কোথায় ভিড়ছে দুই ছাত্র উপদেষ্টার তরী

কোথায় ভিড়ছে দুই ছাত্র উপদেষ্টার তরী

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণভোটের তপশিল আজ বুধবার কিংবা আগামীকাল বৃহস্পতিবার ঘোষণা হতে পারে। তপশিল ঘোষণার এই সময়সীমার মধ্যেই অন্তর্বর্তী সরকারে ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে থাকা দুই উপদেষ্টার বহুল আলোচিত পদত্যাগ ইস্যুতেও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসার আলোচনা রয়েছে আগে থেকেই। এর মধ্যে স্থানীয় সরকার এবং যুব ও ক্রীড়া
দৈনন্দিন জীবনের ভিত্তি হোক মানবাধিকার
দৈনন্দিন জীবনের ভিত্তি হোক মানবাধিকার
ফোন ল্যাপটপ গহনার জন্যই মা-মেয়ে হত্যা!
ফোন ল্যাপটপ গহনার জন্যই মা-মেয়ে হত্যা!
বাঁধ ভেঙে পানির নিচে আমনক্ষেত
বাঁধ ভেঙে পানির নিচে আমনক্ষেত
প্রতিটি স্কুলের ১০০ মিটারের ভেতরে ৫টির বেশি তামাকের দোকান
প্রতিটি স্কুলের ১০০ মিটারের ভেতরে ৫টির বেশি তামাকের দোকান
ট্রাম্প-ইউরোপ মুখোমুখি
ট্রাম্প-ইউরোপ মুখোমুখি
২০২৫ সালে ২৯ সাংবাদিককে হত্যা করেছে ইসরায়েল
আরএসএফের প্রতিবেদন / ২০২৫ সালে ২৯ সাংবাদিককে হত্যা করেছে ইসরায়েল
  • সম্প্রীতির প্রতীক দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া

    দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে নির্মম নির্যাতনের স্বীকার যে রাজনীতিবিদ, তিনি হলেন বেগম খালেদা জিয়া। অমানবিক আচরণে বিদ্ধ করে এক ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছিল তাকে। মিথ্যা মামলায় জেলে পর্যন্ত পাঠানো হয়েছে। স্বামী-সন্তানের স্মৃতিবিজড়িত বাড়ি কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ফ্যাসিবাদী শক্তি প্রতিহিংসা চরিতার্থ করতে গিয়ে ঠিকভাবে চিকিৎসাটা পর্যন্ত নিতে দেওয়া হয়নি দেশের জনপ্রিয়তম এ নেত্রীকে। বুকের ধন কনিষ্ঠ সন্তানকে চিরতরে হারিয়েছেন। আরেকজন সন্তানকে দূরে থাকতে বাধ্য করা হয়েছে। পরিবার-পরিজন বলতে তেমন কাউকেই কাছে থাকতে দেওয়া হয়নি। বছরের পর বছর ধরে একপ্রকার নির্বাসিত কয়েদির মতো অপমানজনক অবস্থায় ফেলে দেওয়া হয়েছে। তবে, অপবাদ আর অপমানের এমন লৌহশৃঙ্খলের ভেতর দিয়ে নিয়ে গেলেও, মানুষের মন থেকে

    উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার ও রাজনৈতিক সদিচ্ছা

    গত দিনের পর জিডিপির প্রবৃদ্ধি বা মূল্যস্ফীতি পরিমাপ করতে অসংখ্য পরিসংখ্যানের প্রয়োজন হয়। কিন্তু এগুলোর কোনোটিই ব্যক্তিগত তথ্য নয়; এগুলো অন্য উৎস থেকে সংগ্রহ করা হয়। ব্যক্তিগত কোনো পরিসংখ্যান হলে আন্তর্জাতিক প্রটোকল অনুযায়ী ব্যক্তির পরিচয় গোপন রাখতে হয়। যেমন—সার্ভে বা জরিপ প্রকাশ করার সময় ব্যক্তি বা ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে যেন চেনা না যায়, তা নিশ্চিত করতে হয়। কিন্তু জিডিপি বা মূল্যস্ফীতির হিসাব তো আসে অন্যান্য সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে, যেখানে গোপনীয়তার কোনো অবকাশ নেই। কাজেই জিডিপি কীভাবে মাপা হচ্ছে, প্রবৃদ্ধি বা মূল্যস্ফীতি কীভাবে প্রতি বছর হিসাব করা হচ্ছে, কোন বাজারের কোন জায়গা থেকে কোন সামগ্রীর দাম প্রতি সপ্তাহে নেওয়া হচ্ছে—এসবের মধ্যে

    সঠিক নীতি ও বাস্তবায়ন চাই

    বাংলাদেশের অর্থনীতি এখন বহুমাত্রিক চাপে রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদি কাঠামোগত দুর্বলতা, আর্থিক খাতের অস্থিরতা, বৈদেশিক মুদ্রার সংকট, বিনিয়োগে ভাটা, সব মিলিয়ে অর্থনীতির সামগ্রিক স্থিতিশীলতা কঠিন পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশ স্টেট অব দ্য ইকোনমি ২০২৫’ ও ‘এসডিজি অগ্রগতি প্রতিবেদন ২০২৫’ প্রকাশ অনুষ্ঠানে অর্থনীতিবিদদের বক্তব্যে এ বাস্তবতা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমান পরিস্থিতি কোনো স্বাভাবিক ওঠানামা নয়; বরং বহু বছরের অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি ও দুশাসনের ফল। অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন উল্লেখ করেছেন, বাংলাদেশ এখন ইতিবাচক ও নেতিবাচক সূচকের দ্বৈত চাপে রয়েছে। রেমিট্যান্স বৃদ্ধি, অর্থ পাচার কমে আসা, রাজস্ব আদায়ে কিছুটা গতি ও বিদ্যুৎ সরবরাহের উন্নতি অবশ্যই আশাব্যঞ্জক।
  • নিরাপদ পানি নিশ্চিত করতে হবে

    বহুল প্রচলিত একটি কথা—পানির অপর নাম জীবন। অবশ্যই সে পানি হতে হবে নিরাপদ ও বিশুদ্ধ। অথচ দেশের ৬০ শতাংশের বেশি মানুষ এ নিরাপদ পানি থেকে বঞ্চিত! শুধু তাই নয়, পানির সব ধরনের উৎসের প্রায় অর্ধেক এবং প্রতি ১০টির মধ্যে ৮টি পরিবারে ব্যবহৃত পানির নমুনায় ভয়ংকর ই. কোলাই ব্যাকটেরিয়া দূষণ রয়েছে—এমন তথ্য উঠে এসেছে একটি সার্ভেতে। নিঃসন্দেহে এ চিত্র গভীর উদ্বেগের। পানিতে ভয়ংকর ই. কোলাই ব্যাকটেরিয়া দূষণ দেশের লাখ লাখ শিশুর জন্য ডায়রিয়া, টাইফয়েড ইত্যাদি রোগে আক্রান্তের ঝুঁকি সৃষ্টি করে। তারা প্রতিদিন এ ঝুঁকির মুখোমুখি হয়। সাধারণ এক গ্লাস পানিই তাদের জন্য ভয়ানক বিপদ বয়ে আনতে পারে। ইউনিসেফের সহযোগিতায় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর

