ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে গরু ছিনতাইয়ের মামলা
সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলায় পিকআপ ভর্তি গরু ছিনতাইয়ের ঘটনায় ছাত্রলীগের এক নেতাসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ মে) রাত ৯টার দিকে দক্ষিণ সুরমা উপজেলার সাতমাইল (ঢাকা-সিলেট) মহাসড়কের খাঁজাকালু গ্রামের রাস্তার সামনে এ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একজন ছিনতাইকারীকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে স্থানীয়রা। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জালালপুর ইউনিয়নের ছব্দলপুর থেকে ৫টি গরু উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে বুধবার (১৫ মে) দক্ষিণ সুরমা থানায় বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছেন সুনামগঞ্জের ছাতকের মণ্ডলীভোগ এলাকার মৃত তাজউদ্দিনের ছেলে গরু ব্যবসায়ী গউছ উদ্দিন। মামলার আসামিরা হলেন- দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলাবাজার থানার জালালপুর ইউনিয়নের শেখপাড়া গ্রামের শফিক মিয়ার ছেলে বোরহান উদ্দিন (২০), দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ও সিলাম গ্রামের ঠিকরপাড়ার মৃত মোবারক আলীর ছেলে সামসুদ্দোহা সাদি (২২), ছব্দলপুর গ্রামের মৃত নছব আলীর ছেলে খসরু মিয়া (৩৬), একই উপজেলার লিটন (২৭), রনি (২৭), মুন্না (৩০), সেবুল (৩০) ও কোতোয়ালি থানার জল্লারপাড় এলাকার জেবু (২৫)। স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার মণ্ডলীভোগ এলাকার মৃত তাজউদ্দিনের ছেলে গরু ব্যবসায়ী গউছ উদ্দিন একটি পিকআপে করে ৫টি গরু সিলেটের গোয়াইনঘাট থেকে ক্রয় করে জগন্নাথপুর নিয়ে যাচ্ছিলেন। দক্ষিণ সুরমা উপজেলার (ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে) খাজাকালু গ্রামের রাস্তার সামনে পৌঁছামাত্র ৩টি মোটরসাইকেল ও একটি অটোরিকশা (সিএনজি) যোগে ছিনতাইকারীরা তার গাড়িটি ঘিরে ফেলে। এক পর্যায়ে তাদের গাড়ি থেকে নামিয়ে অস্ত্রের মুখে চালককে জিম্মি করে গাড়ির নিয়ন্ত্রণ নেয় ছিনতাইকারা। পরে তারা পিকআপ নিয়ে জালালপুর রোডের দিকে চলে যায়। তাৎক্ষণিক দক্ষিণ সুরমা থানার টহল পুলিশকে বিষয়টি জানালে তারা গাড়ির জিপিএস ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে গাড়িটির অবস্থান শনাক্ত করে। পরে মোগলাবাজার থানা পুলিশের সহযোগিতায় জালালপুর ইউনিয়নের ছব্দলপুর থেকে ছিনতাইকারী মো. বোরহান উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্য থেকে ৫টি গরু উদ্ধার করা হয়। এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নোমান আহমদ লাকি বলেন, বিষয়টির ব্যাপারে আমি অবগত হয়েছি। ঘটনার সত্যতা জেনে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা নেতৃবৃন্দকে জানানো হবে। এ বিষয়ে দক্ষিণ সুরমা থানার এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাহুল দেবনাথ জানান, মামলায় এক আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টার পাশাপাশি তদন্ত অব্যাহত আছে। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২২ অক্টোবর দক্ষিণ সুরমা কলেজে ছুরিকাঘাতে নিহত আরিফুল ইসলাম রাহাত হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সামসুদ্দোহা সাদি। ওই মামলায় ২৬ অক্টোবর গ্রেপ্তারের পর দীর্ঘদিন জেল খেটে জামিন নিয়ে কারাগার থেকে মুক্তি পান সাদি।
১৬ মে, ২০২৪

গরু চুরি করতে এসে মোটরসাইকেল রেখে গেল চোর
