতিকতা হারানোর ফলে আবেদন ফুরিয়ে গেছে গল্পটির। অতি সতর্কতার সঙ্গে গাল্পিক দ্বিতীয় গল্প শুরু করলেন। মাঝামাঝি পর্যায়ে বললেন, বরাবরের মতো প্রহসন সফল হলে তিনিই হতেন মহানায়ক। অনুসারীদের কুকর্ম যদি ফাঁস না হতো, তবে তো সবকিছুই রূপকথার মতো মানুষের মুখে মুখে ঘুরত। শ্রোতা আবারও বাগড়া দিলেন। যদির কথা নদীতে ফেলেন। দাদা যদি না মারা যেতেন, এখনো বেঁচে থাকতেন। এ ধরনের গল্পে আবেগ থাকে। তবে, ব্যস্ত শ্রোতা মন বসাতে পারেন না। কোনো অর্থ খুঁজে পান না। শ্রোতা আরও বলেন,
  • ০২ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৫৪ পিএম
    ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা নিয়ে আপনি কোন দেশকে সমর্থন করেন?

    ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনা নিয়ে আপনি কোন দেশকে সমর্থন করেন?

    • ইরান
    • ইসরাইল
    +
    =
    সাবমিট
    মোট ভোটদাতাঃ ২৭,০৭৯ জন
    মোট ভোটারঃ ২৭,০৭৯
    ভোট দিন
    Link Copied
অনলাইন জরিপ
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

রতন টাটার মৃত্যুতে মুকেশ আম্বানির আবেগঘন বার্তা

ঈশ্বরদীতে টিভি মেকানিককে চাকু দিয়ে হত্যা

তবে কি ম্যানইউর দায়িত্বে টেন হাগই থাকছেন?

তামিমের মন্তব্যের জবাব দিলেন সালাউদ্দিন

দুর্গোৎসবের মহাসপ্তমী আজ

রিসেট বাটন প্রসঙ্গে বক্তব্য স্পষ্ট করল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং

সারাদেশে ম্যানেজার নিয়োগ দিচ্ছে ওয়ালটন

কনসার্ট ব্যাক টু দ্য বেজমেন্ট

আজ ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ুদূষণে শীর্ষ দশে ঢাকার বাতাস

গুগলের একচেটিয়া ব্যবসায় বড় ধাক্কা

১০

বিএনপির ৩১ দফা রূপরেখা নিয়ে হাতিয়ায় আলোচনাসভা

১১

এবার রিসেট বাটন নিয়ে কথা বললেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব

১২

ছাত্র আন্দোলনে আহত নীরবের খোঁজ নিলেন বিএনপির অ্যাডভোকেট সালাম

১৩

কেরানীগঞ্জে চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই

১৪

রতন টাটার মৃত্যুতে কে কী বললেন?

১৫

বড় ভাইয়ের কুড়ালের আঘাতে ছোট ভাই নিহত

১৬

সাহিত্যে নোবেলজয়ীর নাম ঘোষণা আজ

১৭

কেন বিয়ে করেননি রতন টাটা

১৮

ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন তরুণ-তরুণী

১৯

আন্তর্জাতিক আদালতে গণহত্যা মামলায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আরেক দেশ

