দ্বাদশ সংসদ তেলেসমাতির সংসদ : ফারুক 
দ্বাদশ জাতীয় সংসদকে ‘তেলেসমাতি’ সংসদ হিসেবে অভিহিত করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের অন্যতম উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক। সোমবার (১২ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে তিনি এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, সংসদ চলছে, আজও চলবে। এটা একটা তেলেসমাতি সংসদ। এই সংসদ নিয়ে মুরুব্বিরা বলেন, এটা আওয়ামী লীগের ‘এ’ টিম আর ‘বি’ টিম। এই সংসদে জনগণ ভোট দিতে পারেনি, এই সংসদ নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করেনি। তবুও এই সরকার ক্ষমতার জোরে নির্বাচন কমিশনের কারচুপিতে ক্ষমতায় বসে গত মাসের ১০ তারিখে শপথ নিয়ে সরকার গঠন করেছে। ফারুক বলেন, এই সংসদে না কি একটা বিরোধী দল আছে, তাও ১১ জনের, সেটাও বানিয়ে দিয়েছে বর্তমান সরকারপ্রধান। আমি বলেছি না, ডানে আর বামে ডামি আর ভাই, তারাই সরকার। সাবেক বিরোধীদলীয় এ চিফ হুইপ বলেন, আবার আওয়ামী লীগের বদন্যতার কারণেই আজকে সংসদে বিরোধী দল তৈরি হয়েছে। এই বিরোধী দল দিয়ে বাংলাদেশের সার্বিক সমস্যার সমাধান হবে না। অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙে গেছে, তাকে সোজা করতে এই সরকার পারবে না। মুরুব্বিরা বলেন, এই সংসদ টিকে থাকতে পারে না, জনগণ বলে এই সংসদ আর টিকে থাকার কথা নয়। কারা নির্যাতনে বিএনপির ১৫ নেতাকর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, যেদেশে মানবাধিকার নাই, সে দেশের সরকারের কারা কর্তৃপক্ষের কথা আমরা বিশ্বাস করতে পারি নাই। আমরা বিএনপি মনে করি, বাংলাদেশের কারাগারে যে ১৫ জন নেতাকর্মীকে নির্যাতন করে মেরে ফেলেছেন তার হিসাব-নিকাশ একদিন আপনাদের দিতে হবে। ‘নতুন সিন্ডিকেট তৈরি হচ্ছে’ জানিয়ে ফারুক বলেন, বাংলাদেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি যেভাবে ঘোলাটে হচ্ছে, যেভাবে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি চলছে সেখানে নতুন সিন্ডিকেট তৈরি করে পেঁয়াজ-রসুন-চাল-ডাল-চিনির দাম বৃদ্ধির পরিকল্পনা করছে। তিনি বলেন, ‘বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর কথা শুনছেন না, আবার তারা সচেতন হচ্ছে, তড়িৎগতিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে সিন্ডিকেট তৈরি করে কোটি কোটি টাকা কীভাবে রোজগার করা যায়।’ ‘সাগর-রুনি হত্যার বিচার প্রসঙ্গে’ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘সাগর-রুনি হত্যার ঘটনা, সেদিন আমি সংসদে ছিলাম। সেদিন সাহারা খাতুন (স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী) বলেছিলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সাগর-রুনির বিচার করবেন, তদন্ত করবেন, চার্জশিট দেবেন। লজ্জা হয় না, শরম লাগে না। আইনমন্ত্রী আপনি বলেছেন, ৫০ বছর লাগবে। যদি শরম থাকত, জনগণের ভোটে নির্বাচিত মন্ত্রী হতেন। এই কথা কোনোদিনও বলতে পারতেন না। আপনার লজ্জা হওয়া উচিত ছিল। আপনার বক্তব্যের পরের দিন ডিআরইউতে (ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি) সাংবাদিকরা বিক্ষোভ করে। সেদিন আপনার পদত্যাগ করা উচিত ছিল। আপনি পদত্যাগ করেন নাই।’ জাতীয়তাবাদী নাগরিক পরিষদের উদ্যোগে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং ‘একতরফা’ নির্বাচন বাতিলের দাবিতে এই মানববন্ধন হয়। সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি এসএম আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক গাফফার হোসেন ডিপটির সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বিএনপির আবদুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, তাইফুল ইসলাম টিপু, এজমল হোসেন পাইলট, কৃষক দলের কাজী মনিরুজ্জামান মুনির, জাহাঙ্গীর আলম, ইসমাইল হোসেন সিরাজী, কাদের সিদ্দিকী, নাগরিক পরিষদের জাহাঙ্গীর চৌধুরী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

দ্বাদশ সংসদ জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে না : রিজভী
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ অধিবেশন প্রসঙ্গে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘ডামি’ নির্বাচনের মাধ্যমে মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) যে সংসদের যাত্রা শুরু হচ্ছে, তা (সংসদ) জনগণের নয়। মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই কথা বলেন। রিজভী বলেন, একটি রাজনৈতিক দলের টিকে থাকার প্রধান ভিত্তি জনসমর্থন। তবে আওয়ামী লীগের জনভিত্তি ধসে গেছে। আওয়ামী লীগ একটি অপরাধপ্রবণ দল। সে কারণে দলটির নেতারা আবোলতাবোল বলেন। পরে সন্ধ্যায় আরেকটি সংবাদ সম্মেলনে রিজভী ঢাকাসহ সারা দেশে কালো পতাকা মিছিলে বাধাদান, সিনিয়র নেতা ড. মঈন খান (পরে মুক্ত) সহ নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তারের নিন্দা