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে গরু চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় চোরের দল একটি মোটরসাইকেল রেখে পালিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার (১৩ মে) রাতে উপজেলার জোড্ডা পশ্চিম ইউপির ঘোড়াময়দান সিরাজ ড্রাইভারের বাড়িতে।  মঙ্গলবার (১৪ মে) সকালে পুলিশ মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। তবে চোর ও গরু উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। স্থানীয়রা জানান, সোমবার রাতে ঘোড়াময়দান গ্রামের আলম নামের এক ব্যক্তির ঘরে ঢুকে দুটি গাভি গরুর একটি নিয়ে যায় চোরের দল। চোররা একটি মোটরসাইকেল রেখে পালিয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত আলম বলেন, ভোর রাতে তার স্ত্রীর ঘুম ভাঙলে গরু ঘরে গিয়ে দেখেন দরজা খোলা। দুটি গরুর মধ্যে একটি নেই। চুরি হওয়া গরুটির দাম প্রায় ১ লাখ টাকা। চোররা টয়লেটের দেওয়াল টপকে গরু ঘরে প্রবেশ করে এ চুরির ঘটনা ঘটায়। পরে জানতে পারে সিরাজ ড্রাইভারের বাড়িতে চোররা একটি মোটরসাইকেল রেখে পালিয়েছে। সিরাজ ড্রাইভার বলেন, রাতে গরু ঘরে গিয়ে দেখতে পান তার ঘরের পাশে একটি মোটরসাইকেল পড়ে আছে। বিষয়টি চেয়ারম্যানকে জানান তিনি। মনে হয় চোরের দল টের পেয়ে গাড়ি রেখে পালিয়ে গেছে। এ বিষয়ে মঙ্গলবার সকালে নাঙ্গলকোট থানার ওসি দেবাশীষ চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, উদ্ধারকৃত মোটরসাইকেলটি নাথেরপেটুয়া থেকে চুরি করে এনেছে বলে জানা গেছে। হয়তো তেল শেষ হয়ে যাওয়ায় মোটরসাইকেলটি নিয়ে যেতে পারেনি তারা। গরু চুরির বিষয়ে থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি।
১৪ মে, ২০২৪

গরু পাচারে বাধা রামুতে কৃষককে গুলি করে হত্যা
কক্সবাজারের রামুতে গরু পাচারে বাধা দেওয়ায় আবুল কাশেম (৪০) নামে এক কৃষককে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। গর্জনিয়া ইউনিয়নে গত বুধবার রাত ২টার দিকে তাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে পাশের নারাইম্মার ঝিরি পাহাড়ে গুলি করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার দিকে স্থানীয় কাঠুরিয়ারা কাশেমের রক্তাক্ত লাশ দেখতে পেয়ে তার পরিবারকে খবর দেন। পরে রামু থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। নিহত আবুল কাশেম গর্জনিয়া ইউনিয়নের বড়বিলের বাসিন্দা। তথ্য নিশ্চিত করে রামু থানার ওসি আবু তাহের দেওয়ান বলেন, অপরাধীদের ধরতে আমরা পাহাড়ের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালাচ্ছি। আবুল কাশেমের ছোট ভাই মো. শহীদুল্লাহ জানান, স্থানীয় ডাকাত দল শাহীন বাহিনীর ৩০/৪০ জন সদস্য ভারী অস্ত্র নিয়ে বুধবার গভীর রাতে তাদের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় মিয়ানমার থেকে চোরাইপথে আনা গরু পাচারে বাধা দেওয়ার কথা বলে সন্ত্রাসীরা আবুল কাশেমকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর পাহাড়ের নারাইম্মার ঝিরিতে নিয়ে গুলি করে হত্যার পর লাশ জঙ্গলে নিক্ষেপ করে। কাশেমের ৪ বছরের কন্যাসন্তান রয়েছে। তার স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা। স্থানীয়রা জানান, আবুল কাশেম কৃষিকাজের পাশাপাশি মোটরসাইকেলে ভাড়া মারেন। ডাকাত শাহীন বাহিনী ও আবছার বাহিনীর চোরাচালানের আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে একের পর এক খুনের ঘটনা ঘটছে। এ নিয়ে গত এক মাসে গর্জনিয়ায় গরু পাচারসহ চোরাকারবারকে কেন্দ্র করে চারটি হত্যার ঘটনা ঘটেছে। কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মিজানুর রহমান বলেন, অপরাধীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের প্রচেষ্টা চলমান আছে। ওসি আবু তাহের দেওয়ান বলেন, কারা ঘটনাটি ঘটিয়েছে এখনো সঠিক বলা যাচ্ছে না। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১০ মে, ২০২৪

