আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উখিয়ায় ২ রোহিঙ্গা খুন
কক্সবাজারের উখিয়ায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে দুই রোহিঙ্গা যুবক নিহত হয়েছে। ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে গতকাল সোমবার ভোরে ২ ও ৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আলাদা ঘটনা দুটি ঘটে। উখিয়া থানা পুলিশের ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত রোহিঙ্গারা হলেন ২ নম্বর ক্যাম্পের বাসিন্দা ছানা উল্যাহ ও ৭ নম্বর ক্যাম্পের আহম্মদ হোসেন। এ বিষয়ে ওসি আরও জানান, গত রোববার শেষ রাতে ৭ নম্বর ক্যাম্পের একটি চায়ের দোকানে গুলি চালায় ১৫-১৬ সন্ত্রাসী। সে সময় আহম্মদ হোসেন নিহত হন। পরদিন ভোরে ২ নম্বর ক্যাম্পে মাহমুদুল হকের বাড়িতে গুলি ছোড়ে অজ্ঞাত ২০ থেকে ৩০ দুর্বৃত্ত। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ছানা উল্যাহ। পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, এক ঘণ্টার ব্যবধানে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। নিহতদের বুক, পেট ও কোমরে গুলির চিহ্ন রয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
১০ অক্টোবর, ২০২৩

‘সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলা যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্য বিস্তার নয়’
বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্র, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে কথা বলা আধিপত্য বিস্তার নয়, এটা যুক্তরাষ্ট্রের স্বাভাবিক পররাষ্ট্রনীতি বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাস।  সোমবার (৯ অক্টোবর) ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত বে অব বেঙ্গল সম্মেলনের ‘ইন্দো প্যাসিফিক অঞ্চলে প্রতিযোগিতা’ শীর্ষক অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে এসব কথা বলেন তিনি।  পিটার হাস বলেন, ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে স্বাধীনতা ও উন্মুক্ততার ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক নিয়মভিত্তিক ব্যবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে। যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি এই অঞ্চলে গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং সমৃদ্ধির প্রচারেও বিশ্বাস করে। কেউ কেউ মনে করেন গণতন্ত্র, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যুক্তরাষ্ট্র আধিপত্য বিস্তার করে। এটা মূলত সারা বিশ্বের মানবাধিকারের জন্য একটা সাধারণ অধিকার। এই বিষয়টা কখনো আধিপত্য নয়, এটা গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় পিটার হাস আরও বলেন, প্রতিযোগিতা শব্দটা মূলত চায়নার বিরুদ্ধে যায়। আমার পুরো বক্তব্যে প্রতিযোগিতার কথা বলা হয়নি। এটা মূলত আইডিয়াকেন্দ্রিক প্রতিযোগিতা। এটা এমন প্রতিযোগিতা নয় যেটার জন্য জোর করতে হবে। এই প্রতিযোগিতা ধারণাকেন্দ্রিক। যেখানে প্রতিটি দেশ স্বচ্ছতার কথা বলে, গণতন্ত্রের কথা বলে, মানবাধিকারের কথা বলে, বেসরকারি ক্ষেত্রের কথা বলে। যুক্তরাষ্ট্র মূলত ওইসব ধারণার জায়গায় প্রতিযোগিতা করে, যেখানে একনায়কতন্ত্র চলে। এখানে বাংলাদেশের কথা বললে তারা পূর্ব বা পশ্চিম কাকে অনুসরণ করবে সেটা বিষয় না। বিষয় হচ্ছে, তারা আমাদের ওই ধারণা বিশ্বাস করে কিনা বা একনায়কতন্ত্রে বিশ্বাস করে। এটা বাংলাদেশের সিদ্ধান্ত, তারা কী করবে।  সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলস, অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার জেরেমি ব্রুয়ার এবং যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার সারাহ কুক।
০৯ অক্টোবর, ২০২৩

আধিপত্য বিস্তার চনপাড়ায় দুপক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধসহ আহত ১০
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার চনপাড়ায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ফের সংঘর্ষে জড়িয়েছে রায়হান ও জয়নাল গ্রুপ। এতে গুলিবিদ্ধসহ ১০ জন আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্র এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে অভিযান চালিয়ে ৪২টি রামদা উদ্ধার করে পুলিশ। গুলিবিদ্ধরা হলেন চনপাড়া পুনর্বাসন কেন্দ্র এলাকার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাদল মিয়ার ছেলে বাবলু ও আজাহারের ছেলে মাসুদ। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, আহত মাসুদের কোমরের পেছন দিকে গুলিবিদ্ধ ও মাথায় ধারালো অস্ত্রের আঘাত আছে। এ ছাড়া ডান পায়ের পাতায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বাবলু। মাসুদের অবস্থা গুরুতর। তাদের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রায়হান ও জয়নাল গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। প্রতিপক্ষের উদ্দেশে গুলি, ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন তারা। এ সময় জয়নাল গ্রুপের বাবলু, মাসুদ গুলিবিদ্ধসহ ১০ জন আহত হন। আহত বাবলু বলেন, আমাদের বাড়ি চনপাড়া ৬ নম্বর ইউনিয়নে। বেশ কিছুদিন আগে কায়েতপাড়া ইউনিয়নে নির্বাচন হয়। সে নির্বাচনে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার নির্বাচিত হন অন্য একজন। আমরা স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়নালের পক্ষে নির্বাচন করি। এ নির্বাচনের জেরে বর্তমান মেম্বার পক্ষের রায়হান, সাব্বির হোসেন, শান্ত, মামুন, কালো ইমনসহ কয়েকজন পেছন থেকে মাসুদের মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন। এগিয়ে গেলে পিস্তল দিয়ে গুলি করেন তারা। এতে মাসুদের কোমরের পেছন দিকে ও আমার ডান পায়ের পাতায় গুলি লাগে। এর আগেও চনপাড়ায় আধিপত্য নিয়ে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েক মাস ধরেই চনপাড়া উত্তপ্ত রয়েছে। প্রতিনিয়ত চলছে জয়নাল, ইয়াছমিন, শমসের, রায়হান, শাহাবুদ্দিনসহ কয়েকটি গ্রুপের অস্ত্রের মহড়া। চলছে বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট। গত ১১ এপ্রিল জয়নাল, শমসের ও শাহাবুদ্দিন গ্রুপের মধ্যে রাতভর সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় তিনজন গুলিবিদ্ধসহ ২০ জন আহত হন। চনপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মামুনুর রশীদ বলেন, নবকিশালয় স্কুলের সামনে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উভয়পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। রূপগঞ্জ থানার ওসি এ এফ এম সায়েদ বলেন, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
২৪ জুন, ২০২৩
X