ভোট কেনার সময় টাকাসহ ইউপি চেয়ারম্যান আটক
সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীর পক্ষে ভোট কেনার সময় এক লাখ ১০ হাজার টাকাসহ ভাঙাবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলামকে আটক করেছে পুলিশ।    বুধবার (৮ মে) দুপুর ১২টার দিকে বেলকুচি উপজেলার তামাই পশ্চিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের পাশে থেকে তাকে আটক করা হয়।  আটক জহুরুল ইসলাম বেলকুচি উপজেলার ভাঙাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। তিনি উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থী আমিনুল ইসলাম সরকারের দোয়াত কলম প্রতীকের সমর্থক। সিরাজগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মো. জুলহাজ উদ্দিন কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তামাই পশ্চিমপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের পাশেই দোয়াত-কলম প্রতীকের পক্ষে টাকা দিয়ে ভোট কিনছিলেন চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম। তিনি বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে হাতেনাতে আটক করে। তিনি বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে আছেন। বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসার পর সিদ্ধান্ত দেবেন।
৭ ঘণ্টা আগে

ঝড়ের কবলে হাজারো চড়ুই পাখি, আশ্রয় দিলেন ইউপি চেয়ারম্যান
ঝোড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে মাটিতে ছটফট করছিল হাজারো চড়ুই পাখি। পরে এসব চড়ুই পাখি উদ্ধার করে নিজ কার্যালয়ে নিয়ে আশ্রয় দিয়ে রক্ষা করেন কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা মিঠামইনের সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরীফ কামাল। রোববার (৫ মে) সন্ধ্যায় উপজেলার সদর ইউনিয়ন ভবনে এমন চিত্র দেখা যায়। জানা গেছে, কালবৈশাখী ঝড়ের কবলে পড়ে কয়েক হাজার পাখি পরিষদের সামনের কাঁঠাল গাছে আশ্রয় নেয়। রোববার সন্ধ্যায় হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড় শুরু হলে প্রচণ্ড বাতাসের কারণে ইউনিয়ন পরিষদের সামনের কাঁঠাল গাছে থাকা হাজারও চড়ুই পাখি মাটিতে পড়তে থাকে। পরে ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট শরীফ কামাল গাছ থেকে পড়ে যাওয়া পাখির জন্য নিচে পাটের ছালার চট বিছিয়ে দেন। নিচে পড়ে যাওয়া পাখিগুলো বালতিতে করে ইউনিয়ন পরিষদের নিজ কক্ষে নিয়ে আসেন। পরে সুস্থ হলে পাখিগুলো ছেড়ে দেন তিনি। মিঠামইন সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরীফ কামাল কালবেলাকে বলেন, ঝড়ের সময় গাছ থেকে চড়ুই পাখিগুলো পড়তে থাকে। এগুলো দেখে অনেক কষ্ট লাগে। তাই গাছের নিচে পাটের ছালার চট বিছিয়ে দেই। যে পাখিগুলো গাছ থেকে পড়ে গেছে তা তুলে এনে পরিষদের আমার বসার কক্ষে আশ্রয় দিয়েছি। কম করে হলেও পাখির সংখ্যা হাজারের মতো হবে। ঝড় কমলে আস্তে আস্তে সে পাখিগুলো ওড়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছি।
০৬ মে, ২০২৪