কোরবানির আগেই গরু চুরির হিড়িক
কোরবানি ঈদের আগেই চাঁদপুরের পাড়া মহল্লায় পালিত গরু রাতের আঁধারে চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে সংঘবদ্ধ চোর চক্র। ঘরের দরজায় দড়ি পেঁচিয়ে বাড়ির লোকজনদের ঘুমে রেখে এ কাণ্ড ঘটাচ্ছে চোর চক্রের সদস্যরা। একমাত্র আয়ের উৎস এসব গরু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন অনেকে। অভিযোগ উঠেছে থানা পুলিশকে জানিয়েও যেন কোনো সুরাহা পাচ্ছেন না এসব ভুক্তভোগী। বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকেলে এসব কথা জানিয়েছেন ভুক্তভোগী অসহায় মালিকরা। চাঁদপুর পৌর ১৪নং ওয়ার্ডের শিলন্দিয়া মঠখোলার বাসিন্দা মো. মান্নান সরদার বলেন, আমার বয়স এখন ৫৫ বছর। বাড়িতে আমি আর আমার সহধর্মিণী। আমাদের সংসারের খরছ চালাতাম গাভি গরুগুলোর দুধ বিক্রি করে। বুধবার (৮ মে) মধ্য রাত ৩টায় তাদের একমাত্র আয়ের উৎস দুটি গাভি গরু ও দুটি বাছুরকে গোয়াল ঘর থেকে নিয়ে যায় চোরচক্র। এরপরই গোয়াল ঘরে বসে তারা কাঁদতে কাঁদতে এখন পাগল প্রায়। মান্নানের স্ত্রী রাবেয়া বেগম ও ছেলে জাহিদুল ইসলাম বলেন, চোর চক্র হয়তো পিকাআপভ্যান নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিল। আমরা যাতে বেরুতে না পারি সেজন্য ঘরের দরজা দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখেছিল। পুলিশের এত এত চেকপোস্ট ওনারা একটু আন্তরিক হলে আমরা হয়তো আমাদের চলার সম্বল গরুগুলো ফিরে পাব। এ ঘটনায় আমরা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। কিন্তু রাত আড়াইটা থেকে ৩টা বাজলেই এখনো আৎকে ওঠেন চাঁদপুর পৌর ১৩নং ওয়ার্ডের ওয়াপদা গেইটের আব্দুর রশীদ গাজী। প্রবাস ফেরত এ যুবকের লাখ লাখ টাকা মূল্যের ৩টি গরু নিয়ে গেছে চোরের দল। তিনি বলেন, ২০২১ সালের ১৬ আগস্টে থানা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েও এখনো কোনো আলোর সংবাদ পাইনি। এ সময় তিনি পাশের এলাকার মান্নান সরদারের গরু চুরির খবর পেয়ে নিজের চুরি যাওয়া গাভী গরু ও বাছুরের কথা জানাতে গিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। থানা পুলিশ তৎপর ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে জানিয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মো. শেখ মুহসীন আলম বলেন, পুলিশ সুপার মহোদয়ের নির্দেশনায় আমরা তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার করে এবং আমাদের পুলিশি চেকপোস্টগুলো ব্যবহার করে গরু উদ্ধার ও চোর চক্রকে ধরতে চিরুনী অভিযান চালাচ্ছি। দ্রুতই ভুক্তভোগীদের গরু উদ্ধারসহ এই চোর চক্রের মূল হোতাদের আইনের আওতায় আনা হবে। এদিকে আর কোনো আশ্বাস নয় বরং দ্রুত চোর শনাক্ত ও গরু উদ্ধারের পর তা কাছে পেয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চান গরু হারানো এসব ভুক্তভোগীরা।
০৯ মে, ২০২৪

গরু বিতর্কের জবাব দিলেন ভাবনা
