ঢাকায় কাতারের আমিরের নামে সড়ক ও পার্ক
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির নামে রাজধানীতে একটি সড়ক ও পার্কের নামকরণ করা হচ্ছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতাধীন মিরপুরের কালশী এলাকায় বালুর মাঠে নির্মিতব্য পার্ক ও মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে কালশী উড়াল সেতু পর্যন্ত সড়কটি তার নামে নামকরণ করা হবে। আগামী মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় কাতারের দুটি স্থাপনা উদ্বোধনের কথা রয়েছে দেশটির আমিরের। ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম জানান, দুদেশের মধ্যে চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। এ সম্পর্ক এবং দেশটির আমিরের সফর স্মরণীয় করে রাখার লক্ষ্যে এ নামকরণ করা হচ্ছে। এ সময় তুরস্কের জাতির পিতা কামাল আতাতুর্কের কথা উল্লেখ করে বলেন, দুদেশের বন্ধুত্বের নিদর্শনস্বরূপ কামাল আতাতুর্কের নামে ঢাকার বনানীতে একটি সড়ক আছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামেও তুরস্কে একটি সড়কের নামকরণ করা হয়েছে। মেয়র আতিক বলেন, গত বছর ফেব্রুয়ারিতে এক জনসভায় কালশী বালুর মাঠে বিনোদন পার্ক ও খেলার মাঠ করার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী। সেজন্য উপহার হিসেবে ১৬ বিঘা জমিও বরাদ্দ দেন। ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম বলেন, মাঠ ও বিনোদন পার্কটিতে যুবকদের জন্য ক্রিকেট ও ফুটবল খেলার এবং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে। প্রবীণদের জন্য হাঁটার এবং শিশুদের খেলার জায়গা থাকবে। আগামী সোমবার দুদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে আসবেন কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। পরদিন মঙ্গলবার মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে কালশী উড়াল সেতু পর্যন্ত সড়ক ও পার্কের নাম ফলক উন্মোচন করবেন তিনি।
২০ এপ্রিল, ২০২৪

বিনামূল্যে ইন্টারনেট সেবা চালু করল রাকাব
ডেটা ছাড়াই রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের (রাকাব) সেবা প্রদান এবং রাকাব মোবাইল অ্যাপে ফ্রি ইন্টারনেট সেবা চালু হয়েছে। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে রাজশাহীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্ক মিলনায়তনে প্রধান অতিথি থেকে এই সেবার উদ্বোধন করেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ। ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিরঞ্জন চন্দ্র দেবনাথের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন রাকাবের চেয়ারম্যান ও সরকারের সাবেক সিনিয়র সচিব মো. রইছউল আলম মণ্ডল, আইসিটি বিভাগের যুগ্ম প্রকল্প পরিচালক (এটুআই প্রোগ্রাম) মোল্লা মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক রূপ রতন পাইন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি শেখ মোহাম্মদ সলীম উল্লাহ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে রাকাব এর অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন। আশা করেন যে, বিশেষায়িত ব্যাংকটি তার মানসম্পন্ন, সম্ভাবনাময় ও কল্যাণমুখী সেবা প্রদানের মাধ্যমে অতি শিগগিরই সফলতা অর্জন করবে। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাকাব পরিচালনা পর্ষদের চেয়ার‌ম্যান রইছউল আলম মন্ডল বলেন, এটুআই প্রোগ্রামের কেন্দ্রীয় ই-পেমেন্ট সিস্টেম ekpay এর মাধ্যমে রাকাবের সেবা প্রদান এবং রাকাব মোবাইল অ্যাপে ফ্রি- ইন্টারনেট সেবা কার্যক্রমের সংযোজনের মধ্য দিয়ে অনগ্রসর এলাকায় আধুনিক ব্যাংকিং সেবাদানে রাকাব আরও একধাপ এগিয়ে গেল। এর ফলে গ্রাহকগণ নিরবচ্ছিন্ন ই-ব্যাংকিং সেবা গ্রহণ করতে পারবেন বলে আশা ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নিরঞ্জন চন্দ্র দেবনাথ বলেন, কৃষি ও গ্রমীণ অবকাঠামো উন্নয়ন, দেশের খাদ্য নিরাপত্তা ও পল্লী কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে রাকাব বিশেষ ভূমিকা পালন করছে। কৃষকের দোরগোড়ায় অনলাইন ব্যাংকিং ও স্মার্ট মোবাইল অ্যাপভিত্তিক ব্যাংকিং সুবিধা প্রদানে রাকাব