১৫৩ রোহিঙ্গার অবৈধ জন্মনিবন্ধন, ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত
১৫৩ রোহিঙ্গাকে অসৎ উদ্দেশ্যে জন্মনিবন্ধনের কারণ দেখিয়ে মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার এক ইউপি চেয়ারম্যানকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। গত ২৪ এপ্রিল রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সিনিয়র সহকারী সচিব একেএম আনিছুজ্জামানের স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাসকে বরখাস্তের এই আদেশ দেওয়া হয়। তবে এই বিষয়ে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক কোনো স্পষ্ট বক্তব্য দেননি।  ইউনিয়ন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ সেপ্টেম্বর শরীয়তপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে আসিয়া বিবি (২৭) নামে একজন রোহিঙ্গা নারী পাসপোর্ট করতে গিয়ে কর্তৃপক্ষের হাতে আটক হন। তার আইডি কার্ড না থাকায় জন্মনিবন্ধন দিয়ে পাসপোর্ট করতে যান তিনি। আসিয়া আক্তার যে নিবন্ধন দিয়ে পাসপোর্ট করতে গিয়েছিলেন সেটি রাজনগর উপজেলার ফতেহপুর ইউনিয়ন থেকে নিবন্ধিত, যা গত বছরের ৯ সেপ্টেম্বর ইউনিয়ন কার্যালয় থেকে নিবন্ধিত হয়েছে।  আটক ওই নারী কক্সবাজারের টেকনাফ থানার আলী যোহার ও আম্বিয়া খাতুন দম্পতির মেয়ে বলে জানিয়েছেন। বিষয়টি যাচাই করার জন্য ওই সময় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠালে ইউএনও ফতেহপুর ইউনিয়নের সচিব পাপড়ি দত্তকে কার্যালয়ে ডেকে আনেন। পরে ওই ইউনিয়নের জন্মনিবন্ধনের আইডি নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়। ওই সময় কয়েকশ’ রোহিঙ্গা নিবন্ধন হয়েছে বলে ধারণা করেন সংশ্লিষ্টরা। যাচাই করে ওই সময় ইউএনও দেখতে পান ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৫৩টি ভুয়া নিবন্ধন হয়েছে। তারা সবাই রোহিঙ্গা হিসেবে সন্দেহ করেন। এ ব্যাপারে ফতেহপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাস রাজনগর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।  অনুসন্ধানে জানা যায়, ১৫৩ রোহিঙ্গা জন্মনিবন্ধন প্রক্রিয়ায় কয়েক লাখ টাকার লেনদেনে এই কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। এতে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাস ও ডিজিটাল সেন্টারের কর্মকর্তা নয়ন গোপ্তাসহ কতিপয় আত্মগোপনে থাকা ব্যক্তিরা জড়িত আছেন। রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ে জানিয়েছেন, জন্মনিবন্ধনের সার্ভারের কার্যক্রম ওটিপিভিত্তিক। ওটিপি আসার পর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান যাচাই করে নিবন্ধনের সুপারিশ করতে হয়। তাই এখানে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ ছাড়া জন্মনিবন্ধন প্রক্রিয়া করা সম্ভব নয়। কঠোর নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও আইডি কিভাবে হ্যাকড হলো এ নিয়েও দেখা দিয়েছে সংশয়। পরে রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় থেকে বিষয়টির তদন্ত করা হয়।  রেজিস্ট্রার জেনারেল (অতিরিক্ত সচিব) মো. যাহিদ হোসেন বলেন, এই ঘটনায় আমরা তদন্ত করেছি। দায়ী ব্যক্তিদের আমরা চিহ্নিত করেছি। আমরা তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি।  রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় থেকে তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানোর পর স্থানীয় সরকার বিভাগ গত ২৪ এপ্রিল ফতেহপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাসকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদ হতে সাময়িক বরখাস্ত করেন প্রজ্ঞাপন দেওয়া হয়।  প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর উপজেলার ১নং ফতেপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান (নিবন্ধক) নকুল চন্দ্র দাস অসৎ উদ্দেশ্যে রোহিঙ্গাদের জন্ম নিবন্ধন করায় স্থানীয় সরকার আইন, ২০০৯- অনুযায়ী রেজিস্ট্রার জেনারেল, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করেন। যেহেতু ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগে তার দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নয় মর্মে সরকার মনে করে; সেহেতু ইউনিয়ন চেয়ারম্যান কর্তৃক সংঘটিত অপরাধমূলক কার্যক্রম ইউনিয়ন পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থি বিবেচনায় আইন অনুযায়ী ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে স্বীয় পদ হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।  স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব এ কে এম আনিছুজ্জামান বলেন, আমরা রেজিস্ট্রার জেনারেল এর কাছ থেকে তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর। ওই ইউনিয়ন চেয়ারম্যানকে বরখাস্ত করি।  রাজনগর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নকুল চন্দ্র দাস বলেন, সার্ভার হ্যাকড হয়ে ভুয়া নিবন্ধন করা হয়েছে। এসব নিবন্ধনে আমাদের স্বাক্ষর নেই। মন্ত্রণালয় থেকে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছি আমার জানা নেই।  মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম বলেন, এই বিষয়ে একটি চিঠি এসেছে। আমি এখনো দেখিনি।
৩০ এপ্রিল, ২০২৪