    কমল মিত্র

    কমল মিত্র শক্তিমান বাঙালি অভিনেতা। প্রখ্যাত এই অভিনেতার কথা এলে মনের মধ্যে ভেসে ওঠে রাশভারী, অহঙ্কারী, গম্ভীর কণ্ঠস্বরের দীর্ঘদেহী এক মানুষের ছবি যেন বাঙালি পরিবারের এক আইকনিক কর্তা। তার জন্ম ১৯১২ সালের ৯ ডিসেম্বর, ভারতের বর্ধমানে। কমল মিত্র চার দশকের বেশি সময় প্রায় সাড়ে তিনশ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। প্রখ্যাত অভিনেতা ছবি বিশ্বাস এবং পাহাড়ী সান্যালসহ তিনি বাংলা সাদা-কালো পর্দায় পঞ্চাশ-ষাটের দশকে অধিকাংশ মধ্য বয়স্ক চরিত্রে আধিপত্য দেখিয়েছেন। প্রকৃতপক্ষে তার সফলতা সত্তর দশকেও একইভাবে অক্ষুণ্ন থাকে। কমল মিত্র পৌরাণিক ও সামাজিক কাহিনিতে বেশ কয়েকটি উল্লেখযোগ্য চরিত্রে অভিনয় করেন। মথুরা ও ভগবান শ্রীকৃষ্ণের মাতুলকে নিয়ে চলচ্চিত্র কংস সিনেমায় তার ‘কংস’ চরিত্রটি কিংবদন্তি নেতিবাচক

    উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার ও রাজনৈতিক সদিচ্ছা

    বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) আয়োজিত বার্ষিক ডেভেলপমেন্ট কনফারেন্সের এবারের আলোচনার শিরোনাম ‘গণতন্ত্র ও উন্নয়ন’, যা অত্যন্ত সময়োপযোগী। আমরা সবাই এখন এ বিষয়টি নিয়েই ভাবছি। জুলাই অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে আমরা যেখানে এসে দাঁড়িয়েছি, তাতে আমার মনে হয় তিনটি বিষয় এখানে প্রাসঙ্গিক। প্রথমত, একটি কার্যকর জনপ্রতিনিধিমূলক গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় উত্তরণ; দ্বিতীয়ত, এমন একটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা গড়ে তোলা, যা অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিত করবে এবং তৃতীয়ত, সেই উন্নয়নের গুণগত মান কী হবে। অর্থাৎ, যে উন্নয়ন সংঘটিত হবে, তা একটি ন্যায্য সমাজ গঠন এবং আর্থসামাজিক বৈষম্য দূর করতে সহায়ক হবে কি না, সেটাই বিবেচ্য। এ তিনটি ভিন্ন ভিন্ন বিষয় এবং আমি বলব, এগুলো নিয়ে প্রচুর গবেষণার
  • ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:০১ পিএম
    বিশ্বকাপে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ‘কঠিন’ গ্রুপে পড়েছে দাবি দুই দেশের কোচের। আপনিও কী এমনটি মনে করেন?

    বিশ্বকাপে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা ‘কঠিন’ গ্রুপে পড়েছে দাবি দুই দেশের কোচের। আপনিও কী এমনটি মনে করেন?

    • হ্যাঁ
    • না
    • মন্তব্য নেই
    +
    =
    সাবমিট
    মোট ভোটদাতাঃ ১,২৮৬ জন
    মোট ভোটারঃ ১,২৮৬
    ভোট দিন
    Link Copied
অনলাইন জরিপ
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

হেড অব প্রোগ্রামস পদে নিয়োগ দিচ্ছে আন্তর্জাতিক সংস্থা

বুধবার রাজধানীর যেসব এলাকার মার্কেট বন্ধ

১০ ডিসেম্বর : আজকের নামাজের সময়সূচি

কেশবপুরে চার নারী পেলেন ‘অদম্য নারী পুরস্কার’

সিলেটে ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ ১৪ প্রতিষ্ঠানকে ৮ লাখ টাকা জরিমানা

শরীয়তপুরে বাড়ি ফেরার পথে শিক্ষার্থীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ

মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠন

মাছ ধরতে গিয়ে ভারতে আটক ৬ জেলে, ১৩ মাস পর হস্তান্তর

হাটহাজারীতে খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় গণদোয়া

জনসভায় হামলা-ভাঙচুর গণতন্ত্রের ওপর গভীর হুমকি : জেএসডি

১০

একাধিক চাকরি করলে শিক্ষকদের এমপিও বাতিল

১১

সিলেটকে বাংলাদেশের প্রথম দুর্নীতিমুক্ত জেলা ঘোষণার উদ্যোগ

১২

সাবেক সেনা কর্মকর্তার কাছে তারেক রহমানের দুঃখ প্রকাশ

১৩

বিএনপি তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ : টুকু

১৪

ঢাকায় নেত্রকোনা মুক্ত দিবস উদযাপন

১৫

এনসিপির প্রথম ধাপের মনোনয়নপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা কাল