অঙ্গীকারবদ্ধ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ব্যাংকটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, সাধারণত রাকাব মোবাইল অ্যাপসহ সকল অ্যাপ ব্যবহারের জন্য ইন্টারনেট প্রয়োজন হয়। ইন্টারনেট প্যাকেজের মেয়াদ বা ডেটা প্যাক না থাকলে অ্যাপ ব্যবহার করা যায় না। তবে রাকাবের গ্রাহকদের নিরবচ্ছিন্ন সেবা প্রদানের উদ্দেশ্যে ডেটা ছাড়াই ব্যাংকটি শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই ফ্রি ইন্টারনেট সেবা চালু করল। এখন থেকে রাকাবের গ্রামীণফোনের গ্রাহকরা ডেটা ছাড়াই রাকাব মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবে। এই সুবিধা পেতে গ্রাহককে শুধু ইন্টারনেট কানেকশন চালু রাখতে হবে। ডেটা ছাড়া ফ্রি ইন্টারনেটের মাধ্যমে রাকাব মোবাইল অ্যাপ ছাড়াও রাকাব লেন্স এর সকল সেবা পাওয়া যাবে। এই ফ্রি ইন্টারনেট সেবার মধ্য দিয়ে রাকাব ই-ব্যাংকিং গ্রাহক সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে। উল্লেখ্য, রাকাবের ৩৮৩টি শাখার আওতায় প্রায় ৫০ লাখ গ্রাহককে সুষ্ঠুভাবে ব্যাংকিং সেবা প্রদান করছে। ব্যাংকটি দীর্ঘদিনের লোকসান কাটিয়ে গত জুন ২০২৩ এ ৭২.৬৭ কোটি এবং অর্থবার্ষিক সমাপনী ডিসেম্বর ২০২৩ এ ৬৯.২৪ কোটি টাকা শাখা পর্যায়ে পরিচালনা মুনাফা অর্জন করে।
১৯ এপ্রিল, ২০২৪

ঢাকায় কাতারের আমিরের নামে সড়ক ও পার্ক
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির নামে রাজধানী ঢাকায় একটি সড়ক ও পার্কের নামকরণ করা হচ্ছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতাধীন মিরপুরের কালশী এলাকায় বালুর মাঠে নির্মিতব্য পার্ক ও মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে কালশী উড়াল সেতু পর্যন্ত সড়কটি আমিরের নামে নামকরণ করা হবে। আগামী মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির এ দুটি স্থাপনা উদ্বোধনের কথা রয়েছে। এ বিষয়ে ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, কাতার বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের পরীক্ষিত বন্ধুরাষ্ট্র। বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে দুদেশের মধ্যে চমৎকার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। দুই দেশের মধ্যে বন্ধুত্বের এ সম্পর্ক এবং আমিরের এ সফরকে স্মরণীয় করে রাখার লক্ষ্যে তার নামে এই পার্ক ও রাস্তার নামকরণ করা হচ্ছে। এ সময় তিনি তুরস্কের জাতির পিতা কামাল আতাতুর্ক’র কথা উল্লেখ করে বলেন, দুই দেশের বন্ধুত্বের নিদর্শন স্বরূপ কামাল আতাতুর্কের নামে রাজধানীর বনানীতে একটি সড়ক রয়েছে। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামেও তুরস্কে একটি সড়কের নামকরণ করা হয়েছে। মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, গত বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক জনসভায় কালশী এলাকার বালুর মাঠে বিনোদন পার্ক ও খেলার মাঠ করার ঘোষণা দেন। তিনি ওই এলাকার মানুষের জন্য উপহার হিসেবে ১৬ বিঘা জমি খেলার মাঠ ও পার্কের জন্য বরাদ্দ দেন। ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম বলেন, মাঠ ও বিনোদন পার্কটিতে যুবকদের জন্য ক্রিকেট ও ফুটবল খেলার ব্যবস্থা এবং প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবস্থা থাকবে। প্রবীণদের জন্য হাঁটার ব্যবস্থা এবং শিশুদের খেলাধুলার জায়গা থাকবে। আগামী মঙ্গলবার কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি মিরপুর ইসিবি চত্বর থেকে কালশী উড়াল সেতু পর্যন্ত সড়ক ও পার্কের নামফলক উন্মোচন করবেন। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি আগামী সোমবার দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে আসছেন।
১৯ এপ্রিল, ২০২৪

গাজীপুরে দর্শনার্থীদের জন্য প্রস্তুত বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক
উন্মুক্ত বনে ঘুরে বেড়াচ্ছে হিংস্র রয়েল বেঙ্গল টাইগার, সিংহ অথবা ভালুক। কাছ থেকে দেখার রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা অর্জনের এমন সুযোগ শুধু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাফারি পার্কে সম্ভব। আর প্রতি ঈদে ভ্রমণপিপাসুদের প্রথম পছন্দ এই পার্ক। পার্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঈদে বিপুলসংখ্যক পর্যটকের সমাগম ঘটে। তাদের জন্য পার্কের রাস্তা, সৌন্দর্যবর্ধনকারী গাছপালা এবং প্রাণীদের বেষ্টনীগুলো পরিষ্কার-প‌রিচ্ছন্ন করা হয়েছে। জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তাব্যবস্থা। সরেজমিনে দেখা গেছে, গাজীপুরের শ্রীপুরের বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্কে ঈদ উপলক্ষে বিনোদন ও প্রকৃতিপ্রেমীদের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে নতুন সাজে। ৩৮ হাজারের বেশি একর বনভূমিতে গড়ে তোলা পার্কটি দুই ভাগে বিভক্ত। একটি কোর সাফারি এবং অপরটি সাফারি কিংডম। পার্কের সামনে অল্প এগোলেই ডান পাশে পড়বে কোর সাফারি এবং বাম দিকে সাফারি কিংডম। ওপর থেকে দেখার জন্য পার্কের ভেতরে রয়েছে কয়েকটি ওয়াচ টাওয়ার। আছে ঝুলন্ত ব্রিজ ও হাতিতে চড়ার ব্যবস্থা। বাঘ ও সিংহের বেষ্টনীর কাছে দুটি রেস্তোরাঁ রয়েছে।  এই রেস্তোরাঁয় বসে খাবার খেতে খেতে বাঘ-সিংহ কাছ থেকে দেখার সুযোগ মিলে যেতে পারে। কোর সাফারিতে বেষ্টনীর ভেতর আলাদা আলাদাভাবে বাঘ, সিংহ, ভালুক, জিরাফ, জেব্রা, বিভিন্ন প্রজাতির হরিণ, গয়াল, নীলগাই  উন্মুক্ত আকারে রাখা হয়েছে। বিশেষভাবে তৈরি গাড়িতে করে কোর সাফারিতে প্রবেশ করতে হয়। সাফারি কিংডমে হেঁটে ঘুরে বেড়াতে হয়। এখানে রাখা প্রাণিগুলো আবদ্ধ করে রাখা।   এখানে  রয়েছে প্রকৃতিবীক্ষণ কেন্দ্র, ম্যাকাউ ল্যান্ড, ছোট পাখিশালা, ফেন্সি ডাক গার্ডেন, কুমির পার্ক, প্রজাপতি গার্ডেন, ইমু/অস্ট্রিচ গার্ডেন, কচ্ছপ ও কাছিম প্রজনন কেন্দ্র,  লিজার্ড পার্ক, ভালচার হাউস, হাতিশালা, মেরিন অ্যাকোয়ারিয়াম, অর্কিড হাউস, পেলিকন আইল্যন্ড ঝুলন্ত ব্রিজ, এগ ওয়ার্ল্ড, ধনেশ এভিয়ারি, প্রাইমেট হাউস, লেক জোন, বোটিং লেক, লাম চিতার ঘর, ক্যাঙ্গারু এভিয়ারি, প্রাকৃতিক ইতিহাসের জাদুঘর, শিশু পার্ক। কোর সাফারি এবং সাফারি কিংডমে প্রবেশ করতে হয় টিকিট কেটে। ইজারাদাররা বলেছেন, ঈদে পর্যটকদের সমাগম বাড়ে। এ উপলক্ষে পরিবারের মধ্যে থাকা শিশুদের বিনা টিকিটে প্রবেশের সুযোগ থাকছে। এছাড়া অনেক প্রাণীর নতুন শাবকের জম্ম হয়েছে যা দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করবে। সাফারি পার্কের তত্ত্বাবধায়ক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, যে কোনো উৎসব এবং ছুটির দিনে বিনোদন ও প্রকৃতিপ্রেমী মানুষের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক। ঈদের দিন থেকে শুরু করে পরের বেশ কিছুদিন দেশের নানা প্রান্ত থেকে হাজার হাজার মানুষ এখানে আসে। তাদের কথা বিবেচনা করে পার্কের রাস্তা, সৌন্দর্যবর্ধনকারী গাছপালা এবং প্রাণীদের বেষ্টনীগুলো পরিষ্কার-প‌রিচ্ছন্ন করা হয়েছে। ঈদে আগত পর্যটকদের  সুবিধার্থে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে জানিয়ে জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম বলেন , সাফারি পার্কসহ বিনোদন কেন্দ্রগুলোর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জেলা প্রশাসন নিবিড় যোগাযোগ রাখছে। এ ছাড়া সেখানে টুরিস্ট পুলিশ কাজ করছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাফারি পার্কে ৭০ প্রজাতির প্রায় ৫ হাজার প্রাণি রয়েছে। এগুলো ঈদ মৌসুমে দর্শনার্থীদের বাড়তি আনন্দ দেবে বলে মনে করছে পার্ক কর্তৃপক্ষ।
০৭ এপ্রিল, ২০২৪

‘দুর্নীতি প্রতিরোধে সব সেবা ডিজিটাইজেশন করছে সরকার’
রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্কে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ও স্টার্ট-আপদের অংশগ্রহণে দুর্নীতি প্রতিরোধে সচতনতা বৃদ্ধি শীর্ষক সেমিনার হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় রাজশাহীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্কের সভাকক্ষে এ সেমিনার হয়। এতে দুর্নীতি প্রতিরোধে সরকারি সেবা ডিজিটাইজেশনের বিষয়টি আলোচনায় ওঠে আসে। বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ; তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ আয়োজিত এ সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের পরিচালক (অর্থ ও প্রশাসন) মো. মোখতার আহমেদ। বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. গোলাম