মাঝেমেধ্যেই বিভিন্ন বিষয়ে নিজের মতামত জানান অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা।  এই তো গত শুক্রবার ফেসবুকে একটি ছবি পোস্ট করে নিজের আবেগ উপচে দিয়েছেন তিনি। ছবিতে দেখা যায়, একটি ট্রাকে কিছু গরু রয়েছে। একটি গরুর চোখ ছলছল। সেই ছবির ক্যাপশনে ভাবনা লিখেছেন, ‘আমার কান্নার শব্দ কি শোনা যায় তোমার শহরে’।  ওমনি ভাইরাল হয়ে যায় পোস্টটি। মাসখানেক পরই ঈদুল আজহা।  এ কারণেই ওই ছবির ক্যাপশন পড়ে ভাবনার ওপর চটেছেন নেটিজেনরা। তাদের একাংশ ভেবে নিয়েছেন, গরুর প্রতি মায়া দেখিয়ে ভাবনা হয়তো ঈদে পশু কেরাবানির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন।  যদিও ভাবনার পোস্টে কোরবানি দেওয়া কিংবা না দেওয়ার পক্ষে-বিপক্ষে কোনো বক্তব্যই ছিল না। হয়তো পোস্ট করার পর কমেন্ট অপশন বন্ধ করে দিয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। তাই তো দেড় হাজার শেয়ার হওয়া পোস্টে কমেন্ট মোটে তিনটি। ওই পোস্টে বয়ে গেছে হা-হা রিয়েক্টের বন্যা।  মন্তব্যের ঘর খোলা না পেয়ে পোস্ট শেয়ার করেই ভাবনাকে এক হাত নিয়েছেন নেটিজেনরা।  অভিনেত্রীর এই পোস্টটি গত কয়েকদিন ধরেই আছে তুমুল আলোচনায়। শেষমেশ মঙ্গলবার রাতে নাতিদীর্ঘ আরেকটি পোস্ট করে গরুর ছবিতে ওই ক্যাপশন দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন অভিনেত্রী। ভাবনা তার পোস্টে  জানিয়েছেন, ছবি তুলতে পছন্দ করেন তিনি। যেই ছবি তাকে ভাবায়, সেটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন অভিনেত্রী।  গরুর ছবিটি যেদিন তুলেছিলেন, সেদিন ছিল তীব্র তাপদাহ। দীর্ঘসময় গরমে থাকায় ভীষণ কাঁদছিল গরুটি। অবলা প্রাণীর কান্না ভাবনার সমস্ত চৈতন্যকে স্পর্শ করেছিল। সেই অনুভূতিই প্রকাশ করেছেন ছবির ক্যাপশনে। গরুর বিষয়ক পোস্ট শেয়ার করে অনেকেই বেশ বাজে কথা শুনিয়েছেন অভিনেত্রীকে।  কেউ কেউ ইঙ্গিতপূর্ণ ভাষায় আক্রমণ করেছেন ভাবনাকে। তাকে কেউ-কেউ গাভীর সঙ্গে তুলনা করেছেন। এমনকি অভিনেত্রীকে দেশছাড়া করার আহ্বানও জানিয়েছেন নেটিজেনদের কেউ কেউ। এ ছাড়া কবে কোথায় ভাবনা গরুর মাংস খেয়েছেন ও রেঁধেছেন, সেসব পুরোনো পোস্টও খুঁজে-খুঁজে বের করে পোস্ট করেছেন অনেকে। সেসবের উত্তরে ভাবনা তার পোস্টে জানিয়েছেন, তিনি কোথাও লেখেননি যে তিনি গরুর মাংস খান না। এমনকি কাউকে গরুর মাংস না খেতেও উৎসাহিত করেননি এই অভেনেত্রী। ভাবনার ভাষ্য, একটি প্রাণীর কান্না দেখে যে কেউ কেঁদে উঠতে পারেন, এটাই স্বাভাবিক। ভাবনা আরও জানান, তিনি প্রকৃতিপ্রেমী নাকি প্রাণীপ্রেমী, সেটার প্রমাণ কোথাও দিতে রাজি নন।  এ ছাড়া ফেসবুকের একটি পোস্টেই তো আর কোনো বিষয়ে তার অবস্থানের প্রমাণ হয় না।  তবে গরুর ছবিটি নিয়ে তিনি আরও লিখবেন।  নিজের কবিতা, গল্পে কিংবা চিত্রে পরবর্তী গরুর বিষয়টি তুলে আনবেন তিনি। কেননা, ভাবনা মনে করেন, শিল্পীর বেদনা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।  তাই তার দিকে ছুঁড়ে দেওয়া সব তীর সাদরে গ্রহণ করে নিজের পোস্টের ইতি টেনেছেন অভিনেত্রী।
০৭ মে, ২০২৪

গরু চোরাচালানে জড়িত ছাত্রলীগ নেতা ও জনপ্রতিনিধি
পার্বত্য বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্ত দিয়ে নিয়মিত অবৈধ পথে প্রবেশ করছে গরু। রাজনৈতিক নেতা, জনপ্রতিনিধি এবং ব্যবসায়ীরা এসব গরু চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত বলে উভিযোগ উঠেছে। আর পাহাড়ে অবস্থান করা ডাকাত দলের পাহারায় এসব গরু সীমান্ত পার করিয়ে পৌঁছে দেওয়া হয় গন্তব্যে। এতে মিলছে কাড়ি কাড়ি নগদ টাকা। ফলে চোরাচালানে যোগ দিচ্ছেন শ্রমজীবী, বেকারসহ অপরাধীরা। এসব টাকার ভাগ যাচ্ছে শৃংখলা বাহিনীর হাতেও। গরু চোরাচালানের টাকার ভাগকে কেন্দ্র করে পাহাড়ি ডাকাত দলের দুই গ্রুপের গোলাগুলিতে বাবা ছেলেসহ তিনজন নিহত হয়েছে। এসব ঘটনায় পৃথক মামলা