বিজয়নগরে চেয়ারম্যান প্রার্থী জাবেরকে শোকজ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আল জাবেরকে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আব্দুল্লাহ আল মামুন স্বাক্ষরিত ওই নোটিশে ১২ মে সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে তার কার্যালয়ে হাজির হয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে। আল জাবের বিজয়নগর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে তিনি গতকাল শুক্রবার বিকেলে সমাবেশ, মিছিল ও শোডাউন করেছেন। জানা গেছে, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, নির্বাচন কর্মকর্তা ও থানার ওসি তাকে ফোন করে প্রচার চালাতে নিষেধ করেন। পরে সমাবেশস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে প্রচার বন্ধ করতে বললেও তাৎক্ষণিকভাবে তিনি বন্ধ করেননি। যে কারণে তাকে শোকজ করা হয়।
১১ মে, ২০২৪

আচরণবিধি লঙ্ঘনে চেয়ারম্যান প্রার্থী জাবেরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আল জাবেরকে নির্বাচনী বিধি ভঙ্গের অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। রিটার্নিং অফিসার ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুনের স্বাক্ষরিত ওই কারণ দর্শানোর নোটিশে আগামী ১২ মে সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে স্বাক্ষরকারীর কার্যালয়ে গিয়ে কেন তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না সেই মর্মে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়। মো. আল জাবের বিজয়নগর উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বর্তমানে চেয়রাম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা করেছেন। নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করে তিনি শুক্রবার (১০ মে) বিকেল ৪টায় জনসমাবেশ, মিছিল এবং শোডাউন করেছেন।  তাকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, নির্বাচন অফিসার এবং ওসি ফোন কলে প্রচার কাজ না করার জন্য বলেন। পরে সমাবেশস্থলে সশরীরে পুলিশ উপস্থিত হয়ে প্রচার কাজ বন্ধ করতে বললেও তাৎক্ষণিকভাবে প্রচার কাজ বন্ধ করেননি। এটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন আচরণ বিধির পরিপন্থি। এরই প্রেক্ষিতে তাকে কারণ দর্শাতে বলা হয়। রিটার্নিং অফিসার স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, শুক্রবার (১০ মে) বিকেল ৪টায় জনসভা, মিছিল, শোডাউন করেছেন। তার ভিডিও ও সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণাদি রয়েছে। এতে করে নির্বাচনী বিধি-নিষেধ উপেক্ষা করেছেন। এটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালার পরিপন্থি।  শুক্রবার (১০ মে) স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে আগামী ১২ মে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আল জাবের সশরীরে হাজির হয়ে বিধি লঙ্ঘনের বিষয়ে বিধিমালা অনুযায়ী প্রার্থিতা বাতিলের বিষয়ে কেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা আগামী ১২ মে স্বাক্ষরকারীর কার্যালয়ে সশরীরে উপস্থিত হয়ে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।
১০ মে, ২০২৪

মনোহরগঞ্জে চেয়ারম্যান প্রার্থী সেই জাকিরের ভোট বর্জন
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনারস প্রতীকের জাকির হোসেন ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে তার এজেন্টদের বের করে দেওয়া, ভোটকেন্দ্র দখলসহ নানা অভিযোগ এনে বুধবার (৮ মে) দুপুর ১২টায় মনোহরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সামনে তিনি সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন। এ সময় জাকির হোসেন বলেন, আমি এ নির্বাচন মানি না। আমি পুনরায় ভোট চাই। এটা নিয়ে আমি হাইকোর্টে রিট করব। প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করব, তিনি যাতে মনোহরগঞ্জ উপজেলায় পুনরায় উপজেলা নির্বাচন দেন। তবে, অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ঘোড়া প্রতীকের আবদুল মান্নান চৌধুরী বলেন, জাকির হোসেন তার বিগত দিনের অদক্ষতা এবং মানুষকে সঠিক সেবা দিতে না পারায় জনগণ তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। নির্বাচনী প্রচারণার শুরু থেকেই তিনি জনগণের আস্থা অর্জন করতে পারেনি। এ ছাড়া ভোটগ্রহণ শুরুর পর থেকে জাকির হোসেন বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তার এজেন্ট না থাকাসহ বিভিন্ন ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলেছেন। তাই নির্বাচনের দিন তিনি তার নিশ্চিত ভরাডুবি বুঝতে পেরে সে ভোট বর্জন করেছেন। তিনি বলেন, সকাল থেকে বৃষ্টির কারণে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বেড়েছে। উৎসবমুখর পরিবেশে মনোহরগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জাকির হোসেন নিজের পরাজয় বুঝতে পেরেই নির্বাচনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছে। উল্লেখ্য, মনোহরগঞ্জ উপজেলায় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী সাতজনের মধ্যে চেয়ারম্যান তিনজন, ভাইস চেয়ারম্যান দুজন এবং মহিলাভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী দুজন। এ উপজেলায় ১১টি ইউনিয়নে ভোটকেন্দ্র ৮০টি এবং ভোট কক্ষ ৫৩৫টি। মোট ভোটার ২ লাখ ১৬ হাজার ৯৭২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ১৩ হাজার ১১ জন এবং মহিলা ১ লাখ ৩ হাজার ৯৬১ জন ।
০৮ মে, ২০২৪

উপজেলা নির্বাচন / টাকাসহ আটক চেয়ারম্যান প্রার্থী ১২ ঘণ্টা পর মুক্ত
বিপুল পরিমাণ টাকাসহ র‌্যাবের হাতে আটক পাবনার সুজানগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহিনুজ্জামান শাহীনসহ ১১ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আটকের ১২ ঘণ্টা পর গতকাল মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে র‌্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্প থেকে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। শাহীন বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। বিষয়টি নিশ্চিত করে র‌্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মো. এহতেশামুল হক খান বলেন, ‘আটকের পর আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। জব্দ টাকা নির্বাচনী ব্যয়ের সীমার মধ্যেই ছিল। জব্দকৃত টাকা ট্রেজারিতে জমা দেওয়া হবে। তবে বিষয়টি আরও তদন্ত করে পরবর্তী সময়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ মুক্তি পাওয়ার পর শাহিনুজ্জামান শাহীন বলেন, ‘আমরা নির্বাচনী সব ব্যয় পরিশোধের জন্য টাকাগুলো আনা হচ্ছিল। এটা কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহার হচ্ছিল না। সম্পূর্ণ বৈধ টাকা। আমি রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের শিকার। আমার বিজয় ঠেকাতে প্রতিপক্ষ শুরু থেকেই আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে আসছে। এ ঘটনা তারই বহিঃপ্রকাশ।’ সোমবার রাত সাড়ে রাত ১২টার দিকে সুজানগরের চর ভবানীপুর মুজিব বাঁধের ওপর থেকে তাদের আটক করেন র‌্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পের সদস্যরা। পরে রাত সাড়ে ৩টার দিকে র‌্যাব-১২ পাবনা ক্যাম্পে এক সংবাদ সম্মেলনে মেজর মো. এহতেশামুল হক খান জানান, সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের অংশ হিসেবে টহলরত অবস্থায় শাহিনুজ্জামান শাহীনসহ ১১ জনকে আটক করা হয়। এ সময় শাহিনের কাছ থেকে ব্যাগভর্তি ২২ লাখ ৮২ হাজার ৭০০ টাকা জব্দ করা হয়েছে। টাকাগুলো নির্বাচনকে প্রভাবিত করার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছিল বলে শাহীন জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন। আটকদের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে, তারা আইনগত ব্যবস্থা নেবেন। এদিকে শাহীনসহ আটক ১১ জনের মুক্তির দাবিতে সুজানগর থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করতে থাকেন তার অনুসারীরা। গতকাল ভোররাত থেকে মুক্তি দেওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত নেতাকর্মীরা থানার সামনে সুজানগর বাজারের প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন। মুক্তির খবরে আনন্দে মেতে ওঠেন তারা। আজ বুধবার সুজানগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। আনারস প্রতীকের শাহীনুজ্জামান শাহীনের একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল ওহাব (মোটরসাইকেল)।
০৮ মে, ২০২৪