কিবরিয়ার সঞ্চালনায় হাই-টেক পার্কের আওতাধীন বিভিন্ন স্টেকহোল্ডাররা উপস্থিত ছিলেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনায় বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের পরিচালক মো. মোখতার আহমেদ বলেন, দুর্নীতি প্রতিরোধে সরকার সব সেবা ডিজিটাইজেশন করছে। ফলে বর্তমানে তথ্য অধিকার আইনের আওতায় যে কোনো তথ্য জনগণ জানতে পারে। এ ছাড়া জি আর এস বা অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থার মাধ্যমে সরকারি যে কোনো সেবা নিয়ে অভিযোগ থাকলে অনলাইনে দাখিল করা যায়। এর মাধ্যমে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি দ্রুত প্রতিকার পাবেন বলে আমরা আশা করি।
২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

রাজধানীতে দুই দিনব্যাপী ‘স্টাডি ইন ইন্ডিয়া এক্সপো’
রাজধানীর যমুনা ফিউচার পার্কে আগামী ২৩ ও ২৪ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে ‘স্টাডি ইন ইন্ডিয়া এক্সপো’। ভারতের উচ্চ র‌্যাঙ্কযুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ বোর্ডিং স্কুলগুলোর প্রতিনিধিরা এতে অংশ নিচ্ছেন। এছাড়া, এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা সঠিক কোর্স বেছে নিতে এবং ভর্তিসংক্রান্ত হালনাগাদ ও সঠিক তথ্য শেয়ার করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাউন্সেলিং করবেন। ‘স্টাডি ইন ইন্ডিয়া এক্সপো ২০২৪’-এ অংশগ্রহণ করে শিক্ষার্থীরা তাদের পছন্দের বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজে অন-স্পট আবেদন করার এবং ১০০ শতাংশ মেধাভিত্তিক স্কলারশিপ অর্জনের একটি অনন্য সুযোগ পাবেন।  অ্যাফেয়ার্স এক্সিবিশন অ্যান্ড মিডিয়া প্রা. লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্জীব বোলিয়া বলেন, উচ্চশিক্ষার শক্তিগুলোকে তুলে ধরাই হলো এক্সপোর মূল উদ্দেশ্য। ‘স্টাডি ইন ইন্ডিয়া এক্সপো’ শুধু ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজ বোর্ডিং স্কুলগুলোতে ছাত্রছাত্রীদের ভর্তির একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বিবেচিত হয় না, বরং অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ শিক্ষা, একাডেমিক অংশীদারত্ব; বিদেশে ভারতীয় ও স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সহযোগিতার জন্য একটি শক্তিশালী প্ল্যাটফর্ম হিসেবে বিবেচিত হয়। আমরা শিক্ষার্থীদের জন্য তথ্যের সঠিক উৎস থেকে দ্রুত অ্যাক্সেস ভাগ করে নেওয়ার পাশাপাশি ভর্তির প্রক্রিয়াকে সহজ করার লক্ষ্য রাখি। স্টাডি ইন ইন্ডিয়া এক্সপোতে কম্পিউটার সায়েন্স, মেকানিক্যাল অ্যান্ড সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং, বিবিএ, এমবিএ, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবোটিক্স, ক্লাউড কম্পিউটিং, হোটেল ম্যানেজমেন্ট, ট্যুরিজম ম্যানেজমেন্টের মতো জনপ্রিয় কিছু কোর্স অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো অফার করবে বলে জানা গেছে। অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটি (বিএইচইউ), শারদা ইউনিভার্সিটি, লাভলি প্রফেশনাল ইউনিভার্সিটি, চন্ডিগড় ইউনিভার্সিটি, অ্যামিটি ইউনিভার্সিটি, এসআরএম ইউনিভার্সিটি, মানব রচনা ইউনিভার্সিটি, কেআইআইটি ইউনিভার্সিটি, বিএমএস কলেজ অফ ইঞ্জিনিয়ারিং, পিডিইইউ, এমআইটি ওয়ার্ল্ড পিস ইউনিভার্সিটি, মোদি ইউনিভার্সিটি, এআইএমএস ব্যাঙ্গালোর, সিভি রমন বিশ্ববিদ্যালয়, আদিত্য গ্রুপ অফ ইনস্টিটিউটস, পিম্পরি চিঞ্চওয়াড় বিশ্ববিদ্যালয়, উডস্টক স্কুল-মুসৌরি, মেয়ো কলেজ বয়েজ এবং মেয়ো কলেজ গার্লস স্কুল-আজমের, সেন্ট পলস স্কুল-দার্জিলিং, আগা খান একাডেমি-ঢাকা, আগা খান একাডেমি-হায়দরাবাদ, কিংস কলেজ ইন্ডিয়া-ব্রিটিশ, বোর্ডিং স্কুল দিল্লি এনসিআর, ইউনিসন ওয়ার্ল্ড স্কুল, হেইলিবারি ভালুকা, শারদা ওয়ার্ড স্কুল, সান্তা মারিয়া ইন্টারন্যাশনাল স্কুল প্রমুখ। যেসব ছাত্রছাত্রীরা স্নাতক, স্নাতকোত্তর বা এমনকি কর্মজীবী পেশাজীবী তারা স্টাডি ইন ইন্ডিয়া এক্সপোতে যোগদান করতে পারবেন। শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের বিনামূল্যে এক্সপোতে অংশগ্রহণ করতে https://studyinindiaexpo.com/bangladesh/ এ নিবন্ধন করতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে।