হলেও এখনো গ্রেপ্তার হয়নি কেউ। এতে একদিকে যেমন অপরাধ বাড়ছে, তেমনি সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব। সীমান্তে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে গরু চোরাচালান বন্ধের পাশাপাশি ডাকাত দলের সদস্যদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল। নিহতরা হলেন- স্থানীয় বাসিন্দা আবু তালেব, জাফর আলম এবং তার ছেলে সেলিম। তথ্য মতে, মিয়ানমারের ওপার থেকে প্রতিদিন কয়েকশ গরু অবৈধভাবে বাংলাদেশে সরবরাহ করছে চোরাকারবারি দলের সদস্যরা। বান্দবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ফুলতলা, লেবুছড়ি, চাকঢালাসহ কয়েকটি সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে আনা এসব গরু বুঝে দেওয়া হয় গর্জনিয়া পাহাড়ের শীর্ষ ডাকাত ও ডজন মামলার পলাতক আসামি শাহীন গ্রুপকে। শাহীনের নিজস্ব বাহিনী দিয়ে এসব গরু ফুলতলা, লেবুছড়ি হয়ে ব্যঙডেবা, থোয়াইঙ্গাকাটা, মাঝিরকাটা এবং বড়বিল হয়ে বাইশারি সীমান্ত কিংবা জোয়ারিয়ানালা পর্যন্ত গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হয়। আবার বাইশারী সীমান্ত দিয়ে কালিরছড়া, ঈদগাঁও পর্যন্ত পৌঁছে দিতে থোয়াইঙ্গাকাটা এলাকার শীর্ষ ডাকাত শাহীন বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড আবছার ডাকাত এবং ঈদগড়ের রুস্তম আলী ডাকাত ওরফে রুস্তম মেম্বার। পরে এসব গরু ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রতিটি গরুর পেছনে ৮-১০ হাজার টাকা পায় ডাকাত দল। যেখানে দিনমজুর থেকে শুরু করে শৃংখলা বাহিনীর সদস্য এবং অন্য স্তরের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়। অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে, এসব গরু চোরাচালানের সঙ্গে ঢাকার প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি জড়িত স্থানীয় প্রভাবশালীরা। তাদের সঙ্গে জেলা থেকে নাম উঠে এসেছে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম সাদ্দাম হোসেন ও তার ভাই আব্দু শুক্কুরের।  প্রথম দিকে সাদ্দামের হয়ে মাঠে কাজ করতেন ছাত্রলীগ নেতা ইমাদ সিকদার, শাকিল আদনান, তারেক উদ্দিন মিশুক। এখন তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন সোহেল সিকদার, শাহজাহান সিরাজ শাকিল ওরফে শাকিল মেম্বার এবং ডাকাত সর্দার শাহীন। ব্যবসায়ী হিসেবে আরও যাদের নাম সামনে এসেছে তারা হলেন, কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ড সদস্য জসিম উদ্দিন, ১নং ওয়ার্ডের সদস্য নজরুল মেম্বার, ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য জসিম উদ্দিন, নাইক্ষ্যংছড়ি রূপনগর এলাকার বাসিন্দা ও যুবদল নেতা আনোয়ার ইসলাম রাশেল, গর্জনিয়া বাজার সমিতির সভাপতি এরশাদ উল্লাহ, ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক নেতা জহিরুল ইসলাম, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা ইয়াছিন আরফাত রিশাদ, মাদকের বিভিন্ন মামলার আসামি জহির উদ্দিন, মো. আলী ওরফে মাতালি, নজরুল ইসলাম (তার বিরুদ্ধে মাদক মামলাও রয়েছে)। অনুসন্ধানে আরও ওঠে আসে, সীমান্ত পারের পর পাহাড়ি যেসব পথ দিয়ে গরু পাচার করা হয় সেখানে রাত জেগে পাহারা বসিয়েছে পুলিশ। থোয়াইঙ্গাকাটা এলাকায় পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করেন কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন কৃষকদলের সভাপতি তিতারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেন এবং বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আলম। এ ছাড়া সপ্তাহে যে দুইদিন গর্জনিয়া বাজার বসে সেদিন এসব সোর্সদের নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করেন জামায়াত নেতা বেলাল সিকদার। পুলিশের হয়ে টাকা উত্তোলন করেন সোহেল নামে আরেক যুবক। তার সঙ্গে থাকেন পুলিশ সদস্য আজমির। গেল রমজানে টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে শাহীন বাহিনীর প্রধান শাহীনের সঙ্গে তার সেকেন্ড ইন কমান্ড আবছারের দ্বন্দ্ব শুরু হয়। এরপর আলাদা বাহিনী গড়ে তোলে আবছার। পরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ২৮ রমজান থোয়াইঙ্গাকাটা এলাকায় দুই গ্রুপের মাঝে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে আবছার বাহিনীর সদস্য আবু তালেব নিহত হন। এ ঘটনার পর আবছার ঈদগড় ও আশপাশের চিহ্নিত ডাকাতদের একত্র করে বাড়ান নিজের বাহিনীর আকার। এরপরই শাহিনী বাহিনীর ওপর প্রতিশোধ নিতে মরিয়া হয়ে ওঠে আবছার গ্রুপ। এরই জেরে ২১ এপ্রিল রাতে থোয়াইঙ্গাকাটা এলাকায় সশস্ত্র হামলা চালিয়ে শাহীনের বিশ্বস্ত শ্রমিক হিসেবে পরিচিত সেলিমকে কুপিয়ে হত্যা করে আবছার বাহিনী। ওই রাত ১২টার দিকে সেলিম একটি দোকানে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় মুখোশধারী ২৫-৩০ জনের গ্রুপ অতর্কিত হামলা চালিয়ে কুপিয়ে তাকে হত্যা করে। ছেলেকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে পিতা জাফর আলমকে গুলি করে হত্যার পর পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। চোরাচালানে সম্পৃক্ততার বিষয়ে জানতে চাইলে কক্সবাজার জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এসএম সাদ্দাম হোসেন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এসব কাজে আমি কখনো জড়িত নই। এক বছর আগে থেকে আমার নাম ব্যবহার করার বিষয়টি আমি জেনেছি। সে সময় কেউ আমার নাম ব্যবহার করে থাকলে, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে আগে থেকেই বলা ছিল। সে যদি আমার ভাইও হয়ে থাকে। তার দাবি, চোরাচালানে আমার অনুসারি যাদের নাম আসছে তারা স্থানীয় এমপিরও অনুসারি। কচ্চপিয়া ইউপি সদস্য শাহজাহান সিরাজ শাকিল সিকদার ওরফে শাকিল মেম্বার ও যুবলীগ নেতা নাছির উদ্দিন সোহেল সিকদার তাদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, হয়তো কেউ কেউ আমাদের নাম ব্যবহার করে থাকতে পারে। অথচ আমরাই অপরাধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে যাচ্ছি। গরু চোরাচালানে জড়িত নয় দাবি করলেও নিজেকে গাছ ব্যবসায়ী বলে দাবি করেছেন শাকিল মেম্বার। পুলিশের অভিযান শুরুর পর মোবাইল ফোন বন্ধ রাখায় শাহীন বাহিনীর প্রধান শাহীনের এবং আবছার বাহিনীর প্রধান আবছারের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এসব ঘটনার বিষয়ে জানতে গর্জনিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের আইসি সাইফুল ইসলামকে ফোন করা হলে তিনি অভিযানে আছেন উল্লেখ করে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। রামু থানার ওসি আবু তাহের দেওয়ান বলেন, বাবা-ছেলে হত্যার ঘটনায় আবছার ও জাহাঙ্গীর নামে দু'জন ডাকাতের নামে উল্লেখ করে ২০-২৫ জনকে অজ্ঞাত দিয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহত জাফরের ছেলে রুম্মান উল্লাহ। অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চলছে। পাশাপাশি চোরাচালানিদের কাছ থেকে গরু প্রতি টাকা পাওয়ার বিষয় অস্বীকার করে ওসি বলেন, পাচারকারীদের সহযোগিতার প্রশ্নই আসে না। পুলিশের নামে কেউ টাকা নেওয়ার কথা বললে তা অপপ্রচার ছাড়া কিছু নয়। কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, সীমান্তে পুলিশের কোনো কাজ নেই। তারপরও পুলিশের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আর অপরাধীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