২০
দু র্গা পূ জা / অন্তর্নিহিত সমাজকল্যাণ
সমাজকল্যাণে দেবী দুর্গার আশ্বাস সাংবাৎসরিক মহাপূজা ‘দুর্গাপূজা’য় বেগবান করার কৌশল অনুসন্ধান করে তা বাস্তবায়নে অগ্রসর হলে সমাজকল্যাণ তথা সনাতনী ও দেশজ উন্নয়নে বড় অবদান রাখা সম্ভব হবে। সমাজ বা জনসমষ্টির সার্বিক
দুর্গাপূজা ও সামাজিক মূল্যবোধ
সনাতন ধর্মের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা। প্রতি বছর আশ্বিনের শুক্লা ষষ্ঠী থেকে দশমী তিথি পর্যন্ত বঙ্গদেশে তা সাড়ম্বরে উদযাপিত হয়। রাজা সুরথ ও সমাধি বৈশ্য পৃথিবীতে প্রথম দুর্গাপূজা করেছিলেন। বাংলাদেশে
মাতৃরূপে ঈশ্বরের উপাসনা
পৌরাণিক ধারা ও লোকায়ত ধারার মধ্য দিয়ে দেবী হয়েছেন আমাদের পরিবারের অঙ্গ, আমাদের একান্ত কাছের মানুষটি। দেবী ও মানবী ভাব মিশে একটি নতুন মাত্রা আমাদের দেবী-ভাবনায় সংযুক্ত হয়েছে। অবশেষে হিন্দুর
আ.লীগ সরকারের রাজনৈতিক ‘হাতিয়ার’ ছিল উচ্চ আদালত
সুপ্রিম কোর্টকে বলা হয় জনগণের ন্যায়বিচারের শেষ ভরসাস্থল। সেই ভরসাস্থলকে রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির হাতিয়ারে পরিণত করা হয় বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে। উচ্চ আদালতের পরতে পরতে রয়েছে এই রাজনীতিকরণের প্রমাণ। আর
রিসেট বাটন প্রসঙ্গে বক্তব্য স্পষ্ট করল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
রিসেট বাটন প্রসঙ্গে বক্তব্য স্পষ্ট করল প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের রিসেট বাটন নিয়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে। এবার এ বিষয়ে বক্তব্য স্পষ্ট করেছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এ বিষয়টি স্পষ্ট করে একটি বিবৃতি দিয়েছে।  বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘রিসেট বাটন’ চাপার কথাটি উল্লেখ করে দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতি, যা বাংলাদেশের সব গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করেছে, অর্থনীতিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে ঠেলে দিয়েছে এবং কোটি মানুষের ভোটাধিকার ও নাগরিক অধিকার হরণ করেছে, সেটি থেকে বের হয়ে এসে নতুনভাবে শুরু করার কথা বুঝিয়েছেন। তিনি কখনোই বাংলাদেশের গর্বিত ইতিহাস মুছে ফেলার কথা বলেননি।  এতে বলা হয়েছে, এখানে উল্লেখ্য যে, কেউ যখন কোনো ডিভাইসে রিসেট বোতাম চাপেন, তখন তিনি নতুন করে ডিভাইসটি চালু করতে সফটওয়্যার সেট করেন। এতে হার্ডওয়্যার পরিবর্তন হয় না। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ বাংলাদেশের হার্ডওয়্যার।সম্প্রতি ভয়েস অব আমেরিকাকে দেওয়া অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সাক্ষাৎকার ঘিরে কেউ কেউ ভুল ব্যাখ্যা দিচ্ছেন। প্রেস উইং জানিয়েছে, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নিতে ঢাকায় আসার পর হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের বলেন, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে জনগণ নেতৃত্ব দিয়েছে। এটি আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা। প্রথম স্বাধীনতা ১৯৭১ সালে দেশের গৌরবময় স্বাধীনতা যুদ্ধ। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ১৯৭১ সালে অধ্যাপক ইউনূস মিডল টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার পরপরই তিনি বাংলাদেশ সিটিজেনস কমিটি গঠন করেন এবং বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিতে মার্কিন সরকারকে রাজি করানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রব্যাপী প্রচারণা শুরু করেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কর্তৃক বাংলাদেশে সংঘটিত গণহত্যা সম্পর্কে বিশ্বকে অবহিত করার জন্য তিনি বাংলাদেশ নিউজলেটার প্রকাশ করেছিলেন।
৪৪ মিনিট আগে

আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসাসেবা নিশ্চিতে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি গঠন

৭ ঘণ্টা আগে

১০ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন / ডিসি নিয়োগে দুর্নীতি তদন্তে উপদেষ্টা কমিটির গেজেট প্রকাশ

১১ ঘণ্টা আগে

আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কারের সেরা ৩০-এ ব্লাডলিংকের তামজিদ

১২ ঘণ্টা আগে

আ.লীগ সরকারের রাজনৈতিক ‘হাতিয়ার’ ছিল উচ্চ আদালত

১২ ঘণ্টা আগে

‘আমাকে মোয়া বানানো হচ্ছে’

১২ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ৩১ দফা রূপরেখা নিয়ে হাতিয়ায় আলোচনাসভা
বিএনপির ৩১ দফা রূপরেখা নিয়ে হাতিয়ায় আলোচনাসভা
নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফা রূপরেখা নিয়ে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।  বুধবার (৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় নোয়াখালীর চরকিং ৩নং ওয়ার্ডে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।  নোয়াখালী জেলা বিএনপির উপদেষ্টা প্রকৌশলী একেএম আমিরুল মোমিন বাবলুর সার্বিক তত্ত্বাবধানে বক্তব্য রাখেন হাতিয়া উপজেলা জিয়া মঞ্চের সভাপতি ও হাতিয়া উপজেলা বিএনপির মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মো. কামাল উদ্দিন চৌধুরী, জেলা কৃষক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর মো. ফাহিম উদ্দিন, চর ঈশ্বরায় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিপন চন্দ্র দাস, পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. আরিফ উদ্দিন, পৌর কৃষক দলের আহ্বায়ক প্রার্থী মো. মিলন উদ্দিনসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
২ ঘণ্টা আগে
ছাত্র আন্দোলনে আহত নীরবের খোঁজ নিলেন বিএনপির অ্যাডভোকেট সালাম
ছাত্র আন্দোলনে আহত নীরবের খোঁজ নিলেন বিএনপির অ্যাডভোকেট সালাম
বিএনপির ৩ সংগঠনের যৌথ কর্মসূচি ঘোষণা
বিএনপির ৩ সংগঠনের যৌথ কর্মসূচি ঘোষণা
জেহাদ দিবসে তারেক রহমানের বাণী
জেহাদ দিবসে তারেক রহমানের বাণী
মেয়েকে দেখতে অস্ট্রেলিয়া গেলেন মির্জা ফখরুল
মেয়েকে দেখতে অস্ট্রেলিয়া গেলেন মির্জা ফখরুল
দুই শিশুকে নিয়ে শিবির অফিসে মা, সেক্রেটারি জেনারেলের আবেগঘন স্ট্যাটাস
দুই শিশুকে নিয়ে শিবির অফিসে মা, সেক্রেটারি জেনারেলের আবেগঘন স্ট্যাটাস
জিএম কাদেরকে গ্রেপ্তারের দাবিতে ‘পিএনপি’র মশাল মিছিল
জিএম কাদেরকে গ্রেপ্তারের দাবিতে ‘পিএনপি’র মশাল মিছিল

