সরকারি ল্যাপটপ বন্ধক রেখে টাকা ধার নিল দপ্তরি
সরকারি ল্যাপটপ বন্ধক রেখে টাকা ধার নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে শরীয়তপুর গোসাইরহাট উপজেলার ২৭নং দাতরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরির বিরুদ্ধে। স্কুলের দপ্তরি সাকিবুল ঢালী ভোগকাঠী গ্রামের হুমায়ুন বেপারীর কাছে ল্যাপটপটি বন্ধক রাখেন বলে অভিযোগ উঠেছে।  রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) স্কুলে ল্যাপটপ না দেখতে পেয়ে এ ঘটনা জানাজানি হয়। পরে পাওনাদার হুমায়ুন বেপারীকে টাকা পরিশোধ করে ল্যাপটপ উদ্ধার করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২৭নং দাতরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিভিন্ন অনলাইনের কাজের জন্য সরকার থেকে ২টি ল্যাপটপ দেওয়া হয়েছে। কম্পিউটারের সকল কাজ দপ্তরি সাকিবুল করে তাই দুটি ল্যাপটপ তিনি তার বাসায় নিয়ে যান। তবে এর মধ্যে একটি এইচপি ব্রান্ডের ল্যাপটপ বন্ধক রেখে তিনি স্থানীয় হুমায়ুন বেপারীর কাছ থেকে টাকা ধার করেন। স্কুল কর্তৃপক্ষ কেউ এ বিষয়ে অবহিত ছিলেন না। এরই মধ্যে ঘটনাটি জানাজানি হয়ে যায়। হুমায়ুন বেপারী জানান, একটি ব্যাগসহ ল্যাপটপ নিয়ে এসে আমার কাছে টাকা ধার চায় সাকিবুল। স্কুলের ল্যাপটপ দেখে প্রথমে রাজি হইনি। পরে অল্প সময়ে টাকা পরিশোধ করে দেবে বলে অনেক অনুরোধ করলে আমি সাড়ে চার হাজার টাকা সাকিবুলকে দেই। এরপর দুই মাস পর রোববার স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা টাকা দিয়ে  ল্যাপটপটি আমার কাছ থেকে ছাড়িয়ে স্কুলে নিয়ে যান।  অভিযুক্ত দপ্তরি সাকিবুল বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমি আমার ব্যক্তিগত ল্যাপটপ বন্ধক রেখেছি। স্কুলের ল্যাপটপ আমার বাসায় ছিল।  বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষক নাসরিন সুলতানা বলেন, সব মিটমাট হয়ে গেছে। ল্যাপটপ দপ্তরি সাকিবুলের কাছেই থাকত। তার কাছ থেকে ফেরত নিয়ে স্কুলে রাখা হয়েছে। গোসাইরহাট উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফর রহমান কালবেলাকে বলেন, দপ্তরি সাকিবুল স্কুলের আইটি কাজগুলো করে। তাই স্কুলের ল্যাপটপ সেই ব্যবহার করে। তাছাড়া ওর ব্যক্তিগত ল্যাপটপ রয়েছে। স্কুলের ল্যাপটপ স্কুলের আলমিরাতেই রক্ষিত আছে।
১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

টাকা ধার না দেওয়ায় দোকান ভাঙচুরের অভিযোগ
পাঁচ হাজার টাকা ধার না দেওয়ায় দুটি দোকান ভাঙচুর করে নগদ টাকা নিয়ে গেছে সন্ত্রাসী বাহিনী। গত বুধবার (১৫ নভেম্বর) রাতে নেত্রকোনার সদর উপজেলার বড়গাড়া গ্রামের রনি আহম্মদ ও তার সহোদর আশরাফ উদ্দিনের একটি দোকানে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগীর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় রুস্তম আলী, মারুফ মিয়া, মামুন মিয়া, বাবুল মিয়া, কামালি মিয়াসহ আরও কয়েকজন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দোকানে গিয়ে হামলা চালিয়ে ঘরে থাকা বিভিন্ন মালামাল নষ্ট করে ও ওষুধপত্র ফেলে দেয়। পরে ক্যাশে থাকা ৫০ হাজার টাকা নিয়ে যায় ও দোকানের মালিক রনি ও তার ভাই আশরাফকে মারধর করে। এই চক্রটি এলাকায় এমন সংঘবদ্ধ অপরাধ সংগঠিত করে থাকে বলে অভিযোগ করেন আরও অনেকেই। ভুক্তভোগী দোকানদার আশরাফ উদ্দিন বলেন, এরা দোকান দেওয়ার পর থেকে প্রায়ই ঝামেলা করে বাকি নিতে চায়। বাকি দিলে টাকা দিতে চায় না। রাতে এসে নগদ টাকা দাবি করে ও বাকিতে মোবাইলে লোড দিতে বলে। আমি না দিতে চাইলে কিছুক্ষণ পরে লোকজন নিয়ে এসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। আমি এর বিচার চাই।
১৭ নভেম্বর, ২০২৩
X