জানিয়ে বলেন, এই সরকারের কোনো তর সইছে না। তারা অবৈধ ক্ষমতা জবরদখলে রাখতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। বাগেরহাটে বিএনপি নেতা কৃষিবিদ শামীমুর রহমানকে স্থানীয় এমপির নেতৃত্বে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অথচ তিনি কদিন আগেই মুক্তি পেয়ে গ্রামে যান তার মায়ের সঙ্গে দেখা করতে। আসলে দেশে কারও কোনো সম্মান ও নিরাপত্তা নেই। অন্যদিকে ওবায়দুল কাদের সাহেবরা রাষ্ট্রশক্তি ব্যবহার করে গায়ের জোরে নির্বাচন করে এখন অহঙ্কার করছেন। কিন্তু এসবের জবাব জনগণ দিবে। সবকিছুর একটা শেষ আছে। আপনারা পতনের পর কালো মিছিল করার জন্য অপেক্ষা করুন। রিজভী বলেন, অদ্ভুত সরকারের অভিনব কিসিমের অদ্ভুত এই সংসদের সব সদস্যই এক দলের। এই সংসদে বিরোধী দল কারা হবে, তারা কে কী বলবে- করবে, স্বতন্ত্রদের ভূমিকা কী হবে- সবকিছুই পুতুল খেলার মতো। সুতার গোড়া ধরে রাখবেন একজন। তিনি বলেন, তথাকথিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদকে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষ ও গণতান্ত্রিক বিশ্ব ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। এই সংসদ জনগণের নয়। নামে, বেনামে ও ছদ্মনামে এই সংসদের সবাই আওয়ামী লীগের লোক। রিজভী বলেন, এই সংসদে আওয়ামী লীগ এককভাবেই নিয়েছে ২২৩ আসন। ৬২ জন স্বতন্ত্র সদস্যের ৫৮ জনই আওয়ামী লীগের নেতা। আর জাতীয় পার্টি শেখ হাসিনার আশীর্বাদের বিরোধী দল। তিনি দয়া করে জাপাকে ১১টি আসন ছেড়ে দিয়েছেন। আওয়ামী লীগ নতুন নতুন অশুভ পরিকল্পনার মাধ্যমে জনগণকে বঞ্চিত করে ক্ষমতা ধরে রাখছে। এবারও তারা সাড়ে ১২ কোটি ভোটারকে বঞ্চিত করেছে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতার নেশায় আচ্ছন্ন। জনগণের ইচ্ছা-অনিচ্ছা আওয়ামী লীগের কাছে মূল্যহীন। সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, সাতক্ষীরার যুবদল নেতা আবদুস সাত্তার সোমবার রাতে জেলা কারাগারে মারা গেছেন। নির্যাতনের কারণে তিনি অসুস্থ ছিলেন। বিনা চিকিৎসায় কারাগারে তার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
৩০ জানুয়ারি, ২০২৪

ভোট দিলেন সোলায়মান সেলিম
ঢাকা-৭ আসনের নৌকার সংসদ সদস্য প্রার্থী মোহাম্মদ সোলায়মান সেলিম ভোট দিয়েছেন। রোববার (৭ জানুয়ারি) ইসলামিয়া উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন তিনি। এ সময় সোলায়মান সেলিমের সঙ্গে ছিলেন তার  স্ত্রী, ছোট ভাই ইরফান সেলিম ও তার স্ত্রীসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা।  এ সময় সোলায়মান সেলিম বলেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে শান্তির সপক্ষে আমার বাবা হাজী সেলিম যে লড়াই লড়েছেন সেই লড়াইকে অব্যাহত রাখতে চাঁদাবাজি সন্ত্রাসকে নির্মূল করতে ও স্মার্ট ঢাকা-৭ আসন তথাপি পুরান ঢাকা গড়তে নৌকার কোনো বিকল্প নেই। আমি নির্বাচিত হলে পুরান ঢাকার ঐতিহ্য রক্ষা করেই পুরান ঢাকার আমূল সংস্কার করব। নিরাপদ ও বসবাসের উপযোগী করে গড়ে তুলব পুরান ঢাকাকে। তিনি বলেন, রাজধানীর পুরান ঢাকাকে বাসযোগ্য করে তুলতে হলে সারাদেশের যে বৃহৎ পরিসরে উন্নয়নের কাজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার নিয়েছে তা পুরান ঢাকার ক্ষেত্রেও নিতে হবে। আমি নির্বাচিত হতে পারলে আদি ঢাকার ঐতিহ্য নষ্ট না করে পুরান ঢাকাকে আধুনিক ও স্মার্ট পুরান ঢাকা হিসেবে গড়ে তুলব। তিনি আরও বলেন,আমি আমার জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। ভোটাররা বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোট দিচ্ছে শান্তিপূর্ণভাবে। তার আগে সকাল সাড়ে ১০ টায় বর্তমান সাংসদ হাজী মোহাম্মদ সেলিম ভোট  দিয়ে চলে যান।
০৭ জানুয়ারি, ২০২৪

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ৭৪৭ জন 
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন ছিল বৃহস্পতিবার। আজ শুক্রবার থেকে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হতে ৩০০টি আসনে সর্বমোট ২ হাজার ৭১১টি মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছে। এর মধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছে ৭৪৭টি। এ ছাড়া ৩২টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে ১ হাজার ৯৬৬টি। আজ শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ এই তথ্য জানান। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ২৯৮টি আসনে মোট মনোনয়নপত্র দাখিল করেছে ৩০৩টি। পাঁচটি আসনে তাদের দুজন করে প্রার্থী রয়েছে। অপরদিকে জাতীয় সংসদে বিরোধীদল জাতীয় পার্টি ২৮৬টি আসনে ৩০৪টি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে। ১৮টি আসনে তাদের দুজন করে প্রার্থী রয়েছে। অন্যান্য দলগুলোর মধ্যে জাকের পার্টি (গোলাপ ফুল) ২১৮টি, তৃণমূল বিএনপি ১৫১টি, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি-এনপিপি ১৪২টি, বাংলাদেশ কংগ্রেস ১১৬টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ (মশাল) ৯১টি, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি ৮২টি, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট (ছড়ি) ৭৪টি, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফোরাম-বিএনএফ (টেলিভিশন) ৫৫টি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন-বিএনএম ৪৯টি, বাংলাদেশ তরীকত ফেডারেশন-বিটিএফ (ফুলের মালা) ৪৭টি, ইসলামী ঐক্যজোট ৪৫টি, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ (চেয়ার) ৩৯টি, বাংলাদেশ ইসলামিক ফ্রন্ট (মোমবাতি) ৩৭টি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ (গামছা) ৩৪টি এবং ওয়ার্কার্স পার্টি (হাতুড়ি) ৩৩টি মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে। এ ছাড়াও গণফ্রন্ট (মাছ) ২৫টি, জাতীয় পার্টি-জেপি (বাইসাইকেল) ২০টি, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি (হাতঘড়ি) ১৮টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (কাঁঠাল) ১৩টি, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন (বটগাছ) ১৩টি, গণতন্ত্রী পার্টি (কবুতর) ১২টি গণফোরাম উদীয়মান (সূর্য) ৯টি, সাম্যবাদী দল (চাকা) ছয়টি, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ম্যাপ (কুঁড়েঘর) ছয়টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএল (হাত [পাঞ্জা]) পাঁচটি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (হারিকেন) দুটি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম (খেজুর গাছ) একটি, খিলাফত মজলিস (রিকশা) একটি এবং বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল একটি করে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছে। এদিকে বিএনপিসহ (ধানের শীষ) নিবন্ধিত দলগুলোর মধ্যে লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি-এলডিপি, ইসলামী আন্দোলন (হাতপাখা), সিপিবি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি (কোদাল), খিলাফত মজলিস (দেয়াল ঘড়ি), জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (সিংহ), ইনসানীয়ত বিপ্লব বাংলাদেশ (আপেল), বাংলাদেশ জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (মোটরগাড়ি), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি (গরুর গাড়ি) এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল আর্মি পার্টি বাংলাদেশ ন্যাপ (গাভী) নির্বাচনের অংশ না নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।
০১ ডিসেম্বর, ২০২৩

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন সরাসরি ভোটে নারী প্রার্থী কমেছে
আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ৩৬টি আসনে নারী প্রার্থীরা সরাসরি ভোট করবেন। এর মধ্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাসহ এ দলের ২৪ জন, জাতীয় পার্টির ৭ জন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ (ইনু) এবং স্বতন্ত্র ২ জন প্রার্থী রয়েছেন। এর মধ্যে তৃতীয় লিঙ্গের ২ জন রয়েছেন। একাদশে নারী প্রার্থীর সংখ্যা ছিল ৬৯ জন। এ হিসাবে সাধারণ আসনে একাদশের চেয়ে দ্বাদশে নারী প্রার্থী কমেছে ৩৩ জন। দেশের অন্যতম বড় দল বিএনপি নির্বাচনে না আসায় নারী প্রার্থী কমেছে। একাদশে ৬৯ নারী প্রার্থীর মধ্যে নির্বাচিত হন ২২ জন। এর মধ্যে দলীয়প্রধান শেখ হাসিনাসহ ১৯ জনই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত। এর বাইরে জাতীয় পার্টি থেকে দুজন এবং জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ থেকে একজন নারী নির্বাচিত হয়েছিলেন। মনোনয়নপত্র জমাদানের পর আসন বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পাওয়া গেছে। এবার আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে সরাসরি ভোটের যুদ্ধে অংশ নেওয়া ২৪ জনের মধ্যে দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা রয়েছেন। তিনি এবারও গোপালগঞ্জ-৩ আসনে প্রার্থী হয়েছেন। জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী রংপুর-৬, সংসদের উপনেতা মতিয়া চৌধুরী শেরপুর-২ ও শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি চাঁদপুর-৩ আসনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবেন। এবার প্রথমবারের মতো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন দুজন নারী। তারা হলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদ ও নিলুফার আনজুম। এর মধ্যে বরিশাল-৪ (মেহেন্দিগঞ্জ এবং হিজলা উপজেলা) আসনে শাম্মী এবং ময়মনসিংহ-৩ (গৌরীপুর উপজেলা) আসনে নিলুফার সরাসরি নির্বাচন করবেন। শাম্মী মনোনয়ন পেয়েছেন পঙ্কজ নাথের জায়গায়। ২০০৮ সাল থেকে বরিশাল-৪ আসনের সংসদ সদস্য পঙ্কজ। ময়মনসিংহ-৩ আসনে প্রথমবারের মতো মনোনয়ন পাওয়া নিলুফার আনজুম গৌরীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। তার স্বামী প্রয়াত মাহবুবুল হক (শাকিল) প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ছিলেন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের অন্যদের মধ্যে রয়েছেন, গাজীপুর-৪ আসনে সিমিন হোসেন (রিমি), গাইবান্ধা-২ আসনে মাহবুব আরা বেগম গিনি, গাইবান্ধা-৩ আসনে উম্মে কুলসুম, মানিকগঞ্জ-২ আসনে মমতাজ বেগম, বাগেরহাট-৩ আসনে হাবিবুন নাহার, বগুড়া-১ আসনে সাহাদারা মান্নান, কিশোরগঞ্জ-১ আসনে সৈয়দা জাকিয়া নূর, মুন্সীগঞ্জ-২ আসনে সাগুফতা ইয়াসমিন, গাজীপুর-৫ আসনে মেহের আফরোজ, কুমিল্লা-২ আসনে সেলিমা আহমাদ ও গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে আফরোজা বারী। আওয়ামী লীগের আলোচিত সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমানের (বদি) স্ত্রী শাহীন আক্তার দ্বিতীয়বারের মতো কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে নৌকার টিকিট পেয়েছেন। বরগুনা-২ আসনে সুলতানা নাদিরা, গাজীপুর-৩ বাংলাদেশ কৃষক লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক রুমানা আলী, চট্টগ্রাম-২ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন খাদিজাতুল আনোয়ার, সিরাজগঞ্জ-২ আসনে জান্নাত আরা হেনরী, লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী এবং ঢাকা-৪ আসনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য সানজিদা খানম। এদিকে, জাতীয় পার্টি থেকে এবার ৭ জন সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এর মধ্যে রয়েছেন ঠাকুরগাঁও-২ (বালিয়াডাঙ্গী-হরিপুর) আসনে নুরুন্নাহার বেগম, ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনে মনিকা আলম, বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) আসনে নাসরিন জাহান রত্না, নেত্রকোনা-২ (সদর) আসনে রহিমা আক্তার আসমা সুলতানা, ঢাকা-১ (দোহার-নবাবগঞ্জ) অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম, কুমিল্লা-১০ (লাঙ্গলকোর্ট-সদর দক্ষিণ) আসনে জোনাকী মুন্সী এবং কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে হোসনে আরা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে নির্বাচন করবেন ঠাকুরগাঁও যুব মহিলা লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তাহমিনা আক্তার মোল্লা এবং গাইবান্ধা-৫ থেকে ফারজানা রাব্বি বুবলি। এ ছাড়া রংপুর-৩ (সদর-আংশিক সিটি) আসন থেকে নির্বাচনে অংশ নেবেন তৃতীয় লিঙ্গের আনোয়ারা ইসলাম রানী। বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টির (বিএসপি) প্রার্থী হিসেবে গাজীপুর-৫ আসনে থেকে নির্বাচন করবেন তৃতীয় লিঙ্গের ঊর্মি।
০১ জানুয়ারি, ১৯৭০

১৪১ জন সাবেক আমলার বিবৃতি / দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল বাতিলের আহ্বান
অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে ১৪১ জন বুধবার এক বিবৃতিতে বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিল বাতিল ও বিরোধী নেতাকর্মীদের মুক্তি প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন। বর্তমানে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে অর্থবহ সংলাপের মাধ্যমে একটি দলনিরপেক্ষ নির্বাচনকালীন সরকারের অধীনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পথ খুঁজে বের করার জন্য তারা ঘোষিত তফসিল বাতিল করার আহ্বান জানিয়েছেন। এ লক্ষ্যে তারা অবিলম্বে বিরোধী রাজনৈতিক দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ ও সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মুক্তি দিয়ে একটি সুস্থ ও অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তারা বলেন, দেশের জনগণ ও গণতান্ত্রিক বিশ্বের দাবি উপেক্ষা করে সরকারি দল তথা আওয়ামী লীগের পরামর্শ ও নির্দেশনা মোতাবেক আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন একতরফা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে দেশ ও জাতিকে একটি সংঘাতময় পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিয়েছে। নির্বাচন কমিশন সরকারের একতরফা নির্বাচন আয়োজনে সহায়ক ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে বলে তারা মনে করেন। সাবেক এই কর্মকর্তাগণ বলেন, সরকার জনআকাংক্ষা, অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের দাবী, সংবিধান বিশেষজ্ঞ, এমিকাস কিউরিদের বিশেষজ্ঞ মতামত, এমনকি নিজ দলের সংসদীয় কমিটির মূল সুপারিশ উপেক্ষা করে ১৯৯৬ সালে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে মীমাংসিত ও নন্দিত নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা ২০১১ সনে বাতিল করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সুযোগ সৃষ্টি করে। তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিলের পর ২০১৪ ও ২০১৮ সনে অনুষ্ঠিত ২ টি নির্বাচনে জনগণ আর ভোট দিতে পারেনি। বিশেষ করে ২০০৮ এর পর নতুনভাবে ভোটার হওয়া কোটি কোটি যুবক ভোটার এ পর্যন্ত একবারের জন্যও ভোট দিতে পারেনি। ২০১৪ সালের একতরফা নির্বাচনে নজিরবিহীনভাবে ১৫৩ জন সংসদ সদস্যকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করিয়ে নেওয়া হয়। আলোচনার মাধ্যমে সরকার সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করলেও ২০১৮ সনের নির্বাচনটি প্রহসনে পরিণত হয়। নির্বাচনের আগের দিন মধ্যরাতে ভোট হয়ে যাওয়ার বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ ওঠে ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে। তারা বলেন- দেখা যায় বাংলাদেশে দলীয় সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত সকল নির্বাচনে ক্ষমতাসীনরাই বিজয়ী হয়েছে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সরকার পরিবর্তিত হয়েছে। সরকার ক্ষমতা হারানোর ভয়েই আদালতের রায়ের অজুহাত দেখিয়ে প্রতারণামূলকভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে বর্তমান সংকটের সৃষ্টি করেছে। দেশের বর্তমান সংবিধান এবং রুলস অব বিজনেস অনুসারে প্রধানমন্ত্রী সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী। যিনি একাধারে দলীয় প্রধান, সরকারের নির্বাহী প্রধান এবং সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের প্রধান। সামরিক-বেসামরিক প্রশাসন সরাসরি তাঁর নিয়ন্ত্রণে। এমনকি নির্বাচন কমিশনসহ কোনো সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগেও তাঁর পছন্দের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। ইতোমধ্যে নির্বাচনকে সামনে রেখে জনপ্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে দলীয় সরকারের ইচ্ছামত ঢেলে সাজানো হয়েছে। এমন বাস্তবতায় দেশের জনগণ, অধিকাংশ রাজনৈতিক দল এবং গণতান্ত্রিক বিশ্বের প্রত্যাশিত অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনে সম্ভব নয়। সাবেক এই সরকারি কর্মকর্তারা বিবৃতিতে আরও বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার সাথে লক্ষ্য করছি সরকার ২০১৪ ও ২০১৮ এর ন্যায় আরও একটি একতরফা প্রহসনের নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে একের পর এক বিভিন্ন নিপীড়নমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে। ২৮ অক্টোবর পরবর্তী বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে অসংখ্য গায়েবী মামলা দায়ের এবং নির্বিচারে গ্রেফতার করা হচ্ছে। মৃত, গুম, বিদেশে অবস্থানরত, ইতোপূর্বে গ্রেফতার হয়ে কারান্তরীণ ব্যক্তিদেরও নতুন মিথ্যা মামলায় আসামী করা হচ্ছে। এমনকি মৃত ও গুমের শিকার অনেক নেতাকর্মীদের সাজানো মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে। আইন বহির্ভূতভাবে পিতার পরিবর্তে পুত্রকে, পুত্রের পরিবর্তে পিতাকে, ভাইয়ের বদলে অন্য ভাই বা আত্মীয়-স্বজনকে ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। আরও উদ্বেগের বিষয় হচ্ছে রাতের অন্ধকারে মুখোশধারী এবং হেলমেট বাহিনী দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের গুপ্তহত্যা চালাচ্ছে। বিভিন্ন প্রচার মাধ্যম ব্যবহার করে বিরোধী দলের প্রতি বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচার করে চলেছে সরকার। তারা বলেন, রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে আন্তর্জাতিক মহল কর্তৃক বিরোধী রাজনৈতিক দলের সাথে সংলাপের প্রস্তাবও নাকচ করে দিয়েছে সরকার। এহেন পরিস্থিতিতে হঠাৎ করে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন সরকারের একতরফা নির্বাচনে সহায়ক ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে বলে আমরা মনে করি। সাবেক আমলারা বলেন, এদেশের ভোটাধিকার বঞ্চিত জনগণ দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে অর্থবহ সংলাপের মাধ্যমে সংবিধানের বাইরে গিয়েও বর্তমান রাজনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব। কারণ নিকট অতীতে অর্থাৎ ১৯৯১ সাল এবং ২০০৮ সালে সংবিধানের বাইরে যেয়ে এ কাজটি করার নজির রয়েছে। ১৯৯১ সালে ঘটনাত্তোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। সে সময় ‘ডক্ট্রিন অব নেসেসিটি’ প্রয়োগ করে সংবিধানের বাইরে গিয়ে তৎকালীন প্রধান বিচারপতিকে রাষ্ট্রপতি পদে আসীন করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পর তাঁকে পুনরায় প্রধান বিচারপতি পদে ফেরৎ যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয় যা পরবর্তী সংসদে ঘটনাত্তোর অনুমোদন এর মাধ্যমে সংবিধানসম্মত করা হয়। ২০০৭-০৮ সালের সেনা সমর্থিত জরুরী সরকার ৯০ দিনের স্থলে সংবিধানের বাইরে গিয়ে অতিরিক্ত প্রায় ২ বছরকাল ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন পরিচালনা করেন। উক্ত অতিরিক্ত মেয়াদকালকে সংবিধান (ত্রয়োদশ সংশোধন) আইন, ১৯৯৬ বাতিল করে প্রদত্ত রায়ে/আদেশে মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক মার্জনা করা হয়। রায়ে বলা হয়, ২০০৭ সালের দ্বিতীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ৯০ দিন মেয়াদ পরবর্তী অতিরিক্ত প্রায় দুই বছরের সময়কাল প্রশ্নবিদ্ধ বিধায় ওই অতিরিক্ত সময়কালের কার্যাবলী মার্জনা করা হইলো। মোদ্দা কথা রাজনৈতিক সমঝোতা হলে প্রয়োজনে ‘ডক্ট্রিন অব নেসেসিটি’ প্রয়োগ করে যেকোনো প্রতিবন্ধকতাই সফলভাবে কাটিয়ে উঠা সম্ভব। ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল মামলার রায়ে তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বাতিল করলেও আদালত বৃহত্তর জাতীয় স্বার্থ ও জাতীয় নিরাপত্তার বিবেচনায় উল্লেখ করে বিচারপতিদের সম্পৃক্ত না করে পরবর্তী ২ টি নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় অনুষ্ঠানের পক্ষে রায় প্রদান করেন, যা সরকার সচেতনভাবে অমান্য করে। তারা বলেন, আরও একটি বিতর্কিত ও একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে বাংলাদেশে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সংকট আরও ঘণীভূত হবে। দেশের ও আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগকে উপেক্ষা করে আরও একটি একতরফা প্রহসনের নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিকে অগ্রসর হলে এর সকল দায়-দায়িত্ব মূলত সরকারকে বহন করতে হবে বলে আমরা মনে করি। সাবেক সচিব ইসমাইল জবিউল্লাহ ও যুগ্ম সচিব মো. আব্দুল বারী স্বাক্ষরিত বিবৃতিদাতা অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তারা হলেন, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব এএসএম আব্দুল হালিম, সাবেক আইজিপি মো. আবদুল কাউয়ুম, সাবেক সচিব সৈয়দ সুজাউদ্দিন আহমেদ, মোঃ আব্দুর রশীদ সরকার, আবু মোঃ মনিরুজ্জামান খান, এএমএম নাছির উদ্দিন, মোঃ মনিরুল ইসলাম, মোঃ শরফুল আলম। এছাড়া এম সিরাজ উদ্দিন, ড. মোহাম্মদ জকরিয়া, মকসুমুল হাকিম চৌধুরী, মোঃ আবদুজ জাহের, আফতাব হাসান, মোঃ আজিজুল ইসলাম, সাবেক এটর্নি জেনারেল ইকতেদার আহমেদ, মোঃ মনসুর আলম, এ কে এম মাহফুজুল হক, শেখ মোঃ সাজ্জাদ আলী, মোঃ মেজবাহুন্নবী, বাহারুল আলম, মোহাম্মদ মাজেদুল হক, মোঃ খান সাঈদ হাসান, মোঃ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, মোহাঃ আবুল কালাম আজাদ, এম আকবর আলী, ডাঃ এ জেড এম জাহীদ হোসেন, বিজন কান্তি সরকার, এ বি এম আব্দুস সাত্তার, তপন চন্দ্র মজুমদার, এ কে এম জাহাঙ্গীর, আখতার আহমেদ, এস এম শমসের জাকারিয়া, মুন্সি আলাউদ্দিন আল আজাদ, ড. মোঃ আব্দুস সবুর, মোঃ আতাউল হক মোল্লা, এ এইচ এম মোস্তাইন বিল্লাহ, মোঃ আব্দুল খালেক, এম এম সুলতান মাহমুদ, মোঃ ফিরোজ খান নুন, মোঃ ওয়াছিম জাব্বার, মোঃ এমদাদুল হক, খদকার মোঃ মোখলেছুর রহমান, মোঃ ফেরদৌস আলম, মোঃ ফজলুল করিম, মোঃ আবু তালেব মোঃ আমিনুল ইসলাম, ড. মোঃ ফেরদৌস হোসেন, মোঃ গিয়াস উদ্দিন মোগল, মোঃ আফজল হোসেন, মোঃ শেফাউল করিম, জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী, শহীনুল ইসলাম, সৈয়দ লোকমান আহমেদ, এস এম মনিরুল ইসলাম, মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর, মোঃ মহিবুল হক, মোঃ ফজলুল হক, মোঃ আজহারুল ইসলাম, বশীর উদ্দীন আহমেদ, মোঃ নবীউল হক মোল্যা, ড. নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া, মোঃ কামরুজ্জামান চৌধুরী, কাজী মেরাজ হোসেন, মোহাম্মদ মসিউর রহমান, আব্দুর রহিম মোল্লা, মোঃ শফিক আনোয়ার, মোঃ আব্দুল মান্নান, মোঃ আফতাব আলী, মোঃ তৌহিদুর রহমান, মোঃ আব্দুল্লাহ্ আল-বাকী, মোঃ জামাল হোসেন মজুমদার প্রমুখ।
২৩ নভেম্বর, ২০২৩

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ
নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন দলটির চেয়ারম্যান ছৈয়দ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদী। রোববার (১৯ নভেম্বর) সকালে পুরানা পল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম মজলিসে খাস’র এক সভায় আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের নিশ্চিত অংশগ্রহণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।  ছৈয়দ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, আগামী ২১ নভেম্বর (মঙ্গলবার) সকাল ১০টা থেকে দলীয় মনোনয়ন ফরম বিতরণ করা হবে। দলের চেয়ারম্যান মনোনয়ন ফরম বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন। আগ্রহী প্রার্থীদের ঢাকার পুরানা পল্টনস্থ দলীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে হবে।  এদিকে দলের চেয়ারম্যান ছৈয়দ বাহাদুর শাহ মোজাদ্দেদীকে প্রধান এবং অধ্যক্ষ আল্লামা জয়নুল আবেদীন জুবাইরকে সচিব করে ১৪ সদস্যবিশিষ্ট একটি নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠন করা হয়েছে।  সভায় আসন্ন নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক করতে ইসির দায়িত্বশীল ভূমিকার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়। পাশাপাশি একটি অর্থবহ সমঝোতার মাধ্যমে নির্বাচনকেন্দ্রিক সৃষ্ট সংকটের অবসানে অংশীজনদের কার্যকর ভূমিকায় এগিয়ে আসার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন জয়নুল আবেদীন জুবাইর, এসএম ফরিদ উদ্দীন, কাজী জসিম উদ্দীন, সম হামেদ হোসাইন, খাজা আরিফুর রহমান তাহেরী, মোশাররফ হোসেন হেলালী, এইচএম মুজিবুল হক শাকুর, এম ইব্রাহীম আখতারী, হাবিবুর রহমান মুকুল ও মাওলানা শামসুদ্দোহা প্রমুখ।