১৬

যুদ্ধবিমান ইউরোফাইটার টাইফুনের অনন্য যেসব শক্তিমত্তা

১৭

যাত্রীদের সুসংবাদ দিল মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ

১৮

ব্যাংক কর্মীদের উৎসাহ বোনাস নিয়ে নতুন নির্দেশনা

১৯

গুলিবিদ্ধ বিএনপি নেতার খোঁজ নিলেন জামায়াত নেতারা

২০
জামায়াতসহ ৮ দলের ‘ওয়ানবক্স পলিসি’
আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে জয় পেতে বহুমুখী তৎপরতা চালাচ্ছে জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা আটটি দল। নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন কৌশল নির্ধারণ ও প্রার্থী চূড়ান্তকরণে দফায় দফায় বৈঠক করছেন আট দলের লিয়াজোঁ কমিটির
কোথায় ভিড়ছে দুই ছাত্র উপদেষ্টার তরী
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং গণভোটের তপশিল আজ বুধবার কিংবা আগামীকাল বৃহস্পতিবার ঘোষণা হতে পারে। তপশিল ঘোষণার এই সময়সীমার মধ্যেই অন্তর্বর্তী সরকারে ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে থাকা দুই
বগুড়ার কাহালু / অরক্ষিত বাগইলের আদি নিদর্শন!
আধিপত্য আর বিশ্ব শাসনের ধারাবাহিকতায় আছে বহু উত্থানপতন, ভাঙাগড়া, অবশেষে বিলীনের গল্প! তবে দীর্ঘ সময় ধরে চলা বিশাল বিশাল সভ্যতা-সাম্রাজ্যের গল্পে বিবর্তন, পরিবর্তন বা রূপান্তর নানা দিক থেকে আমাদের অস্তিত্বের
শ্রম মন্ত্রণালয়ে লুটপাটে পাঁচ ‘মহারাজ’
‘অগ্রগামী ট্রেডার্স’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান থেকে পাঁচটি বৈদ্যুতিক পণ্য কিনেছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। এতে খরচ হয়েছে ১ লাখ ৪০ হাজার ৫০০ টাকা। ২০১৯ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি এই কেনাকাটা হয়।
একাধিক চাকরি করলে শিক্ষকদের এমপিও বাতিল
একাধিক চাকরি করলে শিক্ষকদের এমপিও বাতিল
বেসরকারি স্কুল ও কলেজের জনবল কাঠামো এবং এমপিও নীতিমালা, ২০২৫ জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়েছে, এমপিওভুক্ত কোনো শিক্ষক বা কর্মচারী একই সঙ্গে একাধিক চাকরি বা লাভজনক পদে নিয়োজিত থাকতে পারবেন না।  নীতিমালায় সাংবাদিকতা এবং আইন পেশাও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নীতিমালা ভঙ্গ করলে সরকারের পক্ষ থেকে এমপিও বাতিলসহ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। নীতিমালায় বলা হয়েছে, এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের পদ শূন্য থাকা সাপেক্ষে প্রতিষ্ঠান পরিবর্তনের (বদলি) সুযোগ থাকবে। প্রয়োজনে এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রধান পদে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নিয়োগও দেওয়া যাবে। এ ছাড়া, কোন স্তরের স্কুল ও কলেজে কতজন জনবল থাকবে এবং নিয়োগের শর্তসহ অন্যান্য বিষয়গুলো ৬১ পৃষ্ঠার নীতিমালায় বিস্তারিত বর্ণনা করা হয়েছে। নীতিমালা সম্পর্কে শিক্ষকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকে ইতিবাচক দিক থাকলেও কিছু কিছু বিষয় বৈষম্যের সৃষ্টি করতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন। আর্থিক লাভজনক পদ বলতে সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বেতন, ভাতা, সম্মানীসহ যে কোনো ধরনের আর্থিক সুবিধা, সাংবাদিকতা বা আইন পেশার বিনিময়ে প্রাপ্ত অর্থকে বোঝানো হয়েছে।  
৬ ঘণ্টা আগে

