অ্যানেসথেসিয়া সংক্রান্ত জটিলতায় রোগীর মৃত্যু ও আকস্মিক সমস্যা নিরসনে ছয়টি নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। নির্দেশনায় ভবিষ্যতে জটিলতা এড়াতে ও অ্যানেসথেসিয়ায় ব্যবহৃত ওষুধের গুণগত মান নিশ্চিত করতে হ্যালোথেন ব্যবহার বন্ধ করতে বলা হয়েছে। গত বুধবার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব জসীম উদ্দীন হায়দারের সই করা প্রজ্ঞাপনে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে অ্যানেসথেসিয়া জটিলতার কারণে রোগীর মৃত্যু হচ্ছে এবং রোগীর আকস্মিক শারীরিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এটি প্রতিরোধে এবং অ্যানেসথেসিয়ায় ব্যবহৃত ওষুধের গুণগত মান নিশ্চিত করতে অ্যানেসথেসিয়ায় হ্যালোথেন ব্যবহার বন্ধ ও এর বিকল্প নির্ধারণ এবং অ্যানেসথেসিয়াজনিত মৃত্যু ও এর অপপ্রয়োগ প্রতিরোধে সুপারিশগুলোর বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো। নির্দেশনাগুলো হলো সারা দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটারে ইনহেলেশনাল অ্যানেসথেটিক (নিঃশ্বাসের সঙ্গে যে চেতনানাশক নেওয়া হয়) হিসেবে হ্যালোথেনের (চেতনানাশক ওষুধ) পরিবর্তে আইসোফ্লুরেন বা সেভোফ্লুরেন (চেতনানাশক ওষুধ) ব্যবহার করতে হবে; হ্যালোথেন বা আইসোফ্লুরেন বা সেভোফ্লুরেন ভেপোরাইজারের সংখ্যা এবং বিদ্যমান হ্যালোজেন ভেপোরাইজার পরিবর্তন করে আইসোফ্লুরেন বা সেভোফ্লুরেন ভেপোরাইজার প্রতিস্থাপন করতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের প্রাক্কলন করতে হবে; ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের (ডিজিডিএ) অনুমোদন ছাড়া হ্যালোথেন ক্রয়-বিক্রয় ও ব্যবহার রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে; সারা দেশের সব অ্যানেসথেসিওলজিস্টদের (সরকারি-বেসরকারি) নিয়ে হ্যালোথেনের পরিবর্তে আইসোফ্লুরেন ব্যবহার সংক্রান্ত নির্দেশনা প্রতিপালনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে; সব সরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান থেকে বিদ্যমান হ্যালোথেন ভেপোরাইজারের পরিবর্তে আইসোফ্লুরেন ভেপোরাইজার প্রতিস্থাপনের জন্য চাহিদা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে হবে এবং নতুন অ্যানেসথেসিয়া মেশিন কেনার ক্ষেত্রে স্পেসিফিকেশন নির্ধারণে স্পষ্টভাবে আইসোফ্লুরেন বা সেভোফ্লুরেন ভেপোরাইজারের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে হবে।