১৯ নভেম্বর, ২০২৩

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন কবে, জানালেন ইসি আনিছুর
২০২৪ সালের প্রথম মাস জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান। তবে তারিখ এখনো ঠিক করা হয়নি বলে তিনি জানান। শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রশিক্ষকদের প্রশিক্ষণের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। আনিছুর রহমান বলেন, ‘নির্বাচনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়ে গেছে। ভোট হবে ব্যালটে। নির্বাচন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে আইনে প্রিসাইডিং অফিসারের ভোট বন্ধ করার ক্ষমতা দেওয়া আছে। এগুলো জানতে হবে।’ এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আইন করে প্রিসাইডিং কর্মকর্তার ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন করাটাই সার্থকতা হবে ইসির। আমরা চাই, নির্বাচন শুধু অবাধ সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ নয়, বিশ্বাসযোগ্য হতে হবে।’ প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের উদ্দেশে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘মাস্টার ট্রেইনার হিসেবে আপনাদের সব জানতে হবে। নয়তো মাঠে গিয়ে প্রশিক্ষণ দিলে ভুল হবে।’ নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা বলেন, ‘নির্বাচন যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয় সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। পেশাদারির সঙ্গে, সাহসের সঙ্গে ভোটের মাঠে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

নির্বাচন পর্যবেক্ষক হওয়ার জন্য কী যোগ্যতা লাগে?
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সক্রিয় হচ্ছে বিভিন্ন নির্বাচন পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা। সম্প্রতি বাংলাদেশে ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম নামে একটি সংগঠন কয়েকজন বিদেশি নাগরিককে এনে ‘নির্বাচন পর্যবেক্ষক’ হিসেবে যেভাবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে, সেটি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে বিভিন্ন মহলে।  এই বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করেছে বিবিসি বাংলা। সেখানে বলা হয়, এই বিদেশি নাগরিকরা ‘নির্বাচন পর্যবেক্ষক’ পরিচয়ে গত কয়েকদিনে বাংলাদেশ সফর করেছেন। তারা নির্বাচন কমিশন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সাথে বৈঠকও করেছেন। বিভিন্ন পক্ষের সাথে বৈঠকের পর গণমাধ্যমে দেওয়া বক্তব্যে এই দলের একজন সদস্য বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনের ‘সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের সক্ষমতার ওপর আস্থা’ প্রকাশ করেন। নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নেওয়া পদক্ষেপ নিয়েও সন্তোষ প্রকাশ করেন তারা। চারজনের এই ‘পর্যবেক্ষকদের’ দলে রয়েছেন আমেরিকা, আয়ারল্যান্ড, চীন ও জাপানের চার নাগরিক। নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে এমন সময় এই বিদেশি নাগরিকরা সন্তুষ্টি প্রকাশ করল যখন নির্বাচনের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ক্রমাগত অসন্তোষ জানিয়ে আসছে। এ ছাড়া বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সরকারের ওপর আমেরিকা ও ইউরোপের চাপ বাড়ছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই এই চারজন বিদেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষকের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।  আরও পড়ুন : নির্বাচন নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নকে যা বলল ইসি নির্বাচন পর্যবেক্ষক আসলে কারা হতে পারে? এবং কোন মানদণ্ডে নির্বাচন পর্যবেক্ষকের বিশ্বাসযোগ্যতা নির্ধারিত হয়? সে প্রশ্ন স্বাভাবিকভাবেই ওঠে। নির্বাচন পর্যবেক্ষক কারা? নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষক কোনো প্রতিষ্ঠানের হয়ে অথবা ব্যক্তিগতভাবে কাজ করতে পারেন। নির্বাচন পর্যবেক্ষকের নিরপেক্ষতা নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ায় বলে মন্তব্য করেন নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. আবদুল আলীম। ‌‘যে কোনো নির্বাচন পর্যবেক্ষণের প্রধান লক্ষ্য ভোটারের বিশ্বাস (নির্বাচনের প্রতি) বাড়ানো ও নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা প্রচার করা। তাই কোনো পর্যবেক্ষক যদি কোনো দলের প্রতি পক্ষপাতমূলক মন্তব্য করেন তাহলে পর্যবেক্ষকের বিশ্বাসযোগ্যতা থাকে না।’ সাধারণত নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে যাদের দীর্ঘ সময় কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে, নির্বাচনি আইন বা আন্তর্জাতিক আইন নিয়ে কাজ করে থাকে– এমন ব্যক্তিরা সাধারণত নির্বাচন পর্যবেক্ষক হয়ে থাকেন বলে বলছিলেন ২০০৮ সালের নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্বে থাকা শাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলছিলেন, ‘যেসব আন্তর্জাতিক সংস্থা উন্নয়ন, রাজনীতি নিয়ে কাজ করে থাকে, সেসব প্রতিষ্ঠান আলাদাভাবে বা সংশ্লিষ্ট দেশের অর্থায়ন পায় নির্বাচন পর্যবেক্ষক পাঠানোর জন্য। যেমন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পর্যবেক্ষক দলে ওইসব দেশের নাগরিকরা থাকবে যারা ইইউ দেশগুলোতে নির্বাচন, গণতন্ত্র, আন্তর্জাতিক আইন নিয়ে কাজ করে থাকেন।’ ‘২০০৮ সালের নির্বাচনে অনেক দেশের প্রাক্তন মন্ত্রী, বিচারপতি, বিভিন্ন দেশের প্রশাসনে ও নির্বাচন কমিশনে কাজ করা সাবেক কর্মকর্তারা এসেছিলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের পর্যবেক্ষক দলের সদস্য হয়ে।’ কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থার হয়ে বা ব্যক্তিগতভাবে আসা নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা সাধারণত যেই দেশ থেকে আসেন, সেই দেশের অনুমতি নিয়ে এসে থাকেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কমনওয়েলথ সেক্রেটারিয়েট, কার্টার সেন্টার, ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন, ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি বলে বলছিলেন ড. আলীম। নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের কাজ কী? নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা কোনো একটি নির্বাচন শেষে প্রতিবেদন দেন যে সেই নির্বাচনটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হলো কিনা। অর্থাৎ একটি নির্বাচন গুণগতভাবে কতটা বিশ্বাসযোগ্য ও গ্রহণযোগ্য হয়েছে, সেই বিষয়টি উঠে আসে নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের প্রতিবেদনে। তবে নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের প্রতিবেদন সাধারণত নির্বাচনের ফলাফল বা নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতিতে কোনো প্রভাব ফেলে না বলে বলছিলেন নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ড. আলীম। ‘সাধারণভাবে পর্যবেক্ষকদের প্রতিবেদনকে পৃথিবীর কোথাও সেভাবে আমলে নেওয়া হয় না। ভবিষ্যতের নির্বাচন কীভাবে আরও ভালোভাবে আয়োজন করা যায়, পর্যবেক্ষকদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সেই বিষয়টি ঠিক করে নির্বাচন কমিশন।’ এম সাখাওয়াত হোসেন বলছিলেন, নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা নির্বাচন চলাকালীন পুরো পরিস্থিতি শুধু দেখে যান এবং পরবর্তীতে সেই বিষয়ে তাদের প্রতিবেদন প্রকাশ করেন। নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা, নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা বা কোনো ধরনের অনিয়ম দেখলেও পর্যবেক্ষকরা কোনো পদক্ষেপই নেন না। তাদের কাজ পুরো বিষয়টি দেখে প্রতিবেদন দেওয়া। তবে পর্যবেক্ষকদের প্রতিবেদন নির্বাচনের ফলাফলে কোনো প্রভাব ফেলে না। যেমন ক্যাম্বোডিয়ার সাম্প্রতিক নির্বাচনের পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়গুলো বলেছে- এটি একটি প্রহসনমূলক নির্বাচন হয়েছে। সেগুলোর ওপর ভিত্তি করে যুক্তরাষ্ট্র ক্যাম্বোডিয়ার নির্দিষ্ট কিছু ব্যক্তির ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করেছে। কিন্তু এর ফলে নির্বাচনের ফলাফলে কোনো প্রভাব পড়েনি। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে পর্যবেক্ষকদের প্রতিবেদন নির্বাচনের ফলেও প্রভাব ফেলার উদাহরণ রয়েছে বলে বলছিলেন ড. আবদুল আলীম। তিনি বলেন, কেনিয়ায় ২০১৭ সালের নির্বাচন শেষে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা বলেছিল, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়েছে। কিন্তু সেখানকার স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের প্রতিবেদনে উঠে আসে, নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। পরে আদালত এই পর্যবেক্ষকদের প্রতিবেদন আমলে নেন এবং কেনিয়ায় পুনর্নির্বাচন হয়। এ ছাড়া ২০০৩ সালে আর্মেনিয়ার নির্বাচনের ক্ষেত্রেও পর্যবেক্ষকদের প্রতিবেদন আদালতে আমলে নিয়েছিল বলে মন্তব্য করেন ড. আলীম।
০২ আগস্ট, ২০২৩
X