২৬ এপ্রিল, ২০২৪

ব্রাজিল থেকে গরু আমদানি সম্ভব: রাষ্ট্রদূত
কোরবানির ঈদ সামনে রেখে ব্রাজিলকে গরু পাঠানোর অনুরোধ করেছে বাংলাদেশ। দূরত্ব বিবেচনায় বিষয়টি জটিল হলেও চাইলে সেটি সম্ভব বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো দিয়াস ফেরেস। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত ডিক্যাব টকে এ কথা বলেন তিনি। ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশে মাংস খাতের বিশাল সম্ভাবনা আছে ব্রাজিলের। ব্রাজিল গরুর মাংস রপ্তানি করে থাকে। এটা বাংলাদেশের সঙ্গে একটি ভালো বাণিজ্য হতে পারে। এর মধ্য দিয়ে উভয়পক্ষই লাভবান হবে। ব্রাজিল থেকে বাংলাদেশের ভৌগোলিক দূরত্ব অনেক বেশি। সেখান থেকে জীবন্ত গরু আনা কঠিন ও জটিল হলেও অসম্ভব নয়। রাষ্ট্রদূত ফেরেস জানান, ব্রাজিল ভ্রমণে বাংলাদেশিদের সংখ্যা বাড়ছে। বাংলাদেশ থেকে প্রতি মাসে ২৫০-৩০০ ভিসার আবেদন করা হয়ে থাকে। তবে আমরা মাসে ১০০ ভিসা ইস্যু করতে পারি। সেজন্য ঢাকায় ভিসা সেন্টার খোলার উদ্যোগ নিয়েছি। কয়েক মাসের মধ্যেই সেটা হয়ে যাবে বলে আশা করছি। চলতি বছরের জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ব্রাজিল সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন ল্যাটিন দেশটির প্রেসিডেন্ট লুলা। প্রধানমন্ত্রীর ব্রাজিল সফর প্রসঙ্গে ফেরেস বলেন, জুলাইয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ব্রাজিল যাবেন। তিনি জি-২০ সম্মেলনের আগে ব্রাজিল সফর করবেন। যদি তিনি ব্রাজিল যান তাহলে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরে যে চুক্তিগুলো সম্ভব হয়নি, তা হয়তো স্বাক্ষর হতে পারে। ব্রাজিলের বাজারে বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ব্রাজিল বাংলাদেশি আরএমজি পণ্যের একটি বড় বাজার হতে পারে। ব্রাজিলের বাজারে বাংলাদেশের পোশাক পণ্যে শুল্ক বেশি দিতে হয়। এই শুল্ক কীভাবে কমানো যায়, সেটা নিয়ে আমরা কাজ করছি।
২৬ এপ্রিল, ২০২৪

গরু ছিনতাই মামলায় কারাগারে স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় গরু ছিনতাই মামলার আসামি জাহিদ হাসানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গ্রেপ্তারকৃত জাহিদ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক।  শুক্রবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার ভোরে হাতীবান্ধা উপজেলার ভোটমারী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত জাহিদ হাসান উপজেলার ডাউয়াবাড়ী ইউনিয়নের ভোটমারী এলাকার আবু বক্করের ছেলে। জানা গেছে, কিছুদিন আগে হাতীবান্ধার এক গরু ব্যবসায়ী লালমনিরহাটে বিক্রির জন্য একটি পিকআপভ্যানে ৪টি গরু নিয়ে যাচ্ছিল। ওই গরুর গাড়ি ভোটমারী এলাকায় পৌঁছলে জাহিদসহ কয়েকজন যুবক পথরোধ করে গাড়িটি আটকে গরুগুলো নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে গরুর মালিক মন্টু মিয়া বাদী হয়ে হাতীবান্ধা থানায় একটি ছিনতাই মামলা দায়ের করেন। এ বিষয়ে গরু ব্যবসায়ী মন্টু মিয়া বলেন, কিছুদিন আগে আমার ৪টি গরু বিক্রির জন্য লালমনিরহাট নিয়ে যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে ভোটমারী এলাকায় জাহিদসহ কয়েকজন গরুগুলো ছিনতাই করে করে নিয়ে যায়। হাতীবান্ধা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, একটি গরু ছিনতাই মামলায় জাহিদকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