ঠান্ডা পানি-স্যালাইন নিয়ে মাঠে মাঠে ঘুরছেন ইউপি চেয়ারম্যান
তীব্র তাপপ্রবাহে যখন পুড়ছে দেশ, প্রচণ্ড গরম আর খরায় অতিষ্ঠ মানুষের জীবন, তখন ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে ঠান্ডা পানি আর স্যালাইন হাতে মাঠে-মাঠে ছুটে চলেছেন এক ইউপি চেয়ারম্যান। ধান ক্ষেত, ভুট্টা ক্ষেত কিংবা পাটের ক্ষেত যেখানেই যাকে পাচ্ছেন, খাওয়াচ্ছেন স্যালাইনের পানি, হাতে ধরিয়ে দিচ্ছেন স্যালাইনের প্যাকেট। বিতরণ করছেন সতর্কতামূলক লিফলেটও।  গত ৭ দিন ধরে চোখে ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার দৌলতপুর ইউনিয়নের মাঠে-ঘাটে ছুটে চলেছেন ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ। স্থানীয়রা বলেন, এর আগে এমন গরমও যেমন দেখিনি, তেমনি চেয়ারম্যানের এমন উদ্যোগও এর আগে আমরা পাইনি, সবই এবারই প্রথম। এমন চেয়ারম্যান পেয়ে আমরা খুশি। সব সময় সে আমাদের বিপদে আপদে পাশে থাকে। এই রোদে, গরমে সে মাঠে এসে আমাদের ঠান্ডা পানি আর স্যালাইন খাওয়াচ্ছে, আবার বাড়ির জন্য দিয়েও দিচ্ছে। এই গরমে কাজ করতে করতে যখন গলা, বুক তৃষ্ণায় শুকিয়ে যাচ্ছে তখন চেয়ারম্যানের দেওয়া স্যালাইন পানি খেয়ে একটু স্বস্তি ফিরে পাচ্ছি, নতুন উদ্যমে আবারও কাজে মনোনিবেশ করতে পারছি। ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমাদের দেশের সোনার মানুষ এই কৃষক। কৃষি প্রধান দেশে কৃষকই আমাদের সম্পদ। তারা এই গরমে সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছেন। তপ্ত রোদে যখন মানুষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছে না, তখন আমাদের কৃষক ভাইয়েরা মাঠে কাজ করছেন। এই মানুষ এখন খুব বিপদে। এই বিপদে নিজেকে ঘরে রাখতে পারিনি। এমন কাজের সুযোগ পাওয়া সৌভাগ্যের বিষয়। তাদের হাসির মাঝে আমি আমার দেশের হাসি খুজে পায়, তাই এই মানুষগুলোকে গরমে একটু স্বস্তি দিতেই এমন উদ্যোগ নিয়েছি। উল্লেখ্য, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীকে পরাজিত করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আবুল কালাম আজাদ প্রথমবারের মতো ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হিসেবে বিজয়ী হন।
২৮ এপ্রিল, ২০২৪

উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করতে ইউপি চেয়ারম্যান থেকে পদত্যাগ
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশগ্রহণ করতে উপ‌জেলার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এস এ এম জাকারিয়া আলম পদত্যাগ করেছেন।  সোমবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এস এ এম জাকারিয়া আলম দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে নিজে উপস্থিত হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোকসানা মিতার হাতে পদত্যাগপত্র জমা দেন। দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোকসানা মিতা পদত্যাগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিক প্রক্রিয়া শেষে এস এ এম জাকারিয়া আলমের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করে পারকৃষ্ণপুর-মদনা  ইউপি চেয়ারম্যানের পদটি শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে। পদত্যাগের বিষয়ে এস এ এম জাকারিয়া আলম বলেন, আমি দুই যুগের বেশি সময় ধরে পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলাম। দামুড়হুদা  উপজেলার জনগণের দাবির মুখে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য ইউপি চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছি। জানা গেছে, এস এ এম জাকারিয়া আলম ছাত্ররাজনীতি থেকে শুরু করে দর্শনা সরকারি কলেজের সাবেক ভিপি, দামুড়হুদা উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
১৫ এপ্রিল, ২০২৪

জালিয়াতির মামলায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার
দিনাজপুরের পার্বতীপুরে জালিয়াতির ঘটনায় এমদাদুল হক নামে এক সাবেক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এমদাদুল হককে গ্রেপ্তার করেছে মডেল থানা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়। পুলিশ জানায়, বুধবার রাতে পার্বতীপুর রেলস্টেশন এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় মডেল থানা পুলিশের একটি দল। এ সময় চেক জালিয়াতির ঘটনায় পরোয়ানাভুক্ত সাজাপ্রাপ্ত আসামি উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান এমদাদুল হককে গ্রেপ্তার করে আভিযানিক দল। গ্রেপ্তার এমদাদুল হক ওই ইউনিয়নের বড়চন্ডিপুর গ্রামের মৃত ফজলে রহমানের ছেলে।  জানা গেছে, তার বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতির ঘটনায় মামলা রয়েছে। তিন লাখ টাকার চেক জালিয়াতির মামলায় তাকে বুধবার (৩ এপ্রিল) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে পার্বতীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চিত্ত রঞ্জন রায় বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন সাবেক চেয়ারম্যান এমদাদুল হক। দুপুরে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
০৪ এপ্রিল, ২০২৪

