ব্যারিস্টার খোকনের দলীয় পদ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে বিএনপি
জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম থেকে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনকে অব্যাহতি দেওয়ায় সৃষ্ট জটিলতা আপাতত নিরসন হলেও তার দলীয় পদ নিয়ে ধোঁয়াশা এখনো কাটেনি। তিনি দলের যুগ্ম মহাসচিব পদে বহাল থাকবেন নাকি তাকে অব্যাহতি দেওয়া হবে, বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব এখন সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। গতকাল বৃহস্পতিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকের শেষ পর্যায়ে মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেওয়ায় এবং দলের সিনিয়র নেতাদের হস্তক্ষেপে খোকন ইস্যুতে সৃষ্ট জটিলতা আপাতত নিরসন হয়েছে। জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে এর আগে সেখানে বিবদমান দুই পক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বিকেল ৪টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে মহাসচিব ছাড়াও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং দলীয় আইনজীবীদের মধ্যে নিতাই রায় চৌধুরী, জয়নাল আবেদীন, আহমেদ আযম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। গত শনিবার ফোরামের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতির পদ থেকে মাহবুব উদ্দিন খোকনকে অব্যাহতি দেয় সংগঠনটি। গত ৬ ও ৭ মার্চ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন হয়। এতে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের ঐক্য প্যানেলের (নীল প্যানেল) প্রার্থী জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন সভাপতি পদে নির্বাচিত হন। এ নির্বাচন কেন্দ্র করে হট্টগোল, মারধর, মামলা ও গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটে। বিএনপিপন্থিরা ভোট জালিয়াতি, কারচুপি ও মনগড়া ফলাফলের অভিযোগ করে। পরে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের আসামি করে মামলা হয়, গ্রেপ্তার করা হয়। এ পরিস্থিতিতে বিজয়ী সভাপতি পদ ছাড়া আরও তিনজন সদস্যকে ফোরাম এ মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণ না করার আহ্বান জানায়। কিন্তু খোকন দায়িত্ব নেন। এ ছাড়া তিনি ফোরামের জ্যেষ্ঠ নেতাদের সম্পর্কে অবমাননাকর বক্তব্য দিয়েছেন বলে অভিযোগ করে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের এ ফোরাম। এর প্রেক্ষাপটে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এরপর থেকে গুঞ্জন ছড়ায়, দলের যুগ্ম মহাসচিব পদ থেকেও অব্যাহতি দেওয়া হচ্ছে খোকনকে। বৈঠক সূত্র জানায়, আইনজীবী ফোরামের দুই পক্ষ নিজ নিজ অবস্থান থেকে যুক্তি, পাল্টা যুক্তি তুলে ধরে। তবে বৈঠকের শেষ পর্যায়ে খোকন ও কায়সার কামাল একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেন। ফলে দুই পক্ষের মধ্যে আপাতত কোন্দল নিরসন হয়েছে বলে মনে করছেন একাধিক নেতা। পরে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানানো হয়। বৈঠকে উপস্থিত একজন আইনজীবী নেতা কালবেলাকে বলেন, এখন খোকনের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না এবং তিনি সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি পদে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন কি না, সে সিদ্ধান্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেবেন। খোকন ইস্যুতে বিএনপির উচ্চপর্যায়ে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। গত সোমবার দলের স্থায়ী কমিটিতেও দুই ধরনের ভাষ্য পাওয়া গেছে। বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা ও আইনজীবীদের অধিকাংশ খোকনকে অব্যাহিত দেওয়ার ঘটনায় বিব্রত। তারা মনে করেন, খোকনের মতো আইনজীবী নেতা এখন আর দলে নেই। তাকে অব্যাহতি দেওয়ার মাধ্যমে যাদের উৎসাহিত করা হয়েছে, তাদের আইন অঙ্গনে গ্রহণযোগ্যতা কম। তবে কারও কারও মত ছিল, দলের কেউ দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে নয়। এর আগে সোমবার সংবাদ সম্মেলনে খোকন বলেন, ‘ফোরামের তো গঠনতন্ত্রই নেই। তিনি (কায়সার কামাল) কীভাবে বহিষ্কার করেন? যে পর্যন্ত গঠনতন্ত্র না হবে, সে পর্যন্ত কাউকে বহিষ্কার করা যাবে না। যত বহিষ্কার করা হয়েছে, তা আইনত কার্যকর নয়।’