আওয়ামীপন্থি দুই গ্রুপে অস্থির অর্থনীতি সমিতি 

দেশের আর্থিক খাতের বিভিন্ন সমস্যা ও সম্ভবনা নিয়ে গবেষণা করে অর্থনীতি সমিতি। গত কয়েক বছরের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে প্রতিষ্ঠানটির মান কমেছে অনেকাংশেই। বিশেষ করে, বিতর্কিত অর্থনীতিবিদদের দাপটে সংস্থাটির ওপর আস্থা হারিয়েছে আর্থিকখাতের কর্তা-ব্যক্তিরা। পরবর্তী পরিস্থিতিতে সমিতির অফিস দখলে নিয়েছে সংগঠনটির বৈষম্যবিরোধী নামে একটি পক্ষ। এরপর করা হয়েছে এডহক কমিটি। যদিও ওই কমিটিতেও আওয়ামী সমর্থিত ব্যক্তিদেরই আধিপত্য দেখা গেছে। অর্থনীতি সমিতির সাম্প্রতিক কার্যক্রম বিশ্লেষণ করে এসব তথ্য উঠে এসেছে। জানা যায়, গত ১ অক্টোবর নটরডেম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আজিজুর রহমানকে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি করে এডহক কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে ৩০ সেপ্টেম্বর সমিতির এডহক কমিটির করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। এই কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক করা হয় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও জনতার মঞ্চের সংগঠক সৈয়দ মহাবুব-ই-জামিল। বৈষম্যবিরোধী নাম হলেও সংগঠনটির অফিস দখলে নেতৃত্ব দেওয়া সৈয়দ মহাবুব-ই-জামিল ও তার সহযোগী মোসলে উদ্দিন রিফাতের আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ আগের কমিটির সদস্যদের। তারা বলছেন, সরকার পতনের পর গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে অর্থনীতি সমিতির অফিসের সদর দরজা ও অফিস কক্ষের তালা ভেঙে অফিস দখল করে বৈষম্যবিরোধী নামধারী সমিতির সদস্য ও কতিপয় বহিরাগত। এসময় অফিসের মালামাল, কম্পিউটারসহ অন্যান্য কাগজপত্র লুট করা ও অফিসের দারোয়ানকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। এতে নেতৃত্ব দেন সাবেক ছাত্রলীগের নেতা, জনতার মঞ্চের সংগঠক সৈয়দ মহাবুব-ই-জামিল। সাথে আছে তার সহযোগী আজিজুর রহমান, মোহম্মদ আলী ও মোসলে উদ্দিন রিফাতসহ গুটিকয়েক সমিতির সদস্য। এদের মধ্যে মোসলে উদ্দিন রিফাত ও মহাবুব-ই-জামিলের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সরকারের সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে অর্থনীতি সমিতির একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালবেলাকে বলেন, ৩০ সেপ্টেম্বর রাতে সমিতির অফিসের তালা ভেঙে এডহক কমিটির সদস্যরা অফিস দখল করে। এরপর তারা সমিতির নিচের গেটে তালা লাগিয়ে চলে যায়। এমসয় ভেতরে দারোয়ানরা ছিলো। পরদিন তারা এডহক কমিটি গঠন করেছে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ততার বিষয়ে জানতে চাইলে এডহক কমিটির সভাপতি ড. মো. আজিজুর রহমান কালবেলাকে বলেন, আমি ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলাম। সে সময় ছিলো ১৯৬৯-৭৫ সময়। ওই সময় তো দেশে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ ছাড়া তেমন কোন দল ছিলো না। সমিতির অফিস দখলের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তালা ভাঙা বা দরজা ভাঙার ঘটনা ছিলো না। তবে আমরা দায়িত্ব থেকে অর্থনীতি সমিতির এডহক কমিটি করেছি। কারণ গত ৩ আগস্ট আগের কমিটির নেতারা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে গণহত্যায় তাকে সমর্থন দিয়েছেন। এটা আমাকে এবং দেশের আর্থিক খাতের অনেককেই ব্যথিত করেছে। এছাড়া গত কয়েক বছর থেকে বিতর্কিত ব্যক্তিরা অর্থনীতি সমিতির সুনাম ক্ষুণ্ন করেছে। আমরা সেই সুনাম ফিরিয়ে আনতে চাই। অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে সৈয়দ মহাবুব-ই-জামিল কালবেলাকে বলেন, আমি ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগ করেছি। এটা সত্য। আর জনতা মঞ্চ গঠনের সময় তাদের সঙ্গেও ছিলাম। কিন্তু অর্থনীতি সমিতিতে যারা নেতৃত্বে ছিলো তারা স্বৈরাচারের দোষর ছিলো। এছাড়া অর্থনীতি সমিতি তো কারও নিজস্ব সম্পত্তি নয়। আমরা ওই সমিতির সদস্য। আমরা আমরা আমাদের অধিকার থেকেই সমিতিতে ঢুকেছি। তিনি বলেন, ৭ সেপ্টেম্বর আমরা একটা মিটিং করেছিলাম। সেখানে আমরা প্রস্তাব দিয়েছিলাম নতুন কমিটি ভেঙে দিয়ে এডহক কমিটি গঠন করা হোক। কিন্তু তারা সেখানে কোন কর্ণপাত করেননি। উল্টো অফিস বন্ধের নোটিশ দিয়েছেন। এটা তো তারা করতে পারে না। আমরা শুরু আমাদের অধিকার আদায় করেছি। সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম কালবেলাকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাদের ডেকেছিলো। সে সময় আমরা গিয়ে এই হত্যাকাণ্ড থামানোর পরামর্শ দিয়েছি। আমরা কোন হত্যাকাণ্ডে সমর্থন দিবো কিভাবে। কোন জ্ঞানবান লোক এটা করতে পারে? এখন একটা পক্ষ আমাদের কোন দোষ খুঁজে না পেয়ে আমাদের বিরুদ্ধে এ ধরণের অপপ্রচার করছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী যদি কাউকে ডাকে তাহলে না যাওয়ার কোন অপশন থাকে কিনা প্রশ্ন এই অর্থনীতিবিদের। তিনি বলেন, আমাদের সংগঠনের গঠনতন্ত্র ভায়োলেট করে তারা এডহক কমিটি করেছে। তারা আমাদের প্রস্তাব দিয়েছিলো। আমরা বলেছি কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিবো। কিন্তু তারা আমাদের সময় না দিয়েই সমিতির তালা ভেঙে সমিতি দখলে নিয়েছে। এরপর আমাদের প্রহরীরা ভিতরে রেখে তারা বাহির থেকে তালা আটকে চলে গেছে।

