মাতৃভাষা দিবসে জামায়াতের কর্মসূচি
আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের মাধ্যমে মহান ২১ ফেব্রুয়ারি ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও মহান শহীদ দিবস’ হিসেবে পালন করতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। দলটির ভারপ্রাপ্ত আমির মুজিবুর রহমান গতকাল এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান। মুজিবুর রহমান বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা শহীদদের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। যথাযোগ্য মর্যাদায় প্রতিষ্ঠা করতে সর্বস্তরে ব্যবহার নিশ্চিত করে বিজাতীয় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক আগ্রাসন থেকে বাংলা ভাষাকে রক্ষা করতে হবে। তাহলেই শহীদদের স্বপ্ন সার্থক হবে। এদিকে গতকাল মঙ্গলবার মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনাসভা করেছে ঢাকা মহানগর উত্তর জামায়াতে ইসলামী।
২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

মাতৃভাষা ও শহীদ দিবসে জামায়াতের কর্মসূচি
মহান একুশে ফেব্রুয়ারি ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও মহান শহীদ দিবস’ উপলক্ষে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দেশব্যাপী আলোচনাসভা ও দোয়ার মাধ্যমে দিবসটি পালন করবে দলটি। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।  বিবৃতিতে জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত আমির অধ্যাপক মুজিবুর বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও মহান শহীদ দিবস। ১৯৫২ সালে এ দেশের তরুণ, ছাত্র ও যুবসমাজ বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য তদানীন্তন শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলেছিল। আন্দোলন দমনের জন্য সে দিন রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মিছিলকারীদের ওপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছিল। তিনি বলেন, গুলিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসহ আরও অনেকেই। বাংলা ভাষার জন্য তাদের এ আত্মত্যাগের কারণে দেশের মানুষ তাদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে। মহান আল্লাহর কাছে তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করছি। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা লাভ করা ভাষা শহীদদের প্রতি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। বাংলা ভাষাকে যথাযোগ্য মর্যাদায় প্রতিষ্ঠা করার জন্য দেশের সর্বস্তরে বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করে বিজাতীয় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক আগ্রাসন থেকে বাংলা ভাষাকে রক্ষা করতে হবে। তাহলেই ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্বপ্ন সার্থক হবে। তিনি বলেন, দেশবাসী আজ এমন একসময় ভাষা দিবস পালন করতে যাচ্ছে যখন প্রহসনের নির্বাচনের মাধ্যমে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা করা হয়েছে। মূলত বর্তমানে দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন, মানবাধিকার, ভোটাধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বলতে কিছু নেই। মানুষের জানমালের কোনো নিরাপত্তা নেই। সকল ক্ষেত্রেই শাসকগোষ্ঠীর অগণতান্ত্রিক আচরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটছে। এ শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি থেকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠাসহ দেশ ও জাতিকে উদ্ধার করতে হবে।
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

জামায়াতের কর্মসূচি বাড়ল
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জন ও ভোটদান থেকে বিরত থাকার আহ্বানে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণের কর্মসূচি আরও দুই দিন বাড়িয়েছে জামায়াত।  বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) রাতে এক বিবৃতিতে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম। এটিএম মা’ছুম বলেন, বর্তমান সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন ঘোষিত প্রহসনের নির্বাচনের তপশিল প্রত্যাখ্যান করে জনগণ নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করে যাচ্ছে। সরকার গণতান্ত্রিক বিশ্ব থেকে বাংলাদেশকে বিচ্ছিন্ন করার জন্য বিরোধী রাজনৈতিক দল ব্যতিরেকে নির্বাচনের নাটক মঞ্চস্থ করতে যাচ্ছে। জনগণ এ নির্বাচন মেনে নেবে না। আমি জামায়াতের পক্ষ থেকে ঘোষিত গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণের কর্মসূচি আগামী ২৯ ও ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত অব্যাহত রাখার আহ্বান জানাচ্ছি। টানা তিন দিনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। সংগঠনটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম এক বিবৃতিতে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। বিবৃতিতে আগামী ২৬, ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর দেশব্যাপী সর্বস্তরের জনগণের নিকট সর্বাত্মক গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণের কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানান। এর আগে, গত রোববার (২৪ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে ২৬, ২৭ ও ২৮ ডিসেম্বর দেশব্যাপী সর্বস্তরের জনগণের নিকট সর্বাত্মক গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণের কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয়। 
২৮ ডিসেম্বর, ২০২৩

বিএনপির পর এবার জামায়াতের কর্মসূচি ঘোষণা
বিএনপির পর এবার আগামীকাল রোববার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী। শনিবার (২৮ অক্টোবর) দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম এক বিবৃতিতে এ হরতালের ডাক দেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, রাজধানী ঢাকার শাপলা চত্বরে জামায়াত ঘোষিত ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ বানচাল করার হীন উদ্দেশ্যে সরকার দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ৩ শতাধিক নেতাকর্মীকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করেছে। মিটিং মিছিল করা যে কোনো রাজনৈতিক দলের সংবিধান স্বীকৃত গণতান্ত্রিক অধিকার। জামায়াতের মহাসমাবেশে যোগ দিতে আসা নেতাকর্মীদের বাস, লঞ্চ ও ট্রেন থেকে নামিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই গ্রেপ্তার সম্পূর্ণ বেআইনি, অগণতান্ত্রিক, অনাকাক্ষিত ও অনভিপ্রেত। আমি সরকারের এই অন্যায় গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এটিএম মা’ছুম বলেন, অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ, কেয়ারটেকার সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন, বিএনপির মহাসমাবেশে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের হামলা, আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমানসহ নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার এবং জামায়াত ঘোষিত ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশে পুলিশের বাধাদান ও মহাসমাবেশে যোগ দিতে আসা নেতাকর্মীদের অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে রোববার (২৯ অক্টোবর) সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা শান্তিপূর্ণ হরতালের কর্মসূচি ঘোষণা করছি। হরতালের এই কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে সফল করার জন্য আমি সংগঠনের সর্বস্তরের জনশক্তি এবং দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করছি। উল্লেখ্য, হাসপাতাল, অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, সংবাদপত্রের সাথে সংশ্লিষ্ট গাড়ি এবং ঔষধের দোকান হরতালের আওতামুক্ত থাকবে। এর আগে বিএনপিও আগামীকাল (রোববার) সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে। শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে নয়াপল্টনের মহাসমাবেশ থেকে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ ডাক দেন।
২৮ অক্টোবর, ২০২৩
X