চান্দিনা যুবকল্যাণ সমিতির সভাপতি জাকির, সম্পাদক রেজাউল
ঢাকার চান্দিনা যুবকল্যাণ সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ডা. এ এইচ এম জাকির হোসেন সিকদার এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন এস এম রেজাউল করিম। গতকাল বৃহস্পতিবার পল্টনে আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিল শেষে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন করা হয়। নবনির্বাচিত কমিটি আগামী দুই বছর দায়িত্ব পালন করবে। নির্বাচিত সহসভাপতিরা হলেন অ্যাডভোকেট নেয়ামুল আনাম বিশ্বাস, ড. জাকির হোসেন, মাহবুব আলম, অধ্যাপক ডা. আনিসুর রহমান, আ ন ম কামরুজ্জামান ভূঁইয়া মানিক, নূরুল ইসলাম তুহিন, কে এম জাহাঙ্গীর আলম, আব্দুস সাত্তার, হুমায়ুন কবীর. ড. হুমায়ুন কবীর, নজরুল ইসলাম, আসাদুজ্জামান, শাহীন আহমেদ ভূঁইয়া, আমীর হোসেন। সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন এইচ এম কামাল উদ্দিন, কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হয়েছেন সাদিকুর রহমান। নতুন কমিটি ঘোষণা করেন রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ও সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ। উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার, এস এম ওদুদ মাহমুদী প্রমুখ।
০৫ এপ্রিল, ২০২৪

চান্দিনা যুবকল্যাণ সমিতির সভাপতি জাকির, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল 
ঢাকাস্থ চান্দিনা যুবকল্যাণ সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ডা. এ এইচ এম জাকির হোসেন সিকদার এবং সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন এস এম রেজাউল করিম। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাজধানীর পল্টন্থ একটি রেস্টেুরেন্টে সমিতির পক্ষ থেকে আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিল শেষে সর্বসম্মতিক্রমে এই নেতৃত্ব নির্বাচন করা হয়। নবনির্বাচিত কমিটি আগামী দুই বছর দায়িত্ব পালন করবে। সমিতির নির্বাচিত সহসভাপতিরা হলেন, অ্যাডভোকেট নেয়ামুল আনাম বিশ্বাস, ড. জাকির হোসেন, মাহবুব আলম, অধ্যাপক ডা. আনিসুর রহমান, আ ন ম কামরুজ্জামান ভুঁইয়া মানিক, নূরুল ইসলাম তুহিন, কে এম জাহাঙ্গীর আলম, আব্দুস সাত্তার, হুমায়ুন কবীর. ড. হুমায়ুন কবীর, নজরুল ইসলাম, আসাদুজ্জামান, শাহীন আহমেদ ভূঁইয়া, অ্যাডভোকেট নেয়ামুল আনাম বিশ্বাস, আমীর হোসেন। এ ছাড়া সাংগঠনিক সম্পাদক হয়েছেন এইচ এম কামাল উদ্দিন, কোষাধক্ষ্য নির্বাচিত হয়েছেন সাদিকুর রহমান। নতুন কমিটি ঘোষণা করেন রংপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর (ভিসি) ও সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ। উপস্থিত ছিলেন, অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার, এস এম ওদুদ মাহমুদী প্রমুখ।  
০৪ এপ্রিল, ২০২৪

ইজি বাইকে ‘বিজি’ শহর চান্দিনা
প্রায় দেড় শতাধিক বছরের প্রাচীন উপজেলা কুমিল্লার চান্দিনা। আর পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয় ২৭ বছর আগে। কিন্তু একদা নিরিবিলি ‘চান্দিনা পৌরসভা’ এখন ইজি বাইকে (ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা) ভরপুর। একদিকে বেপরোয়াভাবে চলছে ব্যাটারিচালিত অবৈধ ইজি বাইক, অন্যদিকে প্রধান সড়কের ফুটপাত দখল করে মালপত্র ওঠানামা ও বিভিন্ন মোড়ে ইজি বাইকের মিনি স্ট্যান্ড তৈরির ফলে পৌর সদরে সৃষ্টি হচ্ছে ভয়াবহ যানজট। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে শহরের নাগরিকরা। পৌর কর্তৃপক্ষ বলছে, উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া যানজট দূর করা সম্ভব নয়। অন্যদিকে বিভিন্ন বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে তা নিরসনের পথ খুঁজছেন উপজেলা প্রশাসন। তবে এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ চায় পৌরবাসী। শহরের যানজট নিয়ন্ত্রণে পৌর কর্তৃপক্ষ, প্রশাসন ও পুলিশের সমন্বিত পদক্ষেপ চায় সাধারণ নাগরিকরা। চান্দিনা পৌরসভার কর আদায় ও প্রকৌশল শাখার তথ্য মতে, পৌরসভার আওতাধীন ৮০ কিলোমিটার পাকা ও ২৫ কিলোমিটার কাঁচা সড়ক রয়েছে। এসব সড়কে এক হাজার ৫০০ ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক উপজেলা প্রশাসন ও পৌর কর্তৃপক্ষের লাইসেন্স ছাড়াই চলাচল করছে। সহজ কথায় বলতে গেলে ইজি বাইকের ওপর কারও কোনো নজরদারি নেই। তবে সূত্র বলছে, উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন থেকে গড়ে প্রতিদিন পাঁচ হাজার ইজিবাইক পৌর শহরে প্রবেশ করছে। ছোট-বড় ৬/৭টি স্ট্যান্ড গড়ে উঠেছে। আর এসব ইজি বাইকের বেশির ভাগই অনুমোদনহীন। চালকরাও অদক্ষ। তাই হরহামেশাই ঘটছে দুর্ঘটনা। শহরে অধিকমাত্রায় ইজি বাইক চলাচল করা ও যেখানে-সেখানে যাত্রী ও মালপত্র ওঠানামা এবং বিভিন্ন মোড়ে ইজি বাইকের মিনি স্ট্যান্ড বানানোর ফলে শহরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।  