সেপ্টেম্বরে রপ্তানি আয় ৬.৭৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে

চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে দেশের রপ্তানি আয় পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ের চেয়ে ৬.৭৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে এই মাসে মোট রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ৩.৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২২০ মিলিয়ন ডলার বেশি। গত বছরের সেপ্টেম্বরে রপ্তানি আয় ছিল ৩.২৯ বিলিয়ন ডলার। এনবিআর রিয়েল টাইম শিপমেন্টের তথ্যের ভিত্তিতে ইপিবি এই তথ্য প্রস্তুত করেছে বলে বুধবার (০৯ অক্টোবর) বিকেলে তার কার্যালয়ে মাসিক রপ্তানি আয় পর্যালোচনা সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন এ কথা জানান। এখন থেকে ইপিবি প্রতি মাসে রপ্তানি আয়ের বিশদ বিশ্লেষণ নিয়ে আসবে, বলে তিনি উল্লেখ করেন। ইপিবি তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর- প্রথম প্রান্তিকে বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ৫.০৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ১১.৩৭ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ের থেকে ১০.৮২ বিলিয়ন ডলারের চেয়ে বেশি। তৈরি পোশাকশিল্প (আরএমজি) এই তিন মাসে ৫.৩৪ শতাংশ বৃদ্ধির সাথে ৯.২৯ বিলিয়ন ডলার অর্জন করে বৈদেশিক বাজারে প্রধান্য অব্যাহত রেখেছে। এর মধ্যে, নিটওয়্যারের রপ্তানি ছিল ৫.২২ বিলিয়ন ডলার, যার বর্ধিত প্রবৃদ্ধি ৫.৭২ শতাংশ, ওভেন পোশাক ৪.০৭ বিলিয়ন ডলার, যা ৪.৮৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে একমাসে রপ্তানি আয় ২.৭৮ বিলিয়ন ডলার। এটি সেপ্টেম্বর ২০২৩ সালের তুলনায় ৬ শতাংশ বেশি।

৯০ হাজার টন সার কিনবে সরকার

সৌদি আরব, মরক্কো ও কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) থেকে ৯০ হাজার টন সার কিনবে সরকার। এর মধ্যে মরক্কো থেকে ৩০ হাজার টন টিএসপি, সৌদি আরব থেকে ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া এবং কাফকো থেকে ৩০ হাজার টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানি করা হবে। এতে মোট ব্যয় হবে ৬০১ কোটি ২৩ লাখ ৬২ হাজার টাকা। বুধবার (৯ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির এ প্রস্তাবগুলোর অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠক শেষে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আজকের বৈঠকে এলএনজি গ্যাস, ইউরিয়া ও মসুর ডাল কেনার প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। দেশে কৃষি পণ্যের উৎপাদন যেন কোনোভাবে ব্যাহত না হয় সেই লক্ষ্যে যথাসময়ে সারের মজুত ও সরবরাহ সন্তোষজনক পর্যায়ে রাখার লক্ষ্যে আমদানির জন্য সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। তাছাড়া বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য যেমন মসুর ডাল, পেঁয়াজ, আলু, চিনি, সয়াবিন তেল ইত্যাদির সরবরাহ অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে তিনি নির্দেশনা দেন। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে মরক্কোর ওসিপি এস এ এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় সপ্তম লটের ৩০ টন টিএসপি সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ১৪৯ কোটি ৪০ লাখ টাকা। প্রতি টনের সারের দাম পড়বে ৪১৫ দশমিক শূন্য মার্কিন ডলার। অপর প্রস্তাবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য সৌদি আরবের কৃষি পুষ্টি কোম্পানি (সার্বিক) কাচ থেকে তৃতীয় লটের ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ১২৮ কোটি ২২ লাখ ১২ হাজার টাকা। প্রতি টন সারের দাম পড়বে ৩৫৬ দশমিক ১৭ মার্কিন ডলার। এ ছাড়া ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জন্য কাফকো, বাংলাদেশের কাছ থেকে পঞ্চম লটে ৩০ হাজার টন ব্যাগড গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় হবে ১২৩ কোটি ৬১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। প্রতি টন সারের দাম পড়বে ৩৪৩ দশমিক ৩৭৫ মার্কিন ডলার।
১৮ ঘণ্টা আগে
৯০ হাজার টন সার কিনবে সরকার