দেশে কোটিপতি বাড়ার কারণ জানালেন অর্থ উপদেষ্টা

১২ ঘণ্টা আগে

প্রকল্প পাস হলে বাস্তবায়নের ধার ধারে না : পরিকল্পনা সচিব

১২ ঘণ্টা আগে

পুলিশে বড় রদবদল

১৩ ঘণ্টা আগে

উপদেষ্টা পদে থেকে নির্বাচন করা যাবে কি না, স্পষ্ট করলেন ইসি আনোয়ারুল

১৪ ঘণ্টা আগে

যে ৬ রুটে বাড়ছে ট্রেনের ভাড়া

১৪ ঘণ্টা আগে
জামায়াতসহ ৮ দলের ‘ওয়ানবক্স পলিসি’
জামায়াতসহ ৮ দলের ‘ওয়ানবক্স পলিসি’
আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে জয় পেতে বহুমুখী তৎপরতা চালাচ্ছে জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা আটটি দল। নির্বাচন নিয়ে বিভিন্ন কৌশল নির্ধারণ ও প্রার্থী চূড়ান্তকরণে দফায় দফায় বৈঠক করছেন আট দলের লিয়াজোঁ কমিটির নেতারা। এরই মধ্যে একক প্রার্থী ঘোষণার লক্ষ্যে আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনা শুরু করেছে দলগুলো। প্রথমে জামায়াতে ইসলামী সমমনা অন্যান্য দলের প্রতিনিধির সঙ্গে পৃথকভাবে আলোচনা করছে। পর্যায়ক্রমে অন্য দলের সঙ্গে আলোচনা শেষে সব দল নিয়ে একসঙ্গে বসে আসন ভাগাভাগির বিষয়ে সমঝোতা হবে। কোন দলের কী চাওয়া, সে বিষয়ে জানছে জামায়াত। মুখ্য উদ্দেশ্য—‘ওয়ানবক্স পলিসি’ তথা একটি বাক্সে ইসলামী দলের সব ভোট দেওয়া এবং আট দল মনোনীত প্রার্থীকে সর্বাত্মকভাবে বিজয়ী করা। গতকাল মঙ্গলবার থেকে আসন সমঝোতা নিয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হয়েছে। শিগগির প্রতিটি আসনের বিপরীতে একক প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে। তবে আসন্ন নির্বাচনে জামায়াতসহ কোনো দলেরই নারী সংসদ সদস্য প্রার্থী নেই। এদিকে শতাধিক আসনে সমমনা দলগুলো আসনের চাহিদার কথা জামায়াতে ইসলামীর কাছে প্রস্তাব দেবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। তার মধ্যে মাওলানা মামুনুল হকের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস রিকশা প্রতীকে কমপক্ষে ৭০টি আসন চাইবে বলে জানা গেছে। গত সেপ্টেম্বর থেকে অভিন্ন কয়েকটি দাবিতে যুগপৎভাবে আন্দোলন শুরু করে জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা আটটি দল। জামায়াত ছাড়াও অন্য দলগুলো হলো—ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টি, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও খেলাফত মজলিস। এসব দলের দাবিগুলো হচ্ছে—অবিলম্বে জুলাই সনদের বাস্তবায়ন করা, সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে (পিআর) জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান, নির্বাচনের জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) তৈরি করা এবং ফ্যাসিবাদের দোসর হিসেবে জাতীয় পার্টি (জাপা) ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা। এসব দাবিতে এরই মধ্যে কয়েক দফায় কর্মসূচি পালন করেছে দলগুলো। সর্বশেষ নভেম্বরে বিভাগীয় পর্যায়ে সমাবেশ করেছে তারা। এখন জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে অনুষ্ঠিতব্য গণভোটে ‘হ্যাঁ’-এর পক্ষে জনমত গঠনের লক্ষ্যে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে দলগুলো। জানতে চাইলে জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও আট দলের লিয়াজোঁ কমিটির সমন্বয়ক ড. হামিদুর রহমান আজাদ কালবেলাকে বলেন, “আট দলের কার্যক্রম কোনো নির্বাচনী জোট নয়। এটি একটি আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম। আমরা ‘ওয়ানবক্স পলিসি’ নিয়ে কাজ করছি। অর্থাৎ এক আসনে আট দল মনোনীত একজন প্রার্থী থাকবেন, যা সমঝোতার ভিত্তিতে নির্ধারণ হবে। যেখানে আটটি দলের পক্ষে একজন প্রার্থী থাকবেন, সেখানে এসব দলের অন্য কোনো দলের আর প্রার্থী থাকবে না। আমরা বিজয়ের জন্য সবাই মিলে সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাব। সে লক্ষ্যেই আমরা কাজ করছি। যত কম সময়ের মধ্যে সম্ভব আমরা প্রার্থী বাছাইয়ের বিষয়টি শেষ করব ইনশাআল্লাহ।” এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিটি দলের সঙ্গে পৃথকভাবে বসে আলোচনা করব। এরপর সব দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সমঝোতা করা হবে।’ এদিকে, সোমবার সন্ধ্যায় আন্দোলনরত আট দলের লিয়াজোঁ কমিটির এক বৈঠক পুরানা পল্টনে খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই বৈঠকে পাঁচটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এগুলো হলো—জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নে অনুষ্ঠিতব্য গণভোটে ‘হ্যাঁ’ এর পক্ষে জনমত গঠনের লক্ষ্যে আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশব্যাপী প্রচার-প্রচারণা চালানো; জাতীয় নির্বাচনের তপশিল ঘোষণার পর তপশিল দেখে শীর্ষ নেতাদের বৈঠকে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ; মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আট দলভুক্ত প্রতিটি দল পৃথক কর্মসূচি পালন; আট দলের কার্যক্রম বেগবান করতে জেলা-উপজেলাভিত্তিক লিয়াজোঁ কমিটি গঠন করা এবং ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য আট দলের মধ্যে আসন সমঝোতার আলোচনা শুরু করা। এ বিষয়ে খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদের বলেন, ‘নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরির জন্য আমাদের আগের দাবিই অব্যাহত থাকবে। তপশিল ঘোষণার পর অবস্থা বুঝে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করব। এরই মধ্যে বিভিন্ন দাবিতে আমাদের মাঠপর্যায়ে বড় ধরনের কর্মসূচি সমাপ্ত হয়েছে। এখন আসন চূড়ান্ত করা নিয়ে সমঝোতা হবে। ভোট নিয়ে আলোচনা হবে। এ ক্ষেত্রে গণভোটের বিষয়টিও থাকবে। আশা করছি, ঐকমত্যের ভিত্তিতেই ৩০০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করতে পারব ইনশআল্লাহ।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিটি আসনে আট দলের পক্ষে একজন প্রার্থী থাকবেন। কোনো ঐক্যের বা জোটের নামে প্রার্থী হবে না। তারা হবেন দেশপ্রেমিক ও ইসলামী ঐক্যের প্রার্থী।’ জাগপার সহসভাপতি ও দলীয় মুখপাত্র ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান গতকাল সন্ধ্যায় কালবেলাকে বলেন, তারা সর্বাত্মক ছাড়ের মানসিকতা নিয়ে আলোচনায় বসবেন। তার দলের পক্ষে পাঁচটি আসনে প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার জন্য প্রস্তাব করবেন জানিয়ে তিনি বলেন, যেটি সম্ভব সেটিই চাইব। এখন মাত্র আলোচনা শুরু হলো। জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে সমমনা দলগুলোর সঙ্গে পৃথকভাবে পর্যায়ক্রমে বৈঠক হবে। এরপর সব দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে প্রার্থী চূড়ান্ত করা নিয়ে সমঝোতা হবে। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন কালবেলাকে বলেন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস পৃথকভাবে নির্বাচনের লক্ষ্যে এরই মধ্যে প্রার্থী ঘোষণা করেছে এবং অন্যান্য প্রস্তুতিও নিচ্ছে। তবে এ মুহূর্তে বৃহত্তর স্বার্থে যেহেতু সমমনা দলগুলো আন্দোলনে আছে, সেজন্য তারা সমঝোতার ভিত্তিতে নির্বাচনে অংশ নেবেন। আসন ভাগাভাগির বিষয়টি এখনো আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে বলে তিনি জানান।
৮ ঘণ্টা আগে
কোথায় ভিড়ছে দুই ছাত্র উপদেষ্টার তরী
কোথায় ভিড়ছে দুই ছাত্র উপদেষ্টার তরী
হাটহাজারীতে খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় গণদোয়া
হাটহাজারীতে খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় গণদোয়া
জনসভায় হামলা-ভাঙচুর গণতন্ত্রের ওপর গভীর হুমকি : জেএসডি
জনসভায় হামলা-ভাঙচুর গণতন্ত্রের ওপর গভীর হুমকি : জেএসডি
সাবেক সেনা কর্মকর্তার কাছে তারেক রহমানের দুঃখ প্রকাশ
সাবেক সেনা কর্মকর্তার কাছে তারেক রহমানের দুঃখ প্রকাশ
এনসিপির প্রথম ধাপের মনোনয়নপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা কাল
এনসিপির প্রথম ধাপের মনোনয়নপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা কাল
গুলিবিদ্ধ বিএনপি নেতার খোঁজ নিলেন জামায়াত নেতারা
গুলিবিদ্ধ বিএনপি নেতার খোঁজ নিলেন জামায়াত নেতারা

ব্যাংক কর্মীদের উৎসাহ বোনাস নিয়ে নতুন নির্দেশনা

খেলাপি ঋণ আদায়ে অগ্রগতি ছাড়া কোনো ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এখন থেকে উৎসাহ বোনাস নিতে পারবেন না। নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যাংক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের উৎসাহ বোনাসের বিষয়ে শর্ত নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) কেম্পানি আইনের ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে এ নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। নির্দেশনা বলা হয়, কোনো আর্থিক বছরে শুধু প্রকৃত আয়-ব্যয়ের ভিত্তিতে নির্ণীত মুনাফা হলেই কেবল সেই ব্যাংকের কর্মীদের উৎসাহ বোনাস দেওয়া যাবে; পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকে কোনো উৎসাহ বোনাস দেওয়া যাবে না; রেগুলেটরি মূলধন সংরক্ষণে কোনো ঘাটতি বা কোনো সঞ্চিতি (প্রভিশন) ঘাটতি থাকতে পারবে না; এ ক্ষেত্রে কোনো বিলম্বকরণ সুবিধা দেওয়া হলে তা মুনাফা নির্ণয়ের ক্ষেত্রে বিবেচনায় নেওয়া যাবে না এবং বিভিন্ন ব্যাংকিং সূচকের উন্নতি ও শ্রেণীকৃত বা অবলোপনকৃত ঋণ আদায়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতি এই বোনাস দেওয়ার ক্ষেত্রে বিবেচনায় নিতে হবে। উৎসাহ বোনাস দেওয়ার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ক্ষেত্রে ‘রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক, তফসিলি বিশেষায়িত ব্যাংক, অ-তফসিলি বিশেষায়িত ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোয় কর্মরত কর্মচারীদের উৎসাহ বোনাস প্রদান নির্দেশিকা-২০২৫’ অনুসরণ করতে হবে।