২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ওয়ালটন দেশের বৃহৎ ও সফল প্রাইভেট হাই-টেক পার্ক : পলক
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ওয়ালটনকে দেশের সবচেয়ে সফল ও বৃহৎ প্রাইভেট হাই-টেক পার্ক হিসেবে অভিহিত করেছেন।  বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্স পরিদর্শনে এসে এমন মন্তব্য করেন প্রতিমন্ত্রী পলক। তিনি বলেন, হোম অ্যাপ্লায়েন্স ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য দিয়ে শুরু করে ওয়ালটন এখন ফ্রিজ, টেলিভিশনসহ অনেক স্মার্ট ডিভাইসে বিশ্বের সবচেয়ে ইউনিক ও ইনোভেটিভ সলিউশন এনেছে। যা বাংলাদেশকে একটি উদ্ভাবনী জাতি হিসেবে পরিণত করতে খুবই সহায়ক। ইলেকট্রনিক্স ও ডিজিটাল ডিভাইস পণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশকে আত্মনির্ভরশীল ও রপ্তানিকারক দেশে পরিণত হওয়ার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে ওয়ালটন। সরকারি প্রকিউরমেন্ট প্রক্রিয়ায় দেশে উৎপাদিত পণ্যের প্রতি গুরুত্বারোপ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত জনশুমারি প্রকল্পে ওয়ালটনের প্রায় ৪ লাখ ট্যাব ব্যবহৃত হয়েছিল। প্রকল্পে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাব ব্যবহার করায় সরকারের প্রায় ১৫০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছিল। ওয়ালটনের ওই ট্যাবগুলোর মান খুবই ভালো হওয়ায় জনশুমারি প্রকল্প শেষে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো থেকে ওয়ালটনকে ধন্যবাদপত্র দেওয়া হয়। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী খুশি হয়ে ট্যাবগুলো শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণের অনুমোদন দেন। সরকারি প্রকিউরমেন্টে এ রকম সাহসী পদক্ষেপ নেওয়া হলে কয়েক হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব। পরিদর্শনকালে দেশে প্রথমবারের মতো ওয়ালটন ডিজি-টেকের এসএসডি প্রোডাক্টের বাণিজ্যিক উৎপাদন কার্যক্রম উদ্বোধন করেন জুনাইদ আহমেদ পলক। পাশাপাশি তিনি ওয়ালটন-ল্যাপটপ ক্যাশব্যাক অফারের উদ্বোধন ঘোষণা করেন এবং নেক্সজি সিরিজের নতুন মডেলের স্মার্টফোন ‘এন৭২’ এর মোড়ক উন্মোচন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইসিটি সচিব মো. সামসুল আরেফিন, বঙ্গবন্ধু হাই-টেক পার্কের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জি এস এম জাফরউল্লাহ্, এটুআই’র প্রজেক্ট ডিরেক্টর মো. মামুনুর রশীদ ভূইয়া, ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল আলম, ম্যানেজিং ডিরেক্টর এস এম মঞ্জুরুল আলম এবং ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র পরিচালক ও ওয়ালটন টিভির মনিটরিং ডিরেক্টর রাইসা সিগমা হিমা। অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন ডিজি-টেকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর লিয়াকত আলী, ওয়ালটন হাই-টেকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. ইউসুফ আলীসহ ওয়ালটনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। হেডকোয়ার্টার্স পরিদর্শনকালে ওয়ালটন টিভির ক্লিনরুম ফ্যাসিলিটিতে বাংলাদেশে প্রস্তুতকৃত প্রথম স্যাটেলাইটের পূর্ণাঙ্গ সিমুলেশন কার্যক্রম পরিদর্শন করে মুগ্ধ হন প্রতিমন্ত্রী। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের প্রথম লুনার স্যাটেলাইট ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প বাস্তবায়নে এসপায়ার টু ইনোভেটকে (এটুআই) সহায়তা করছে ওয়ালটন টেলিভিশনের ক্লিনরুম রিসার্স ল্যাব ও টেকনোলজি।  উল্লেখ্য, ‘বিয়ন্ড সাউন্ড, বিয়ন্ড বাউন্ডারিস’ থিমের ওয়ালটনের নেক্সজি সিরিজের ‘এন৭২’ নতুন মডেলের স্মার্টফোনটিতে রয়েছে ডুয়াল স্টেরিও স্পিকার। ফলে এর ব্যবহারকারীরা মিউজিকে পাবেন এক অনন্য অভিজ্ঞতা। ওয়ালটন-ল্যাপটপ ক্যাশব্যাক অফারের আওতায় যে কোনো ধরনের কম্পিউটার পণ্য ও ডিভাইস ক্রয়ে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত ক্যাশব্যাক পেতে পারেন ক্রেতারা। 
১০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