বাংলাদেশি স্টার্টআপ ‘যাত্রী’ মধ্যপ্রাচ্যে

মধ্যপ্রাচ্যে কার্যক্রম বর্ধিত করেছে ভ্রমণবিষয়ক বাংলাদেশি স্টার্টআপ ‘যাত্রী’। মধ্যপ্রাচ্যের গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল (জিসিসি) অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোতে ‘সাফির’ নামে আত্মপ্রকাশ করেছে প্ল্যাটফর্মটি। এই অঞ্চলের গ্রাহকদের একটি সমন্বিত ও পরিপূর্ণ পরিবহন সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে কার্যক্রম শুরু করেছে ‘সাফির’। প্ল্যাটফর্মটিতে বাড়ি থেকে গন্তব্য পর্যন্ত পরিবহন, আবাসন এবং যাত্রাপথে প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যক্তিগত সহায়তা পাবার সুযোগ রয়েছে। এজন্য জিসিসি অঞ্চলের পরিবহন সেবা নিয়ে কার্যক্রম পরিচালনা করা অন্যতম প্রযুক্তিনির্ভর প্রতিষ্ঠান ‘এইলাগো’-এর সাথে সম্প্রতি যৌথ কার্যক্রম পরিচালনার উদ্দেশ্যে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ‘যাত্রী’।  এ বিষয়ে যাত্রীর সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী জিয়া উদ্দিন জানান, জিসিসি’ অঞ্চলের ৬টি দেশের জন্য অভিন্ন ভিসা নীতি প্রণয়নের যে পরিকল্পনা সংশ্লিষ্টদের রয়েছে, তা যাত্রীর জন্য একটি বিশাল সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে এ ধরণের ‘মাল্টিমোডাল’ ট্র্যাভেল প্ল্যাটফর্মের যেরকম সফল কার্যক্রম দেখা যায়, জিসিসিতে-ও রয়েছে তা বাস্তবায়নের উজ্জ্বল সম্ভাবনাময় সুযোগ। জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী- ২০২৩ সালে জিসিসি অঞ্চলে অভ্যন্তরীণ পর্যটন খাতের ব্যয় ছিল ১০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। অন্যদিকে বহির্গামী পর্যটনের ব্যয়  ৭০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যায়। ২০৩০ সালের মধ্যে ২০০ মিলিয়ন গ্রাহককে ভ্রমণ সেবা প্রদান করার উদ্দেশ্যে এই অঞ্চলে যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে, তা বাস্তবায়ন ও অর্জনে  এই অঞ্চলের পরিবহন অবকাঠামোকে আরও সুদৃঢ় ও সুসংগঠিত করতে গুরুতপূর্ণ  ভূমিকা রাখবে ‘যাত্রী’। 
১৯ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশি স্টার্টআপ ‘যাত্রী’ মধ্যপ্রাচ্যে

চিনির কর কমাল এনবিআর

বর্তমান বাজার পরিস্থিতি বিবেচনায় চিনির কর কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বুধবার (০৯ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈশ্বিক যুদ্ধ এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার ফলে বাংলাদেশি মুদ্রার ব্যাপক অবমূল্যায়ন, সাম্প্রতিক ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান এবং বন্যা পরিস্থিতির কারণে শিশু খাদ্যসহ কতিপয় নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি পেয়ে সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সার্বিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণপূর্বক কর ছাড়ের মাধ্যমে চিনির বাজার দর সহনীয় ও স্থিতিশীল রাখার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।  বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, অপরিশোধিত ও পরিশোধিত চিনির ওপর বিদ্যমান রেগুলেটরি ডিউটি ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করেছে। রেগুলেটরি ডিউটি ১৫ শতাংশ হ্রাসের মাধ্যমে আমদানি পর্যায়ে প্রতি কেজি অপরিশোধিত চিনির উপর শুল্ক কর ১১.১৮ টাকা এবং পরিশোধিত চিনির উপর শুল্ক কর ১৪.২৬ টাকা কমানো হয়েছে।  এতে চিনির কেজিপ্রতি মূল্য কমপক্ষে শুল্ক হ্রাসের সমপরিমাণ কমে আসবে বলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড মনে করে। তাছাড়া, উক্ত শুল্ক কর হ্রাসকরণের ফলে অবৈধ পথে চিনির চোরাচালান নিরুৎসাহিত হবে এবং বৈধ উপায়ে আমদানি বাড়বে বিধায় শুল্ক কর আদায়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে মর্মে আশা করা যাচ্ছে।  
২৩ ঘণ্টা আগে
চিনির কর কমাল এনবিআর
ঈশ্বরদীতে টিভি মেকানিককে চাকু দিয়ে হত্যা
ঈশ্বরদীতে টিভি মেকানিককে চাকু দিয়ে হত্যা
কেরানীগঞ্জে চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই
কেরানীগঞ্জে চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই
বড় ভাইয়ের কুড়ালের আঘাতে ছোট ভাই নিহত
বড় ভাইয়ের কুড়ালের আঘাতে ছোট ভাই নিহত
ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন তরুণ-তরুণী
ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন তরুণ-তরুণী
চট্টগ্রাম বন্দর বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে শ্রমিক দলের নেতাকর্মীরা
চট্টগ্রাম বন্দর বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে শ্রমিক দলের নেতাকর্মীরা
পিরোজপুরে প্রাইভেটকার খালে পড়ে শিশুসহ নিহত ৮
পিরোজপুরে প্রাইভেটকার খালে পড়ে শিশুসহ নিহত ৮
সিলেটে বাড়ছে ডিজিটাল সেবাগ্রহীতার সংখ্যা
সিলেটে বাড়ছে ডিজিটাল সেবাগ্রহীতার সংখ্যা
মাদকসেবন করতে এসে বান্ধবীসহ আটক ২
মাদকসেবন করতে এসে বান্ধবীসহ আটক ২
আমার এলাকার সংবাদ
অনুসন্ধান