ময়মনসিংহে ইউপি চেয়ারম্যান বরখাস্ত
ময়মনসিংহের গৌরীপুরের সহনাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সালাহউদ্দিন রুবেলকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সোমবার (১ এপ্রিল) স্থানীয় সরকার বিভাগ এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। মঙ্গলবার (২ মার্চ) গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. শাকিল আহমেদ বরখাস্তের এ চিঠি পেয়েছেন।  সাময়িক বরখাস্তের চিঠিতে বলা হয়েছে, সালাহউদ্দিন রুবেলের নামে দরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ চাল বিতরণে অনিয়ম, সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ ও হুমকি এবং সংসদ নির্বাচনে ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব ঘটনায় রাষ্ট্র ও সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হয়েছে। এতে ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করেছেন। যে কারণে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।  ইউএনও মো. শাকিল আহমেদ বলেন, সাময়িক বরখাস্ত মঙ্গলবার থেকেই কার্যকর করা হয়েছে। 
০৩ এপ্রিল, ২০২৪

মৌলভীবাজারে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে 
মৌলভীবাজার সদরের মনুমুখ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হক সেফুলকে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। রোববার (২৪ মার্চ) রাতে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সদর মডেল থানার ওসি কেএম নজরুল কালবেলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আদালতের আদেশ থাকায় সাবেক চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করা হয়। আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। জানা গেছে, গত ১ মার্চ বিকেলে মনুমুখ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হক সেফুল ও তার লোকজন সাধুহাটি হাজিবাড়ি গ্রামের ব্যবসায়ী মো. মুজিবুর রহমান ও সিতার আহমদের ওপর হামলা করে। আহতাবস্থায় দুজনকে উদ্ধার করে মোলভীবাজার সদর হাসপাতালে নিয়া যান। সেখান থেকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসকরা।  এ ঘটনায় চেয়ারম্যানসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে সদর মডেল থানায় মামলা করা হয়। এ মামলায় সাবেক চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
২৫ মার্চ, ২০২৪