ওয়ালটন দেশের সবচেয়ে বৃহৎ ও সফল প্রাইভেট হাই-টেক পার্ক : আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ওয়ালটনকে দেশের সবচেয়ে সফল ও বৃহৎ প্রাইভেট হাই-টেক পার্ক হিসেবে অভিহিত করেছেন।  বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হেড কোয়ার্টার্স পরিদর্শনকালে এই মন্তব্য করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।  তিনি জানান, হোম অ্যাপ্লায়েন্স ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য দিয়ে শুরু করে ওয়ালটন এখন ফ্রিজ, টেলিভিশনসহ অনেক স্মার্ট ডিভাইসে বিশ্বের সবচেয়ে ইউনিক ও ইনোভেটিভ সলিউশন এনেছে, যা বাংলাদেশকে একটি উদ্ভাবনী জাতিতে পরিণত করতে খুবই সহায়ক। ইলেকট্রনিক্স ও ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদনে বাংলাদেশকে আত্মনির্ভরশীল ও রপ্তানিকারক দেশে পরিণত হওয়ার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে ওয়ালটন।  সরকারি প্রকিউরমেন্ট প্রক্রিয়ায় দেশে উৎপাদিত পণ্যের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, গত জনশুমারি প্রকল্পে ওয়ালটনের প্রায় ৪ লাখ ট্যাব ব্যবহৃত হয়েছিল। ওই প্রকল্পে ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ ট্যাব ব্যবহার করায় সরকারের প্রায় ১৫০ কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছিল। ওয়ালটনের ওই ট্যাবগুলোর মান খুবই ভালো হওয়ায় জনশুমারি প্রকল্প শেষে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো থেকে ওয়ালটনকে ধন্যবাদপত্র দেওয়া হয়। পাশাপাশি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খুশি হয়ে ট্যাবগুলো শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণের অনুমোদন দেন। সরকারি প্রকিউরমেন্টে এরকম সাহসী পদক্ষেপ নেওয়া হলে কয়েক হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করা সম্ভব।  পরিদর্শনকালে দেশে প্রথমবারের মতো ওয়ালটন ডিজি-টেকের এসএসডি প্রোডাক্টের বাণিজ্যিক উৎপাদন কার্যক্রম উদ্বোধন করেন জুনাইদ আহমেদ পলক। পাশাপাশি তিনি ওয়ালটন-ল্যাপটপ ক্যাশব্যাক অফারের উদ্বোধন ঘোষণা করেন এবং নেক্সজি সিরিজের নতুন মডেলের স্মার্টফোন ‘এন৭২’-এর মোড়ক উন্মোচন করেন।  এ সময় উপস্থিত ছিলেন আইসিটি সচিব মো. সামসুল আরেফিন, বঙ্গবন্ধু হাই-টেক পার্কের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জি এস এম জাফরউল্লাহ্, এটুআইর প্রজেক্ট ডিরেক্টর মো. মামুনুর রশীদ ভূঁইয়া, ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল আলম, ম্যানেজিং ডিরেক্টর এস এম মঞ্জুরুল আলম এবং ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির পরিচালক ও ওয়ালটন টিভির মনিটরিং ডিরেক্টর রাইসা সিগমা হিমা।   অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন- ওয়ালটন ডিজি-টেকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর লিয়াকত আলী, ওয়ালটন হাই-টেকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মো. ইউসুফ আলীসহ ওয়ালটনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।  হেড কোয়ার্টার্স পরিদর্শনকালে ওয়ালটন টিভির ক্লিনরুম ফ্যাসিলিটিতে বাংলাদেশে প্রস্তুতকৃত প্রথম স্যাটেলাইটের পূর্ণাঙ্গ সিমুলেশন কার্যক্রম পরিদর্শন করে মুগ্ধ হন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী।  প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের প্রথম লুনার স্যাটেলাইট ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প বাস্তবায়নে এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই)-কে সহায়তা করছে ওয়ালটন টেলিভিশনের ক্লিনরুম রিসার্স ল্যাব ও টেকনলোজি।  উল্লেখ্য ‘বিয়ন্ড সাউন্ড, বিয়ন্ড বাউন্ডারিস’ থিমের ওয়ালটনের নেক্সজি সিরিজের ‘এন৭২’ নতুন মডেলের স্মার্টফোনে রয়েছে ডুয়াল স্টেরিও স্পিকার। ফলে, এর ব্যবহারকারীরা মিউজিকে পাবেন এক অনন্য অভিজ্ঞতা।  ওয়ালটন-ল্যাপটপ ক্যাশব্যাক অফারের আওতায় যে কোনো ধরনের কম্পিউটার পণ্য ও ডিভাইস ক্রয়ে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত ক্যাশব্যাক পেতে পারেন ক্রেতারা।   
০৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

কাজ অসমাপ্ত রেখেই বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক প্রকল্প হস্তান্তর