রতন টাটার মৃত্যুতে মুকেশ আম্বানির আবেগঘন বার্তা

ভারতের অন্যতম শীর্ষ শিল্পপতি ও টাটা গ্রুপের কর্ণধার রতন টাটা মারা গেছেন। বুধবার রাতে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তার মৃত্যুতে আবেগঘন বার্তা দিয়েছেন ভারতের অন্যতম ধনী শিল্পপতি ও রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।  রতন টাটার মৃত্যুতে দেওয়া আবেগঘন বার্তায় ব্যবসায়িক কারণে রতন টাটার সঙ্গে তাঁর আলাপের পাশাপাশি তাঁদের ব্যক্তিগত আলাপের কথাও তুলে ধরেন মুকেশ আম্বানি। এ সময় রতন টাটাকে  নিজের ‘বন্ধু’ হিসেবে সম্বোধন করেন তিনি।  মুকেশ আম্বানি বলেন, আজ গোটা ভারত এবং ভারতীয় ব্যবসায়িক জগতের জন্যে শোকের দিন। রতন টাটার মৃত্যু শুধুমাত্র টাটা গোষ্ঠীর জন্যে বেদনাদায়ক নয়, প্রতিটি ভারতীয়র জন্যেই তা বেদনাদায়ক। ব্যক্তিগতভাবে আমি একজন পরম বন্ধুকে হারালাম। তার সঙ্গে আমার যতবার দেখা হয়েছে তিনি আমাকে অনুপ্রাণিত করেছিলেন। তিনি একজন দূরদর্শী শিল্পপতি ও সমাজসেবক ছিলেন। তিনি সমাজের মঙ্গল চাইতেন।   বিবৃতিতে তিনি বলেন, আজ ভারতমাতা তার অন্যতম সহৃদয় সন্তানকে হারিয়েছে। রতন টাটা ভারতকে গোটা বিশ্ব দরবারে নিয়ে গিয়ে দাঁড় করিয়েছিলেন। তিনি বিশ্বের সেরাটা ভারতে নিয়ে এসেছিলেন। ১৯৯১ সালে তিনি টাটার চেয়ারম্যান হওয়ার পরে সংস্থাটিকে ৭০ গুণ বড় করেছেন। মুকেশ আম্বানি বলেন, গোটা রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রি, নীতা এবং আম্বানি পরিবারের পক্ষ থেকে টাটা পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে চাই। রতন সবসময় আমাদের হৃদয়ে থাকবে।  ভারতীয় রাজনীতিবিদ ও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ সিন্দে তাকে ভারতের কোহ-ই-নূর বলেন উল্লেখ করেছেন।  তিনি বলেন, তিনি (রতন টাটা) ছিলেন রত্ন, ভারতের কোহ-ই-নূর। তিনি মারা গেছেন, এবং এটা খুবই বেদনাদায়ক। গোটা দেশ ও মহারাষ্ট্র তাকে নিয়ে গর্বিত। এত উচ্চ পদে অধিষ্ঠিত হওয়া সত্ত্বেও তিনি একজন সরল ও বিনয়ী ব্যক্তি ছিলেন। ১৯৩৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর মুম্বাইয়ে পারসিক পরিবারে জন্ম রতন টাটার। বাবা নভল টাটার জন্ম গুজরাটের সুরতে। পরে টাটা পরিবার তাকে দত্তক নেয়। রতন টাটার মা সুনি টাটা আবার সরাসরি জামশেদজি টাটার পরিবারের অংশ। রতন টাটার পিতামহ হরমসজি টাটা জন্মসূত্রেই ওই পরিবারের সদস্য। রতন টাটার যখন ১০ বছর বয়স, সেই সময় তার মা-বাবা আলাদা হয়ে যান। রতন টাটার নিজের এক ভাইও রয়েছেন, জিমি টাটা। সৎ ভাই নোয়েল টাটা। নভল টাটা দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন সিমোন টাটাকে। নোয়েল তাদেরই সন্তান। মুম্বাই, শিমলা হয়ে নিউইয়র্কের রিভারডেল কান্ট্রি স্কুলে পড়তে যান রতন টাটা। ১৯৫৯ সালে স্থাপত্য নিয়ে স্নাতকস্তরে ভর্তি হন কর্নেল ইউনিভার্সিটিতে। সাতের দশকে টাটা গ্রুপে ম্যানেজার পদে দায়িত্ব পান রতন টাটা। ১৯৯১ সালে জেআরডি টাটা দায়িত্ব ছাড়লে রতন টাটাকে নিজের উত্তরাধিকারী ঘোষণা করেন। প্রথমে তাকে নিয়ে আপত্তি ছিল গ্রুপের ভেতরে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে গ্রহণযোগ্যতা বাড়ে তার। যে ২১ বছর রতন টাটার হাতে টাটা গ্রুপের দায়িত্ব ছিল, তাতে গ্রুপের আয় বেড়ে হয় ৪০ গুণ, মুনাফা বাড়ে ৫০ গুণ। মধ্যবিত্তকে চার চাকার স্বপ্ন দেখান রতন টাটাই। পশ্চিমবঙ্গের সিঙ্গুরে