পাবনায় জাস্টিন ট্রুডোর জন্মসনদ: ইউপি চেয়ারম্যান ও সচিবকে শোকজ
পাবনার সুজানগরের আহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও সচিবকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে ইউএনও। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর নামে জন্মসনদ তৈরির ঘটনায় তাদেরকে শোকজসহ কম্পিউটার অপারেটর নিলয় পারভেজ ইমনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত এজাহার দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার (২২ মার্চ) সুজানগর ইউএনও সুখময় সরকার এ শোকজ নোটিশ দিয়েছেন। এছাড়া ইউপি প্যানেল চেয়ারম্যান-২ ফাতেমা বেগম মামলার এজাহার দেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়রা বলেন, গত বছরের শেষের দিকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল হোসেন মিয়া মারা যান। এরপর থেকে এক মেম্বার ভারপ্রাপ্তের দায়িত্বে থাকলেও মূলত দায়িত্ব ছিল ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আওলাদ হাসানের হাতে।  তিনি বলেন, তার ছত্রছায়ায় পরিষদের কম্পিউটার অপারেটর নিলয় হোসেন টাকার বিনিময়ে যার তার নামে জন্মনিবন্ধন দিতেন। অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে এই ইউনিয়ন পরিষদে অনেক কিছুই সম্ভব বলে অভিযোগ উঠেছে। ইউপি সচিব আওলাদ হাসান বলেন, ‘আমি এসব ঘটনায় কিছুই জানি না। সার্ভারের ইউজার ন্যাম ও পাসওয়ার্ড আমার কাছে থাকলেও নিলয় হয়তো কোনো সময়ে জেনে গেছে। আমার অগোচরে তিনি ওটিপি কোড নিয়ে এসব করেছেন। এ ঘটনায় আমি দায়ী নই।’ এ বিষয়ে জানতে পরিষদে গিয়ে কম্পিউটার অপারেটর নিলয় হোসেনকে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোনও বন্ধ। সুজানগর ইউএনও সুখময় সরকার বলেন, কীভাবে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর নামে জন্ম নিবন্ধন সনদ তৈরি হলো তার কারণ জানতে চেয়ে আহম্মদপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুর রউফ মোল্লা ও সচিব আওলাদ হাসানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আগামী দুই কার্যদিবসের মধ্যে তাদের শোকজের জবাব দিতে বলা হয়েছে।  এদিকে জাস্টিন ট্রুডোর জন্ম সনদ তৈরি করা সেই কম্পিউটার অপারেটর নিলয় পারভেজ ইমনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও চারজনের বিরুদ্ধে আমিনপুর থানায় মামলার অভিযোগ দিয়েছেন ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান-২ ফাতেমা বেগম। আমিনপুর থানার ওসি হারুনুর রশিদ বলেন, দুপুরে মামলার জন্য এজাহার পাওয়া গেছে। মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। পুরো ঘটনা তদন্ত করতে রেজিস্ট্রার জেনারেল জাহিদ হোসেন পাবনা জেলা প্রশাসককে নির্দেশ দেন।  জেলা প্রশাসক মু. আসাদুজ্জামান জানান, রেজিস্ট্রার জেনারেলের নির্দেশ পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সদস্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। স্থানীয় সরকার বিভাগ পাবনার উপপরিচালক সাইফুর রহমানকে ঘটনা তদন্ত করে তিন কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্তের পর দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো পেয়েছেন বাংলাদেশি জন্মসনদ। সেই জন্মসনদের কাগজ বলছে, তিনি জন্মসূত্রে পাবনা জেলার নাগরিক। পাবনার সুজানগর উপজেলার আহম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তার নামে ইস্যু করা ভুয়া জন্ম নিবন্ধন সনদ থেকে এই তথ্য বৃহস্পতিবার জানাজানি হয়। তারপর থেকে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। ইউপির দেওয়া জন্ম নিবন্ধন সনদে দেখা গেছে, জন্ম নিবন্ধন সনদটি ইস্যু করার তারিখ দেখানো হয়েছে ২০০৭ সালের ১ জানুয়ারি। যেখানে নিবন্ধিত ব্যক্তির নাম হিসেবে রয়েছে জাস্টিন ট্রুডো, পিতা পিয়েরে ট্রুডো, মাতা মার্গারেট ট্রুডো। জন্ম তারিখ রয়েছে ২৫ ডিসেম্বর ১৯৭১। জন্ম সনদের রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেওয়া হয়েছে ১৯৭১৭৬১৮৩১৭০৩৫৫০৯। কিন্তু সম্প্রতি বিশ্বের এই আলোচিত প্রধানমন্ত্রীকে জন্ম নিবন্ধন সনদ পাবনার আহম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে দেওয়ায় সমালোচনার ঝড় উঠেছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, জন্ম নিবন্ধনটির আসল ব্যক্তির নাম আজিজুল। সেখানে দেওয়া হয়েছে জাস্টিন ট্রুডোর নামে। তার জন্ম সনদের প্রথম চারটি ডিজিট ছিল ২০০৪। আর সেটা পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে ১৯৭১। আর গত ১৯ মার্চ রাত ৯টা ৫১ মিনিটে পেমেন্ট হয়েছে। ৯টা ৫২ মিনিটে রিসিভ হয়েছে এবং রাত ৯টা ৫৪ মিনিটে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সেটি এপ্রুভও করেছে। আর এই অপকর্মটি করেছেন আহম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের কম্পিউটার অপারেটর নিলয় পারভেজ ইমন। তার বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে ভুয়া জন্ম নিবন্ধন সনদ দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে।
২২ মার্চ, ২০২৪

হলমার্ক কেলেঙ্কারি / সাজা শুনে আদালত থেকে পালালেন ইউপি চেয়ারম্যান
হলমার্ক কেলেঙ্কারির ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় সাভারের হেমায়েতপুরের তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জামাল উদ্দিন সরকারের সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১ এর বিচারক মো. আবুল কাশেম এ রায় ঘোষণা করেন। এ রায় শুনে তিনি আদালত থেকে পালিয়ে গেছেন।   এদিন জামিনে থাকা আসামি জামাল উদ্দিন আদালতে উপস্থিত হন। তার উপস্থিতিতে আদালত রায় ঘোষণা করেন। রায়ে এক ধারায় তার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। আরেক ধারায় দুই বছরের কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। এ বিষয়ে আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. হারুন ওর রশিদ বলেন, এ মামলায় আসামি জামাল আদালতে হাজিরা দেন। রায় ঘোষণার সময় উনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় শেষে দেখি চলে গেছেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী রাজিব দে বলেন, আসামি জামাল জামিনে ছিলেন। আজকে হাজিরা দিয়েছেন। রায়ের পর তাকে না পাওয়ায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।  
১৯ মার্চ, ২০২৪
X