বিদেশে ফাস্ট সেক্রেটারি পদমর্যাদার কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে চায় দুদক
বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থের গন্তব্য দেশে ফাস্ট সেক্রেটারি পদমর্যাদার কর্মকর্তা নিয়োগ দিতে চায় দুদক। দুদক চেয়ারম্যান মনে করেন, এর ফলে পাচার হওয়া অর্থ চিহ্নিত করা ও ফেরানো সহজ হবে।
মঙ্গলবার (০৯ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য এ কথা বলেন দুদক চেয়ারম্যান ড. আব্দুল মোমেন।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ব্যাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের মহাপরিচালক একে এনামুল হক।
দুদক চেয়ারম্যান আব্দুল মোমেন বলেন, সামনে জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচন ঘীরে কালো টাকার ছড়াছড়ি হবে না এই বাস্তবতা অস্বীকারের সুযোগ নেই। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী পালানোর আগে অর্থমন্ত্রী পালিয়ে গেছেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর পালিয়ে গেছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তারা পালিয়েছেন, অর্থ ব্যবস্থার সাথে জড়িতরা পালিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি, এমনকি বায়তুল মোকাররমের খতিবও পর্যন্ত পালিয়ে গেছেন- যা দুর্নীতির ভয়াবহতার প্রতিচ্ছবি।
২০০৮ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর সম্পদ বিবরণীতে ৫.১ একর সম্পত্তি দেখানো হলেও তদন্তে পাওয়া যায় ২৯ একর। ‘তা যদি তখন ধরা পড়ত, তার নমিনেশন বাতিল হতো, তিনি এমপি হতেন না, প্রধানমন্ত্রীও হতেন না- দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসই অন্যরকম হতে পারত বলেও দুদক চেয়ারম্যান।
তিনি বলেন, দেশের শাসনব্যবস্থায় সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের জায়গা দিলে রাষ্ট্র পরিচালনা দুর্নীতিমুক্ত হওয়া সম্ভব নয়।
দুদক চেয়ারম্যান আরও জানান, দুর্নীতিবাজদের পালাতে কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে সীমান্তে সহায়তা করে রাজনৈতিক এলিটরা। এখন আগামী নির্বাচনে তাদের আপনারা নির্বাচন করবেন কিনা সেটা বিবেচনা করতে হবে। দুর্নীতি রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঢুকে গেছে। এটা একদিনে নির্মূল সম্ভব নয়। ধীরে ধীরে কাঠামো ঠিক করতে হবে।
৪ মিনিট আগে