ন্যানো কারখানা গড়ে ওঠে। যদিও রাজনৈতিক টানাপড়েনে পরে গুজরাতে কারখানা সরিয়ে নিয়ে যেতে হয়। ৭৫ বছর বয়সে ২০১২ সালে টাটা গ্রুপের নির্বাহী ক্ষমতা ছেড়ে দেন রতন টাটা। সেই জায়গায় পারিবারিক আত্মীয় সাইরাস মিস্ত্রিকে আনা হয়। কিন্তু ২০১৬ সালে সাইরাসকে টাটা সন্সের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। ফের অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্বে ফেরেন রতন টাটা। এরপর ২০১৭ সালে নটরাজন চন্দ্রশেখরণকে অন্তর্বর্তীকালীন চেয়ারম্যান ঘোষণা করা হয়। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে সমাজসেবামূলক কাজে আরও বেশি করে যুক্ত হন রতন টাটা। ২০০০ সালে ‘পদ্মভূষণ’ সম্মান পান রতন টাটা। ২০০৮ সালে পান ‘পদ্ম বিভূষণ সম্মান’। মহারাষ্ট্র, আসাম সরকারও তাকে সম্মান প্রদান করে। ইউনিভার্সিটি অব কেমব্রিজ, লন্ডন স্কুল অব ইকনমিক্স, আইআইটি বম্বে, ইয়েল ইউনিভার্সিটি, রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ, রাজা তৃতীয় চার্লসের থেকেও বিশেষভাবে সম্মানিত হন। রতন টাটা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হননি। তবে ২০১১ সালে একটি সাক্ষাৎকারে জীবনে প্রেম এসেছিল বলে স্বীকার করে নেন। চার-চারবার বিয়ের পিঁড়িতে বসার উপক্রম হলেও শেষ পর্যন্ত কোনো সম্পর্ক পরিণতি পায়নি বলে জানান।  
রতন টাটার মৃত্যুতে কে কী বললেন?
রতন টাটার মৃত্যুতে কে কী বললেন?
আন্তর্জাতিক আদালতে গণহত্যা মামলায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আরেক দেশ
আন্তর্জাতিক আদালতে গণহত্যা মামলায় ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আরেক দেশ
সাহিত্যে নোবেলজয়ীর নাম ঘোষণা আজ
সাহিত্যে নোবেলজয়ীর নাম ঘোষণা আজ
কেন বিয়ে করেননি রতন টাটা
কেন বিয়ে করেননি রতন টাটা
উপকূলে আছড়ে পড়েছে হারিকেন মিল্টন, ভয়াবহ বিপর্যয়
উপকূলে আছড়ে পড়েছে হারিকেন মিল্টন, ভয়াবহ বিপর্যয়
হারিকেন মিল্টন আঘাত হানার আগেই ঝড়বৃষ্টির তাণ্ডব
হারিকেন মিল্টন আঘাত হানার আগেই ঝড়বৃষ্টির তাণ্ডব
কনসার্ট ব্যাক টু দ্য বেজমেন্ট
কনসার্ট ব্যাক টু দ্য বেজমেন্ট
উৎসবে নেই যিশু, মেয়েদের নিয়ে কোনো অভিনেতার বাড়ি নীলাঞ্জনা
উৎসবে নেই যিশু, মেয়েদের নিয়ে কোনো অভিনেতার বাড়ি নীলাঞ্জনা
অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন তুলসী কুমার
অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন তুলসী কুমার
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী গায়িকা টেইলর সুইফট
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী গায়িকা টেইলর সুইফট
কেমন পুরুষ চান তৃপ্তি দিমরি
কেমন পুরুষ চান তৃপ্তি দিমরি
গায়িকা ইভার বিরুদ্ধে ৫০০ কোটি টাকার মামলা
গায়িকা ইভার বিরুদ্ধে ৫০০ কোটি টাকার মামলা
এখনই আমি কিছু বলতে চাইছি না : আফরান নিশো
এখনই আমি কিছু বলতে চাইছি না : আফরান নিশো
শনি
রোব
সোম
মঙ্গল
বুধ
বৃহ
শুক্র
তামিমের মন্তব্যের জবাব দিলেন সালাউদ্দিন
তামিমের মন্তব্যের জবাব দিলেন সালাউদ্দিন
বিপিএলে সাকিব খেলবেন চিটাগাং কিংসে!
বিপিএলে সাকিব খেলবেন চিটাগাং কিংসে!
তবে কি ম্যানইউর দায়িত্বে টেন হাগই থাকছেন?
তবে কি ম্যানইউর দায়িত্বে টেন হাগই থাকছেন?