২৬ এপ্রিল, ২০২৪

এমপি আজাদকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতির নোটিশ
কুমিল্লা-৪ (দেবিদ্বার) সংসদীয় আসনের সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদকে কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে ১৫ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে। বুধবার (১৩ মার্চ) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়। কারণ দর্শানোর ওই নোটিশে আ.লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া উল্লেখ্য করেছেন- ‘ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে কুমিল্লা উত্তর জেলা আ.লীগের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভা শেষে আপনার (এমপি আজাদ) নির্দেশে জেলা আ.লীগ সভাপতি ম. রুহুল আমিনের গাড়িতে হামলা হয়েছে মর্মে কেন্দ্রীয় দপ্তরে অভিযোগ জমা হয়েছে। ওই হামলায় জেলা আ.লীগের দপ্তর সম্পাদক সাইফুল ইসলাম রাজীবসহ আরো কয়েকজন মারাত্মকভাবে আহত হন। এ ঘটনায় জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে  আপনাকে সাংগঠনিক নির্দেশক্রমে অব্যাহতি প্রদান করা হলো। এমতাবস্থায় সংগঠনের আর্দশ, শৃংখলা ও স্বার্থ পরিপন্থী কার্যক্রমে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে আপনাকে কেন সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হবে না, তার ব্যাখ্যাসহ লিখিত জবাব আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি বরাবর প্রেরণের জন্য নির্দেশ দেয়া হলো।’ কুমিল্লা উত্তর জেলা আ.লীগ সভাপতি ম. রুহুল আমিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদের মোবাইল ফোনে কল দিলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
১৪ মার্চ, ২০২৪

দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি পেলেন সেই তিন ছাত্রলীগ নেতা
মিরসরাইয়ে মেয়েকে স্কুলে দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে মায়ের গতিরোধ করার ঘটনায় জড়িত থাকায় তিন ছাত্রলীগ নেতাকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মাসুদ করিম রানা নিজের ফেসবুক আইডিতে ছাত্রলীগের দলীয় প্যাডে নিজের স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছেন। অব্যাহতি পাওয়া তিন ছাত্রলীগ নেতা হলেন মঘাদিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের গজারিয়া এলাকার মুরাদ আলী মিয়া বাড়ির ওসমান গণির ছেলে ও মঘাদিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগে সহসম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন সাগর (২১), মহসিন আলী মেম্বার বাড়ির মো. দুধু মিয়ার ছেলে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের গণশিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক মো. শামছুদ্দিন প্রকাশ সালমান হোসেন (২০), নসরত আলী হাজি বাগির নজরুল ইসলামের ছেলে ও ২ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রিফাত হোসেন (২০)।  