দেশে কোটিপতি বাড়ার কারণ জানালেন অর্থ উপদেষ্টা

অনেক দিন ধরে ঘরে লুকিয়ে রাখা টাকা এখন ব্যাংকে জমা দেওয়ার কারণেই দেশে কোটিপতি ব্যাংক হিসাবধারীর সংখ্যা বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন। এর আগে গত রোববার (৭ ডিসেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, দেশের ব্যাংকিং খাতে কোটিপতি গ্রাহকের সংখ্যা ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলতি বছরের মার্চ থেকে জুন প্রান্তিকে কোটিপতি হিসাব বেড়েছে ৫ হাজার ৯৭৪টি। আর জুন থেকে সেপ্টেম্বর— এই তিন মাসে আরও ৭৩৪টি কোটিপতি অ্যাকাউন্ট যুক্ত হয়েছে। এই বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টার কাছে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এটি হতে পারে যে অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে বাড়িতে টাকা লুকিয়ে রেখেছিলেন। বর্তমানে তারা সেই অর্থ ব্যাংকে জমা দিচ্ছেন। মানুষের কাছে টাকা নেই— এ কথাটি অনেক ক্ষেত্রে সত্য। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা যায়, জুন শেষে ব্যাংক খাতে মোট হিসাব ছিল ১৬ কোটি ৯০ লাখ ২ হাজার ৬৭১টি, যা সেপ্টেম্বর শেষে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ কোটি ৪৫ লাখ ৯৬ হাজার ৭০০টিতে। অর্থাৎ তিন মাসে নতুন অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে ৫৫ লাখ ৯৪ হাজার ২৯টি। একই সময়ে ব্যাংকে আমানতও বেড়েছে। জুনে যেখানে মোট আমানত ছিল ১৯ লাখ ৯৬ হাজার ৫৮৩ কোটি টাকা, সেপ্টেম্বর শেষে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৩১ হাজার ১১৯ কোটি টাকায়। তিন মাসে আমানত বেড়েছে ৩৪ হাজার ৫৩৬ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, জুন প্রান্তিকে ব্যাংক খাতে এক কোটি টাকার বেশি আমানত রয়েছে— এমন হিসাব ছিল এক লাখ ২৭ হাজার ৩৩৬টি। সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে এ সংখ্যা বেড়ে হয়েছে এক লাখ ২৮ হাজার ৭০টি। এর আগে মার্চ শেষে সংখ্যাটি ছিল এক লাখ ২১ হাজার ৩৬২টি।

চলতি মাসে ১ লাখ ভ্যাট নিবন্ধন বাড়াবে এনবিআর

দেশে মূল্য সংযোজন কর-মূসক বা ভ্যাট নিবন্ধন না করেই ‘ব্যাপক’ সংখ্যক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। চলতি মাসের মধ্যে এক লাখ নতুন নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খান। সরকারের রাজস্ব আদায়ে ধীরতা প্রসঙ্গে তার ভাষ্য, সবচেয়ে বড় সমস্যা যেটা, সেটা হচ্ছে আমাদের ভ্যাট পেমেন্ট যারা করে, যাদের হাত দিয়ে ভ্যাট পেমেন্ট হয়—বিশেষ করে ব্যবসায়ীরা— তাদের যে ভ্যাট নেট, এই ভ্যাট নেটটা যথেষ্ট ছোট। এখন অ্যারাউন্ড ৬ লাখ ৪৪ হাজার রেজিস্টার্ড ভ্যাট পেয়ার আছে। যেটা বাংলাদেশের ওভারঅল যে বিভিন্ন রকমের জরিপ আমাদের আছে, ব্যবসা-বাণিজ্যের যে সংখ্যা আছে, তার সঙ্গে কোনোভাবেই সংগতিপূর্ণ নয়। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) চলতি বছরের ভ্যাট দিবস উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এসে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, এই বছরের ভ্যাট দিবসের মূল প্রতিপাদ্য এবং ফোকাসটা আমরা দিয়েছি ভ্যাট রেজিস্ট্রেশনের উপর। এই মাসে আমরা যে ভ্যাট সপ্তাহ পালন করব এবং ডিসেম্বরের পুরো মাসব্যাপী ড্রাইভ চলবে এবং আমরা চেষ্টা করব নতুন করে ১ লাখ রেজিস্ট্রেশন করতে। এটা আমাদের টার্গেট। বাট এটাকে আরও অনেক দূর নিয়ে যেতে হবে। জরিপ অনুযায়ী কত সংখ্যক প্রতিষ্ঠান এখনো ভ্যাটের আওতার বাইরে— এমন প্রশ্নে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এই মুহূর্তে আমার কাছে ডাটা নেই। সুতরাং সেভাবে বলতে পারব না। বাট সংখ্যা ব্যাপক। আনরেজিস্টার্ড ভ্যাট পেয়ারের সংখ্যা বা বিজনেস পেয়ারের সংখ্যা ‘ইনরমাস’। এখানে প্রচুর কাজ করার সুযোগ আছে। এ সময় তিনি আগামী এক থেকে দুই বছরের ৩০ থেকে ৪০ লাখ প্রতিষ্ঠানকে ভ্যাট নিবন্ধনের আওতায় নিয়ে আসতে পারা যাবে বলে আশার কথা শোনান। একই সঙ্গে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের ভ্যাটের আওতায় আনতে অনলাইনে সহজে ভ্যাট-রিটার্ন ব্যবস্থা চালুর ‘স্বপ্ন’ দেখছেন। সেখানে ‘এক ক্লিকে’ রিটার্ন দেওয়া যাবে বলে তার ভাষ্য। চেয়ারম্যান বলেন, যেভাবে ভ্যাট রেজিস্ট্রেশনটা বাড়ছে, এটা আরও ব্যাপকভাবে বাড়া উচিত। সংখ্যা অনেক।  প্রতি বছরের মতো চলতি বছরও এনবিআর ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর ভ্যাট সপ্তাহ উদযাপন করবে। ভ্যাট নিবন্ধনকে গুরুত্ব দিয়ে এ বছরের ভ্যাট দিবসের প্রতিপাদ্য রাখা হয়েছে সময়মতো নিবন্ধন নিব, সঠিকভাবে ভ্যাট দিব। এছাড়াও বুধবার থেকে মাসজুড়েই দেশব্যাপী নিবন্ধন প্রচারণা চালাবে এনবিআর।
১৬ ঘণ্টা আগে
চলতি মাসে ১ লাখ ভ্যাট নিবন্ধন বাড়াবে এনবিআর

সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের বিষয়ে সুখবর দিলেন গভর্নর