ভোটের আগের দিন কারাগারে চেয়ারম্যান প্রার্থী
দুই হাজার কোটি টাকা পাচারের মামলায় ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাচনের চেয়ারম্যান প্রার্থী শামসুল আলম চৌধুরীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন জামিন নামঞ্জুর করে এ আদেশ দেন। আজ হতে যাওয়া নির্বাচনে তিনি আনারস প্রতীকে অংশ নিয়েছেন। একই দিন এ মামলায় ফরিদপুরের পৌর মেয়র অমিতাভ বোস ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম নাছিমের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পিপি তাপস কুমার পাল বলেন, এ মামলায় তিন আসামি আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক দুজনের জামিন মঞ্জুর এবং অন্যজনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। গত ২২ এপ্রিল ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ ৪৭ জনের বিরুদ্ধে অধিকতর চার্জশিট আমলে গ্রহণ করেন আদালত। একই সঙ্গে পলাতক ৩৭ আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। ২০২০ সালের ২৬ জুন অবৈধ উপায়ে ২ হাজার কোটি টাকা আয় ও পাচারের অভিযোগে বরকত ও রুবেলকে প্রধান আসামি করে ঢাকার কাফরুল থানায় মামলাটি করে সিআইডি। ২০২১ সালের ৩ মার্চ বরকত, রুবেলসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার উত্তম কুমার বিশ্বাস আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
০৮ মে, ২০২৪

সেই সেলিম প্রধান এবার উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়ে ফের আলোচনায় এসেছেন ক্যাসিনোকাণ্ডের ডনখ্যাত সেলিম প্রধান। গতকাল রোববার শেষ দিনে মনোনয়নপত্র জমাও দিয়েছেন তিনি। সেলিম প্রধান জাপান বাংলাদেশ সিকিউরিটি প্রিন্টিং অ্যান্ড পেপার্স লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তবে তিনি পরিচিতি পেয়েছেন অনলাইন ক্যাসিনোকাণ্ডে গ্রেপ্তার হয়ে। সেলিম প্রধানকে ২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থাইল্যান্ডগামী একটি বিমানের ফ্লাইট থেকে নামিয়ে গ্রেপ্তার করে র্যাব। পরে তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা হয়। এর মধ্যে দুদকের মামলায় চার বছরের সাজা হয় তার। গত অক্টোবরে তিনি মুক্তি পান। বর্তমানে তার মামলাগুলো বিচারাধীন এবং সব মামলায় তিনি জামিনে আছেন। দীর্ঘদিন কারাভোগের পর গত অক্টোবরে রূপগঞ্জে এসে এলাকাকে দুর্নীতি ও মাদকমুক্ত করার ঘোষণা দেন তিনি। এরপর সম্প্রতি তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের ঘোষণা দেন। তবে সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে মামলা ও দুই বছরের বেশি কারাবাসের বিষয়টি আলোচনায় আসছে। এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি ধীমান সাহা জুয়েল বলেন, কারও বিরুদ্ধে মামলা বিচারাধীন থাকলে তাকে অপরাধী বলা যায় না। তবে তিনি যেহেতু দুই বছরের বেশি কারাগারে ছিলেন, তাই মনে হয় তিনি নির্বাচন করতে পারবেন না। এ বিষয়ে সেলিম প্রধান বলেন, আমার বিরুদ্ধে মামলাগুলো বিচারধীন। দুদক সাজা বাড়ানোর জন্য আপিল করেছে আর আমরা সাজা কমানোর জন্য করেছি। যতক্ষণ মামলা শেষ না হয়, ততক্ষণ কাউকে দোষী বলা যায় না।
২২ এপ্রিল, ২০২৪
X