পর্যটন কেন্দ্র না থাকায় পথেপ্রান্তে ছুটছেন পর্যটকরা
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলা হতে পারে পর্যটনের শহর। এ উপজেলায় রয়েছে বিভিন্ন বিখ্যাত স্থান। আর সেই স্থানসমূহকে ঘিরে পাটগ্রামকে পর্যটন শহর গড়ার উজ্জ্বল সম্ভাবনা থাকলেও নেই কোনো সরকারি উদ্যোগ। আর এই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করলে সরকার পাবে কোটি টাকার রাজস্ব। পাটগ্রামের রাবার ড্যাম, কাউয়ামারী এলাকার ধরলা সেতুসমূহে পর্যটনশিল্প গড়ে তোলা সম্ভব। এ ছাড়াও তিন বিঘা করিডোরের দুই পাশের জায়গা ও বিভিন্ন রকমের ফুল ও ফলের গাছ লাগানো এবং দৃষ্টিনন্দন ও সৌন্দর্য ব্যবস্থা করা। উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের জিরো পয়েন্ট এবং বাঁধের মাথা এলাকায় বিনোদন কেন্দ্র স্থাপন করা যেতে পারে। পাটগ্রাম ধরলা নদীতে নির্মিত রাবার ড্যাম ও কাউয়ামারী ধরলা ব্রিজের পাশে বিভিন্ন রকমের ফুল ও ফলের গাছ লাগানো, নদীতে পায়েচালিত নৌকা, স্পিডবোড দেওয়া, মিনি রেস্টুরেন্টসহ বিভিন্ন দোকান করা যাবে। উপজেলার সরকারি খাসজমির বড় মাঠে হতে পারে শিশুদের বিনোদনের জন্য শিশুপার্ক। পর্যটন কেন্দ্র না থাকায় এই সব জায়গায় ভিড় সবচেয়ে বেশি ভ্রমণপিয়াসীদের। এ ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন স্পটে ঢল নেমেছে পর্যটকদের। হাতিবান্ধা সরকারি আলিমুদ্দিন ডিগ্রি কলেজের অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্র মাহামুদ হাসান বলেন, ‘আমি হাতিবান্দা থেকে ঘুরতে এসেছি। এখানে ভালো কোনো পর্যটন কেন্দ্র না পাওয়ায় কাউয়ামারী ধরলা সেতু আসলাম। তবে এখানে যদি একটু সরকারি সহযোগিতায় ভালো একটি বিনোদন কেন্দ্র বানানো সম্ভব হতো তাহলে ভালো হতো।’ পাটগ্রাম আদর্শ ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র শাহ্ পরান আল জিসান বলেন, ‘বুড়িমারী স্থলবন্দরের মধ্যে সুন্দরতম একটি জায়গা হচ্ছে বাঁধের মাথা, যেখানে কোনো ধুলাবালি নেই, রয়েছে অপরূপ দৃষ্টির প্রকৃতি। যে দিকেই তাকাই প্রশান্তিতে চোখ জুড়িয়ে যায়। তবে একটি পর্যটন কেন্দ্র গড়ে উঠলে বেশ ভালো হবে।’  স্থানীয়দের দাবি, ‘সরকারের উদ্যোগে এ স্থানসমূহ রক্ষণাবেক্ষণ করে একটি পর্যটন কেন্দ্র স্থাপন করা হলে এলাকার পরিচিতি ও সুনাম আরও বেড়ে যাবে। শুধু পরিকল্পনা ও সিদ্ধান্তহীনতার অভাবে হারিয়ে যাচ্ছে পাটগ্রামের ঐতিহাসিক স্থানসমূহের ইতিহাস ঐতিহ্য। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ একটু নজর দিলেই হতে পারে পাটগ্রাম দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র। এ বিষয়ে পাটগ্রাম পৌরসভার মেয়র রাশেদুল ইসলাম সুইট বলেন, ‘আমাদের বিনোদন কেন্দ্র ও শিশুপার্ক করার পরিকল্পনা রয়েছে। সরকারি কোনো সহযোগিতা পেলে খুবই দ্রুত শিশুপার্ক ও বিনোদনকেন্দ্র আমরা স্থাপন করব।’
১৪ এপ্রিল, ২০২৪
X