একীভূত হওয়া সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহকদের টাকা আগামী সপ্তাহের মধ্যে ফেরত দেওয়া শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের এনইসি সম্মেলন কক্ষে ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশের অগ্রগতি’ শীর্ষক প্রতিবেদন উপস্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। তিনি বলেন, পাঁচ ব্যাংকের সংযুক্তি চলছে। ডিপোজিট গ্যারান্টি এক লাখ থেকে দুই লাখে বাড়ানো হয়েছে। চলতি সপ্তাহ বা আগামী সপ্তাহ থেকে অর্থ বিতরণ শুরু হতে পারে। বৈদেশিক মুদ্রার বাজার স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত ডলারের দাম আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের পরামর্শ অনুযায়ী বাজারভিত্তিক করার পথে বাংলাদেশ এগোয়নি জানিয়ে গভর্নর বলেন, সেটা হলে মুদ্রার দাম শ্রীলঙ্কা বা পাকিস্তানের মতো দ্রুত ঊর্ধ্বমুখী হতে পারত। বর্তমানে হয়তো ১৯০ থেকে ২০০ টাকায় পৌঁছাত। আমরা সব ক্ষেত্রে তাদের কথা শুনিনি। অনেকেই এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছেন। তবে আজ আমাদের মুদ্রার বিনিময় হার নিয়ন্ত্রণে আছে। আগে সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলার বিদেশি দায় পরিশোধে জোর দেওয়া হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, কারণ এ দায়ের জন্য এলসি খোলার গ্যারান্টির সুবিধা কম ছিল। মুদ্রাবাজার স্থিতিশীলতা ছিল প্রয়োজন, যাতে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে থাকে। যখন দায়িত্ব নিয়েছিলাম, ডলার দর ছিল ১২০ টাকা; এখন প্রায় ১২২ টাকা। রিজার্ভও বেড়েছে।   সুদহার কমানোর বিষয়ে সরকারের ভেতর বাইরে আলোচনা হচ্ছে জানিয়ে গভর্নর বলেন, সরকারের ভেতর-বাহির আলোচনা চলছে। তবে সুদহার বাড়ানোর ফলে মূল্যস্ফীতি কমেছে। বর্তমানে মুদ্রাবাজারে কোনো হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে না। আমানত হার বেড়েছে, বাজেট সহায়তার জন্য টাকা ছাপানো বন্ধ করা হয়েছে এবং ডলার বেচা বন্ধ হয়েছে। এনবিআর রাজস্ব বাড়ালে সরকারের ঋণের চাপ কমবে এবং আমানত আরও বাড়বে। এদিকে রাজস্ব আদায় চলতি বছরে ১৫ শতাংশ বেড়েছে তবু কর-জিডিপি অনুপাত কমছে, যা ভাবনার বিষয় মন্তব্য করে এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, জিডিপি হিসাবের কোথাও ঘাটতি আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। ভ্যাট আইন কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা হয়নি। এখন থেকে করছাড় আর এনবিআর স্বয়ং দেবে না, এ জন্য সংসদ থেকে অনুমোদন নিতে হবে। চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে রাজস্বে ২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হলেও ভ্যাট ও অন্যান্য কর কোথায় হারাচ্ছে, তা শনাক্ত করার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে এবং ডিজিটাইজেশনের মাধ্যমে রাজস্ব সংগ্রহ বাড়ানোর পরিকল্পনাও আছে বলে জানান তিনি। এনবিআর চেয়ারম্যান আরও জানান, রাজস্ব আয় বাড়াতে শুল্ক কমানো হবে, ভ্যাট ও অন্যান্য কর বাড়ানো হবে, নগদ টাকার ব্যবহার কমানো হবে। এতে কর আদায় সহজ হবে এবং ভ্যাট হারের জটিলতা দূর হবে। বর্তমান সরকারের মেয়াদেই এনবিআরের দুই বিভাগে দুজন সচিব নিয়োগ দেওয়া হবে। বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, অর্থনীতির বিভিন্ন সূচক বিশ্লেষণে নেতিবাচক দিক এখনো ইতিবাচক দিকের চেয়ে বেশি। তবে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারতো। ৫ আগস্টের পর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শূন্যতার পরিপ্রেক্ষিতে সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় অনিয়ম দেখা দিয়েছে। গত দেড় বছরের সংস্কার অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেয়া গেছে, তবে বড় ধরনের বাস্তবায়ন এখনও হয়নি। সংস্কারের জন্য স্ট্যামিনা এবং রাজনৈতিক ইচ্ছা প্রয়োজন। সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো ড. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদের হার বাড়ানো হয়েছে, যার ফলে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান কমেছে এবং আয় বৈষম্য বেড়েছে। ব্যবসা সহজীকরণে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার এবং দুর্নীতি দমন জরুরি ছিল, যা এখনো হয়নি।
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫
সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংকের বিষয়ে সুখবর দিলেন গভর্নর

দেশের বাজারে কত দামে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে আজ

দেশের বাজারে আজ সোমবার (৮ ডিসেম্বর) স্বর্ণ ভরিতে ২ লাখ ১১ হাজার ৯৫ টাকা বিক্রি হবে। সর্বশেষ মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) স্বর্ণ ভরিতে ১ হাজার ৫০ টাকা কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) দাম কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দাম অনুযায়ী, দেশের বাজারে প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ২ লাখ ১১ হাজার ৯৫ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ লাখ ১ হাজার ৪৯৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭২ হাজার ৭০৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪৩ হাজার ৬৮৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে। স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে। এর আগে সবশেষ গত ১ ডিসেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সেদিন ভরিতে ১ হাজার ৫৭৫ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ২ লাখ ১২ হাজার ১৪৫ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ লাখ ২ হাজার ৪৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭৩ হাজার ৫৭২ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪৪ হাজার ৪২৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল, যা কার্যকর হয়েছিল ২ ডিসেম্বর থেকে। এদিকে দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ৪ হাজার ২৪৬ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৪ হাজার ৪৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৩ হাজার ৪৭৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৬০১ টাকায়।
০৮ ডিসেম্বর, ২০২৫
দেশের বাজারে কত দামে স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে আজ
কেশবপুরে চার নারী পেলেন ‘অদম্য নারী পুরস্কার’
কেশবপুরে চার নারী পেলেন ‘অদম্য নারী পুরস্কার’
শরীয়তপুরে বাড়ি ফেরার পথে শিক্ষার্থীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ
শরীয়তপুরে বাড়ি ফেরার পথে শিক্ষার্থীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ
সিলেটে ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ ১৪ প্রতিষ্ঠানকে ৮ লাখ টাকা জরিমানা
সিলেটে ডায়াগনস্টিক সেন্টারসহ ১৪ প্রতিষ্ঠানকে ৮ লাখ টাকা জরিমানা
মাছ ধরতে গিয়ে ভারতে আটক ৬ জেলে, ১৩ মাস পর হস্তান্তর
মাছ ধরতে গিয়ে ভারতে আটক ৬ জেলে, ১৩ মাস পর হস্তান্তর
মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠন
মাদ্রাসা সুপারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠন
হাটহাজারীতে খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় গণদোয়া
হাটহাজারীতে খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় গণদোয়া
সিলেটকে বাংলাদেশের প্রথম দুর্নীতিমুক্ত জেলা ঘোষণার উদ্যোগ
সিলেটকে বাংলাদেশের প্রথম দুর্নীতিমুক্ত জেলা ঘোষণার উদ্যোগ
বিএনপি তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ : টুকু
বিএনপি তারেক রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ : টুকু
আমার এলাকার সংবাদ
অনুসন্ধান
.