উদ্বোধনের দুই বছরেরও দৃশ্যমান কার্যক্রম শুরু হয়নি সিলেটের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্কে। কমপক্ষে ১৮টি প্রতিষ্ঠান জমি ও স্থান বরাদ্দ পেলেও কেউই কার্যক্রম শুরু করেনি এখনো। এদিকে, ২০২২ সালের বন্যায় নদীতে বিলীন হয়েছে সীমানা প্রাচীরের মাটি। আবার, এক কিলোমিটারেরও দীর্ঘ স্থানে নেই দেয়াল বা কাঁটাতারের বেড়া। বাকি কালভার্টের কাজও। জায়গায় জায়গায় উঠে যাচ্ছে পার্কের ভেতরকার সড়কের কার্পেটিং। এমন লেজে-গোবরে অবস্থা সত্ত্বেও প্রকল্পের সব ধরনের কাজ সফলভাবে শেষ হয়েছে মর্মে মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছেন খোদ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। প্রকল্প বুঝেও নিয়েছেন পরিচালকের কাছ থেকে। ২০১৬ সালের ৮ মার্চ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে প্রকল্পটির অনুমোদন হয়। ব্যয় ধরা হয় ৩৩৬ কোটি টাকা। ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয় ২০২২ সালের ডিসেম্বরে। পরে ছয় মাস বাড়িয়ে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত করা হয়। এরই মধ্যে ১২টি প্রতিষ্ঠান প্লট এবং ছয়টি প্রতিষ্ঠানকে ভবনের জায়গা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আশা করা হয়েছিল প্রবাসী আধিক্য সিলেটে বড় বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করবে পার্কটি। উৎপাদিত পণ্য ভারতের সেভেন সিস্টার্স এর বাজার ধরবে। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) খাতের বিকাশ হবে। স্থানীয় শ্রমিকসহ অর্ধলক্ষাধিক মানুষের কর্মসংস্থান হবে। প্রকল্প হস্তান্তরের পর কর্তৃপক্ষ দাবি করে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার, আনসার সদস্যদের ব্যারাক, অভ্যন্তরীণ সড়ক ও কানেক্টিং কালভার্ট, বঙ্গবন্ধু স্মৃতি অঙ্গন, প্রশাসনিক ভবন, ৩৩ কেভিএ লাইনের ১০ মেগাওয়াট বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন, দৈনিক ২০ মিলিয়ন ঘনফুট সরবরাহের ক্ষমতাসম্পন্ন গ্যাস স্টেশন, ভূমি উন্নয়ন, সেতু, গেস্ট হাউস, কালভার্ট কাম স্লুইসগেট, ২ হাজার ফুট গভীর নলকূপ, রাস্তা, স্যুয়ারেজ সিস্টেম, ইউটিলিটি ভবন, প্রশাসনিক ভবনের চারপাশের বেড়া ও নালা নির্মাণ সফলভাবে শেষ হয়েছে। তবে সরজমিনে দেখা যায়, নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করায় অনেকস্থানে দেয়াল ধসে গেছে। অন্তত চারটি স্থানে সীমানা প্রাচীরের নিচের মাটি ও বালু সরে গেছে। কোথাও সড়কের পিচ উঠে গেছে। আবার প্রায় দেড় কিলোমিটারজুড়ে কোন সীমানা প্রাচীরই নেই। ফলে পার্কের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। শীতকালেও বিভিন্ন স্থানে জমি আছে পানি। প্রকল্প বুঝে নেওয়ার পরও ২ নম্বর কালভার্ট কাম স্লুইস গেটের নির্মাণকাজ প্রায় ৪০ শতাংশ বাকি। এসব অনিয়ম উঠে এসে এসেছে হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের নিজস্ব প্রতিবেদনেও। পরিচয় গোপন রাখার শর্তে পার্ক সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নিম্নমানের কাজের কারণেই এমনটা হয়েছে। গত বছর ১০ ও ১১ নভেম্বর প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন পার্ক কর্তৃপক্ষের রক্ষণাবেক্ষণ প্রকৌশলী এস এম আল মামুন ও সহকারী প্রকৌশলী ওবায়েত হোসেন। তবে বিষয়টি নিয়ে প্রতিবেদকে বিস্তারিত তথ্য দিতে রাজি হননি সহকারী প্রকৌশলী ওবায়েত। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি ছিল কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতি আছে সেটা বলব না। আবার একভাবে বলাও যায়। অনেক কাজ এভাবে অসম্পূর্ণ রেখেই গত ১৭ সেপ্টেম্বর হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষকে প্রকল্প হস্তান্তর করে প্রকল্প পরিচালক ব্যারিস্টার মো. গোলাম সরওয়ার ভূঁইয়া। বর্তমানে তিনি আবার পার্কের পরিচালক (কারিগরি) হিসেবেও দায়িত্বরত। আর হস্তান্তরের ১২ দিন আগেই আইসিটি বিভাগের সচিব বরাবর প্রকল্পের সমাপ্তি প্রতিবেদন পাঠান পার্কের এমডি জি এস এম জাফরউল্লাহ। এমনকি প্রতিবেদন গ্রহণের চিঠিতেও তিনি জানান, প্রকল্পের সব কাজ সফলভাবে শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে এম