৩০ নভেম্বর, ০০০১

গাইবান্ধায় গরু চুরি মামলার বাদীকে হত্যা
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে গরু চুরি মামলার আসামি খলিলসহ কয়েকজন হামলা চালিয়ে বাদীকে আহত করেছে। বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে উপজেলার মাহাদীপুর ইউনিয়নের আলমগাছি ঢোলভাঙ্গা সড়কের বেলতলা নামক এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় আহত বাদী রাহিদুল ইসলাম বাবুকে (৩২) রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। রাত ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।  রাহিদুল পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের পূর্বগোপালপুর গ্রামের আব্দুল আজিজের ছেলে। মামলার জেরেই রাহিদুলকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করছে পুলিশ। পলাশবাড়ী থানার ওসি কে এম আজমিরুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। চুরি মামলার মূল আসামি এবং এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন খলিলসহ অন্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
১৮ এপ্রিল, ২০২৪

চুরির গরু নিতে না পেরে কুপিয়ে জখম, হাতবোমা বিস্ফোরণ
গরু চুরি করে নিয়ে যেতে না পেরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গরুটিকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে ফেলে রেখে গেছে একদল গরু চোর। যাওয়ার সময় ঘটনাস্থলে দুটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে চোরের দল। ঘটনাটি ঘটেছে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার তেঁতুলবাড়িয়া-নওপাড়া সড়কের ধলার মাঠ নামক স্থানে। গরুটি আনুমানিক বাজার মূল্য ৪ লাখ টাকা। ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন গাংনী থানার ওসি (তদন্ত) মনোজিৎ কুমার নন্দী। স্থানীয় কাথুলি ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আজমাইন হোসেন টুটুল জানান, সোমবার (৮ এপ্রিল) ভোররাত আনুমানিক সাড়ে ৪টার দিকে বিকট শব্দ শুনে লোকজন মাঠের দিকে যান। সেখানে কোন লোকজন দেখতে পাওয়া যায়নি। তারা বড় সাইজের একটি গরু ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় রাস্তার পাশে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে গ্রামের আরও লোকজন ঘটনাস্থলে যেয়ে গরুটিকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে লক্ষ্মীনারায়ণপুর ধলা গ্রামে এনে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। ধারণা করা হচ্ছে চোরের দলটি গরুটিকে নিয়ে যেতে না পেরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে রেখে যায়। যাওয়ার সময় দুটি হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে তারা। গরুর মালিক গাংনী উপজেলার ভোট গ্রামের কৃষক আরিফুল ইসলাম বলেন, 'গতকাল রোববার রাত দেড়টা পর্যন্ত আমি তামাক পোড়ানোর কাজ করেছি। বাড়িতে এসে গোয়ালঘরে গরুটি না পেয়ে অনেক জায়গায় খুঁজেছি। সকালে ফেসবুকে দেখে ঘটনাস্থলে এসে আমার গরুটি শনাক্ত করি। কোরবানির ঈদে বিক্রি করার জন্য গরুটি পালন করছিলাম। গাংনী থানার ওসি (তদন্ত) মনোজিৎ কুমার নন্দী বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ যায় এবং বিস্ফোরিত বোমার আলামত জব্দ করে। উদ্ধারকৃত গরুটি মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
০৮ এপ্রিল, ২০২৪
X