ট্রাম্প-ইউরোপ মুখোমুখি

ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও এর নেতাদের কঠোর সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পলিটিকোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, দুর্বল লোকদের নেতৃত্বে ইউরোপ ক্ষয়িষ্ণু জাতির দলে পরিণত হয়েছে। মূলত ইউরোপের অভিবাসন নীতি ও ইউক্রেন যুদ্ধ ইস্যুতে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প এমন মন্তব্য করেন। এর আগে আটলান্টিক মহাসাগরীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন মার্কিন নিরাপত্তা কৌশলে বিরাট পরিবর্তন হয়েছে, যা দিয়ে মূলত ক্ষুব্ধ হয়েছে ইউরোপও। এ পরিস্থিতিতে ইউরোপের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি সতর্কবার্তা দিয়েছেন ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট। গত জানুয়ারিতে ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পর থেকেই রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ বন্ধে ব্যাপক তৎপরতা শুরু করেন। আলোচনা করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। পাশাপাশি ইউরোপ নেতাদের সঙ্গেও কথা বলেন ট্রাম্প। কারণ, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে ইউক্রেনকে কোটি কোটি টাকার সামরিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমারা। এ অবস্থায় গত নভেম্বরে রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ২৮ দফা প্রস্তাব দেন ট্রাম্প। কিন্তু এই প্রস্তাবের পরই ট্রাম্পের সঙ্গে ইউরোপ নেতাদের সম্পর্কে ফাটল ধরেছে। কারণ, এই প্রস্তাবকে একপেশে বলে দাবি করেন ইউরোপীয় নেতারা এবং এতে রাশিয়ার চাওয়া-পাওয়াকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় ইউক্রেন নিয়ে করণীয় নির্ধারণে সোমবার লন্ডনে বৈঠকে বসেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ এবং জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রেডরিখ মের্ৎজ। যাতে অংশ নেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ওই বৈঠকে ইউরোপীয় নেতারা মার্কিন প্রচেষ্টায় রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে যুদ্ধ শেষ করাকে একটি জটিল মুহূর্ত বলে মন্তব্য করেছেন। পাশাপাশি তারা রাশিয়ার ওপর আরও বেশি অর্থনৈতিক চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানান। এদিকে, গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া প্রস্তাব মেনে নিতে ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে ফ্লোরিডায় বৈঠক করে মার্কিন প্রতিনিধিদল। তবে কিয়েভ এই প্রস্তাবকে রাশিয়ার জন্য বিশেষ সুবিধা হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে মঙ্গলবারের বৈঠকের সময় জেলেনস্কি বলেন, মার্কিন প্রস্তাব থেকে ইউক্রেনবিরোধী ধারাগুলো বাদ দিতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের দেওয়া প্রস্তাবে বলা হয়েছে—ইউক্রেনকে পূর্বাঞ্চল থেকে পুরোপুরিভাবে সেনা প্রত্যাহার করে নেবে এবং এ অঞ্চল রাশিয়াকে ছেড়ে দিতে হবে। এর বিনিময়ে রাশিয়া অন্য অঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করে যুদ্ধ শেষ করবে। তবে জেলেনস্কি যুক্তরাষ্ট্রের এমন প্রস্তাবের তীব্র বিরোধিতা করেছেন। তিনি বলেন, রাশিয়াকে পূর্বাঞ্চল ছেড়ে দিলে ভবিষ্যতে কিয়েভে হামলার আশঙ্কা আরও বেড়ে যাবে। এ অবস্থায় ইউরোপীয় নেতারা মার্কিন মধ্যস্থতায় এমন একটি যুদ্ধবিরতির প্রত্যাশা করছেন, যেখানে ভবিষ্যতে রাশিয়ার হামলা থেকে ইউক্রেন আশঙ্কামুক্ত থাকবে। তবে ট্রাম্প এ ধরনের কোনো নিশ্চয়তা দেননি। এ অবস্থায় ইউক্রেন নিয়ে ইউরোপ ও আমেরিকার মধ্যে বিভক্তি চললেও ক্রমাগত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। এর মধ্যে ৩৩ পৃষ্ঠার জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলপত্র প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে ইউরোপ সভ্যতার দিক থেকে বিলুপ্তির মুখে আছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে এবং এতে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য রাশিয়াকে হুমকি হিসেবেও দেখানো হয়নি। এতে রাশিয়া খুশি হলেও ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকটি দেশের কর্মকর্তা ও বিশ্লেষকরা এই কৌশল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং অভিযোগ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের এই জাতীয় নিরাপত্তা কৌশলের নথির ভাষায় অনেকটা ক্রেমলিনের বক্তব্যের সুরই অনুরণিত হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের। কয়েকজন ইইউ কর্মকর্তা ও বিশ্লেষক নিরাপত্তা কৌশলপত্রের ভাষা নিয়ে সমালোচনা করেছেন। এরপর সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেন, আমি মনে করি তারা (ইউরোপীয় নেতারা) দুর্বল। ইউরোপ জানে না তাদের কী করতে হবে। তবে তিনি হাঙ্গেরি ও পোল্যান্ডকে সমর্থন করেন। ট্রাম্প বলেন, অভিবাসন নীতির কারণে ইউরোপ আরও দুর্বল হবে। তারা চায় রাজনৈতিকভাবে সঠিক থাকতে, তবে এটি তাদের দুর্বল করছে। এমন পরিস্থিতিতে ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট আন্তোনিও কস্টা ইউরোপের বিষয়ে হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে সতর্ক করেন। তিনি বলেন, ওয়াশিংটন ইউরোপের জাতীয়তাবাদী দলগুলোকে সমর্থন দেবে, এই ইঙ্গিত গ্রহণযোগ্য নয়। তার (ট্রাম্প) সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তন ইস্যুতে বিরোধ রয়েছে। কিন্তু নতুন কৌশল যেদিকে যাচ্ছে, ইউরোপের রাজনীতিতে হস্তক্ষেপের হুমকি, যা আমরা মানতে পারি না। সেন্টার ফর ইউরোপিয়ান পলিসি অ্যানালাইসিসের মিনা অ্যান্ডার বলেন, ট্রাম্প ও তার প্রশাসন এখন প্রকাশ্যে ইউরোপের প্রতি বিদ্বেষী।
২০২৫ সালে ২৯ সাংবাদিককে হত্যা করেছে ইসরায়েল
আরএসএফের প্রতিবেদন / ২০২৫ সালে ২৯ সাংবাদিককে হত্যা করেছে ইসরায়েল
থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া কেন বারবার সংঘাতে জড়াচ্ছে
থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া কেন বারবার সংঘাতে জড়াচ্ছে
যুদ্ধবিমান ইউরোফাইটার টাইফুনের অনন্য যেসব শক্তিমত্তা
যুদ্ধবিমান ইউরোফাইটার টাইফুনের অনন্য যেসব শক্তিমত্তা