জাফরউল্লাহ নির্বিকারভাবে কালবেলাকে বলেন, পার্কে কোনো কাজ বাকি নেই। বন্যায় কিছু জায়গার মাটি সরে গেছে, সেগুলো ঠিক করা হচ্ছে। ছোটখাটো ত্রুটি সব জায়গায় থাকে, থাকতেই পারে। নিজে একটা বাড়ি তৈরি করলে সেখানেও ছোটছোট ত্রুটি ধরা পড়বে। অন্যদিকে, প্রকল্প পরিচালক গোলাম সরওয়ার কালবেলাকে বলেন, ২০২২ এ বড় আকারের বন্যা হয়েছিল। তখন সীমানা দেয়ালের কয়েক স্থানে মাটি-বালু সরে নদীতে মিশে যায়। আর যে জায়গায় সীমানা প্রাচীর নেই সে অংশটুকু পরে প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হয়। এখন হাইটেক পার্কের মাধ্যমে সেখানে কাঁটাতার বসানো হবে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রকল্প শেষ হওয়ার পরে বছরখানেক ‘ওয়ারেন্টি পিরিয়ড’ থাকে। সেই সময় শেষ তাই কিছুই করার নাই; কিন্তু কিছু বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অর্থছাড় আটকে রাখা হয়েছে।
০৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৫ বছরে অবিশ্বাস্য উন্নয়নের নজির সৃষ্টি হয়েছে’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১৫ বছরে অবিশ্বাস্য উন্নয়নের নজির সৃষ্টি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।  বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর গুলশানে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের উন্মুক্ত স্থানসমূহের আধুনিকায়ন, উন্নয়ন ও সবুজায়ন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় উন্নয়নকৃত শহীদ ডা. ফজলে রাব্বি পার্কের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। এ সময় তিনি বলেন, ভিশন, রুচি ও চেষ্টা থাকলে অনেক কিছু করা যায়। অনেক সময় বড় কিছু করতে গেলে অনেকে অনুৎসাহিত করার চেষ্টা করবে, আটকে দেওয়ার চেষ্টা করবে। অনেক বড় কিছু করার চিন্তা ও তা চেষ্টা করা হলে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি বদল হয়। দৃষ্টিভঙ্গি বদল হলে অনেক বড় কিছু অর্জন করা যায়। গত ১৫ বছর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তার বিভিন্ন নজির আমরা দেখেছি। দেশের মানুষ যা কিছু চিন্তা করতে পারেনি সে ধরনের উন্নয়নের ঘটনা বাংলাদেশে ঘটে গেছে। ১৫ বছর আগে যদি বলা হতো, ঢাকা শহরে মেট্রোরেল চলবে, সেটা কেউ বিশ্বাস করত না। যদি বলা হতো বাংলাদেশের শতভাগ মানুষের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছাবে, সেটা কেউ বিশ্বাস করত না। পদ্মা সেতু আমরা নিজের টাকায় করব, বাংলাদেশের মানুষ এটাও বিশ্বাস করেনি। তিনি আরও বলেন, গত ১৫ বছরে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটে গেছে। আমরা অনেক সাহসী হয়েছি, আমরা এখন অনেক বড় স্বপ্ন দেখতে পারি এবং তা বাস্তবায়ন করতে পারি। সেই জায়গা থেকেই ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তরের বিষয় চলে এসেছে।  শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ডা. ফজলে রাব্বির নামে পার্কের নামকরণ করায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নামগুলো আমরা আরও স্মরণ করতে চাই, স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখতে চাই এবং আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে নজির হিসেবে রাখতে চাই। যখনই শহীদ ডা. ফজলে রাব্বির বিষয়ে আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম প্রশ্ন করবে, জানবে তখন আরও দেশপ্রেমে উজ্জীবিত হবে এবং সেভাবেই আগামী দিনের ইতিহাস রচিত হবে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. মফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে নিকেতন সোসাইটির সভাপতি ডা. এম এ বাসার, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী ব্রি. জেনারেল মুহাম্মদ আমিরুল ইসলাম পিএসসি, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আমেনা বেগম, শহীদ ডা. ফজলে রাব্বির ছেলে ওমর রাব্বি প্রমুখ বক্তব্য প্রদান করেন। পরে উন্নয়নকৃত শহীদ ডা. ফজলে রাব্বি পার্কের উদ্বোধনী ফলক উন্মোচনে অংশগ্রহণ করেন প্রতিমন্ত্রী। এ ছাড়াও বৃক্ষরোপণ, পার্ক পরিদর্শন এবং নবনির্মিত পুলিশ বক্স উদ্বোধনে অংশগ্রহণ করেন তিনি।
০১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪
X