শহরের মহারং এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী আশিক বলেন, ‘চান্দিনা এখন যানজটের শহর। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত যানজটের জন্য শহরে প্রবেশ করাই দায় হয়ে যায়। এ অবস্থা চলতে থাকলে আমাদের কাজকর্ম বন্ধ করে ঘরে বসে থাকতে হবে।’  কাপড়পট্টির তৈরি পোশাক বিক্রয়কর্মী আব্দুস ছালাম মিয়া জানান, প্রতিদিন কাজী বাড়ি এলাকার বাসা থেকে যেখানে ১০ মিনিটে দোকানে আসার কথা, সেখানে তার সময় লাগে আধা ঘণ্টা।  চান্দিনা ডা. ফিরোজা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থী সাইকা সাম্মা বলেন, ‘১০টায় স্কুল টাইম হলেও যানজটের কারণে বাসা থেকে বের হতে হয় সকাল ৮টায়। এভাবে প্রতিদিন আমাদের প্রচুর সময় নষ্ট হয়। কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি, শহরে যানজটের জন্য দায়ী অবৈধ অটোরিকশাগুলো নিয়ন্ত্রণ করা হোক।’  কলেজ শিক্ষার্থী ইব্রাহিম খলিল বলেন, ‘শহরে যেভাবে যানজট বাড়ছে, তাতে চলাফেরা করাই অসম্ভব হয়ে পড়েছে। একদিকে অদক্ষ চালকদের কারণে ঘটছে দুর্ঘটনা, অন্যদিকে জটের কারণে প্রচুর কর্মঘণ্টা অপচয় হচ্ছে।’ আবু তাহের নামে এক সচেতন নাগরিক বলেন, চান্দিনা পালকি সিনেমা হল থেকে উপজেলা রাস্তার মাথা পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার সড়ক যেনো ভোগান্তির আখড়া। রামমোহন রাস্তার মোড়ে যানজট লেগেই থাকে। অপরদিকে ১০ ফিটের সড়কের দুই পাশে ৩ ফিট দখলে রাখে মোটরসাইকেল, তারপর ভাসমান দোকান, তারপর সিএনজি ও ইজিবাইকের দখলে থাকে সড়ক। অবশিষ্ট জায়গা দিয়ে দুটি গাড়ি চলাচল সম্ভব না। ফলে যানজট সৃষ্টি হয়। কবে যে এর অবসান হবে! সম্প্রতি এক জরিপে উঠে এসেছে, চান্দিনা শহরে শুধু যানজটের কারণে প্রতিদিন প্রায় ২০ হাজার শ্রমঘণ্টা নষ্ট হচ্ছে। তারা শহরের যানজনট নিরসনের জন্য ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা, দিনের বেলায় শহরের ভেতর দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচল বন্ধ করা, ফুটপাত থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ এবং ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নয়নের সুপারিশ করে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে।  শহরের এমন যানজটের কারণে জনদুর্ভোগে করণীয় কী এমন প্রশ্নের জবাবে চান্দিনা কণ্ঠসাধন আবৃত্তি পর্ষদ সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক এনায়েত উল্লাহ ভুইয়া বলেন, ‘স্থানীয়দের সঙ্গে আলোচনা করে এ বিষয়ে স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি কর্মপরিকল্পনা তৈরি করতে হবে। সে অনুযায়ী কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ ও পৌর কর্তৃপক্ষের সমন্বয়ে যত দ্রুত সম্ভব এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’  তিনি বলেন, ‘কিছুদিন আগে শহরের ফুটপাতের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। কিন্তু কিছুদিন যেতে না যেতেই সেসব স্থান আবার দখল হয়ে গেছে। সেসব স্থানে নতুন করে দোকানপাট ও অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। দ্রুত ফুটপাতের এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে শহরকে পরিচ্ছন্ন করতে হবে।’  এ ব্যাপারে চান্দিনা পৌরমেয়র শওকত হোসেন ভূইয়াকে অফিসে না পেয়ে মোবাইলে বারবার কল করেও পাওয়া যায়নি। তবে পৌরসভা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইউসুফ আলী বলেন, ‘শহরে যানজটের অন্যতম কারণ ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। কিন্তু ব্যাটারিচালিত রিকশার কোনো লাইসেন্স নেই। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিপজ্জনক যান আখ্যায়িত করে এসব ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচলের কোনো অনুমোদন দেওয়া হয় না। তার পরও শহরের এসব রিকশা অবাধে চলছে। তাদের লাইসেন্সের আওতায় আনা গেলে আমরা সেসব রিকশা নিয়ন্ত্রণ করতে পারতাম। বারবার আমি উপজেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটিতে এ ব্যাপারে কথা বলা হয়েছে ; কিন্তু সমস্যার সমাধান হয়নি। উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া যানজট দূর করা সম্ভব নয়।’ এব্যাপারে চান্দিনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আহাম্মদ সনজুর মোরশেদ বলেন, ‘নির্বাচন শেষ হয়েছে। কী কী কারণে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে সেটা দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জাবের মো. সোয়াইব বলেন, ‘বিষয়টি জনগুরুত্বপূর্ণ। আগামী মাসিক আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।’
১৪ জানুয়ারি, ২০২৪
X