রাশিয়ায় সামরিক বিমান বিধ্বস্ত, নিহত সব আরোহী
রাশিয়ায় সামরিক বিমান বিধ্বস্ত, নিহত সব আরোহী
ছাত্রীর টিফিন বক্স থেকে পথ কুকুরদের খাওয়ানোর দৃশ্য ভাইরাল
ছাত্রীর টিফিন বক্স থেকে পথ কুকুরদের খাওয়ানোর দৃশ্য ভাইরাল
২০২৬ সালের হজে ফটোগ্রাফি নিষিদ্ধের গুজব
২০২৬ সালের হজে ফটোগ্রাফি নিষিদ্ধের গুজব
ফেসবুকে রিচ কমে যাওয়ায় মিথ্যা ‘বিয়ে’র পোস্ট অভিনেতার
ফেসবুকে রিচ কমে যাওয়ায় মিথ্যা ‘বিয়ে’র পোস্ট অভিনেতার
সুনেহরার আজ মেকআপ না করার দিন
সুনেহরার আজ মেকআপ না করার দিন
ওমরাহ পালনে সৌদি গেলেন জায়েদ খান
ওমরাহ পালনে সৌদি গেলেন জায়েদ খান
থ্রি ইডিয়টস ২-এ কে থাকছেন, কে বাদ পড়ছেন?
থ্রি ইডিয়টস ২-এ কে থাকছেন, কে বাদ পড়ছেন?
বিয়ের আগেই মা হতে চান সুশান্তের প্রাক্তন
বিয়ের আগেই মা হতে চান সুশান্তের প্রাক্তন
কোনো দলেই নাম লেখাতে চাই না : সোহিনী
কোনো দলেই নাম লেখাতে চাই না : সোহিনী
ওজন ঝরিয়ে আবেদনময়ী কিয়ারা
ওজন ঝরিয়ে আবেদনময়ী কিয়ারা
শনি
রোব
সোম
মঙ্গল
বুধ
বৃহ
শুক্র
২০২৬ বিশ্বকাপ নিয়ে জোকোভিচের চমকপ্রদ ভবিষ্যদ্বাণী
২০২৬ বিশ্বকাপ নিয়ে জোকোভিচের চমকপ্রদ ভবিষ্যদ্বাণী
সিটির বিপক্ষে ম্যাচের আগে এমবাপ্পেকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় রিয়াল
সিটির বিপক্ষে ম্যাচের আগে এমবাপ্পেকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় রিয়াল
যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় শঙ্কায় বিশ্বকাপে ১৯ দেশের অংশগ্রহণ
যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞায় শঙ্কায় বিশ্বকাপে ১৯ দেশের অংশগ্রহণ
২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপ শুরুর আর আট মাসও বাকি নেই। এমন সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের জারি করা কঠোর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বিশ্বকাপকে ঘিরে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে। একাধিক দেশের দল ও সমর্থকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক সংস্থা কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশনস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে ১৯টি দেশের নাগরিকদের ওপর ভ্রমণ সীমাবদ্ধতা বা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করেছে। এর মধ্যে ১২টি দেশের নাগরিকদের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে—অর্থাৎ কোনো পরিস্থিতিতেই তারা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। এই সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা দেশগুলো হলো—আফগানিস্তান, ইরান, সোমালিয়া, লিবিয়া, হাইতি, চাদ, কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, মিয়ানমার, ইরিত্রিয়া, সুদান ও ইয়েমেন। উল্লেখযোগ্যভাবে, ইরান ইতোমধ্যেই বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে, যদিও তাদের ভবিষ্যৎ অংশগ্রহণ এখনো অনিশ্চিত। তবে দেশটির ফুটবল ফেডারেশন গ্রুপ ড্র অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পেরেছিল। এ ছাড়া আরও সাতটি দেশের ওপর আংশিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর রয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে ভেনেজুয়েলা, কিউবা, বুরুন্ডি, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো ও তুর্কমেনিস্তান। এসব দেশের নাগরিকদের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট ভিসা ক্যাটাগরি ও ভ্রমণের ধরনে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। এদিকে ব্রাজিল আনুষ্ঠানিকভাবে নিষেধাজ্ঞায় না থাকলেও, ব্রাজিলীয় নাগরিকদের ভিসা ইস্যুতে সাম্প্রতিক জটিলতা তৈরি হয়েছে। কিছু প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, বিশ্বকাপ চলাকালে ব্রাজিলের সমর্থকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ সীমিত হতে পারে। এমনকি ভিসার মেয়াদও কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বিশ্বকাপ টাস্কফোর্সের নির্বাহী পরিচালক অ্যান্ড্রু জিউলিয়ানি এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাভুক্ত দেশগুলোর সমর্থকদের জন্য বিশ্বকাপ উপলক্ষে কোনো বিশেষ ছাড় দেওয়া হবে না। তবে খেলোয়াড়, কোচ ও প্রয়োজনীয় সহায়ক স্টাফদের ভিসা দেওয়া হবে বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি। জিউলিয়ানি আরও বলেন, ভিসা ইস্যু একটি জাতীয় নিরাপত্তাজনিত বিষয়, প্রতিটি আবেদন আলাদাভাবে যাচাই করা হয়। তার মন্তব্যে ইঙ্গিত পাওয়া গেছে—অনিবন্ধিত অভিবাসীদের বিরুদ্ধেও বিশ্বকাপ সময়কালে কঠোর অবস্থানে থাকতে পারে প্রশাসন। এ অবস্থায় বিশ্বকাপ আয়োজন ঘিরে ফিফার ‘বিশ্বকে স্বাগত জানাবে যুক্তরাষ্ট্র’—এই আশ্বাস বাস্তবে কতটা কার্যকর হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ বর্তমান পরিস্থিতিতে অনেক দেশের সমর্থকরা মাঠে গিয়ে নিজ দলের খেলা দেখা থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন। এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ জানিয়েছে, ভবিষ্যতে নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আরও দেশ যুক্ত হতে পারে। মোট সংখ্যা ৩০ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে—যা ২০২৬ বিশ্বকাপের আগে পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলতে পারে।
যে কারণে আইপিএল নিলামে নিষিদ্ধ হ্যারি ব্রুক
যে কারণে আইপিএল নিলামে নিষিদ্ধ হ্যারি ব্রুক
ইংল্যান্ডের দুর্দশা বাড়িয়ে অ্যাশেজ থেকে ছিটকে গেলেন তারকা পেসার 
ইংল্যান্ডের দুর্দশা বাড়িয়ে অ্যাশেজ থেকে ছিটকে গেলেন তারকা পেসার 
ইভেন্ট
লা লিগা
লা লিগা
ইপিএল
ইপিএল
ফ্রেঞ্চ লিগ
ফ্রেঞ্চ লিগ
ফ্রেঞ্চ ওপেন
ফ্রেঞ্চ ওপেন
উইম্বলডন
উইম্বলডন
লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ
লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ
ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ
ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ
বুন্দেসলিগা
বুন্দেসলিগা
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ
উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ
ইউরোপা লিগ
ইউরোপা লিগ
ইউএস ওপেন
ইউএস ওপেন
X