বেশ কিছু দিন ধরেই ইউরোপিয়ান গণমাধ্যমে গুঞ্জন বাজে পারফরম্যান্সের কারণে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের বিখ্যাত ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ম্যানেজারের পদ থেকে সরে দাড়ানো লাগতে পারে এরিক টেন হাগকে। ডাচ এই কোচের পরিবর্তে জাভি ও টমাস টুখেলকে নাকি পছন্দ ম্যানইউ কর্তৃপক্ষের। তবে বিখ্যাত সংবাদমাধ্যম ইএসপিএন আবার তাদের সুত্রের বরাত দিয়ে দাবি করেছে অন্তত আরো কয়েক ম্যাচের জন্য টেন হাগের উপরই ভরসা রাখবে রেড ডেভিলরা। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) লন্ডনে ইউনাইটেডের নির্বাহী কমিটির ছয় ঘণ্টারও বেশি সময়ের বৈঠক হয়েছে, যেখানে সহ-মালিক স্যার জিম র‌্যাটক্লিফ এবং জোয়েল গ্লেজারও উপস্থিত ছিলেন। দলের পারফর্মেন্স নিয়ে চলমান চাপের মধ্যে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তবে এখনও স্পষ্ট কোনো সিদ্ধান্ত না আসায়, টেন হাগ আগের মতোই তার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন এবং ১৯ অক্টোবর ওল্ড ট্রাফোর্ডে ব্রেন্টফোর্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ইএসপিএনকে একটি সূত্র জানিয়েছে, টেন হাগ ম্যানচেস্টারে থাকা তার স্টাফদের সাথে যোগাযোগ রাখছেন এবং দলের প্রস্তুতি নিয়মিত চলছে। ক্লাবের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে বৈঠকটি আগে থেকেই নির্ধারিত ছিল এবং এটি একটি রুটিন বৈঠক ছিল। টেন হাগ বর্তমানে ছুটিতে রয়েছেন এবং আগামী সপ্তাহের শুরুতে ক্যারিংটনে ফিরবেন, যাতে থমাস ফ্র্যাঙ্কের দলের বিপক্ষে ম্যাচের জন্য প্রস্তুতি নিতে পারেন। ম্যান ইউনাইটেড পাঁচ ম্যাচ ধরে কোনো জয় পায়নি এবং এই মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে মাত্র দুবার জয় পেয়েছে যা ম্যানইউর মতো ক্লাবের সাথে বেমানান। ৭ ম্যাচে মাত্র ৮ পয়েন্ট নিয়ে ম্যান ইউনাইটেড প্রিমিয়ার লিগের ১৪তম স্থানে রয়েছে, যা তাদের ইতিহাসে প্রিমিয়ার লিগের সবচেয়ে খারাপ সূচনা। টেন হাগ অ্যাস্টন ভিলার সঙ্গে গোলশূন্য ড্রয়ের পর বলেছিলেন যে, ম্যান ইউনাইটেডে তার কাজটি একটি "দীর্ঘমেয়াদী প্রকল্প" এবং তিনি ক্লাবের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সমর্থন পাচ্ছেন। তবে ক্লাবের সাম্প্রতিক পারফর্মেন্সের কারণে তার চাকরি নিয়ে অনিশ্চয়তা বৃদ্ধি পেলেও তিনি তাৎক্ষণিক কোনো হুমকি অনুভব করছেন না। আগামী নভেম্বরের আন্তর্জাতিক বিরতির আগে ইউনাইটেডের সাতটি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে হবে। যেখানে প্রিমিয়ার লিগে তারা ব্রেন্টফোর্ড, ওয়েস্ট হ্যাম, চেলসি এবং লেস্টারের মুখোমুখি হবে। এছাড়াও ইউরোপা লিগে ফেনারবাচে এবং পিএওকের বিরুদ্ধে এবং কারাবাও কাপে লেস্টারের বিরুদ্ধে ম্যাচ রয়েছে রাশফোর্ডদের। 
ভারতের কাছে আবারও শান্তদের অসহায় আত্মসমর্পণ
ভারতের কাছে আবারও শান্তদের অসহায় আত্মসমর্পণ
ছাত্র-জনতার কাছে দুঃখপ্রকাশ সাকিবের
ছাত্র-জনতার কাছে দুঃখপ্রকাশ সাকিবের
ইভেন্ট
লা লিগা
লা লিগা
ইপিএল
ইপিএল
ফ্রেঞ্চ লিগ
ফ্রেঞ্চ লিগ
ফ্রেঞ্চ ওপেন
ফ্রেঞ্চ ওপেন
উইম্বলডন
উইম্বলডন
লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ
লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ
ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ
ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ
বুন্দেসলিগা
বুন্দেসলিগা
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ
ইউরোপা লিগ
ইউরোপা লিগ
ইউএস ওপেন
ইউএস ওপেন
X