এ বিষয়ে মিরসরাই উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মাসুদ করিম রানা জানান, উপজেলা ছাত্রলীগের এক জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে মঘাদিয়া ইউনিয়নের তিন ছাত্রলীগ নেতাকে তাদের স্ব স্ব দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ছাত্রলীগ একটি পরিচ্ছন্ন সংগঠন। কোনো অন্যায়, অপরাধকে প্রশ্রয় দেয় না। জানা গেছে, চলতি বছরের ১২ মে বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে সাধুরবাজার এলাকায় সবুজ (২১) ও শুভ (১৯) নামের দুই বখাটে মলিয়াইশ উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির তানিয়া (ছদ্মনাম) ছাত্রীকে জোর করে গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় চুল ধরে টানাটানির একপর্যায়ে ওই ছাত্রীর মাথার স্কাফ খুলে ফেলে তারা। গাড়িতে তুলতে ব্যর্থ হওয়ার পর গাড়ি দিয়ে চাপা দেওয়ারও চেষ্টা করে। পরে শিক্ষার্থীদের চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে বখাটেরা গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়। তখন সহপাঠীরা ওই শিক্ষার্থীকে বাড়ি নিয়ে যায়।  ঘটনার দিন বিকেলে মিরসরাই থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা বেলায়েত হোসেন। অভিযোগের পর পুলিশ সবুজ নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করে। ওই সময় অভিযুক্ত আরেকজন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। জামিনে এসে সবুজ ও শুভ দলবল নিয়ে বাড়ির আশপাশে এসে ঘরের চালে ঢিল ছুড়ে এবং মেয়েকে তুলে নেওয়ারও হুমকি দেন। বখাটেদেরে ভয়ে দীর্ঘ ৪ মাস স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল মেয়েটি। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের ওপর উপজেলা প্রশাসন মেয়ের বাড়িতে গিয়ে আবার স্কুলে যাওয়ার জন্য আস্বস্ত করে। মেয়ের বাবা বেলায়েত হোসেন বলেন, প্রশাসনের সহায়তা আমার স্ত্রী (মেয়ের মা) গতকাল সকালে মেয়েকে নিয়ে স্কুলে যায়। মেয়েকে স্কুলে দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সকাল সাড়ে ১১টায় মঘাদিয়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সাধুর বাজার পুরাতন সিএনজি স্ট্যান্ডে মামলার ১নং ও ৫নং আসামিসহ অজ্ঞাত ৪/৫ জন পূর্বপরিকল্পিতভাবে আমার স্ত্রীর গতিরোধ করে ১ ও ৫ নং আসামির বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন মামলা তুলে নেওয়ার জন্য ভয়ভীতি ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদর্শন করে। তাদের বিরুদ্ধে থানায় কিংবা আদালতে মামলা করলে আমার স্ত্রীসহ আমার মেয়ে ও আমাদের প্রাণে হত্যার করার হুমকি প্রদান করে। ওই ঘটনায় স্কুলছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে তিন ছাত্রলীগ নেতাসহ পাঁচজনকে আসামি করে মিরসরাই থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। গতকাল দুপুরে অভিযান চালিয়ে পুলিশ চারজনকে গ্রেপ্তার করে আজ আদালতে প্রেরণ করেন।  
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

দলীয় পদ পেতে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর সঙ্গে যা করলেন ছাত্রলীগ নেতা 
দলীয় পদ পেতে অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে নির্যাতনের মাধ্যমে সন্তান নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে ঢাকা মহানগর দক্ষিণের রামপুরা থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ ফরিদের বিরুদ্ধে। গত ২১ জুলাই রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরদিন ভুক্তভোগী খিলগাঁও থানায় নারী নির্যাতন ও হত্যাচেষ্টার মামলা করলে ২৩ জুলাই খালিদ সাইফুল্লাহকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। তবে আশ্চর্যজনকভাবে এমন মামলায়ও আটকের পরদিনই জামিনে মুক্তি পান অভিযুক্ত খালিদ সাইফুল্লাহ।   এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী রাজধানীর ফরাজী হাসপাতালের পুষ্টিবিদ ডাক্তার রুবাইয়া রীতির অভিযোগ আসামি খালিদ সাইফুল্লাহ ছাত্রলীগ করে বলেই তিনি (ভুক্তভোগী) ন্যায় বিচার পাননি।  মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের মার্চ মাসের ১৩ তারিখে রুবাইয়া রীতিকে বিয়ে করেন খালিদ সাইফুল্লাহ। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য রীতিকে নির্যাতন শুরু করেন সাইফুল্লাহ। এর মধ্যেই অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন রীতি। এ নিয়ে শুরু হয় সাংসারিক ঝামেলা। রীতি বলেন, আমরা নিজেরা বিয়ে করি। সে যেহেতু নতুন কমিটিতে আবারও সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী, এ কারণে বিয়ে করার সময় আমাকে বিষয়টি গোপন রাখতে বলে খালিদ।  রীতি বলেন, বিয়ের দেড় মাস পর আমি কনসিভ করি। কিন্তু ও আমাকে বলল এই বাচ্চা আমি রাখতে পারব না। এই বাচ্চার কি পরিচয় দেব? আমি বললাম কেন আমরা কি অবৈধভাবে বিয়ে করেছি, বাচ্চার পরিচয় দিতে সমস্যা কী?  ‘তখন খালিদ আমাকে বলে, বাচ্চার পরিচয় দিতে গেলে আমার কমিটি থাকবে না। তুমি জানো না, লাখ লাখ টাকা খরচ করে আমি এই কমিটি পেয়েছি। তোমার জন্য, এই বাচ্চার জন্য আমি কমিটি ছাড়তে পারব না। বাচ্চা নষ্ট করে ফেল। এর পর থেকে আমাকে বিভিন্নভাবে খুব জোর করতো আমি যেন হাসপাতালে গিয়ে গর্ভপাত করে ফেলি’, বলেন তিনি।   এরইমধ্যে ছাত্রলীগ নেতা খালিদ যৌতুকের দাবি করে জানিয়ে ভুক্তভোগী নারী বলেন, ‘আশুলিয়াতে ৫ কোটি টাকার একটি জমি কিনতে বায়না করার জন্য আমার কাছে এক কোটি টাকা দাবি করে সে। কিন্তু আমি টাকা দিতে অস্বীকার করি। টাকা নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে ও আমাকে ধাক্কা এবং পেটে লাথিও মারে। অবশ্য সাথে সাথে আমার কাছে ক্ষমাও চায়। আমি এটাকে স্বাভাবিক ধরে নিয়ে কিছু বলিনি। কিন্তু কিছুক্ষণ পর থেকেই পেটে ব্যাথা শুরু হয়। ওই দিন রাতে একটু একটু ব্লিডিংও হয়। এভাবে আস্তে আস্তে ব্লিডিং হতে হতে শনিবার বাচ্চাটা মারা গেল।’  গ্রেপ্তারের পর দিনই জামিন পাওয়া প্রসঙ্গে রীতি বলেন, ‘আমার সাথে করা অন্যায়ের সুষ্ঠু বিচার হলো না। আমি সুষ্ঠু বিচার পাইনি। শুধুমাত্র ছাত্রলীগ করে বলে আসামি খালিদ সাইফুল্লাহ ফরিদের জামিন হয়ে গেল।’  বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন জানিয়ে রুবাইয়া আরও বলেন, ‘আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমার মনে হয় ও যে কোনো সময় আমাকে মেরে ফেলতে পারে।’  এদিকে এ ঘটনাটিকে ষড়যন্ত্র বলে গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন খালিদ সাইফুল্লাহ । তিনি বলেন, ‘আসলে আমি ষড়যন্ত্রের শিকার।’  রুবাইয়াকে বিয়ে করেছিলেন কি-না, এমন প্রশ্নের জবাবে খালিদ সাইফুল্লাহ বলেন, ‘আমি এসব নিয়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে কিছুটা অসুস্থ হয়ে গেছি। আমি এটা নিয়ে বসে কথা বলব।’ তিনি বলেন, ‘আমার মান-সম্মান নষ্ট করা হয়েছে। এটা নিয়ে একটা রাজনৈতিক গেম হয়েছে। এটা নিয়ে আমি আদালতের শরণাপন্ন হব।’  অন্যদিকে, বিবাহিত কেউ ছাত্রলীগের কেউ ছাত্রলীগে জায়গা পান না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি রাজিবুল ইসলাম বাপ্পী। তিনি বলেন, ছাত্রলীগ নামধারী কেউ যদি এটা করে থাকে তবে আমি বলব সে অবশ্যই অন্যায় করেছে। এমন যদি কেউ করে তবে সে অবশ্যই ছাত্রলীগ করার যোগ্যতা হারিয়েছে এবং সে ছাত্রলীগের নেতৃত্বের কোনো পর্যায়ে আসার যোগ্যতা রাখে না।  রাজিবুল ইসলাম বাপ্পী জানান, প্রকৃতপক্ষে রামপুরা ছাত্রলীগের কোনো কমিটি নেই। সেখানে দুটো কমিটি চারজন প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারি পরিচয় দিতো। আমাদের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কোনো কমিটিতেই দুজন প্রেসিডেন্ট বা দুজন সেক্রেটারি নেই। তাই রামপুরা থানার কমিটি নিয়ে আগে থেকেই বিতর্ক ছিল। রামপুরা দীর্ঘদিন ঢাকা দক্ষিণের আওতায় ছিল। কিন্তু গত ২০ ডিসেম্বর থেকে রামপুরা সাংগঠনিকভাবে ঢাকা উত্তরের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ওই ২০ ডিসেম্বরের পরেই মহানগর উত্তরের কমিটি রামপুরা থানার কমিটিকে বিলুপ্ত করে।  বাপ্পী আরও বলেন, ‘উত্তরের প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারি যারা আছেন তারা দক্ষ সংগঠক। আমি বিশ্বাস করি তারা এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন।’  
০৩ আগস্ট, ২০২৩
X