আমরা কারও কাছে মাথা নত করব না : অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, জয় বাংলা স্লোগান নিয়ে তৎকালীন তরুণ প্রজন্ম মহান মুক্তিযুদ্ধ করেছিল। সারা দেশের লাখ লাখ মানুষ প্রাণ দিয়েছিল সেই যুদ্ধে। যারা আমাদের অসম যুদ্ধে প্রাণ নাশ করেছিল, গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছিল জয় বাংলা স্লোগান শুনে তাদের বুক কেঁপে উঠত। শুক্রবার (৮ মার্চ) সকালে দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার বাংলা ভাষা কলেজের চার তলাবিশিষ্ট নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছেন। জয় বাংলা স্লোগান বঙ্গবন্ধু আমাদের শিখিয়েছেন। এখন প্রধানমন্ত্রীর জন্যও স্লোগান দিতে হবে। শেখ হাসিনা যেন ভালো থাকেন, সুস্থ থাকেন এজন্য দোয়া করতে হবে। তার নেতৃত্বে দৃপ্ত পদক্ষেপে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিখিয়েছেন মাথা উঁচু করে থাকতে। আমরা স্বাধীন ও গর্বিত জাতি, আমরা কারও কাছে মাথা নত করব না। অর্থমন্ত্রী বলেন, এই প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব অধ্যক্ষকে নিতে হবে। দায়িত্ব গ্রহণে অবহেলা করা যাবে না। আমরা অবহেলার পথে যেতে চাই না। আমরা উন্নয়নের পথে যেতে চাই। সবকিছুর চেহারা পাল্টে গেছে। আগে কী ছিল, আর এখন কী হয়েছে। সবই উন্নয়নের ছোঁয়া। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তাজউদ্দিনের সভাপতিত্বে এ ভনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জেলা শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী এস. এম. শাহীনূর ইসলাম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সফিউল আযম চৌধুরী লায়ন, উপজেলা আ.লীগের সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম, অত্র কলেজের অধ্যক্ষ শাহ্ মো. আবু হাসান টুটুল, কলেজের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আইনুল হক শাহ্, থানার ওসি মোজাহারুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন লিটনসহ অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষার্থীসহ আরও অনেকে। এর আগে কলেজ প্রাঙ্গণে অর্থমন্ত্রী পৌঁছালে অত্র প্রতিষ্ঠান তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। পরে তিনি ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং মোনাজাতে অংশ নেন।
০৮ মার্চ, ২০২৪

নির্বাচনী প্রচারণা ঘিরে ছাত্রলীগ-যুবলীগ-মৎস্যজীবি লীগের মারামারি
দিনাজপুরের খানসামায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কার প্রচারণাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ-যুবলীগ-মৎস্যজীবী লীগের ম‌ধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার ৫নং ভাবকী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। ছাত্রলীগ নেতার উপর হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে বুধবার ফেসবুকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হলে এটি জানাজানি হয়। জানা যায়, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব সুমনের সঙ্গে ভাবকী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি দেলোয়ার ও মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক আশরাফুলের মধ্য সংঘর্ষ হয়। পূর্বের বিরোধ থেকেই এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়। নৌকার প্রচারণা করে দলীয় কার্যালয়ে মিটিং চলাকালে প্রথমে বাগবিতণ্ডা ও পরবর্তীতে মারপিটের ঘটনা ঘটে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নিজেদের মধ্যেই এ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে যাওয়ায় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাও বিব্রত। মারধরের শিকার খানসামা উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব সুমনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা সবাই যে যার মতো করে নৌকার প্রচারণা চালিয়েছি। প্রচারণাকে কেন্দ্র করে ভাবকী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতিসহ সকলকে অপমান করে মৎস্যজীবী লীগের আশরাফুল। আমি জানতে পারি আশরাফুল এসে প্রচারণার হিসেবে নিকাশ চাইছে। এরপর আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম তুমি ভরা মিটিংয়ে কীভাবে সিনিয়র নেতাদের অপমান করো? এ দুঃসাহস তোমাকে কে দিয়েছে? এটা তুমি আলোচনার মাধ্যমে করতে পারো। খারাপ ব্যবহার করা তোমার ঠিক হয়নি। এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে সে আমাকে অ্যাটাক করে। তার মামা ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি দেলোয়ারসহ আরও দলবল নিয়ে আমার ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতির উপর অতর্কিত হামলা করে। এরপর কার্যালয়ের সবাইকে বের করে দিয়ে আমি ও আমার কর্মীদের কার্যালয়ে আটকিয়ে রেখে বেধড়ক মারধর শুরু করে। এক পর্যায়ে আমাকে এমন একটি আঘাত করলে আমি ছিটকে পড়ে যাই এবং মাথায় গুরুতর আঘাত পাই। পরবর্তীতে আমার ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আসলে তাদেরকেও বেধড়ক মারধর করে। এরপর প্রশাসন আসে এবং আমাকে তাৎক্ষণিক প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা প্রদান করে। আমি সবচেয়ে বেশি আঘাত পেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে আছি।’ এ বিষয়ে ভাবকী ইউনিয়ন মৎস্যজীবি লীগের আহ্বায়ক আশরাফুল বলেন, 'সুমন নেশাখোর গ্রুপ নিয়ে এসে আমাকে একা পেয়ে চার্জ করে, অ্যাটাক করে প্রথমে আমার শার্ট ছিড়ে দেয়, এরপর চশমা ভেঙে দেয়, আমার অফিসের আইডি কার্ড ভেঙে দেয়। তারা গাঁজা খেয়ে আমাকে মারধর করে। আমি মারধরের শিকার হলে আমার বড় ভাই তাকে চড় থাপ্পড় মারে। কেননা আমি মার খেয়েছি। ও নাটক করে হাসপাতালে শুয়ে আছে। এগুলা সম্পূর্ণ মিথ্যা।' এ বিষয়ে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেনের সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করেও ফোন রিসিভ হয়নি। এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক রাকেশ গুহ বলেন, 'মৎস্যজীবি লীগের নেতা আশরাফুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতাদের কটাক্ষ করে কথা বললে উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুব সুমন প্রতিবাদ জানালে হাতাহাতির সৃষ্টি হয়। এতে আশরাফুল সুমনের উপর অতর্কিত হামলা করে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির মাধ্যমে আমি বিষয়টি জানতে পেরেছি। আমরা ঘটনা শোনার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে দেখতে যাই। উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ বিষয়টি অবগত আছেন। নির্বাচনী প্রচারণা বিষয়টি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। উপজেলা আওয়ামী লীগসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা যে সিদ্ধান্ত নেবে আমরা ছাত্রলীগ মেনে নিবে। আমরা সুমনের সাথে আছি। এ ঘটনার আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।' এ বিষয়ে উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক সুশান্ত মহন্ত বলেন, 'আমি বিষয়টি শুনেছি। পরবর্তীতে জানাবো।' এ ব্যাপারে ৫নং ভাবকী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সামাদকে একাধিকবার ফোন করলে। ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। খানসামা থানার ওসি (তদন্ত) মনিরুজ্জামান মন্ডল বলেন, এ বিষয়ে এখনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২১ ডিসেম্বর, ২০২৩
X